রমজান মাসে- সাধনা, সংযম, ইনসাফের অলীকতত্ত্ব নিতান্তই শিশুসুলভ চপলতা।
লিখেছেন লিখেছেন খেলাঘর বাধঁতে এসেছি ০৬ জুলাই, ২০১৪, ১০:০৭:৫৫ সকাল
১। অলিক কথার ফুলঝুড়ি মিশিয়ে বলা হয়- ইসলাম একটি পূর্নাঙ্গ জবীন বিধান।
তবে ২১ শতকের সভ্যতায় পৃথিবীর কোথাও এই পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান কায়েম করে মুসলমানরা দেখাতে সক্ষম হয়নি তাতে কি কি পূর্ণাঙ্গতা আছে। অবশ্য তালেবান, বোকোহারাম, আল শাহাব, আই এস আই.................. ইত্যাদিতে ইসলামের পূর্নাঙ্গতা!! কিছুটা আঁচ করা যায়।
২। ধর্মের আবেগ মাখা আলহাদে বলা হয়- রমজানের মাস সংযমের মাস, সাধনার মাস, ইনসাফের মাস।
কিন্তু বাস্তবে বিষয়টি একেবারেই সারশুন্য। যুগ যুগ ধরে রোজা রাখার পরও বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারতসহ বিভিন্ন মুসলিম অধ্যুষিত জনগণের দেশে সংযম, সাধনা, ইনসাফের যারপরনাই লেশ মাত্র দেখা যায় না। বরংচ এই মাসে ঘুষ, দূর্নীতি, চুরি, চামারী, ধাপ্পা, ফরমালিনে নতুন মাত্রে যুক্ত হয়। গরীবেরাও যে মানুষ – সেটিও রোজা মুসলিম জনগোষ্ঠীর মনে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি যার প্রমাণ সমাজের চরম স্তরবিন্যাস ও ধনী গরীবে নিদারুণ বৈষম্য । তাছাড়া, গরীবের কষ্ট বোঝার জন্য একটি ভালো মন ও ভালো নিয়্যতের প্রয়োজন, এভাবে একবেলা না খেয়ে গরীবের কষ্ট বোঝার অলীকতত্ত্ব নিতান্তই শিশুসুলভ চপলতা। রোজার মাসে বরং সকাল থেকে কিছু সময়ের জন্য উপাস থাকার পর সন্ধা না গড়াতেই অবিরাম ভোজন উৎসবে মেতে উঠে সবাই, এবং তা চলতে থাকে পরদিন ভোর সকাল পর্যন্ত। এই তো রমজানের সংযম!!! রমজানে যদি বিন্দুমাত্র নৈতিকতার কোন এথিক্স থেকে থাকতো, তাহলে মিডল ইস্টের আকাশ-ছোঁয়া দৌলত ও পশ্চিম আফ্রিকার কঙ্কালসার শিশুর ছবি কেন পাশাপাশি দেখতে হয় আমাদের?
কেন বাংলাদেশের মত মুসলিম অধ্যুষিত দেশে ধনী-গরিবের এমন আশ্চর্য সহাবস্থান চোখে পড়ে (হিলারি ক্লিনটনের ‘লিভিং হিস্ট্রি’র বাংলাদেশ প্রসঙ্গ প্রণিধানযোগ্য, যেখানে পাঁচতারা সোনারগাঁয়ের পাশেই পোকা-মাকড়ের ঘর-বসতি-সম বস্তি দেখে যারপরনাই অবাক হওয়ার কথা লিখেছিলেন তিনি)।
বিষয়: বিবিধ
২৭৫৪ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অবশেষে ময়লা পানিতে ধূতিধারীদের পূন্য হাসিলের দৃশ্য উপভোগ করুন।
কিন্তু আপনার এতবড় আল্যার ব্যাটারি কি ফিউজ হয়ে গেছে নাকি যে মুমিন মুসলিমের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধানের কপালে লানতের ছাইছালি?
আমনে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রীর বাসার বেবাক মানুষের লুঙ্গি খুইলা ধইরা দেহেন, দেখিবেন ৮০ শতাংশ মানুষের অপবিত্র মাথা কাটা হয় নাই। সকলের মাথা ছোটকালের জায়াগায় আছে। আশ্চর্য হইয়া দেখিবেন, জয়-পরাজয় কারো মাথা কাটা হয় নাই। হেই কারণে ভারতের বেবাক মুসলমানের যে দশা বাংলাদেশের মুসলমানের হেই একই দশা। রোজা কুন সমস্যা না।
তাইলে কিভাবে কইলেন এইটা মুসলমানের দেশ? আমনের মাথা ঠিক আছেনি?
আগে কন যারা চুরি চামারী কইরা ক্ষমতায় যারা আছে, হেরা আল্লারে মানে কিনা?
সরকারী মাল সামান কি মোল্লা-মৌলভীরা আত্মসাৎ করে নাকি দলীয় পাঠারা করে?
মোল্লা মৌলভীর হাতে কি দেশের মাইনসের ভানা বন্টনের মন্ত্রনালয় আছে নি?
আমি জানি আমনে উত্তরে কইবেন, তাইলে আল্লাহ ব্যবস্থা নিলেন না কেন?
শ্রী রাম তার স্বতীত্ব হারা স্ত্রীরে উদ্ধার করিতে নিজে যুদ্ধ করিছেন ইশ্বর নিজে উদ্ধার করে নাই। মানুষের নিজের সার্থ হাসিলের জন্য নিজেকে লড়াই করিতে হয়।
আমি জানি আমনে কইবেন, তাইলে ইশ্বরের কাম কি?
এইহানে ইশ্বরের কাম হইল,
আমনেরে হাত দিছে গরুর মুত্র পান করিতে নয়, অন্যায় দমাইতে।
আমনেরে পাও দিচে গরুর গোবর দলাইতে নয়, সেই পাও দিয়া যুদ্ধে যাইবেন।
নারী জাতিকে তলা দিছে মন্দিরের পুরোহিত কে খুশী করিতে নয়, দুনিয়াতে বিলাইতে নয়, তা যথাযথ হেফাজত রাখিতে।
ইশ্বরের এসব কাম ঠিক ঠাক মত করিলে তিনি সত্য দলকে সাহায্য করিবেন মিথ্যা দলের মানুষের মনে ভয় ঢুকাইয়া দিবেন। আশা করি হান্দাইছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন