রামাদান এর কল্যান সম্পর্কে কিছু আয়াত এবং হাদিস
লিখেছেন লিখেছেন চিলেকোঠার সেপাই ১৯ জুন, ২০১৫, ০২:৪৭:০২ দুপুর
রোজা ইসলামের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। এ মাসের কল্যান সম্পর্কে খুবই বেশি বর্ণানা করা হয়েছে। ধর্মের প্রধান উদ্দেশ্য যেটি- আত্ন পূজা, অহংকার, লালশা থেকে মুক্ত হয়ে স্রস্টার ইচ্ছার কাছে নিজেকে সমর্পণ করা। সেই উদ্দেশ্য পূরণের একটি অসাধারন পন্থা এই রামাদান। আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন,
“হে বিশ্বাসীগন! তোমাদের ওপর রোযা ফরয করে দেয়া হয়েছে যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী নবীদের অনুসারীদের ওপর ফরয করা হয়েছিল। এ থেকে আশা করা যায়, তোমাদের মধ্যে তাকওয়ার গুণাবলী সৃষ্টি হয়ে যাবে। (আল বাকারাহঃ ১৮৩)
হযরত মুহাম্মাদ সা বলেন,
“যে ব্যক্তি ঈমানের দাবিতে এবং সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখবে। তার অতীত জীবনের সমূদয় গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে”। (বুখারি)
“তিন ব্যক্তির দোয়া কখনো ব্যর্থ হয় না। ১. রোজাদার ব্যক্তির ২. ন্যায়পরায়ণ শাসকের ৩. মজলুম ব্যক্তির। এসব ব্যক্তির দোয়া মেঘের স্তর ভেদ করে আল্লাহর দরবারে পৌছে যায়। এদের জন্য আকাশের দরজাগুলো সর্বদা উন্মুক্ত করে রাখা হয় এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, হে আমার বান্দা। আমি অবশ্যই তোমাকে সাহায্য করবো” (তিরমিজি)
“ইফতারের সময় রোজাদারের নিজস্ব একটা দোয়া থাকে, কখনো প্রত্যাখান করা হয় না”। (বায়হাকি)
“তোমাদের কাছে রমজান মাস উপস্থিত হয়েছে। যা অত্যন্ত বরকতময় মাস। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এ মাসে তোমাদের প্রতি রোজা ফরয করেছেন। এ মাসে আকাশের দরজাগুলো উন্মুক্ত হয়ে যায়। এ মাসে দোজখের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয় এবং এ মাসে শয়তানগুলোকে বন্দি করে রাখা হয়। আল্লাহর জন্য এ মাসে একটি রাত আছে, যা হাজার মাসের চেয়েও অতি উত্তম। যে লোক এ রাতে এবাদত থেকে বঞ্চিত থাকবে, সে সত্যিই হতভাগ্য”। (মুসনাদে আহমদ)
“তোমাদের রোজা ও কোরআন রোজাদার ব্যক্তির জন্য শাফায়াত করবে, রোজা বলবে, হে আল্লাহ্, আমি এ ব্যক্তিকে দিনে খাবার ও অন্যান্য কামনা-বাসনা থেকে ফিরিয়ে রেখেছি। আপনি আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। কোরআন বলবে, হে আল্লাহ্, আমি এ ব্যক্তিকে রাতের নিদ্রা থেকে ফিরিয়ে রেখেছি। আপনি আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। আল্লাহ্ তাদের সুপারিশ গ্রহণ করবেন”। (বায়হাকি)
“বেহেস্তের ৮টি দরজা রয়েছে। তার মধ্যে একটির নাম 'রাইহান' । রোজাদাররা ছাড়া কেউই এ দরজা দিয়ে প্রবেশাধিকার লাভ করবে না”। (বুখারি)
“যখন রমজান মাস শুরু হয়, তখন থেকে আকাশের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়। বেহেস্তের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়। অতপর শয়তানকে শিকলে বন্দি করে রাখা হয়”। (মুসলিম)
“যে ব্যাক্তি একদিন আল্লাহর পথে রোজা রাখবে, আল্লাহ্ তার মুখমণ্ডল জাহান্নাম থেকে সত্তর বছর দূরে সরিয়ে রাখবেন”। (বুখারি)
তবে এখানেই শেষ না। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হাদিসে কুদসিতে ঘোষণা করেছেন,
"বান্দার সমূদয় আমল তার নিজের জন্য। কিন্তু রোজা আমার জন্য। আমি আমার নিজ হাতে পুরস্কার প্রদান করবো"।
তবে,
“যে ব্যক্তি রোজা রেখেছে অথচ যাবতীয় বর্জনীয় কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকেনি। তার উপবাস করার কোনো মূল্যই নেই”। (বুখারি)
“যে ব্যক্তি রোজা রাখার পর মিথ্যা কথা বলে, অপরের কুৎসা রটনা করে, মানুষের ক্ষতির চিন্তা অন্তরে পোষণ করে, তার খাদ্য, পানীয় ত্যাগ করা আল্লাহর কাছে মুল্যহীন। আল্লাহ এমন লোকের প্রতি কখনো দৃষ্টি দেবেন না”। (বুখারি)
বিষয়: বিবিধ
১২৮৯ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হে আল্লাহ তুমি আমাকে হেদায়েত দাও
আজ ব্লগে আসা আর সাথ্যক।
আলহামদুল্লিলাহ। ভাল লাগলো। এবং লেখাটা প্রিয়তে রাখলাম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন