ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের ঘটনা কতটা সঠিক ?
লিখেছেন লিখেছেন চিলেকোঠার সেপাই ০৭ নভেম্বর, ২০১৪, ১০:৩৪:৪১ রাত
গত বৃহস্পতিবারে কার্জন হলের একটা ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া এবং কিছু কিছু সংবাদপএে তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে। কিছু ব্লগার, ফ্যান পেজ এবং নন-ঢাবিয়ান নিজেদের সভ্য বলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে আশ্রাব্য-অশ্লীল ভাষায় গালগালি করে পোস্ট দিচ্ছেন। আমি জানি না ঐ দিন কি ঘটেছিল। তবে যা জানি-
এক- আমরা সিনিয়রদের যথেষ্ট সন্মান করি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র জুনিয়র যত ভাল সম্পর্ক সম্ভবত আর কোথাও এমনটা নেই। বাস, হল, ডিপার্টমেন্ট সব জায়গায় সিনিয়র-জুনিয়রদের অসাধারন সম্পর্ক। আমরা বাসে যখন যাই রাস্তার মাঝে এক্স ঢাবি কেউ উঠলে আমাদের ভাল লাগে। তারা আমাদের সাথে তাদের সময় এর কথা বলেন, বিভিন্ন টিপস দেন এবং প্রায়ই আমাদের খাওয়ান।
দুই- প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসে। কার্জন হলে এর পরিমাণ থাকে আরও বেশি। কোন দিন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে নাই।
হঠাৎ সে দিন চার জন এক্স ঢাবি জেনেও কোন কারন ছাড়া তাদেরকে এমন ভাবে পেটাবে এটা অসম্ভব। যারা এসব পোস্ট এ লাইক শেয়ার দিয়ে ভরাইয়া দিচ্ছেন তারা এই ব্যাপারটা মাথায় রাখবেন।
<আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে ঢাবি এলাকায় অনেক কপোত- কপোতী আসেন। মাঝে মাঝেই তাদের কেউ কেউ শ্লীলতার মাএা ছাড়িয়ে যান। তখন অনেক সময় আমাদের কেউ কেউ তাদের সেই অনুযায়ি ডোজ দেন। জানি না এক্ষেএে তেমন কিছু হয়েছিল কিনা>
বিষয়: বিবিধ
১৩১৪ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে এই ঘটনার সতত্যা কতটুকু তা জানিনা।
আর নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলেই কি তার সব দোষ কে ঢেকে রাখতে হবে?
কবি আল মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কে ডাকাতদের গ্রাম বলেছিলেন। সেসময় নাকি অনেকে বলেছিল তার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার যোগ্যতা নাই বলে এই কথা বলেছেন। কিন্তু ভেবে দেখুন তার চেয়ে বেশি প্রতিভাবান কেউ কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়েছেন?
কথিত ফটোগ্রাফার ও তার ভাগ্নিরা আমাদের পুকুরপাড়কে #POND_BEACH ভাবছিল!! তারা কানাডার beach এর মত হাত পা ম্যাসেজ করতে ছিল। ঐ সুশীলদের বলতেছি ভাই পুকুর পাড়ে ১টা ছেলে মেয়েদের হাত পা ম্যাসেজ করে দিলে আপনাদের সমস্যা না থাকতে পাড়ে কিন্তু আমাদের আছে। তাদের ভদ্র ভাষায় মানা করার পড়ও তাদের আচারন ভাল করা তো দুরের কথা উল্টা বকা দিতে ছিল,শুধু বকা না এক পর্যায়ে সবার সামনে ১টা মেয়ে হলের ১টা ছেলে চড় মারে। ঘটনার ১ পর্যায়ে কথিত ফটোগ্রাফার তখন নিজেকে নায়ক ভেবে ছেলেদের সাথে লাগতে আইছে...আর তার সাথে বিদেশ থেকে ট্রেনিং প্রাপ্ত তার ভাগ্নি...ফলাফল তাদের পক্ষে যাই নাই। মেয়েটা গত্রে পরে তার জামা ছিড়ে গেছে।
যদিও নির্লজ্জের মত fb তে তা upload করে বেশ কিছু #like আর মানুষের সমবেদনা পাইছে।আর এখন কিছু পত্রিকা তো আছেই তিলকে তাল বানানোর জন্য। তারা লিখছে ঢাবিতে এগুলো কি হচ্ছে??!!!?? গত ৬টা বছর ঢাবি ইতিহাসের অন্যতম ভাল সময় কাটাইছে তো তাই তাদের সহ্য হচ্ছে না।। পরিশেষে ঐ সুশীলদের বলতেছি আমরাও মেয়েদের সম্মান দিতে জানি এই জন্যই আমাদের হলে অনেক মানুষ তথা মেয়েরা আসে...১টা ছেলেদের হলে মেয়েরা অবাধে আসতে পাড়ে এই credit ছেলেদের। কিন্তু কারও বাসায় আসলে কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সেটাও জানা দরকার। আর পুর ঘটনা না জেনে কাওকে দোষী করাও ঠিক না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন