নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চরমপন্থা বিস্তার লাভের কারন: আমার অভিজ্ঞতা

লিখেছেন লিখেছেন চিলেকোঠার সেপাই ১৬ জুলাই, ২০১৬, ০৬:০৫:৫০ সন্ধ্যা



আমি সম্ভবত একজন অন্যতম নন-NSU স্টুডেন্ট যার নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে অনেক বেশি অভিজ্ঞতা আছে। NSU আসলে বাংলাদেশের মধ্যে একটি ভিন্ন জায়গা। এক টুকরো উগ্র ইউরোপ বললে খুব বেশি বাড়িয়ে বলা হবে না। ওরা যে পোশাক পরে, যেভাবে চলে, ওদের বিনোদন, ওদের অবসর কাটানো, ওদের খাবার, এমনকি ভাষা আমাদের আবহমান বংলাদেশের সাথে যায় না। কিছু শিক্ষার্থী আছে যারা এমন না, তবে বেশির ভাগের পোশাক বেশ উগ্র, খাবার বলতে পিজ্জা আর বার্গার, কথা ইংরেজি-হিন্দি মিশ্রিত বাংলা, মাদকের বিস্তার অতিরিক্ত। আমদের দেশীয় সংস্কৃতি সম্পর্কিত জ্ঞান বেশ লিমিটেড। মুক্তিযুদ্ধে কয়টা সেক্টর বা ফোর্স ছিল, বাংলা মাসের নাম, আমাদের দিবস সমূহের তারিখ বেশিরভাগই বলতে পারবে না। ধর্মীয় জ্ঞানের অবস্থা আরও খারাপ। ২২ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীদের জন্য যে নামাজের জায়গা তাতে বড়জোর ১০০ জনের জায়গা হবে, এবং তাও ফাকাঁ থাকে। NSU তে ফ্রি কনডম পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে.....

প্রতিটা ক্রিয়ারই সমান বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে। উপরোক্ত ব্যাপারগুলো ডিপ্রেশন তৈরি করে। আজ খবরে দেখালাম NSU এর ৭০% শিক্ষার্থী ডিপ্রেশনে ভোগে। কারন, ওটাই। বংলাদেশে থেকে NSU শিক্ষার্থীদের ইউরোপীয় ধর্মহীন উগ্র জীবন-যাপন শেখাচ্ছে। এবং নিউটনের তৃতীয় সূত্র মেনে এর অবধারিতভাবে বিপরীতে উগ্র ধর্মীয় মতবাদের বিস্তারও ঘটেছে।

মুক্তির উপার খুবই সহজ, জানিনা যাদের হাতে ক্ষমতা আছে তারা তা করবে কিনা।।।

বিষয়: বিবিধ

১৩৬৯ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

374749
১৬ জুলাই ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:১৫
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ইসলাম বাদদিয়ে মডার্ন হতে গেলে যা হয় আর কি..! ভালো লাগলো ধন্যবাদ
374757
১৬ জুলাই ২০১৬ রাত ০৮:১০
শেখের পোলা লিখেছেন : তবেতো ক্ষমতাধরদের এটিি অপার সম্ভাবনাময় স্থান।
374779
১৬ জুলাই ২০১৬ রাত ১০:৪৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ব্যবসায়িক কারনে কয়েকবার এর ভিতরে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। শিক্ষার্থি বা কর্মচারিরা ছাড়া অন্যরা যেসব বিষয় দেখার সুযোগ পায়না দেখেছি। এটাকে ইউরোপ বলাও বোধহয় ঠিক হবেনা। এর পরিবেশ অনেকটা থাইল্যান্ড এর পাতায়ার মত। আর পড়াশুনার বিষয়ে প্রায় দশবছর আগে নতুন খোলা টেলিকম্যুনিকেশন বিভাগের এক শিক্ষার্তি অতি গর্বের সাথে বলেছিল মোবাইল কোম্পানিগুলির অনুরোধে নাকি তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিভাগ খোলা হয়েছে। তাদের সিলেবাস নাকি মার্কিন সিলেবাস এর অনুরুপ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ভার্জিনিয়া টেক থেকে গ্র্যাজুয়েট বহুজাতিক মোটরলা তে কর্মরত এক ভাই কে এই সিলেবাস দেখালে তিনি সুস্পষ্ট মন্তব্য করেন যে যুক্তরাষ্ট্রের কোন প্রথম শ্রেনির বিশ্ববিদ্যালয় এভাবে পড়ায় না।
374793
১৭ জুলাই ২০১৬ রাত ০২:১৯
ক্রুসেড বিজেতা লিখেছেন : ভালো লাগলো, ধন্যবাদ।
374810
১৭ জুলাই ২০১৬ সকাল ০৮:৫৪
দ্য স্লেভ লিখেছেন : এক কালে এন.এস ইউতে ব্যপক আড্ডবাজি করতাম। কিন্তু বনানী ক্যাম্পাসের অবস্থা এত খারাপ ছিলোনা। পূর্বের স্টুডেন্টরা বসুন্ধরার ক্যাম্পাসের ব্যাপারে খুব বাজে মন্তব্য করে। গত ৬/৭ বছরে অবস্থা মারাত্মক অবস্থায় গেছে। তবে পূর্বের সেই অবস্থাটাতেও দেখেছি মরাত্মক বেয়াদব,লম্পট শ্রেনীর পাশাপাশি ভালো স্টুডেন্টরাও ছিলো।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File