অভিজিৎ হত্যা। কে দায়ী ? ইসলাম নাকি...
লিখেছেন লিখেছেন চিলেকোঠার সেপাই ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১১:৪৬:৪৮ সকাল
আমাদের দেশের ৯৯ ভাগ মানুষ কোন ধারণা বা মতবাদকে ধারন করতে পারে না হোক সেটা ইসলাম, বুদ্ধইজম, বা সেকুলারিজম। তারা ব্যাপার গুলোকে খুবই খেল বা সহজ মনে করে। ভাসা ভাসা জ্ঞান নিয়েই নিজেকে সেই আইডিয়োলজির অংশ মনে করে। সত্যি বলতে, কোন একটা আইডিয়োলজির অংশ হওয়া এত সহজ না। কোন একটা ইজম বা আইডিয়োলজিকে বুঝতে হলে তার থিয়োলজিকাল ব্যাপারগুলো আমাদের পরিষ্কার ভাবে বুঝতে হবে। শুধু এক দৃষ্টিতে না। বিভিন্ন ভাবে। কারন একই টেক্সট এর বিভিন্ন রকম গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা হতেই পারে। এর পর আমাদের দেখতে হবে ঐতিহাসিক প্রমান। অর্থাৎ যখন ঐ ইজম ক্ষমতায় ছিল বা পৃথিবী শাসন করেছে তখন তার প্রয়োগ হয়েছে কিভাবে। এরপর বর্তমান বাস্তবতা এবং এর সংশোধন বা পরিবর্তন। এরপর আমাদের উদ্দেশ্য এবং মানবতার কল্যাণে কিভাবে টা কাজে লাগানো যায় (মানবতা- শুধু নিজের পক্ষের লোকের না)। আমাদের দেশের সব মতবাদের সিংহ ভাগ অনুসারি মানুষেরই সমস্যা হল তারা এই ব্যাপারগুলো বুঝে না। নিজের ব্যাক্তিগত আবেগে চলে, আর ভাবে ওহ! I’m doing something great!।
আরও বিস্তারিত বলতে হবে কিন্তু আজ পারছি না। তবে শেষ কথা বলি অধিকাংশ নাস্তিকদের সমস্যা হল তারা ধর্মগুলোকে গালা গালি করে অত্যান্ত জঘন্য ভাষায়, করতেই পারে, শুধু এটা আমার মাথায় ঢোকে না এতে বিশ্বশান্তির কি উপকার হবে? নাকি সমস্যা বাড়বে? উনাদের উদ্দেশ্য কি মানবতার কল্যাণ?? এটাই তারা দাবি করে তবে সত্যি বলতে তারা অশান্তি, উওেজনা আরও বারাচ্ছেন যার প্রতিক্রিয়া অবধারিত তাদের উপর সরাসরি পড়ছে। (আমার মনে হয় গালাগালি করার কারন হল অল্প সময়ে সহজে বিখ্যাত হওয়ার খায়েস)
আর অন্য পাশের সমস্যা হল তাদের ইসলাম এর থিয়লজিকাল জ্ঞান এর ভয়াবহ রকম স্বল্পতা। আবেগের জালে বন্দী। নিজের আবেগকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়।
তবে এটা সত্য তাদের ঐ ব্যাক্তিগত আবেগকে উস্কে দেওয়ার জন্য কিছু নাস্তিক এর ব্যক্তিগত আবেগ অর্থাৎ স্বল্প সময়ে বিখ্যাত হওয়ার খায়েস দায়ী। অফ দ্যা রেকর্ড , অভিজিৎ দা এর অমর কীর্তি মুক্তমনা কাল থেকে বন্ধ। । ।
বিষয়: বিবিধ
১২৩৮ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার লেখা পড়ি অনেক সময়ই! অনেক ক্ষেত্রে একমত হতে পারিনা বলে চুপ করে চলে যাই!
আজকের উপস্হাপনার অনেক ভালো লাগল!
সহমত অবশ্যই লেখনীর সাথে!
সকল বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের সঠিক তদন্ত ও বিচার কাম্য!!
অভিজিত্ রায় মরেও মরলো না॥
তাকে চেনার জন্যে এখন কিছু নতুন স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র রা নেটে সার্চ দিবে তার লেখা আবার পড়া শুরু করবে ॥
অজ্ঞতা এবং নিজের জানার চেষ্টা না করে আরো কিছু অভিজিত্ রায় জন্ম নিবে।
এটাই লজ্জাজনক যে আরো অনেকগুলো অভিজিত্ রায়ের শুক্রাণু প্রবেশ করেছে চিন্তা চেতনা।
তা সবাই কি তাহলে নষ্ট নবীর খচ্চরের পিঠে মহাশুন্য ভ্রমনের কাহিনী নিয়ে আল্লা/বিল্লা করবে?
মন্তব্য করতে লগইন করুন