অলৌকিক গ্রন্থ বেদ ও আধুনিক বিজ্ঞান...................।
লিখেছেন লিখেছেন গ্রামের পথে পথে ১৯ আগস্ট, ২০১৪, ০৯:০৮:১৮ রাত
পৃথিবী ও গ্রহসমূহের গতি ও মধ্যাকর্ষন শক্তি
স্যার আইজাক নিউটন ও অন্যান্য অনেক বিজ্ঞানীদের কল্যানে আজ এ তত্ত প্রতিষ্ঠিত যে পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহসমূহ সূর্যকে কেন্দ্র করে একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘোরে।
কিন্তু এরও হাজার হাজার বছর আগে পৃথিবীর প্রাচীনতম এবং পবিত্রতম ধর্মগ্রন্থ বেদ এ সম্পর্কে কি বলেছে তার কিছু নমুনা দেখে নেয়া যাক।
ঋগবেদ ১০.২২.১৪
"অহস্ত য়দপদি বরধত খ শচীবিরবেদ্যানাম । সুষমপরি প্রদক্ষিনিত্ বিশ্যব্যে নি সিস্নাথা"
অনুবাদ- "পৃথিবীর নেই হস্ত বা পদ,তবুও তা গতিশীল।এর উপর অবস্থিত বস্তুসমূহ ও এটার সাথে গতিশীল।এটি সূর্যের চারদিকে ঘূর্নায়মান।"
বেদ ও তড়িত্শক্তি
অথর্ববেদ বিভিন্ন প্রায়োগিক বিদ্যার জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ তা আমরা সবাই জানি। দেখে নেয়া যাক তড়িত্ শক্তি সম্পর্কে পবিত্র এই
জ্ঞানের উত্স কি বলেছে,
১। অথর্ববেদ ২০/৭/২ : "নব য়ো নবতি পুরো বিভেদ বাহভোত জাসা অহি ছ বৃত্রাহাভদিত"
অনুবাদ- বিদ্যুত্ যা এর বাহুর(ইলেকট্রন এবং প্রোটন)সাহায্যে পদার্থকে ৯৯টি শাখায় বিভক্ত করে যেসকল সূর্যালোকে অবস্থান করে।
এখানে আধুনিক বিজ্ঞানীদের কর্তৃক বর্ণিত ৯৯টি কনা যা সকল পরমানুর তড়িত্ ভাঙ্গন এর ফলে সৃষ্ট তা বলা হয়েছে।উল্লেখ্য যে এদের প্রত্যেকটিকে সূর্যকর্তৃক বিকীর্ন অতিবেগুনী রশ্মি তে পাওয়া যায়।
২। অথর্ববেদ ২০/০৭/৩
"সন ইন্দ্রঃ শিবাঃ য়ক্ষবাদ গোমদববম উরধারেব দোহাতে"
অনুবাদ- এই অসাধারন শক্তি আমাদের বন্ধু হতে পারে যার মাধ্যমে আমরা আমাদের বাড়িঘর আলোময় করে তুলতে পারি,পারি শস্যক্ষেত্রে কাজে লাগাতে।
৩। অথর্ববেদ ২০.৭.৪
"ইন্দ্র নতুবিদন্ধ সুতং সোমাং হর্য পুরুষ্তুতে পিবা বৃহসত্ ততৃপিম"
অনুবাদ- জ্ঞানীদে র পরামর্শ অনুসারে আমরা একে কাজে লাগাতে পরি দ্রব্যাদি সংরক্ষনে(রেফ্রি জারেটর) তাদের মাধ্যমে যারা এতে দক্ষ।এটিকে নিরাপদে ব্যবহার করি যাতে এটি বিপদ সৃষ্টি না করে।
৪। অথর্ববেদ ২০.৩.১
"বজ্রিনেম সন্দিনাম সোম্যমমদ ইন্দ্রম রথে বহতা হর্যতাহরি পুরুনাস্ময় সবনানি হর্যাতা ইন্দ্রারা সোমা হারায়ো দধিবীরে"
অনুবাদ- সেই দ্রুত গতিশীল দুই বস্তু(ইলেকট্রন ও প্রোটন) যার আকর্ষন ও বিকর্ষন ক্ষমতা আছে তা বিদ্যুত্ চালনা করে।এটি বজ্রের ন্যয় শক্তিশালী,আমাদে র উপকারী।এটি উত্পন্নের জন্য রয়েছে তরল উত্স(বিদ্যুত্ উত্পন্নের তরল জ্বালানী)
৫। অথর্ববেদ ২০.৩.২
"আড়ং কামোয়ো হর্যো দধীনবীরে স্থিরানো হিন্বানোহায়াযো হরি তুরা অর্বধ্বিয়র হরিবিজোড়সামিয়াত স অস্য কামাম হরিবন্তমানসে"
অনুবাদ- সেই দুই গতিশীল শক্তি দুই দিকে গতিশীল(ইলেকট্রন ও প্রোটন এর বিপরীত দিকে গতি) যার মাধ্যমে উত্পন্ন শক্তিকে আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারি।
বিষয়: বিবিধ
৬৪৩৬ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
লিঙ্গ পুজার কথা লিখা আছে?
বা শিব তার লিঙ্গ
দিয়ে কি করে?
যযুবেদ চ্যাপটার ৩২ ভারস ৩
"না তাস্তি প্রতিমা আস্তি"
তার কোন প্রতামা,ছবি,মুর্তি নাই।
আরো বলা আছে,
সে জন্ম গ্রহন করে নি, তিনি একমাত্র উপাসনার যোগ্য
যযুরবেদ ৩২:৩
তো হিন্দু ধর্মেইতো মুর্তি পুজা নাই আপনারা এটা মানেন না কেন???
পুজা না থাকলে হিন্দু ধর্মের কোন মূল্য আছেকি???
সময় আছে কালেমা পড়েন
" লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ"
অর্থ: আল্লাহ ছারা সত্য কোন উপাস্য নাই মুহাম্মাদ (স) আল্লাহর রসুল।
" লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ"
তো ভাইজান, সময় আছে অফুরন্ত। কিন্তু ইহুদীর ভয়ে আপনার আল্লা-মোহাম্মদ ইন্দুরের গর্তে লুকাইসে। দেখেন্না গাজার মুমিনরা এতো আল্লাবিল্লা কইরা কাঁন্দে, মাগার কাম হয় না।
আগে তো এটা মানো, তার পরে নাহয় মুসলিমদের বাতাসের গন্ধ নিয়ো।
নিজরে টাইতো মানো না তহলে অন্যরটা নিয়া টানা টানি করো ক্যালা?
সংষয়ী মনে কিছু প্রশ্ন জাগে, এতো বছর আগে কিভাবে সম্ভব এতো কিছু বলে দেওয়া! অবশ্যই এটি ঈশ্বর প্রদত্ত কিতাব। অন্য কারো পক্ষে এসব বলা সম্ভব নয় ---- যদি ব্যাপারটি সত্যিই হয়ে থাকে। তাহলে আমার মানতে কোনো আপত্তি নেই যে, বেদে বৈজ্ঞানিক ঈঙ্গিত আছে।
প্রসঙ্গ ছাড়া রেফারেন্স দিলেন কেনো দাদা? আপনি যা বললেন তা কি আদৌ আছে বেদে!
ঋগ্বেদ ১০/২২/১৪ তে আছে যে, When the earth which has neither
hands nor feet flourished through the acts of
(devotion paid to) the adorable (deities), You [Indra]
slewest, turning to the right, for the welfare of every
living man.
এই ভার্সেস টি বলছে ঈন্দ্র যখন তার শত্রুদের সঙ্গে ঝগড়া মারামারি করছিল, তখন পৃথিবীকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে চক্কর মেরেছিল। এটাকে বানিয়ে ফেলেছে পৃথিবী ঘুরছে! হাস্যকর কার্যকলাপ।।
এই ক্লেইম টা করেছেন আরিয়া সমাজ " -- এসব পন্ডিতদের মানুষকে বোকা বানানোর জন্য উচিত শিক্ষা দেওয়া উচিত উচিত। বেচারা, খেলা ঘর বাধতে এসেছি " কেও বোকা বানিয়েছে। এখানে তাদের উল্টা পাল্টা অনুবাদ করা টা দেখিতে পাবেন
আপনার যদি আরো প্রমান লাগে জিজ্ঞেস করবেন, দু একটা দেই।
Atharva Veda 6.77.1
Firm stands the heaven, firm
stands the earth , firm stands this universal world…
Atharva Veda 6.44.1
Firm stood the heaven, firm
stood the earth, firm stood this universal world. Firm
stood the trees that sleep erect: let this thy malady be
still.
(Rig Ved 2/12/12)
"Oh Man ! He who
made the trembling earth
static is Indra."
অর্থঃ দেব ইন্দ্র পৃথিবী কে স্থির
রেখেছেন।.।
না ভাই, আপনার সাথে একমত নই। সূরা নাযিআত এর ৩০নং আয়াতে বলা হয়েছে-
"পৃথিবীকে এর পরে তিনি বিস্তৃত করেছেন, And after that He spread the earth"
কিন্তু কোরাণকে বিজ্ঞান প্রমান করার জন্য আপনারা ঐ আয়াতের নতুন অর্থ পয়দা করেছেন- "পৃথিবীকে এর পরে তিনি উটপাখির আন্ডা করেছেন/And after that He made the earth ostrich egg shaped" আপনাদের পন্ডিত জাকির নায়েক এই একই কথা বলেন।
তো, অন্য সবার মত আপনিও জাকির নায়েকের কাছে বোকা হয়ে গেলেন???
Click this link
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
মুসলিম ধর্মের ফ্লাট পৃথিবী ডিমাক্রিত হতে পারলে হিন্দু ধর্মের পৃথিবীর চক্কর অন্য অর্থ বহন করবে না কেন? ধন্যবাদ।
উপড়ের দিকে তাকিয়ে ডিম খান। কোরানের কোথায় লেখা আছে পৃথিবী ফ্লাট? মাথায় বোধ হয় ডিমের আছর পড়েছে। কবিরাজ দেখান।
অন দ্য টপিক বলেন ব্রাদার। যদি এই ব্যাপারে কিছু বলতেই চান তাহলে পোষ্ট মারেন। আপনার অলৌকিক কিতাব যে আসলেই অলৌকিক সেটাই দেখতে পেলাম। হা হা হা হাহ
যদি চান এই লিংকে ঘুরে আসুন। আমার ব্লগের সব গুলোর সাথে ডিবেট করে এটা প্রমান করেছি যে, কোরানের ৩০ নাম্বার আয়াতে উটের ডিম্বের কথাই বলেছে।
https://www.amarblog.com/index.php?q=মূর্খবালক/posts/178854
তো, "পৃথিবীকে এর পরে তিনি বিস্তৃত
করেছেন, And after that He spread the earth" অর্থ যদি ঘোড়ার আন্ডা হতে পারে তা হলে বেদে গ্রন্থের একই শব্দ ভিন্ন অর্থ বহন করবে না ক্যান? হাহা, হাহা....।
ভাই, বেদ/মহাভারত/রামায়ন
বুঝতে হলে আপনাকে আদি সংস্কৃত
ভাষা বুঝতে হবে, সংস্কৃত ভাষার শব্দ, প্রতিশব্দ,
ডিকশেনারি, ভাষার অলৌকিক বিন্যাস
বুঝতে হবে। শুধু অনুবাদ পড়ে মহান হিন্দু ধর্মের
কিছু বুঝা যায় না। তাছাড়া ভগবানের
হেদায়েতও লাগে।
মনে কুফুরী বক্রতা থাকলে হবে না।
@@@@
তাহলে, আপনি কেনো ভাই আমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন না! আমি তো আপনার ভুল ধারনা দূর করি। আপনার কি করা উচিত না?
এতো দাত ভেটকানোর কি দরকার? কোরআনে যে আসলেই নাই সেটা তো প্রমান করতেই পারলেন না, উল্টা সেইটাকে ভুল করতে আপনি আপনার টায় সঠিক ধরে নিলেন। আপনার ভাব দেখে মনে হয়,আরবী পড়ে পড়ে মুখে ঘা বানিয়ে ফেলেছেন। জবাব প্লিজ
আসলে, কায়দা/সিপারা জানা আপনার মত মুমিন পন্ডিতকে আর যাই হোক বিজ্ঞান শিক্ষা দেয়া যাবে না। তারচেয়ে বরং কোরাণ বোগলদাবা করে ইহুদী-নাসারা'দের পিছে আরো বেশি ঘুড়ঘুড় করেন। বলা যায় না, আপনার আল্লা বিজ্ঞানে নোবেল প্রাইজ পেয়েও যাতে পারে। নাকি???
এরকম
"Oh Man ! He who
made the trembling earth
static is Indra."
অর্থঃ দেব ইন্দ্র পৃথিবী কে স্থির
রেখেছেন।.।
আল কোরাণ ১৬:১৫- এবং তিনি পৃথিবীর উপর পাহাড় রেখে স্থির রেখেছেন যে, কখনো যেন তা তোমাদেরকে নিয়ে হেলে-দুলে না পড়ে এবং নদী ও পথ তৈরী করেছেন, যাতে তোমরা পথ প্রদর্শিত হও।
"And He has set up on the earth mountains standing firm, lest it should shake with you; and rivers and roads; that ye may guide yourselves"
মন্তব্য করতে লগইন করুন