সন্ত্রাস, সন্ত্রাসের জন্ম দেয়

লিখেছেন লিখেছেন চিলেকোঠার সেপাই ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১১:৩০:৪১ রাত

আমি নির্বাক, হতভম্ব। কিভাবে আমি প্রতিক্রিয়া করবো বুঝতে পারছি না। পাকিস্তানে সেনানিবাসের একটি স্কুলের ১৩২ জন ছাএ-ছাএীকে অত্যান্ত নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তালেবানদের এক গ্রুপ এই বর্বর হামলা চালিয়েছে। আল্লাহ দুনিয়ায় এবং আখিরাতে এদের উপযুক্ত প্রতিদান দিয়ো।

তবে তালেবান স্পোকম্যান এর একটা কথা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ মনে হল রয়টার্সকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সে বলছে, আমাদের গ্রামে ড্রোন হামলা কারা হয়, আমাদের শিশু, স্বজনদের হত্যা করা হয়, তার জবাবে এই হামলা "We want them to feel the pain."

তালেবানদের বিনা বিচারে ড্রোন হামলা করে হত্যা করা হচ্ছে। হতে পারে তারা অপরাধী কিন্তু তাদের ধরেন, বিচার করেন। শাস্তি দেন। তা না করে তাদের উপর থেকে তাদের গ্রামগুলোতে হামলা করা হচ্ছে, বলা হচ্ছে সন্তাসীদের মারতে এ হামলা। কিন্তু গ্রাম পরে কারা মারা যাচ্ছে, কি অপরাধে মারা হচ্ছে তা কিছুই বলা হচ্ছে না। পরিষ্কারভাবে তাদের উপর সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে এবং এর বিপরীতে যাদের স্বজন মারা গেছে তারাও সন্ত্রাস এর আশ্রয় নিলো। এভাবেই সন্ত্রাস জন্ম দিচ্ছে সন্ত্রাস।

বিষয়: বিবিধ

৮৮৭ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

295030
১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৩৯
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : এই সেম কথাটা বলার কারনে একজন উল্টা বলল, অামি নাকি জঙ্গি। তেহরিক তালেবান একদিনেই গড়ে ওঠেনি। দী্র্ঘদিন ধরে ওয়ারিজিস্তানের নিরপরাধ শিশু-নারী ও পুরুষেরা মাকিন ড্রোন হামলায় হত্যার শিকার হচ্ছে কিন্তু পাক সরকার এ হামলা বন্ধে কোন রকম পদক্ষেপ নেয়নি। তাই বছরের পর বছর মানুষের মনে দানা বেধেছে ক্ষোভ আর তাই সেখানে গড়ে উঠেছে তেহরিক ই তালিবান এর মত সশস্ত্র গ্রুপ। পাকিস্তানি সরকার তখন বিদ্রোহ দমণে সেখানে সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনী পাঠিয়েছে। পাক আর্মি ও বিমানবাহিনী এলাকাটিকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। শিশু-নারী-বুড়ো হত্যার হাত থেকে কেঊ রক্ষা পায়নি। সে সময়কার আল জাজিরা রিপোটেও দেখানো হয়েছে সারি সারি শিশু-নারীর লাশ। তাই তেহরিক আজ যে বর্বরতা দেখিয়েছে তা তাদের উপর চলা আরেক বর্বরতার প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ। এখানে কোন পক্ষই ইসলামের মাঝে নেই। এখানে চলছে শোধ-প্রতিশোধের পাল্টাপাল্টি লড়াই কিন্তু বলি হচ্ছে নিরীহ মানুষ। এটাই আমি বলতে চেয়েছি। কোন কিছু হটাত করেই ঘটেনা।
১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:০০
238501
তায়িফ লিখেছেন : আপনি বেলুচ কিংবা পখতুনদের পক্ষে কথা বলতে পারেন না। বেলুচ কিংবা পখতুন নারী শিশুরা উর্দু ভাষী না। তাই তারা জংগি । তাদের মানবাধীকার নেই। মানবাধীকার শুধুই পাকিদের।
১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:০২
238759
চিলেকোঠার সেপাই লিখেছেন : সহমত
295040
১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৪৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : কিন্তু এর মাধ্যমে তাদের গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধি পেল না হ্রাস পেল!!! পাকিস্তানে শেষ দুটি নির্বাচন যথেষ্ট গ্রহনযোগ্য হয়েছে। গায়ের জোড়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয়না।
১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:০৪
238760
চিলেকোঠার সেপাই লিখেছেন : এখানে ইসলাম এর কোন ব্যপার আছে বলে আমার মনে হয় না। প্রতিশোধ
295051
১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:৩২
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : হতে পারে !!!! কিন্তু তাদের প্রতিশোধের এই পন্থা ইসলাম কখনও সমর্থন করেনা। এমনকি যুদ্ধের সময় ও শত্রুপক্ষের নারি,শিশু এবং শস্যের ক্ষতি করতে রাসুল(সঃ) নিষেধ করেছেন। এটা করে তারা ইসলামের বিষণ ক্ষতি করল। গত কয়েক বছর যাবত তাদের প্রতি মানুষের মধ্যে যে সিম্পাথি তৈরি হয়েছিল। তা আজ এক নিমিষে বিলীন হয়ে গেল। ইউরোপ জুড়ে আজ ইসলাম যে গতিতে বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, সিসি পর তালেবান দের এই ধ্বংস লীলা, তা রুখেদেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:০৮
238761
চিলেকোঠার সেপাই লিখেছেন : সহমত। আমি এটাকে সমর্থন করি না। তবে আমাদের দেখতে হবে কারন না। শুধু ফলাফল না। আমি শুধু এই ঘটনার কারণটি বলেছি।
১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:০৮
238762
চিলেকোঠার সেপাই লিখেছেন : সহমত। আমি এটাকে সমর্থন করি না। তবে আমাদের দেখতে হবে কারন না। শুধু ফলাফল না। আমি শুধু এই ঘটনার কারণটি বলেছি।
295056
১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০২:৩৯
রক্তলাল লিখেছেন : শিশু হত্যার কোনো যুক্তি নেই।

রাসুল (সাঃ) এর জিবনী দেখলেই ত হয়।

এ'সব বর্বরতার সাথে ইসলামের সম্পর্ক থাকতে পারেনা। এই বর্বরতার জন্য দুই পক্ষই সমান ভাবে দায়ী।
১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:০৮
238763
চিলেকোঠার সেপাই লিখেছেন : সহমত

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File