ঈদ-উল আযহা কি বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব?
লিখেছেন লিখেছেন চিলেকোঠার সেপাই ০৫ অক্টোবর, ২০১৪, ১১:৫৩:৪৪ রাত
আগামী কাল পবিএ ঈদউল আযহা। আমার কাছে মনে হয় এই ঈদউল আযহা-ই বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। জানি কিছু মানুষ হয়তো বলবেন ভাই থামেন।
সবসময়-ই এত বেশি বোঝেন কেন???
ভাই রাগ না হয়ে একটু কষ্ট করে পড়ে দেখেন কেন বেশি বোঝার চেষ্টা করছি।
এ বছর ট্যানারি ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো কোরবানির ঈদে প্রায় ৮০ লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন। প্রতিটি চামড়া যদি গড়ে ১০০০ টাকা করেও হয় তাহলে দাম হয় ৮০০,০০০,০০০। আটশত কোটি টাকা। চামড়ার পুরো টাকাটাই দরিদ্রদের মাঝে দান করা হয়। বাংলাদেশ এ আর কোন দিন সন্মিলিত ভাবে এত টাকা দান করা হয় না। এ ছারাও এ দিন কিছুটা অব্যস্থা সম্পন্ন সাবার বাড়ির দরজা গরিবদের জন্য খোলা থাকে। মাংস এবং মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করতে সবাই চেষ্টা করে। আল জাজিরার একটি রিপোর্ট অনুযায়ি দেশের শতকরা ১৬.৩ ভাগ মানুষ ৩ বেলা খাবার পায় না অর্থাৎ দেরকোটি এরও বেশি মানুষ চরম দারিদ্র সীমায় বাস করে। (একটা স্বপ্নের কথা বলি) যদি সরকার বা ইসলামি ফাউন্ডেশন এই চামড়ার সব টাকা সংগ্রহ করে গঠনমূলক ভাবে এই দেরকোটি মানুষের মাঝে বিতরণ করে তাহলে খুব বেশি দিন লাগবে না এদের পরিমাণ শুন্যের কোথায় আনতে। এইদিন মানুষ কুরবানির মাংসের একটা অংশ আত্নীয় স্বজনদেরকে এবং প্রতিবেশিকে দেয়। এতে সামাজিক সম্পর্ক আরও দৃহ হয়। যে সব পরিবারে সবাই ব্যাস্ত থাকে তারাও কোরবানির পশু নিয়ে আলোচনা করে। পারিবারিক সম্পর্ক মজবুত হয়। ঈদউল আযাহা ধর্মীয় অনুষ্ঠান তবে আমার মনে হয় এর সামাজিক গুরুত্ব এতটাই বেশি যে আর যত ধর্মীয় বা সামাজিক উৎসব আছে সব গুলোকে এক করলেও তারা ঈদউল আযাহা এর ধারের কাছেও আসবে না।
এর পরও পাঠ্য বই থেকে শুরু করে সকল মিডিয়া প্রমোট করছে বাংলাদেশের প্রধান উৎসব পহেলা বৈশাখ। কর্পোরেট হাউজ এবং বহুজাতিক কোম্পানি গুলো কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে একে কেন্দ্র করে। সম্রাট আকবর এর ইরান থেকে একটা আমদানি করা উৎসবকে আমাদের জাতীয় উৎসব বানানো হচ্ছে!! এদিন শহর গুলোতে কিছু মানুষ হুজুগে মাতাল হয়ে লাফাচ্ছে। যাদের সিংহ ভাগই বাংলা ১২ টি মাসের নামই জানে না। পত্রিকা গুলো বিশেষ সংখ্যা বের করে। টিভি ষ্টেশনগুলো অদ্ভুদ কিছু অনুষ্ঠান প্রচার করে। সমাজে এই ধার করা উৎসব ইতিবাচক কি বয়ে আনে তারাই ভালো জানেন।
বিষয়: বিবিধ
১০৩২ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ।
ঈদ-উল-আযহা নিঃসন্দেহে এই দেশের সবচেয়ে বড় উৎসব। গরু পালন,গো খাদ্য উৎপাদক, কসাই, চামড়া ব্যবসায়ি সহ অনেকগুলি অর্থনৈতিক সুবিধা এই ঈদ এর জন্য হচ্ছে। দরিদ্র মানুষদের কিছুটা হলেও প্রোটিন প্রাপ্তিও এর অন্তর্ভুক্ত।
যথার্থ বলেছেন, সহমত
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
মন্তব্য করতে লগইন করুন