মতিউরের ক্যাপ
লিখেছেন লিখেছেন চিলেকোঠার সেপাই ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১২:৪২:৫৮ রাত
আমার কাছে মতিউর রাহমানকে মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে অভিনব চরিত্র মনে হয়। সম্মুখ যুদ্ধে অংশ না নিয়েও তিনি যুদ্ধের সর্বোচ্চ সম্মান বির শ্রেষ্ঠ উপাধি পেয়েছেন। তবে আমার মনে হয় পদক তাকে সম্মানিত করে নি বরং পদকই তার হতে পেরে সম্মানিত হয়েছে। যুদ্ধের সময় পরিবার নিয়ে বিমান বাহিনির অফিসারদের বিলাশবহুল বাংলোতে বসবাস করতেন মতিউর রহমান । ক্যান্টনমেন্টে স্ত্রি/ পরিবারকে অরক্ষিত/বিপদে রেখে বাংলায় আসতে চেয়েছিলেন সাধারণ মানুষকে হত্যার প্রতিবাদ করতে। অত্যাচারির বিরুদ্ধে লড়াই করতে। ২০ই আগস্ট সকালে করাচির মৌরিপুর বিমান ঘাঁটিতে তারই এক ছাত্র রশীদ মিনহাজের কাছ থেকে একটি প্রশিক্ষণ বিমান ছিনতাই করেন। কিন্তু রশীদ এ ঘটনা কন্ট্রোল টাওয়ারে জানিয়ে দিলে, অপর চারটি জঙ্গি বিমান মতিউরের বিমানকে ধাওয়া করে। এ সময় রশীদের সাথে মতিউরের ধ্বস্তাধস্তি চলতে থাকে এবং এক পর্যায়ে রশীদ ইজেক্ট সুইচ চাপলে মতিউর বিমান থেকে ছিটকে পড়েন এবং বিমান উড্ডয়নের উচ্চতা কম থাকায় রশীদ সহ বিমানটি ভারতীয় সীমান্ত থেকে ৩৫ মাইল দূরে থাট্টা এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। সাথে প্যারাসুট না থাকায় মতিউর ঘটনাস্থলেই শাহাদত বরন করেন।
রশিদ মিনহাজ তার ইসলামি রিপাবলিকে রক্ষা করার জন্য নিজে মরেও মতিউরের পরিকল্পনা ব্যর্থ করে। পাকিস্তান সরকার রশিদ মিনহাজকে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনির সর্বোচ্চ সম্মান ‘নিশান-ই হায়দার’ উপাধিতে ভূষিত করে।
কে বিজয়ি ?
মতিউর রহমান সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে নিজের জিবনটা দিয়ে গেছে। বাংলাদেশে এখন নদিতে লাশ ভাসে। গার্মেন্টস এ আগুনে প্রতি বছরে শত শত মানুষ মরে। হরতালের আগুনে মানুষ বাসে জিবন্ত দগ্ধ হয়, আবার কখনও প্রতিপক্ষের লাশের উপর নৃত্য।
রশিদ মিনহাজ তার ইসলামি রিপাবলিকে রক্ষা করার জন্য মারা গেল। পাকিস্তানে এখন প্রতি বেলা বিভিন্ন শিয়া-সুন্নি মসজিদে হামলা হয়। আমেরিকা প্রতি বেলায় বিভিন্ন পাহাড়ে মনুষ্য বিহিন হামলা করে পাইকারি দরে মানুষ হত্যা করছে।
শেষতক.........
বিষয়: বিবিধ
১০৮৩ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!১
ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন