ধর্মের বর্বরতা (নারী-অধ্যায়— ধারাবাহিক পর্ব ১)
লিখেছেন লিখেছেন খেলাঘর বাধঁতে এসেছি ২১ জুন, ২০১৪, ০২:০৪:৩৮ রাত
প্রথমে কোরান দিয়েই শুরু করা যাক, সৌদী আরব থেকে প্রকাশিত মওলানা মুহিউদ্দিন খানের অনুবাদ। কোরাণের যে কথাগুলো পুরুষের মন মানসিকতায় ব্রক্ষ্মাস্ত্র হিসেবে গেঁথে রয়েছে, সেগুলো একটু দেখে নেয়া যাক, তারপরে বিস্তারিত তথ্যে যাব আমরা।
আল্লাহ্র পছন্দ হচ্ছে পুরুষ—তা কী বলার দরকার রাখে?
কি আছে সুরা নাহল- আয়াত ৪৩ (১৬:৪৩), সুরা হজ্ব আয়াত ৭৫ (২২:৭৫) এ?
নারীকে কোনদিন নবী-রসুল করা হবে না।
সুরা ইউসুফ, আয়াত ১০৯-(১২:১০৯) তেও একই কথা:
আপনার পূর্বে আমি যতজনকে রসুল করে পাঠিয়েছি, তারা সবাই পুরুষই ছিল জনপদবাসীদের মধ্য থেকে, আমি তাঁদের কাছে ওহী প্রেরণ করতাম।
এবং সিদ্ধান্ত দিয়েছে সুরা আল্ আনাম আয়াত ৯ (৬:৯):
যদি আমি কোন ফেরেশতাকে রসুল করে পাঠাতাম, তবে সে মানুষের আকারেই হত। এতেও ঐ সন্দেহই করত, যা এখন করছে।
কোন কোন অনুবাদে দেখবেন আরবীর ‘পুরুষের আকারে’ শব্দটাকে অনুবাদে ‘মানুষের আকারে’ বলে সমস্যাটাকে ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করেছেন চালাক মওলানারা।
আরবীতে মানুষ হল ইনসান আর পুরুষ হল রাজাল। মওলানাদের জিজ্ঞাসা করুন তো, কোরানে কোন শব্দটা আছে?
এবারে একটু হাদিস ঘেঁটে দেখা যাক। হাদিস হল নবী (সঃ) এর কথা-বার্তা, আচার-বিচার, ধ্যান-ধারণা, ব্যবহার-ব্যক্তিত্ব, মতামত-সিদ্ধান্ত, এ সবের বিস্তারিত রিপোর্ট, তাঁর সহচরেরা দিয়ে গেছেন। হাদিস ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, কোরানের পরেই এর স্থান। হাদিস বাদ দিলে ইসলামের সাংঘাতিক অঙ্গহানী হয়ে যায়। বিখ্যাত মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম তাঁর বিখ্যাত ‘‘হাদিস সংকলনের ইতিহাস’’ বইয়ের ৯৪ পৃষ্ঠায় বিভিন্ন বুলন্দ ইমামের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘‘‘হাদিস অমান্যকারী কাফির’।
ছয়টি হাদিসের বই সর্বকালে সর্ব দেশে সুন্নী মুসলমানেরা ‘‘সহিহ্’’ বা ‘‘সত্য’’ বলে গণনা করেন, সেগুলো হল সহিহ্ বোখারি, সহিহ্ মুসলিম, সহিহ্ নাসায়ী, সহিহ্ তিরমিজি, সহিহ্ আবু দাউদ এবং সহিহ্ ইবনে মাজাহ। আমরা মোটামুটি সেগুলো থকেই উদ্ধৃতি দেব।
দুনিয়ার এক হাজার দুশো মিলিয়ন মুসলমানের মধ্যে সুন্নীরা-ই এক হাজার কোটি। হাদিসে মেয়েদের সম্মন্ধে অনেক ভালো কথাও আছে। কিন্তু তার পাশাপাশি যা আছে, তাতে লজ্জায় মুসলমান পুরুষদের স্রেফ আত্মহত্যা করা ছাড়া অথবা ওই শত শত দলিল গুলোকে খুন করা ছাড়া উপায় নেই। বাড়িয়ে বলছি না একটুও, সবই দেখাব একটা একটা করে।
সহিহ্ মুসলিম, বই ৩১ হাদিস ৫৯৬৬:
আবু মূসার বর্ণনা মতে নবী (দঃ) বলেছেন: “পুরুষদের মধ্যে অনেকেই ত্রুটিমুক্ত কিন্তু নারীদের মধ্যে কেউ-ই ত্রুটিমুক্ত নয়, কেবল ইমরানের কন্যা মেরী এবং ফারাওয়ের স্ত্রী আয়েশা ছাড়া”।
হল? একেবারে সাফ কথা। এ কথার পর কি আর কিছু বলার থাকতে পারে, না বলা উচিত? এর পরেও আবার যদি গোদের ওপর বিষফোঁড়া গজায়, ইসলাম যদি পতিদেবতাকে ওপরে তুলতে তুলতে একেবারে আশমানী পাতি-দেবতা করে তোলে, তবে নারী তো পুরুষের পায়ের তলায় পিষে যাবেই, তার জন্মগত মানবাধিকার তো লেজ তুলে পালাবেই।
প্রমাণ দেখাচ্ছি সুনান আবু দাউদ হাদিস থেকে; বই ১১ হাদিস নম্বর ২১৩৫:
কায়েস ইবনে সা’দ বলছেন, ‘‘নবী (দঃ) বললেন: “আমি যদি কাউকে কারো সামনে সেজদা করতে বলতাম, তবে মেয়েদের বলতাম তাদের স্বামীদের সেজদা করতে। কারণ আল্লাহ স্বামীদের বিশেষ অধিকার দিয়েছেন তাদের স্ত্রীদের ওপরে”।
গ্রাম-গঞ্জের কোটি কোটি অশিক্ষিত মুসলিম পুরুষ আর কিছু না বুঝুক, আল্লার দেয়া এই ‘‘বিশেষ অধিকার’’ ঠিকই বুঝেছে, আর তার ঠ্যালায় মেয়েদের যে কি অপমান আর নৃশংস অত্যাচার সইতে হয়েছে শতাব্দী ধরে, তা ঠিকমত উপলব্ধি করলে অশ্রু সামলানো যায় না।
এ ঘটনাটা ঘটেছিল হিন্দু ধর্মের বইতেও। হিন্দুরা তো তাদের মহাপুরুষদের অক্লান্ত চেষ্টায় সে নরক থেকে বেরিয়ে এসেছে, শুধু আমরা মুসলমানরাই এখনো চোখে সর্ষে ফুল দেখে দেখে ভির্মি আর খাবি খেয়ে চলেছি এ অন্ধকুপের ভেতর। মেয়েদের আর্তনাদ শুনছি আর সাম্যের বক্তৃতা শুনছি। অবশ্যই, অবশ্যই!
সে কথাগুলো হল: পুরুষ নারীর ওপরে কর্তা, উত্তরাধিকারে পুরুষ নারীর দ্বিগুন পাবে, আর্থিক লেনদেনে নারীর সাক্ষ্য পুরুষের অর্ধেক, ইত্যাদি ইত্যাদি।
নারীরা হল ভূমি এবং ক্রীতদাসী সদৃশ্য—এও কি বলে দিতে হবে?দেখুন কোরান শরীফ
সুরা বাকারা, আয়াত ২২৩ (২:২২৩):
তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শষ্যক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর।
এ কথার মানে কি? ‘শষ্যক্ষেত্র’ কথাটার মানেই হল, মেয়েদের বিছানায় টেনে নিয়ে যাও, আর ‘চাষ কর’, ‘শষ্য’, অর্থাৎ বাচ্চা পয়দা করার জন্য। ছিঃ! কোন ধর্মগ্রন্থ যে নারীদের নিয়ে এমন অবমাননাকর শব্দ উচ্চারণ করতে পারে তা কল্পনা-ই করা যায় না। আর ‘ব্যবহার কর’ কথাটার মানেই বা কি? মেয়েরা কাপড়, না জুতো যে ব্যবহার করতে হবে? এর পরেও কোরানে পুরুষের জন্য মেয়েদের ‘উপভোগ কর’, ‘সম্ভোগ কর’ এ ধরণের কামুক কথা বার্তা প্রচুর আছে। আর বেহেশতের তো কথাই নেই।
সুরা আল-ওয়াক্বিয়াতে (সূরা ৫৬: ৩৫-৩৭) মেয়েদের নানারকম উত্তেজক বর্ণনার পর বলা হল:
আমি জান্নাতী রমণীগণকে বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর তাদেরকে করেছি চিরকুমারী, কামিণী, সমবয়স্কা।
এদিকে বেচারা অনুবাদকের হয়ে গেল মহা মুশকিল। রমণীর সাথে রমণের লোভটাই সবচেয়ে আকর্ষনীয়, কিন্তু একবার রমণ হয়ে গেলে রমণীর পক্ষে চির কুমারী থাকাটাও অসম্ভব। কি করা যায়! অনেক ভেবে চিন্তে মাথা চুলকে তিনি ব্যাখ্যার অংশে লিখলেন: জান্নাতের নারীদের এমনভাবে সৃষ্টি করা হবে যে, প্রত্যেক সঙ্গম-সহবাসের পর তারা আবার কুমারী হয়ে যাবে (পৃ-১৩২৭, কোরাণের বাংলা অনুবাদ মওলানা মুহিউদ্দীইন খান)।শুধু তাই নয় ঐ একই পৃষ্ঠায় লিখা হয়েছে: এছাড়া শয্যা, বিছানা ইত্যাদি ভোগবিলাসের বস্তু উল্লেখ করায় নারীও তার অন্তর্ভুক্ত আছে বলা যায়। অর্থাৎ নারী শুধু শয্যা ও লাঙ্গল করার ভূমি মাত্র।
শাব্বাশ!
এইসব কথা বলার পরে প্রচুর মিষ্টি মিষ্টি কথা কিংবা ‘আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্থা কর এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক’’’ এসব বলে কোনই লাভ হয় নি, মুসলমান মেয়েরা চিরকাল পিষে গেছে পুরুষের পায়ের নীচে।
এগুলোই হল প্রথম পাঠ। এবার আসা যাক দীর্ঘ আলোচনায়।
চলবে (২য় পর্বে)।
সূত্র- Click this link
বিষয়: বিবিধ
৩১৪৮ বার পঠিত, ২৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যদিও ইসলাম ছাড়া অন্যান্য কোন ধর্ম সম্পর্কে কিছু বলেননি। ভারতে দিনেদুপুরে যেসব গনধর্ষন হয় তা কোন ধর্মের শিক্ষা সে ব্যাপারেও কিছু বলেননি।
প্রথমত ছবি দুটি দিয়ে কি বুঝালেন?
আপনার মা কিংবা বোনের সাথে একাধিক লোক রাস্তাঘাটে পরকীয়া, টিপাটিপি কিংবা আরো কিছু করতে পারবে সমস্যা নাই, আর ছেলে-মেয়ে এবং উভয় পক্ষের গার্জেনের সম্মতিতে যদি কোন পুরুষ লোক একটু কম বয়সের মেয়ে বিয়ে করে সেটা অন্যায়? এটা?
আর একটা কথা, ইসলামের কোন বিষয় অস্পষ্ট নয়। মানুষকে আল্লাহ ভালবাসেন তাই সবকিছু সহজে বলে দিয়েছেন। আপনি বলেছেন কোন নারী কেন নবী হননি? শুনুন, নবুয়ত ছিল একটি কঠিন দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বহু পুরুষ নবীকেও অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে।
আর শষ্যক্ষেতের কথা বলছেন?
এটা একটা উৎসাহ মূলক কথা। অবাধ জেনা ব্যভিচার থেকে মুক্ত থেকে স্বীয় স্ত্রীতে আসক্ত হওয়ার জন্য আল্লাহর আদেশ এবং সেসঙ্গে সুসন্তানের জন্য চেষ্টা করার ইঙ্গিত।
জমিতে ভাল ফসল লাভের অশায় কৃষক যেমন জমিকে সুন্দর করে প্রস্তুত করে, প্রানন্তকর চেষ্টা করে এবং যত্ন করে ঠিত তেমনি সুসন্তানের জন্য শষ্যক্ষেতের মতই স্বীয় স্ত্রীর প্রতি যত্নবান হওয়ার জন্যই এটা আল্লাহর নির্দেশ।
ধন্যবাদ
ফারাবী এবং আসিফ সহ আপনারা হলেন সমাজের বিখ্যাত ছাগু সমাজ
।
তাও তোমার আর কুযুক্তি খন্ডন করি। এরপর, গীতা শ্লোক পড়াবো।
নবীদের পুরুষ পাঠানোর কারণ কি? এতো ফুছুর ফুছুরের দরকার কি? আল্লাহ্ তো বলেই দিয়েছে নারীকে শারীরিক ভাবে কম শক্তি দিয়ে তৈরি করেছেন।( সূরা নিসা) নবীদের জীবনী যদি পড়ে থাকো, তাহলে দেখবা, ইব্রাহীম আঃ কে আগুনের নিক্ষেপ করে হত্যা, ঈসা আঃ ক্রুশ বিদ্ধ করা, ইউনুছ আঃ কে মাছের পেটে তিনদিন, ইত্যাদি কষ্ট করতে হতে পারতো যার কারণে নারী নবীর প্রতি সম্ভব ছিলো না। যদি কোনো নারী নবী আসতো তাইলে বলতা, আল্লাহ্ নারীদের নবী বানায়া কষ্ট দিছেন। আল্লাহ্ খারাপ।
তোমার গালে যদি থাপ্পড় না মারি তাহলে বিরাট অন্যায় হবে। ফেরাউনের স্ত্রীর নাম আয়শা?
এই দেখো নিজের কথাতেই নিজে ধরা খাইছিস। মেরী আর ফেরাউনের বৌ হইল আল্লাহ্ প্রিয় বান্দি। এনারা মানসিক ভাবে জিহাদ করেছে। আগেই বলেছিলাম, তাদের নবী না বানালেও তারা অনেক মর্যাদাবান। মাতা মেরী এবং ফারাও এর স্ত্রী ( মুসা আঃ) এর মা। ঈসা আঃ আর মুসা আঃ এর মা। অর্থাৎ দুজন নবীর মা। তাদের থেকে যদি সাধারন নারীদের মর্যাদা দেওয়া হয়ই তাইলে তারা আর স্পেশাল কিভাবে হবে? তারা আমাদের কাছে স্পেশাল। আর মেরী অর্থাৎ মারিয়াম আর যেইটাকে বললে, আয়শা তার নাম আসিয়া। তাই সাভধান। গর্ধবের বাচ্চা।
Sahih Muslim - Hadith No: 5966
Book : 31
Subject : Pertaining To The Merits Of The Companions (Allah Be Pleased With Them) Of The Holy Prophet (May Peace Be Upon Him)
Abu Musa reported Allali's Messenger (may peace be upon him) as saying: There are many persons amongst men who are quite perfect but there are not perfect amongst women except Mary, daughter of 'Imran, Asiya wife of Pharaoh, and the excellence of 'A'isha as compared to women is that of Tharid over all other foods.
সুত্র : Click this link
Sahih Muslim - Book 44, Hadith 102
Abu Musa reported Allah's Messenger as saying:
There are many persons amongst men who are quite perfect but there are none perfect amongst women except Mary, daughter of 'Imran, Asiya wife of Pharaoh, and the excellence of 'A'isha as compared to women is that of Tharid over all other foods.
Other references
In-book reference
Book 44, Hadith 102
Reference
Sahih Muslim 2431
USC-MSA web (English) reference
Book 31, Hadith 5966
Related Quran verses
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ الْمُثَنَّى وَابْنُ بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، جَمِيعًا عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" كَمَلَ مِنَ الرِّجَالِ كَثِيرٌ وَلَمْ يَكْمُلْ مِنَ النِّسَاءِ غَيْرُ مَرْيَمَ بِنْتِ عِمْرَانَ وَآسِيَةَ امْرَأَةِ فِرْعَوْنَ وَإِنَّ فَضْلَ عَائِشَةَ عَلَى النِّسَاءِ كَفَضْلِ الثَّرِيدِ عَلَى سَائِرِ الطَّعَامِ "
সূত্র : Click this link
যদিও ইসলাম ছাড়া অন্যান্য কোন ধর্ম সম্পর্কে কিছু বলেননি। ভারতে দিনেদুপুরে যেসব গনধর্ষন হয় তা কোন ধর্মের শিক্ষা সে ব্যাপারেও কিছু বলেননি।
প্রথমত ছবি দুটি দিয়ে কি বুঝালেন?
আপনার মা কিংবা বোনের সাথে একাধিক লোক রাস্তাঘাটে পরকীয়া, টিপাটিপি কিংবা আরো কিছু করতে পারবে সমস্যা নাই, আর ছেলে-মেয়ে এবং উভয় পক্ষের গার্জেনের সম্মতিতে যদি কোন পুরুষ লোক একটু কম বয়সের মেয়ে বিয়ে করে সেটা অন্যায়? এটা?
আর একটা কথা, ইসলামের কোন বিষয় অস্পষ্ট নয়। মানুষকে আল্লাহ ভালবাসেন তাই সবকিছু সহজে বলে দিয়েছেন। আপনি বলেছেন কোন নারী কেন নবী হননি? শুনুন, নবুয়ত ছিল একটি কঠিন দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বহু পুরুষ নবীকেও অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে।
আর শষ্যক্ষেতের কথা বলছেন?
এটা একটা উৎসাহ মূলক কথা। অবাধ জেনা ব্যভিচার থেকে মুক্ত থেকে স্বীয় স্ত্রীতে আসক্ত হওয়ার জন্য আল্লাহর আদেশ এবং সেসঙ্গে সুসন্তানের জন্য চেষ্টা করার ইঙ্গিত।
জমিতে ভাল ফসল লাভের অশায় কৃষক যেমন জমিকে সুন্দর করে প্রস্তুত করে, প্রানন্তকর চেষ্টা করে এবং যত্ন করে ঠিত তেমনি সুসন্তানের জন্য শষ্যক্ষেতের মতই স্বীয় স্ত্রীর প্রতি যত্নবান হওয়ার জন্যই এটা আল্লাহর নির্দেশ।
ধন্যবাদ
এখানে আমি নিজ থেকে কিছু বলিনি। কোরাণ-হাদীসে যা লেখা আছে তাই তুলে ধরিছি মাত্র। এখন ঠেলা সামলান।
সাহাবী আবু বাক্রা বলছেন, নবী (দঃ) বলেছেন যে, যে জাতি নারীর ওপরে নেতৃত্ব দেবে, সে জাতি কখনো সফলকাম হবে না।
..................
যদি হাদীসটি জাল হাদীস নাও হয় তবুও এখানে কি ক্রুটি উক্ত হাদীসের আলোকে তা উল্লেখ্য হয়নি। এটা একটা আম কথা। রাসুল সাঃ নিজের প্রিয় স্ত্রী আয়েশা কিংবা নিজের প্রাণপ্রিয় কন্যা ফাতেমাকেও এর মধ্যে ধরেছেন।
এই হাদীসের প্রকৃত মর্ম অনুধাবন করা সত্যিই জটিল।
তবে নবুয়তীর বেলায় পুরুষের তুলনায় নারীদের কিছু দূর্বলতা রয়েছে এটা সত্য।
একজন নবী মানে একজন নেতা। সমাজেও নেতা মসজিদেও নেতা। একজন নারীকে মাসের একটা সময় অপবিত্র থাকতে হয়। সেসময় তার জন্য মসজিদে প্রবেশও নিষিদ্ধ। সুতরাং একজন নারী নবী হলে এসময়টাতে কিভাবে নেতৃত্ব দিবে?
এই বেয়াক্কেল । কোন ক্লাসে পড় ? ইংরেজি জানো ? এইখানে কি লেখা? দেখছ এই টা?
Asiya wife of Pharaoh, নোট; asiya এইটা কি হবে আয়শা নাকি আসিয়া? মালু কোথাকার। । পারি নাই।
ব্রাহ্মণে নারীকে তুলনা করা হয়েছে এভাবে
,
“বজ্র
বা লাঠি দিয়ে নারীকে দুর্বল করা উচিৎ,
যাতে নিজের দেহ বা সম্পত্তির উপর
কোনো অধিকার না থাকতে পারে
” (৪/৪/২/১৩)
“সে ব্যক্তিই ভাগ্যবান, যার
পশুসংখ্যা স্ত্রীর সংখ্যার চেয়ে বেশি
” (২/৩/২/৮)।
“স্ত্রী স্বামীর
সম্ভোগকামনা চরিতার্থ করতে অসম্মত
হলে প্রথমে উপহার দিয়ে স্বামী তাকে
‘কেনবার’ চেষ্টা করবে, তাতেও অসম্মত
হলে হাত
দিয়ে বা লাঠি দিয়ে মেরে তাকে নিজের
বশে আনবে” (৬/৪/৭, ১/৯/২/১৪)।;
"" “
" বৃহদারণ্যক উপনিষদে দেখা যায়,
খ্যাতনামা ঋষি যাজ্ঞবল্ক্য এবং অন্যান্য
ঋষিদের সাথে এক সভায় ঋষি বাচাক্লুর
কন্যা গার্গী ব্রহ্মজ্ঞান নিয়ে তর্কে লিপ্ত
হয়ে নানা প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন। একসময়
যাজ্ঞবল্ক্য ক্রুদ্ধ হয়ে বলে উঠেন, “হে গার্গী
, আর বেশি প্রশ্ন করো না, তাহলে তোমার
মাথা খসে পড়ে যাবে!” (৩/৬/১);
যাজ্ঞবল্ক্যের
বক্তব্যে গার্গী থেমে গেলেন
পরবর্তীতে স্বীকার করলেন, ব্রহ্মবিদ্যায়
যাজ্ঞবল্ক্যকে কেউ পরাজিত
করতে পারবে না (৩/৮/১-১১)। আবার
যে নারীরা বেদের-উপনিষদের শ্লোক-মন্ত্র
রচনা করেছেন, সেই নারীদের উত্তরসূরীদের
জন্য মনু বেদসহ অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ পাঠের
অধিকার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছেন।
তিনি বলেন, “নারীরা ধর্মজ্ঞ নয়,
এরা মন্ত্রহীন এবং মিথ্যার ন্যায় (অশুভ)এই
শাস্ত্রীয় নিয়ম” (মনুসংহিতা, ৯/১৮)। """
"" স্ত্রীণাং সংস্কারো বৈদিকঃ স্মৃতঃ/
পতিসেবা গুরৌ বাসো গৃহার্থোহগ্নিপরিক্রিয়া
॥” (২:৬৭), অর্থাৎস্ত্রীলোকদের
বিবাহবিধি বৈদিক সংস্কার বলে কথিত,
পতিসেবা গুরুগৃহেবাস এবং গৃহকর্ম তাদের
(হোমরূপ) অগ্নিপরিচর্যা; আবারও
বলে দেয়া হয়েছে নারীর কর্তব্যগৃহকর্ম
এবং সন্তান উৎপাদন (৯:২৬)। সন্তান জন্ম
দেওয়ার জন্যই নারী এবং সন্তান
উৎপাদনার্থে পুরুষ সৃষ্টি হয়েছে (৯:৯৬)।""
!""" স্বামী মারা গেলে স্ত্রীদের
কি করতে হবে“কামন্তু
ক্ষপয়েদ্দেহং পুস্পমূলফলৈঃ শুভৈঃ/ন তু
নামাপি গৃহ্নীয়াৎ পত্যৌ প্রেতে পরস্য
তু॥” (৫:১৫৭), সহজ ভাষায় বাংলা করলে হয়,
স্ত্রী সারা জীবন ফলমূল খেয়ে দেহ ক্ষয়
করবেন, কিন্তু অন্য পুরুষের নামোচ্চারণ করবেন
না। কিন্তু
স্ত্রী মারা গেলে স্বামী কি করবেন,
“ভার্যায়ৈ পূর্বমারিণ্যৈ দত্ত্বাগ্নীনন্ত্যকর্মণি/
পুনর্দারক্রিয়াং কুর্যাৎ পুনরাধানমেব
চ॥” (৫:১৬৮), এই শ্লোকেরও বাংলা শুনুন, দাহ ও
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষ করে স্বামী আবার
বিয়ে এবং অগ্ন্যাধ্যান করবেন। সত্যি!
নারী-পুরুষের মধ্যে কী চমৎকার সমতা!! '"
আপাতত এইগুলা শুনুন। আরো অসংখ্য আছে। এগুলো পারলে আমার মতো খন্ডন করুন।
ইসলামী পন্ডিতরা যা বলে গেছেন
সেটা বাদ দিয়ে আপনার মত মুমিন রামছাগুর
কথা বিশ্বাস করতে হবে!!!
হ্যাঁ। এটাই হচ্ছে ইসলামে। ইসলামে জেনা করার অনুমতি নাই। তোরা এর জন্য জ্বলে পুড়ে মর। হাজার বার মর। তবুও ইসলামে জেনা করার অনুমতি নাই।
নবী মোহাম্মদ নিজই মু্তাবিয়ে(পতিতাবৃত্তি) চালু করেছেন।
সহিহ্ মুসলিম, বই ৮ হাদিস ২৩৪৯:
জাবির বিন আবদুল্লাহ বর্ণনা করেছেন:
আমরা চুক্তি করে (মুতা) বিয়ে করতাম কয়েক মুঠো আটার বিনিময়ে। ঐ সময় আল্লাহ্র রসুল আমাদের মাঝে জীবিত ছিলেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন