আল্লাহর বান্দা- রঙ্গের মানুষ, রঙ্গিন ফানুস.................
লিখেছেন লিখেছেন গ্রামের পথে পথে ২০ জুলাই, ২০১৪, ০৯:৪১:২১ রাত
১। আল্লাহ এবং তার বান্দারা যখন কোনো দেশে সংখ্যালঘু এবং দুর্বল :
"তোমার ধর্ম তোমার কাছে আমার ধর্ম আমার কাছে।" (কোরান ১০৯:৬)
২। আল্লাহ এবং তার বান্দারা কোনো দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং সবল :
"যখন নির্দেশ দান করেন ফেরেশতাদিগকে তোমাদের পরওয়ারদেগার যে, আমি সাথে রয়েছি তোমাদের,সুতরাং তোমরা মুসলমানদের চিত্তসমূহকে ধীরস্খির করে রাখ। আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়।"(কোরান ৮:১২)
৩। আল্লাহ এবং তার বান্দাদের মন কাঁদে যখন ইহুদীর হাতে ফিলিস্তিনি মুসলিম মারা যায়।
"যদি আল্লাহ চাইতেন তবে তারা শেরক করত না। আমি আপনাকে তাদের সংরক্ষক করিনি এবং আপনি তাদের কার্যনির্বাহী নন।" (কোরাণ ৬:১০৭)
৪। আল্লাহ এবং তার বান্দারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে যখন সিরিয়া, পাকিস্তান, ইরাক, আফগানিস্তান নাইজিরিয়া......... য় মুসলিমদের হাতে অকাতরে মানুষ খুঁন হয়।
বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি, তাদের মধ্যে কার মন্দ প্রতিফল রয়েছে আল্লাহর কাছে? যাদের প্রতি আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন, ইহুদীদের প্রতি তিনি ক্রোধাম্বিত হয়েছেন, যাদের কতককে বানর ও শুকরে রূপান্তরিত করে দিয়েছেন এবং যারা শয়তানের আরাধনা করেছে, তারাই মর্যাদার দিক দিয়ে নিকৃষ্টতর এবং সত্যপথ থেকেও অনেক দূরে।(কোরাণ ৫:৬০)
রসুল (সা) বলেন: কিয়ামত কায়িম হবে না যতক্ষন না মুসলমানরা ইহুদিদের সাথে যুদ্ধ করবে। তখন মুসলমানরা ইহুদিদেরকে হত্যা করবে। এমনকি যে কোন ইহুদি কোন গাছ বা পাথরের পেছনে লুকিয়ে থাকলে সে গাছ বা পাথর বলবে: হে মুসলিম! হে আল্লাহর বান্দাহ! এই যে ইহুদি আমার পিছনে লুকিয়ে আছে। আসো তাকে হত্যা করো। কিন্তু গারক্বাদ নামক গাছটি। সে তো তাদেরই গাছ। তাই সে তাদের ব্যাপারে মুসলমানদেরেকে কিছুই বলবে না। (বুখারী, হাদীস নাং-২৯২৬, মুসলিম, হাদীস নং-২৯২২,
বিষয়: বিবিধ
১৩২৭ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ব্রিজিট গেব্রিয়েলের সেই ভিটিওটি এখানে দেখুন(নো মোডারেশন)- Click this link
এই ভিডিওটিও দেখতে পারে, আপনার উপকারে আসবে- Click this link
আপনার দ্বিতীয় উদাহরণ টি সে সময় যখন নির্যাতিত হয়ে নিজের বাসস্থান রেখে অন্য স্থানে এসে আশ্রয় গ্রহন করেছে আর কাফেররা তাদের সেই আশ্রয়ের স্থল থেকেও তাদের নিঃশেষ করতে চেয়েছিল। অত্যাচারিত ব্যক্তির অবশ্যই অধিকার আছে অত্যাচারির মোকাবেলা করা আর সেক্ষেত্রে সে যে কোন কিছুই সাহায্য চাইতে এবং নিতে পারে।
তৃতীয় উদাহরণে জবাব: ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসীরা ব্যতীত অন্য কোন ধর্মের মানুষের মনে অত্যাচারীত মজলুমের জন্য মন কাঁদে না। তাই ফিলিস্তিনীরা কেন আপনার ক্ষেত্রেও ইসলামের একই নীতি।
চতুর্থ উদাহরনের জবাব: অন্যায় অবিচার কারীকে রুখে দেওয়া ইসলামে যেমন স্বীকৃত তেমনি মানবিক দৃষ্টিতেও তা প্রমাণিত তাই কোন অন্যায় কারী শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে একমাত্র কঠোর। আপনি হয়তো কোন অন্যায়কারী বা অত্যাচারীকে পছন্দ করে থাকতে পারেন কারণ আপনার শরীরে রয়েছে তারই প্রদেয় কোন রুটি রুজি।
জগতের সকল প্রানি সুখি হোক, ওম শান্তি, ক্ষমাই ঈশ্বরের ধর্ম........... এসব ধর্মকথা কোরান নাজিলের হাজার বছর আগেও পাঠশালার প্রথমিক লেভেলে শিক্ষা দেয়া হত।
তো, আপনি অন্য সব সূরার প্রেক্ষাপট, শানেনজুল বয়ান করে হাত সাফাই করলেন ঠিকই। কিন্তু(তোমার ধর্ম তোমার কাছে আমার ধর্ম আমার কাছে।) এই সূরা নাজিলের সময় বিবি খাদিজার উটের রাখাল মোহাম্মদের ভবঘুড়ে আপবস্থার কথা চেপে গেলেন কেন??
না ভাই, আমি জোকার লায়েকের মত দান-সাদগা-যাজাত নির্ভর বাচাল কেউ না। নিজে নিজেরটা করে খাই।
কোনটি ন্যায়, আর কোনটি অন্যায় তা কে নির্ধারন করে দিবে? নবী মোহাম্মদ? নাকি অন্য কেউ?? ন্যায়-অন্যায়ের নিরপেক্ষ বিচার করা হলে- অসহায় ক্রীতদাসীদের সাথে যৌনফূর্ত্তি, যুদ্ধবন্ধী নারী ধর্ষন, শিশুকামিত এবং ইহুদী হত্যার উস্কানি দেয়ার অভিযোগে এই মুহুত্বেই নবী মোহাম্মদকে হাতকড়া দেয়া হত।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন