লন্ডনে আত্নঘাতী হামলা এবং গুটিবাজি
লিখেছেন লিখেছেন চিলেকোঠার সেপাই ০৪ জুন, ২০১৭, ১০:৫১:০১ রাত
লন্ডনে আত্নঘাতী হামলা, নিহত ৮।
কয়েকদিন আগে ম্যানচেস্টারেও একই ধরনের হামলা হয়েছিল। সেখানে নিহত হয় ১৭ জন। বাংলাদেশের সেকুলার এবং নাস্তিক সম্প্রদায় ইসলামকে তুলোধোনা করে একের পর এক স্ট্যাটাস প্রসব করে যাচ্ছেন। ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী টেরেজা মেও বলেছেন, ইসলামি সন্ত্রাসীরাই এই হামলার জন্য দায়ী।
একটা ছোট্ট প্রশ্ন। আপনারা কি করছেন ইরাকে? ওখানে আপনাদের সেনাবাহীনি কেন? আপানার সেনাবাহীনি কি করছে আফগানিস্তানে, সিরিয়াতে, লিবিয়াতে। আফগানিস্তান এবং আরব ভূমিতে গত কয়েক বছরে ২০-২৫ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে পশ্চিমা বাহিনী। এর বিপরীতে ইউরোপে আত্নঘাতী হামলায় মানুষ মারা গেছে কয়েকশো । ক্রিয়ার বিপোরীত প্রতিক্রিয়া থাকবেই। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সংঘাত। এই হামলাকে নাস্তিক সম্প্রদায় ইসলামিকরন করছে নিজেদের মূর্খতা এবং বিদ্বেষীতার জন্য। আর পশ্চিমা পলিটিশিয়ানরা এবং মিডিয়া ইসলামিকরন করছে তাদের অপকর্ম ধামাচাপা দেওয়া এবং মূল ঘটনা আড়াল করার জন্য।
তবে কোন ভাবেই, কোন যুক্তিতেই এইসব আত্নঘাতী হামলা সমর্থন করা যায় না। পশ্চিমাদের হামালার জন্য এই সাধারণ মানুষগুলো দায়ী না। এইসব হামলাকারীদের ধরে বিচার করা উচিত। তবে চিন্তা করুন ২০-২৫ লক্ষ নিরীহ মানুষ হত্যা করা হয়েছে। লক্ষ লক্ষ বাড়িঘর মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে বিমান হামলা করে। কোটি কোটি মানুষ রিফুজি হয়েছে, এরা বর্তমানে বিভিন্ন ক্যাম্পে অমানবিক জীবন যাপন করছে। আপনি সমালোচনা করলে সবগুলোরই করুন। তাহলেই সমাধান আসবে। এটা পরিস্কার এইসব হামলার ঘটনার সাথে ইসলাম বা ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই। সর্বশেষ একটা ছোট্ট তথ্য দেই, পশ্চিমাদের ২০০১ সালে ইরাক আক্রমনের আগে ইরাকের আট হাজার বছরের ইতিহাসে কোন আত্নঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে নাই।
বিষয়: বিবিধ
১০৭৪ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আজ যদি বাংলাদেশের কোন জায়গায় এক লোকের কয়েকদিন ধরে কোষ্টকাঠিন্য চলে তাহলেও সেটার দায় স্বীকার করে নেবে আইএস। বর্তমানে অবস্থা এমনই হয়ে আসছে।
এসব দেশ আজ থেকে ৩/৪ শ বছর আগে সারা বিশ্বে ইচ্ছেমত লুটতরাজ করেছে , শাসন ক্ষমতায় জোরপূর্বক/কূটকৌশলে বসে নেটিভ লোকদের শোষন করেছে। উপনিবেশের সব ক্রিম পাচার করেছে নিজের দেশে । এখন হয়ে বসেছে সভ্যদেশ !
এককালের ডাকাত এখন আমাদের কাছে জেন্টলম্যান হিসেবে পরিচিতি পেতে চায় ।
এক সময়ে এরা যেমন নিরীহ মানুষদের লুটেছে এখন তারা সেটারই কর্মফল ভোগ করছে।
এসবকে হামলা না বলে বলা উচিত অত্যাচারীর বিরুদ্ধে নির্যাতিতের ঘুরে দাঁড়াবার প্রয়াস।
অনেক জ্বালাইছে । এখন তাদের জ্বলবার পালা।
ভালো লাগলো , অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন