কেমন ছিলেন প্রেসিডেন্ট ওবামা ?

লিখেছেন লিখেছেন চিলেকোঠার সেপাই ২১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১০:৪২:০৬ রাত



ওবামা প্রশাসন লিবিয়া এবং সিরিয়ায় বিমান করেছে। সৌদিকে ইয়েমেন হামলায় সহায়তা করেছে। তুরস্কে এরদোগান সরকারকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। মিশরে সিসিকে সহায়তা করেছে। তাহলে ওবামা এবং ট্রাম্পের পার্থক্যটা কোথায়? খুবই যোক্তিক প্রশ্ন।

আন্তর্জাতিক রাজনীতির একজন ছাত্র হিসেবে অ্যামেরিকার নিয়ে একটু ঘটাঘাটি করে যা দেখলাম, অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্টের তৃতীয় বিশ্বের দেশের রাস্ট্র বা সরকার প্রধানের মত এত ক্ষমতা নেই [একই অবস্থা ইরানে]। সিনেট এবং কংগ্রেস বলে দুইটা বস্তু আছে তারা যথেষ্ট ক্ষমতাবান। এছাড়া আছে সামরিক বাহিনী, এফবিআই, সিআইএ, পেন্টাগন, ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম- এদের ক্ষমতা কেমন তা উদাহারন দেওয়া যায় এভাবে, আমাদের দেশের সামরিক বাহিনী যতটা স্বাধীন তার চেয়ে তারা অনেকে বেশি স্বাধীন এবং দলীয় প্রভাবমুক্ত। এছাড়া আছে নেপথ্য শক্তি মহাশক্তিধর রসচাইল্ড পরিবার, রকফেলার পরিবার, ইলুমিনাতি, ফ্রি ম্যাসন, মিডিয়া গ্যাং, জায়নিস্ট লবি। অ্যামেরিকান ট্রেন পূর্ব নির্ধারিত একটা গন্তব্যের দিকে ছুটে চলছে [New World Order]। প্রেসিডেন্ট যেই আসুক সে এতগুলো শক্তির সাথে টক্কর দিয়ে গন্তব্য পরিবর্তন করতে পারবে না। এছাড়া একটা বড় সময় সিনেট এবং কংগ্রেস রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণ ছিল। তারা ওবামাকে সাহায্য করেনি। অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্টের অনেক ক্ষমতা যদি সে এই ট্রেনের গন্তব্যে দিকের মতবাদের কেউ হয়।

ওবামা প্রশাসন অভ্যন্তরে অভিবাসী এবং মুসলিমদের জন্য তুলনামূলক ভাল পরিবেশ দিয়েছে [আমাদের প্রত্যাশা হয়তো আরও বেশি]। ইকনা, ইসনাসহ বেশ কয়েকটি মুসলিম সংগঠনকে কাজ করতে বাঁধা দেয়নি। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ মুসলিম সংগঠনগুলোর মধ্যে এই সংগঠনগুলো একদম প্রথমদিকে থাকবে। ইসলামিক স্কলারদের অ্যামেরিকায় ঢুকতে বা লেকচার দিতে বাঁধা দেয়নি [বুশ প্রশাসন তারিক রামাদানকে অ্যামেরিকায় ঢুকতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলো]। তার সময় বুশ প্রশাসনের সময়ের তুলনায়, তৃতীয় বিশ্ব থেকে অনেক বেশি শিক্ষার্থী অ্যামেরিকায় পড়াশোনা করতে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে।

বহিঃবিশ্বে, ওবামা প্রশাসন বেশ বার বার ইজরাইলকে অনুরোধ করেছে বসতি না বাড়াতে। জাতিসংঘে যে অ্যামেরিকায় ভেটো পাওয়ার ব্যবহার করে গত ৬০ বছর ধরে ইজরাইলের বিরুদ্ধে আনা সব বিল বাতিল করেছে সেই অ্যামেরিকা ইজরাইলের বিরুদ্ধে আনা রেজুলেশনের পক্ষে ভোট দিয়েছে এবং প্রথম বারের মত জাতিসংঘে ইজরাইলের বিরুদ্ধে বিল পাশ হয়েছে।

আমার পুরোপুরি বিশ্বাস, ওবামার জায়গা যদি অন্য যে কেউ প্রেসিডেন্ট থাকতো হোক সে ম্যাককেইন বা হিলারি বহিঃবিশ্বে হামলার পরিমান অনেক বেশি হত।

অ্যামেরিকার ভেতরের অভিবাসী এবং মুসলিমরা পার্থক্যটা এখনই বুঝতে পারছে। আমরা বাইরে থেকে পুরোপুরি বুঝতে পারবো ট্রাম্পের শাসন কিছুদিন যাওয়ার পর.........

বিষয়: বিবিধ

১১৪৭ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

381377
২১ জানুয়ারি ২০১৭ রাত ১০:৫৬
মোঃ মাকছুদুর রহমান লিখেছেন : সহমত!
381378
২২ জানুয়ারি ২০১৭ রাত ০২:০০
আকবার১ লিখেছেন : রেজুলেশনের পক্ষে ভোট দিয়েছে !! নাকি
ভোট দানে বিরত ছিল। অন্যান্য দেশ গুলো
ভোট দিয়েছে।

381516
২৭ জানুয়ারি ২০১৭ সকাল ০৬:২৪
awlad লিখেছেন : Thanks you are 100 % right.

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File