সভ্যতার বিপরীতে ধর্মের জঙ্গিবাদী উন্মাদনা কখনো বিজয়ী হয় নি, হয় না
লিখেছেন লিখেছেন খেলাঘর বাধঁতে এসেছি ০৬ এপ্রিল, ২০১৪, ০১:৪৭:৩১ দুপুর
ধর্মীয় জঙ্গিবাদের আত্মসর্মপণ ২০১৩ ঠিক ১৯৭১ এর মতই।
তথাকথিত হেফাজতি শাহাদাৎ বাহিনীর কান ধরে তওবা করার ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
বিষয়: বিবিধ
১৬০৮ বার পঠিত, ৩৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আশা করি আপনিও একদিন আসবেন চির সত্যের পথে। সেটা আজ হোক বা কাল হোক বা অন্য কোন দিন......
চিন্তাশীল যৌক্তিক মানুষের কাছে এর জ্বলন্ত প্রমান ও কালের স্বাক্ষী আফগানিস্থান।
বৃটিশ, সোভেয়েত ও আজকের আমেরিকা কিংবা ন্যাটো গত কয়েক শতাব্দীতে কখনো উন্মাদীয় তাড়নায়, কখনো সাক্ষাত সন্ত্রাসী হয়ে টেরর এর আশ্রয় নিয়ে আর কখনো সিম্পলী ডাকাতের বেশে জংগী কায়দায় আফগানিস্থানের সভ্যতার বিপরীতে দাঁড়িয়েছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় আফগান সভ্যতা যে মান ও মর্যাদার উপর প্রতিষ্ঠিত - ঠিক সে মান ও মর্যাদা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর উন্মাদ বৃটিশরা নেড়ী কুত্তার ন্যায় লেজ ডুকেয়ে আছে, সোভেয়েতরা এক্সপ্লোড হয়ে ইতিহাস হয়ে গিয়েছে। আর আজকের আমেরিকা ও ন্যাটো কান্নাকাটি করছে, এ্যাপিল করে যাচ্ছে খারজাই নামক এক এজেন্ট এর কাছে 'কোন একটা উছিলায়' গর্দানটি নিয়ে আফগান সভ্যতার হ্যান্ডশেক হতে নিজেকে মুক্ত করার জন্য।
যুক্তিসম্পন্ন মানুষ জানে - ইসলাম এমন একটি সভ্যতা - যেখানে মোংগলীয় জংগীপনা ও নিঃশৃংসতা এসে মুখ থুবড়ে পড়ে, ক্রুসেডিয় জংগীবাদ ইতিহাসের জগন্যতম কলংকই শুধু হয়নি ভ্যাটিকানকে নগ্ন ও দিঘম্বর করে দিয়েছে আর অধুনা ডিজিটাল জংগীপনা ট্রিলিয়নস অব ডলার শুধু নালা নর্দমায় গড়িয়ে দিচ্ছেনা - বরং ইসলামী সভ্যতাকে এক্সপোজ করছে, যত জোরে জংগীরা ইসলামে ঘর্ষন করছে ইসলাম ঠিক ততটা চকচক করে ফুটে উঠছে। অন্ধ ও ধার করা মানুষ বাদে ইন্টেলেজেন্ট কমিউনিটি তাদের রিপোর্টে তাই বলছে।
সুতরাং আমরা ধাক্কা ত্বত্তের জনক মখা কিংবা হিজড়া তুল্য নামুনাহি আশরাফ কিংবা দূর্গা প্রেমী হাসিনার জংগীপনার কাছেও সভ্যতা টিকে থাকার চিহ্ন ই দেখতে পাচ্ছি ছবি গুলো তে।
ঠিক যেমন এরশাদ শিকদার, জয়নাল হাজারী, শামীম ওসমানরা বললে হাজার হাজার গণমানুষ অমন করে হাত তুলে থাকবে, কানে ধরবে এবং আরো অনেক কিছুই করবে। ডাকাত কিংবা খুনীর অস্ত্রের সামনে মানুষ এমনটাই করবে এটাই ইসলামের সভ্যতার শিক্ষা। কুকুর কামড়ালে কুকুর কে কামড়াতে হবেনা - বরং কুকুরকে আয়ত্বে এনে ঘর পাহারাতে লাগানো হবে।
তো? ইরাক, আফগানিস্তানে আকাশ থেকে নেমে আসা ফেরেস্তা বাহিনীকে আমেরিকানরা বোমা মেরে ঝাঝড়া করে তবেই ক্ষ্যান্ত হয়েছে। এখন ওদের সভ্য করার জন্য নূরি, কারাজাই যথেষ্ট। সারা জনম আমেরিকা, নেটো এখন ওখানে বসেবসে কি করবে? ওদের সাথে মেষ চড়াবে @ সাদাচোখ?? ধন্যবাদ।
আপনার উপরের 'কমেন্টাংশটুকু' পড়ে বুঝলাম শেখ হাসিনাই শুধু পাবলিকলী 'ডাহা মিথ্যা' বলেনা - স্যেকুলার সাজনে ওয়ালারাও বলে।
২০১২ সাল হতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, আন্ডারসেক্রেটারী হতে শুরু করে সিএনএন, আল জাজিরা সহ শত নিউজ, এ্যানালাইসিস আছে - যেখানে আমেরিকা খারজাইকে কখনো সুবিধা দিয়ে, কখনো বুঝিয়ে শুনিয়ে, কখনো ধমকিয়ে আবার কখনো হুমকি দিয়েছে আবার কখনো ট্রাপে ফেলেছে - শুধু এই অংগীকার পাবার জন্য - যাতে করে আমেরিকা তার সৈন্যদের আফগানিস্থানে নিরাপদে রাখতে পারে। আর আপনি বললেন,
'সারা জনম আমেরিকা, নেটো এখন ওখানে বসেবসে কি করবে? ওদের সাথে মেষ চড়াবে?'
চোখ কান খুলে পড়ুন, দেখুন ও শুনুন এবং উটপাখির ন্যায় মাথা গুজে থাকবেন না। হয়তো বন্ধ দরজা খুলে গেলে - মুক্ত বাতাসের স্বাদ পেলেও পেতে পারেন। পাখির ন্যায় মুক্ত ও স্বাধীন ও মনে হবে।
বানের জলে খড়কুটো আকড়ে ধরা একজন সাধারন মানুষ মরলে - শেখ হাসিনার ম্যাথ্যামেটিক্স এ - ২০,০০০ হতে ২,০০,০০০ টাকা মূল্যমানে মূল্যায়িত হতে পারে।
আর একটা গুলি কিংবা বোমা কিংবা বজ্রপাত কিংবা এ্যাক্সিডেন্ট তারেক মাসুদ কিংবা তসলিমা কিংবা আপনার আমার মত - যারা বানের জলে ভাসা নয় - তাদের বিনিময় মূল্য সেকুলার দৃষ্টিকোন হতে কত?
তার উপর খুনী সে যত যোগ্যতা সম্পন্নই হোক, যত প্রতিপত্তিশালীই হোক - সে সিম্পলী একজন খুনী - আফগান যুদ্ধে ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকা সিম্পলী একটা কোল্ড হেডেড খুনী বই অন্য কিছুই নয়।
আর বানের জলে ভেসে যাওয়া আফগান কিংবা ভিয়েতনামীজ মানুষ ও যোদ্ধারা সব সময়ের জন্য সব মনস্ক মানুষের (বিকৃত মস্তিস্কের) কাছে সম্ভ্রম পাবে, সন্মান পাবে এবং পাবার অধিকার ও রাখে।
একদম ঠিক কথা। সেই একই দোষে দোষি নবী মোহাম্মদ থেকে শুরু করে ওমর, আলী, স্পেন দখলের মুসলিম দস্যু এবং তুর্কি অটোমান। ধন্যবাদ।
"আর বানের জলে ভেসে যাওয়া আফগান কিংবা ভিয়েতনামীজ মানুষ ও যোদ্ধারা সব সময়ের জন্য সব মনস্ক মানুষের (বিকৃত মস্তিস্কের) কাছে সম্ভ্রম পাবে, সন্মান পাবে এবং পাবার অধিকার ও রাখে।"
এই তো, আবারও ভুল বল্লেন!! ভিয়েৎনামের সাথে আফগান কখনো যায় না। ভিয়েৎনাম একটি প্রযুক্তি বিজ্ঞান সম্মৃদ্ধ আধুনিক, অনুআন্ধানী, সভ্যভব্য, সামনে এগিয়ে চলা অঞ্চলের নাম। অন্য দিকে সভ্যতার আলো বঞ্চিত বিজ্ঞানহীন কোরানের অন্ধকারে ডুবে থাকা অঞ্চলের নাম আফগান। ধন্যবাদ
আপনি নিজে মোহাম্মদ সঃ ও তার সহচরদেরকে রাঃ বরাবর বলতে চাইছেন - তারা ব্যাকওয়ার্ড, মরুচারী, জ্ঞানবিজ্ঞান ও সভ্যতা বঞ্চিত ইত্যাদি। সেই ব্যাকওয়ার্ড মানুষেরা বাইজাইনটাইন, রোম (স্পেন), পারস্য সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে যায় কি করে? আপনার র্যাশানাল ফ্যাকাল্টি কি বলে ব্যাকওয়ার্ড বেয়ার ফুটেড মরুচারী অপেশাদার কেউ সভ্যতার ধারক ও বাহক রূপী সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে খুন করার জন্য খোলা তরবারী নিয়ে যাবে?
ঠিক একই ভাবে আফগানরা ১৪০০ বছর আগের ঐ নিয়মে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছে, সোভেয়েত এর বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছে আর এখন ন্যাটোর বিরুদ্ধে জয়ী হতে চলেছে এবং আগামীতে মার্চ করে যেয়ে জেরুজালেম জয় করবে ইনশাল্লাহ্।
আমি ভিয়েতনামের সাথে আফগান কে তুলনা করবো কেন? ভিয়েতনাম আপনার ভাষায় জ্ঞান বিজ্ঞান ইত্যাদি ব্যবহার করে সামান্য আমেরিকার বিরুদ্ধে জিতেছে। কিন্তু আফগান আপনার ভাষায় জ্ঞান বিজ্ঞান ইত্যাদি ছাড়া - সামান্য একটা কোরআন ব্যবহার করে তিন তিনটি পরাশক্তিকে হারিয়েছে এবং হারাতে যাচ্ছে। সো আফগানের সাথে ভিয়েতনামের কোন তুলনা আমি করছি না। সিম্পলী আপনার বুঝার জন্য একটা প্যারালাল দৃষ্টান্ত হিসাবে উপস্থাপন করে বুঝাতে চেয়েছি - শুধু অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধে জেতা যায়না। বরং ট্রু যুদ্ধের জয় পরাজয় নির্ধারিত হয় আকাশের উপর থেকে।
যার জন্য ৭১ এ পাকিস্থান জিতেনি। ৬০ বছর ফাইট করেও ইজরাইল জিতছেনা প্যালেস্টাইনের সাথে। আশা করি আপনি আপনার বক্স থেকে বের হয়ে খোলা মনে চিন্তাভাবনা করবেন।
দাড়ান, একটু হেসে নেই.....
আফগানরা জয়ের মুখ দেখল কবে? এখনো তো টোরাবোরা পাহাড়ের গর্তের অন্ধকারে কোরাণ আক্রে লুকিয়ে আছে। চেচেনিয়া থেকে শুরু করে উজবেক, কাজাখ, তাতার, আফগান সর্বত্র মুসলিম জেহাদীদের কোমর ভেংগে দিয়েছে। এবপরও বলবেন বিজয়ী! তবে হাঁ,জান্নাতের ৭২ হুরপরী বিজয় করেছে নিশ্চিত? সেক্যুলার ভিয়েৎনামিরা কিন্তু ঐ ধরনের গায়েবী বিজয়ে বিশ্বাসী না।
ইন্টেলিজেন্স বলছে - ন্যাটো ফোর্স সরলে মুজাহিদীন রা সরকার ফরম করা সময়ের ব্যাপার।
আমেরিকান সোলজারদের জন্য প্রয়োজনে 'প্লেইনলী ম্যাসাকার' করার সুযোগ রেখে জেনারেল এ্যামনেস্টির ব্যবস্থা না রাখলে আফগানিস্থানে একজন আমেরিকান সোলজার ও নিরাপদ নয়। সো ২০১৪ সালের মধ্যে হয় ফেরত নিতে হবে - নয়তো এ্যামনেস্টির ব্যবস্থা করতে হবে।
এই ফ্যাক্টস গুলো কি প্রমান করে তোরাবোরা র অবস্থান?
এই ফ্যাক্টস গুলো কি প্রমান করেনা ন্যাটো ভারসাস আফগান (আল কোরআন এর পক্ষ শক্তি) এর মধ্যে আফগান রা শক্তিশালী।
জান্নাত নিয়ে যা বললেন, 'আফগান রা অস্ত্র হাতে নিয়েছে ভীনদেশী খুনী, ডাকাতদের তাদের দেশ হতে বের করে দিতে। এ জন্য কেউ পৃথিবীর জীবন হতে বিদায় নিলে আখেরাতের জীবনে বেহেস্ত পাবে, জান্নাত পাবে।
আর আমেরিকান রা অন্যের দেশ দখল করতে এসে, ডাকাতি করতে এসে পৃথিবী ছাড়লে - ৮/১০ লক্ষ ডলার তার পরিবারের জন্য পায়।
ব্যবসা ভাল বুঝলে আফগান ওয়েতে আখেরাতের জান্নাত ভাল নয়কি?
আর এ্যবসুলুট পুলিশ হলে এ জীবনে ও কিছু না পাওয়া আর ও জীবনে ও কিছু না পাওয়া দল এ অর্ন্তভুক্ত হওয়া - নয়কি?
শেষ হাসির অপেক্ষায় থাকলাম।
ভাবতে অবাক লাগে! এত শক্তিশালি(!) আল্লা থাকা সত্বেও কোরাণ পুজারী তালেবানদের মহা বিজয়ের(!) গাথা আমেরিকান ইন্টিলিজেন্সের একপাতা কাগজে সীমাব্ধ। অথচ মোহাম্মদের আল্লার বিরুদ্ধবাদী অতি ক্ষুদ্ররাষ্ট্র ইসরাইল পরপর তিনটি সম্মুখ যুদ্ধে মুসলিম জাহান কে চিৎপাত করে আল্লার নাকের ডগায় বিজয় পতাকা পতপত করে উড়িয়ে দিয়েছে। এরপরও আপনাদের হুশ হয়না, জেরুজালেম উদ্ধার করার দিবা স্বপ্ন দেখতে ভালই লাগে।
আরো বেশি বেশি কোরাণ জপেন, আল্লার ফেরেস্তারা এসে আপনাদের উদ্ধার করবে @ সাদাচোখ।
কোরআন আমাদের কে বলছে - খাযারস তথা ইয়াজুজ ম্যাজুজ তথা জুদায়োখৃষ্টান ইলুমিনাটিস দ্বারা 'ইজরাইল' নামক দাব্বাতুল আরদ তথা ভূপৃষ্ঠের জানোয়ারের আবির্ভাব হবে - যারা পৃথিবীর শাসন ভার নিবে এবং ডজনখানেক বছর পৃথিবী শাসন করবে এবং যার লিডার হিসাবে একচোখা দজ্জাল মানুষ রূপে জনমানুষের সামনে উত্থিত হবে। ইজরাইল নামক এই জানোয়ারকে ইমাম মেহেদী আঃ এর সময় আফগানিস্থান হতে শুরু হওয়া কালো পতাকা ধারী মানুষরা মুক্ত করবে। যাদের সাথে ট্রু মুসলিমরা যোগ দেবে - জায়োনিস্ট ফ্রেন্ড মিডেল ইস্ট সরকাররা তো কালো পতাকাধারীর টার্গেট মাত্র। সো আপনি নিশ্চয়ই বুজতে পারছেন কোরান চাইছে বলেই ইজরাইল টিকে আছে। তথাকথিত মুসলিম নামধারী জিয়োনিস্ট বন্ধু শাসকদের যুদ্ধের কোন পজিটিভ ফলাফল ট্রু মুসলিমরা প্রত্যাশা করেনি করে না।
মূলতঃ সত্য হল এই যে - দজ্জালের প্রতারনায় প্রতারিত হয়ে ইসলামের পথ ছেড়ে দুনিয়ার পথে ধাবিত হয়ে মুসলিম নামধারীরা আজ গ্যাড়াকলে আটকে আজ অধোঃপতনের শেষ সীমায় এসে ঠেকেছে এবং স্বভাবতঃই তারা আজ সত্যিকার শিক্ষা, সভ্যতা, বিজ্ঞান, আবিস্কার ভুলে মেকি শিক্ষা, সভ্যতা ও বিজ্ঞানের পেছনে দৌড়ে এক একজন ব্রিটিশদের মত শ্রুড, লোভী, স্বেচ্চাচারী, খুনী ও বদমায়েশে পরিনত হয়েছে।
স্রষ্টা আপনার ইন্দ্রীয় শক্তি বাড়িয়ে দিক - যাতে আপনার বিবেক ও বুদ্ধির আড়ষটতা কেটে গিয়ে আপনি দিনের আলোর মত চারপাশে পরিষ্কার দেখতে পান, সত্যকে চিনতে পারেন।
আপনাদের অবস্থা হয়েছে সেই "লেজকাটা শিয়াল" এর মতই.......... @ সাদাচোখ
চাইনা অন্ধের মত - নীতি নৈতিকতা হীন স্রষ্টার সৃষ্ট পশ্চিমার ইলোমিনাটি চক্রের খপ্পরে থাকতে, চাইনা জুদায়ো-খৃষ্টান > ইভিল > প্রোপাগান্ডা মিডিয়ার দাস হয়ে কপি পেস্ট টাইপ দাস তুল্য জীবন কাটাতে।
আমার তো মনে হয় লেজকাটা শেয়াল হল - দল ছুট সেই শেয়াল - যার লেজ কেটে গেলে পর - অন্যদের লেজ কাটাবার ধান্ধায় প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে কাটালেজকে মহিমান্বিত করেছিল। ঠিক যেমন আজকের যুগের লেজ কাটাওয়ালারা গনতন্ত্র, স্যেকুলারিজম, ধর্ম বিদ্বেষ ইত্যাদির ধারক ও বাহক।
আমি আপনাকে আহ্বান জানাই কাট পেস্ট লাইফ হতে মুক্ত হোন - ফ্রী থিংকিং এর জগতে আসুন, পলিসিস সমূহ বিচার বিশ্লেষন করুন। এই যেমন আমার স্যেকুলার ধ্যান ধারনার যুগে আমি করেছিলামঃ প্রতিটি হার্ড হিটিং ইস্যুকে একটা রো তে লিখুন। তার পর তার সামনের কলামে স্যকুলার ওয়েতে তার সমাধান যা আছে তা লিখুন। তারপর ঐ সমাধানের পজিটিভ ও নেগেটিভ সমূহ লিখুন। তারপরের কলামে ধর্মীয় (যে কয়টিকে আপনার কাছে এ্যাপিলিং মনে হয়) সমাধান সমূহ লিখুন ও সেই সমাধানের পজিটিভ ও নেগেটিভ সমূহ লিখুন। উপসংহারে দেখুন সত্যকে পাবেন নিজের আবিষ্কার হিসাবে। লেজ কাটা শেয়াল হতে ধার করা মতবাদ ও ধ্যানধারনা - হাফ এডুকেটেড সোসাইটিকে সারা দুনিয়াতেই ধীরে ধীরে স্লেইভ থেকে আলটিমেট স্লেইভ এ নিয়ে গিয়েছে এবং যাচ্ছে।
কাটপেষ্ট জীবন বটেই! তারপরও সব মুসলিম দেশের দ্বীনে মুমিনরা স্রেফ উন্নত খাওয়া খাদ্যের লোভে নিজ ভুম ছেড়ে কাটপেষ্ট জীবনওয়ালাদের দুয়ারে আস্তানা পেতে মরিয়া প্রায়। আপনি সম্ভতঃ তাদেরই একজন সৌভাগ্যবান ship jumper মুমিন মুসলমান। মোহাম্মদের আল্লা মুমিনের রিজিক ভান্ডার নিয়ে hard time pass করছেন নিশ্চিত হয়ে বলা যায়। যাক সে কথা...।
দেখুন- যে হতভাগা আল্লা মানুষকে নিজ দলে ভিড়িয়ে রাখার জন্য বাংলা ছবির ভিলেন/রংবাজ'এর মত মদ-বেশ্যার প্রলভোন দেখান, আবার বিরুদ্ধবাদীকে গরম শিকের ছ্যাকা দেয়ার দম্ভ করেন তার কাছে এ্যাপেলিং কিছু থাকতে পারে তা অন্তত সুশিক্ষিত মানুষ বিশ্বাস করে না।
>> চমৎকার উপস্থাপনা সমৃদ্ধ - আপনার বিচার ও বিশ্লেষন যে স্যেকুলার প্রভুদের মত ঠিক ১০০% ভুল - তা আপনার উপরের জীবন্ত কমেন্ট হতে বুঝলাম (যার জন্য রিসার্চ/বিচার বিশ্লেষনের প্রয়োজন হয়নি)।
এই জন্যই বলছিলাম আপনার পুরো উপস্থাপনা ইক্যুয়ালস টু আপনার প্রভুদের 'কাট পেস্ট টাইপ জীবনে'র মতন যেখানে আপনার প্রভুরা ইউএনওতে কাটপেস্ট করে উপস্থাপন করে ইরাকে ডব্লিওএমডি আছে আর আপনি মুসলমানদেরকে দেখেন 'মুমিনরা স্রেফ উন্নত খাওয়া খাদ্যের লোভে নিজ ভুম ছেড়ে কাটপেষ্ট জীবনওয়ালাদের দুয়ারে আস্তানা পেতে মরিয়া'।
আপনার অবগতির জন্য আরো বলছি - মুমিনদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড দৃষ্টান্ত হল পৃথিবী বিমুখতা ও আখেরাত মুখীতা। আপনি জুদায়ো খৃষ্টান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নকল ও নামে মাত্র মুসলিম কিংবা হাফ মুসলিমকে দিয়ে মুমিনদের বিচার করছেন - যা প্রমান করে আপনি কখনো মুমিন মুসলিমকে দেখেন নি, কোন মুমিন মুসলিমকে জানেন না। আপনি ভেজাল মুসলিম দিয়ে না দেখা না জানা মুসলিম কে মূল্যায়ন করছেন অনেকটা বাজারে এমিটেশান এর গহনা দেখে সোনার গহনাকে মূল্যায়ন করার মত। যা লিটারেলী আপনার জীবনে ১০০% ভুল করার নিয়তিকে জাস্টিফাই করে।
'সুশিক্ষিত' মানুষের নামে - সৃষ্টির করা 'ভাল কাজের' পুরুষ্কার ও 'খারাপ কাজের' শাস্তির ভয়াবহতার ধরন নিয়ে মানুষের বোঝার ক্ষমতানুযায়ী 'স্রষ্টার দেয়া উপমা'কে আপনি যেভাবে দ্বিতীয় প্যারায় অবতারনা করলেন - তাতে মনে হল আপনি সুশিক্ষিত সম্পর্কেও ১০০% ভুল ধারনা পোষন করেন। যেখানে সুশিক্ষিতরা স্রষ্টা কে সৃষ্টি হতে সম্পূর্ন পৃথক স্বত্তা হিসাবে জানে।
আমার ১০ বছরের বাচ্চাও জানে - সে যখন সমুদ্রের পাড়ে বালি দিয়ে ঘর বাড়ী কিংবা মানুষ বানায় - তখন সে ঐ ঘরবাড়ী কিংবা মানুষের স্রষ্টা আর ঐ ঘরবাড়ী কিংবা মানুষ তার সৃষ্টি। আর সৃষ্টি হিসাবে ঐ ঘরবাড়ী কিংবা মানুষের কোন সাধ্য নেই স্রষ্টা হিসাবে আমার ছেলের ক্যাপাসিটি, অবস্থান, বিচার বিশ্লেষন ও চিন্তাধারা কেমন করে পরিচালিত হচ্ছে। সে আরো বুঝে তার সৃষ্টির মূল্য তার কাছে আসলে কিছুই না। সো সে চাইলে - এক মূহুর্তে তার সেই সৃষ্ট ঘরবাড়ী মানুষকে ভেংগে গুড়িয়ে দিতে পারে। আবার তেমনি জোয়ারের পানির জন্য রেখে আসতে পারে। সে আরো জানে ঐ ঘরবাড়ী ও মানুষের কোন ক্ষমতা, রাইটস্ই নেই তাকে প্রশ্ন করার - কেন তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে, কেন তাকে ভেংগে ফেলা হচ্ছে কিংবা হচ্ছেনা ইত্যাদি।
স্রষ্টাকে নিয়ে আপনার প্রশ্ন ও কমেন্ট শুনলে মনে হয় - আপনি নিতান্তই বাচ্চা একটা ছেলের ন্যায়, যে তার মাকে প্রশ্ন করেছিল 'কেন সে ৪তলা হতে পাখির ন্যায় উড়ে নিচে নামতে পারবেনা'।
মন্তব্য করতে লগইন করুন