গোলক ধাঁধার সুযোগ
লিখেছেন লিখেছেন চিলেকোঠার সেপাই ০২ নভেম্বর, ২০১৬, ০৮:৪৭:৩১ রাত
মদন চট্রোপাধ্যার চরম দৃষ্টতা দেখিয়ে কাবাকে নিয়ে নোংরাতর একটা পোস্ট দিলো। পুলিশ দ্রুতই মদনকে ধরে ফেললো। তবে এর মাঝে, আব্দুস সালাম, বরকত, রফিক, মতিউর, জাহংগির সহ সবাই ঘটনা জেনে গেছে। পরম শ্রদ্ধা আর আবেগের জায়গায় আঘাতে স্বভাবিক ভাবেই তারা চরম ক্ষুদ্ধ হয়। এমন ঘটনা যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি নিয়ে তারা উপজেলা অফিসারের কাছে যাওয়ার জন্য রওনা দিলো।
অন্যদিকে গুড্ডু মিয়া আর তার দলের লোকেরা ভাবলো এই সুযোগ! কার্ত্তিক, গণেশ, রাম, বসন্ত আর প্রতিমদের বাড়ি লুটপাট করে কিছু কামানো যাবে। এতে তিনটা লাভ। এক- নগদ ইনকাম, দুই- গনেশের সাথে গত বছর ঝগড়া লেগেছিলো তার শোধ নেওয়া। এবং তিন- গেল সম্মেলনে গুড্ডু মিয়া ভাল পোস্ট পায় নাই। এই ঝামেলা বাধিয়ে এলাকার নেতা খলিল মোল্লাকে বিপদে ফেলা। মাস্টার প্লান।
উপজেলা অফিসারের সাথে ফলপ্রসূ আলোচনা শেষে বাড়ি ফেরার পথে সালামরা শুনতে পায় গনেশের বাড়িতে হামলা হয়েছে। তারা দ্রুত ছুটে যায় সেদিক। ওদের আসার খবরে গুড্ডু মিয়ার লোকজন পালিয়ে যায়। গণেশের বাড়ি বাঁচাতে না পারলেও প্রতিমসহ অনেকের বাড়ি ঘর রক্ষা পায়। এরপর যেন আর কোন সমস্যা না হয় সেটা নিশ্চত করতে পাহারায় বসায় তারা।
এদিকে শহরে শেয়ালের দল জেনে গেছে সব। সারাদেশে মতিউরদের মত মানুষেরদের জন্যই শেয়ালদের মুরগি ধরতে সমস্যা হয়। সুতরাং তাদের কোণঠাসা করার সুযোগ শেয়ালেরা ছাড়বে কেন? দেশ-বিদেশের সব শেয়াল একসাথে শুরু করে দেয় চিৎকার। তাদের হুক্কাহুয়া ডাকের ভীরে পালিয়ে যায় গুড্ডু মিয়া এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী।
<< আমার গল্পটা কাল্পনিক বলে ফেলে দিতে পারেন। কিন্তু এই সত্য স্বীকার করতে হবে আমাদের সমাজে এক শ্রেণীর মানুষ আছে, যারা এমন কি এক্সিডেন্ট হলে নিহত যাত্রীর গলার, কানের অলংকার টান দিয়ে নিয়ে পকেটে ভরে।
আর কমেন্টে ২ টা লিংক দিলাম। এটাকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।
বিষয়: বিবিধ
১০৩১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যথার্থ বলেছেন, সহমত
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ,
মন্তব্য করতে লগইন করুন