মানবতার প্রাচ্য বনাম পাশ্চাত্য

লিখেছেন লিখেছেন চিলেকোঠার সেপাই ১৪ জুলাই, ২০১৫, ০১:১৫:১৬ দুপুর



এমন খবর মাঝে মাঝেই দেখবেন পশ্চিমের কোন শহর শিকাগো, বন, বা টটেনহামের কোন স্কুলে একজন লোক বন্দুক নিয়ে ঘুকে পরছে এবং এলোপাথাড়ি সুটিং করে কয়েকজন ১০-১৫ শিশুকে হত্যা করে নিজেও আত্নহত্যা করছে। মনোবিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বলেছেন, এরা মানুষিক ভাবে অসুস্থ। এবং পাশ্চাত্যের সমাজের বিভিন্ন ক্ষতের জন্যই এ ধরনের মানসিক রোগীর জন্ম হচ্ছে। এজন্য তারা ক্ষত সারাতে অনেক কাজ করছে- বাবা দিবস, মা দিবস, বেশি সন্তান নিয়ে ট্যাক্স ফ্রি বা গাড়ি-বাড়ি ইত্যাদি ইত্যাদি। অনেক গর্ব করে বলতাম কই আমাদের দেশের ২০০০ বছরের ইতিহাসে এ ধরণের পাগলের জন্ম হয়নি। আমরা বিলাশিতায় আর যাই হোক মানবতায় পশ্চিম এর চেয়ে লক্ষ যোজন এগিয়ে। রাজন এর হত্যার পর একটা বিষয় মাথায় কাজ করছে……

আমাদের দেশে কি হয়- রাজনের হত্যা নতুন কিছু নয়। এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে- রাজনের ঘটনার মধ্যেই চট্টগ্রামে পিকন নামে ৮ বছর বয়েসি একটি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। সে তার কারখানায় কর্মরত মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করেছিল। এই অপরাধে তার মামা তাকে বেধড়ক মারধর করলে মারা যায় শিশুটি। রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার বিএফআইডিসি স্টাফ কোয়ার্টারে শিশুকে মারধর করেন তারই মামা সুজন দাশ। তখনও কেউ এগিয়ে যায়নি।

কিছুদিন আগে বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে ছাত্রলীগের একটি মিছিল থেকে জামায়াত-শিবির সন্দেহে বিশ্বজিৎকে ধাওয়া করা হয়। প্রাণ বাঁচাতে বিশ্বজিৎ একটি মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় আশ্রয় নিলেও হায়েনারা সেখানেও ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রকাশ্যে কোপানো ও পেটানো শুরু হয়।

সেখান থেকে পালিয়ে মারাত্মক জখম অবস্থায় বিশ্বজিৎ বের হয়ে রাস্তা দিয়ে দৌড় দেয়। পিছু পিছু অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হায়েনার মতো পুনরায় ঝাঁপিয়ে পড়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয় বিশ্বজিৎকে। রক্তাক্ত অবস্থায় বিশ্বজিৎ রাস্তায় পড়ে থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। পরে এক রিকশাচালক স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর কিছুদিন আগে সাভারে শবে বরাত এর রাতে ৬ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করে গ্রামবাসী। লিমনের ঘটনাতো এখনও চোখে জ্বল জ্বল করছে। তার আগে পিটিয়ে লাশের উপর নাচারও ঘটনা ঘটেছে।

জানি না কেন ঘটছে। যারা সাইকোলজি নিয়ে কাজ করেন তারা এটা নিয়ে কাজ করতে পারেন। তবে আমার কাছে এখন যা মনে হচ্ছে তা হল- আমাদের অতি গর্বের বিষয় অর্থাৎ প্রাচ্যের মন নিয়ে আমাদের যে গর্ব তা পুরাটাই মেকি।

বিষয়: বিবিধ

৯৫৭ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

329931
১৪ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০২:১৮
হতভাগা লিখেছেন : এসব ঘটনা সপ্তাহান্তেই মানুষের মন থেকে সরে যাবে বা এমন কোন ঘটনা ঘটানো হবে যা আগের ঘটনা থেকে ফোকাস সরিয়ে ফেলে ।

এভাবে হাজার হাজার অপরাধ হবে কিন্তু তার কোন বিচার হবে না । হলেও মূল অপরাধীকে পাশ কাটিয়ে নিরীহদেরকে ফাঁসানো হবে । কারণ প্রকৃত অপরাধীকে ধরার চেয়ে নিরীহ যে কোন একটা লোককে ধরা পুলিশের জন্য সহজ ।

পরিশ্রম করে প্রকৃত অপরাধীকে খুজে বের করে তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার মত কঠিন কাজ বাংলাদেশী পুলিশের দ্বারা সম্ভব না । তারা এতটা কর্মঠ না, শিক্ষিতও না । অলস বসে সময় কাটানো এবং কিভাবে নিরীহ মানুষদের ফাঁপড়ে রেখে টাকা হাতানো যায় - এই চিন্তাতেই তারা মশগুল থাকে ।

এটা তাদের চেহারাতেই ফুটে ওঠে।
329978
১৪ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:৩০
শেখের পোলা লিখেছেন : একজন মনোবিজ্ঞানীতো ইতি মধ্যে প্রেসক্রিপশণ দিয়ে দিয়েছেন-'খালেদা জিয়ার সন্ত্রাসপালনেই এরা উদ্বুদ্ধ হয়েছে৷'
330011
১৫ জুলাই ২০১৫ রাত ০১:২৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : কারন পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরন করতে গিয়ে আমরা তাদের হনুকরন করছি।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File