কথার ফুলঝুড়ি- ইসলামের আলোকে পলিগামি স্বামীর প্রাইভেসী??

লিখেছেন লিখেছেন খেলাঘর বাধঁতে এসেছি ০২ জুন, ২০১৪, ০৯:২৮:৫৩ রাত

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গোপনীয়তা বা প্রাইভেসীর সীমা কতটুকু হবে তা নিয়ে তা নিয়ে টুডে ব্লগের ইসলামপন্থরা একটু বেশি বাচলামি পছন্দ করেন। তারা এখন স্বামী-স্ত্রীর পাশ-ওর্য়াড চালাচালির বিষয়টি নিয়ে হয়রান!! কথায় বলে খালি কলশী বেশি ঠনঠন করে।

এই সভ্য যুগে- ইসলাম এমনই এক ধর্ম যেখানে স্ত্রীদের উপর স্বামীর পলিগামিনেস বৈধ।আমাদের নবী/সাহাবী'দের সবাই ছিলেন বহুগামী স্বামী। শুধু এখানে থেমে গেল হত, কিন্তু না- ৬০ বছরের প্রোঢ়ের সাথে ৭ বছরের নাবালিকার বিয়ে(!?) বৈধ এবং নবীর সুন্নত। মৌখোক তালাক, স্ত্রী প্রহার, হিল্লা বিয়ে, মুতা বিয়ে............... সবই ইসলামের স্বর্গিয় বানী।

অথচ ব্লগ লেখার সময় ইসলামপন্থীরা অনেক চটকদার কথা বলেন। তারই কিনচিৎ নমুনা দেখুন ব্লগে ঝুলে থাকা এক স্টিকি পোস্টে ;

"স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্ক একটি বিশেষ (Unique) সম্পর্ক। স্বামী-স্ত্রী শুধুমাত্র একে অন্যের সঙ্গীই নয় বরং তারা সর্বোত্তম বন্ধু, সর্বোত্তম সাথী, সর্বোত্তম সহযোগী। তারা একে অন্যের আনন্দ-বেদনা, সুখ-দুঃখ, সাফল্য-ব্যর্থতা ভাগাভাগি করে নেয়। তারা সুস্থ-অসুস্থ সর্বাবস্থায় একে অন্যকে সঙ্গ দেয়। ঘুমাতে যাবার পূর্বে সর্বশেষ যে মানুষটিকে আমরা দেখি তা হলো আমাদের স্বামী বা স্ত্রী। আবার ঘুম থেকে জেগে সর্বপ্রথম আমরা যাকে দেখি সে হচ্ছে আমাদের স্বামী বা স্ত্রী।"

স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠে : ঘুমোতে যাওয়ার আগে বহুগামি স্বামী কোন চাঁদ বদনী স্ত্রীর চেহাড়াটি দেখেন? কোন চাঁদবদনীর মুখ দেখে বহুগামি স্বামীর ঘূম ভাংগে? সবার আগে এ বিষয়গুলো পরিস্কার হওয়া দরকার।

বিষয়: বিবিধ

১৪৪২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

229786
০২ জুন ২০১৪ রাত ১১:১৭
শুভ্র আহমেদ লিখেছেন : হেহে। বহুত আচ্ছে। পরিসং্খ্যান বলে, মুসলমানদের চেয়ে অমুসলমানেরাই বেশী বহু গামী। তাই প্রলাপ বকিবেন না। কেউ জ্বোর করে চার দিয়ে করে না। কোনো মেয়ে বিয়ে করলে সেটা তার ইচ্ছা। কোনো মেয়ে যদি এমন কাউকে বিয়ে করে যার স্ত্রী আছে, তাহলে আমাদের বাধা দেওয়া স্বাধীনতা নয়।
০২ জুন ২০১৪ রাত ১১:৩৯
176486
খেলাঘর বাধঁতে এসেছি লিখেছেন : মুসলিম পুরুষরাকি বেশ্যা পাড়ায় যায় না? মুতা বিয়ের নিয়ম কোন ধর্মের নবী দিয়ে গেছেন?

নেদারল্যান্সে হালাল বেশ্যালয় : Click this link

সবচেয়ে ভয়ংকর বিষটি হছ্ছে ; একমাত্র বর্বর ইসলাম ধর্মেই পুরুষের বহুগামিতা বৈধ।কিছু বর্বর ইসলামী দেশ ছাড়া অন্য কোন দেশে বর্বর বহুগামী যৌনতা আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে
229886
০৩ জুন ২০১৪ সকাল ১১:১১
ইয়াফি লিখেছেন : পুরুষলোক প্রকৃতিগতভাবে বহুগামী। এজন্য বহুগামী স্বামী হওয়া যেতে পারে। কিন্তু বহুগামী বন্ধু বা প্রেমিক কক্ষণো নয়।
230063
০৩ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৯
শুভ্র আহমেদ লিখেছেন :
ইসলামের প্রাথমিক অবস্থায় অনেক
পুরুষ ইসলাম গ্রহণ করে।আর এদের
নিয়ে ইসলামি সমাজ গডে ওঠে।
বিয়ে যেহেতু সমাজেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ
তাই নতুন মুসলিমদের মাঝে বিয়ের প্রয়োজন
দেখা দেয়।কিন্তু এসময় ইসলামের
নারী স্বল্পতার সমস্যা দেখা দেয়। ইসলাম
যেহেতু কম্প্লেট কোড অফ লাইফ তাই ইসলাম
এসমস্যার সাময়িক সমাধান হিসেব
মুতা বিয়ের অনুমতি দেয়া হয়। হাদিস: ৪৭৪৩
মুহাম্মাদ ইবনুূু বাশ্শার (রহঃ) আবূ জামরা (রাঃ)
থেকে বর্ণিত যে, আমি মহিলাদের মুতা’আ
বিবাহ সম্পর্কে ইবনুূু আববাস (রাঃ)-কে প্রশ্ন
করতে শুনেছি, তখন তিনি তার অনুমতি দেন।
তাঁর আযাদকৃত গোলাম তাঁকে বললেন, যে এরূপ
হুকুম অপরিহার্য প্রয়োজনীয়তা, মহিলাদের
স্বল্পতা ইত্যাদির কারণেই ছিল? তখন ইবনুূু
আববাস (রাঃ) বললেন, হাঁ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
একি কারণে যুদ্ধক্ষেত্রেও এবিয়ের
অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ইসলামের
অনুসারি বৃদ্ধি পেলে সমস্যার সমাধান
হয়ে যায়,ফলে মুতা বিয়েও রহিত হয়ে যায়।
হাদিস:
৪৭৪৪ আলী (রহঃ) জাবির ইবনুূু আবদুল্লাহ
এবং সালামা আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত
যে, আমরা কোন এক
সেনাবাহিনীতে ছিলাম। তখন রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর
প্রেরিত এক ব্যাক্তি আমাদের নিকট
এসে বললেন, তোমাদেরকে মুতা’আ বিবাহের
অনুমতি দেয়া হয়েছে।
সুতরাং তোমরা মুতা’আ করতে পার। ইবনুূু আবূ
যিব বলেন, আয়াস ইবনুূু সালামা ইবনুূু
আকওয়া তার
পিতা সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন,
যে কোন পুরুষ এবং মহিলা উভয়ে (মুতা’আ
করতে) একমত হলে তাদের পরস্পরের এই সম্পর্ক
তিন রাতের জন্য গণ্য হবে। এরপর
তারা ইচ্ছা করলে এর চেয়ে বেশি সময়
স্থায়ী করতে পারে অথবা বিচ্ছিন্ন
হতে চাইলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
(বর্ণনাকারী বলেন) আমরা জানিনা এ
ব্যবস্থা শুধু আমাদের জন্য নির্দিষ্ট ছিল,
না সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিল। আবূ আবদুল্লাহ (ইমাম
বুখারী) বলেন, আলী (রাঃ)
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
থেকে এটা পরিস্কার করে বলে দিয়েছেন,
মুতা’আ বিবাহ প্রথা রহিত হয়ে গেছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস: ৪৭৪২ মালিক ইবনুূু ইসমাঈল (রহঃ)
হাসান ইবনুূু মুহাম্মাদ ইবনুূু আলী ও তাঁর ভাই
আবদুল্লাহ তাঁদের পিতা থেকে বর্ণনা করেন
যে, আলী (রাঃ) ইবনুূু আববাস বলেছেন,
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
খায়বর যুদ্ধে মুতা’আ বিবাহ এবং গৃহপালিত
গাধার গোশত খাওয়া নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
তো উপরের হাদিস
থেকে এটা সন্দহাতীতভাবে প্রমাণিত
বর্তমানে মুতা বিয়ে ইসলামে জায়েয নাই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File