ধর্ম যার যার উৎসব সবার: কতটা যুক্তিযুক্ত?
লিখেছেন লিখেছেন চিলেকোঠার সেপাই ০১ অক্টোবর, ২০১৪, ০৮:৫৫:০১ সকাল
পাশ্চ্যাতের পর প্রাচ্যেও এই শ্লোগানটি খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে।তরুন প্রজন্মের একটা অংশে এর জনপ্রিয়তা খুবই বেশি। সাধারন ভাবে দেখলে কথাটি খুব লজিকাল মনে হবে।সাধারন মানুষ ভাববে তাইতো।সবাই এক সাথে থাকবো, এক সাথে উৎসব এর আনন্দ করবো।খুবই সাধারন ও ভাল চিন্তা।কিন্তু একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবলেই বুঝতে পারবো কত ভয়ংকর ষরযন্ত লুকিয়ে আছে এর মধ্যে। প্রথমেই একটু বোঝার চেস্টা করি ধর্ম কি? সহজ ভাষায় ঈশ্বর প্রদও জীবন ব্যবস্থাই হল ধর্ম । ধর্ম নিয়ে মানুষের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে সব ধর্মই ভালো কথা বলে।মানুষকে ভাল কাজ করা এবং ভাল পথে চলার আদেশ দেয়।অনাচার,অত্যাচার বন্ধ করতে এবং বিবেক জাগ্রত করতে আমাদের অবশ্যই ধর্মের কাছে ফিরে যেতে হবে। হোক সেটা ইহুদি ধর্ম, খ্রিস্ট ধর্ম, হিন্দু ধর্ম অথবা ইসলাম।আর উৎসব হল ধর্ম অনুসারে পাপ মোচনের চেস্টা অথবা পাপ মোচনের আনন্দ। এই সকল ধর্মের বিশ্বাসে কিছু মৌলিক সাদৃশ্য রয়েছে একই ভাবে বিপরীত বিষয়ও বয়েছে। যেমন খ্রিস্ট ধর্মে যীশু বা ঈসা আ. কে ঈশ্বরের পুএ মনে করা হয়, ইসলামে ঈসা আ. কে মনে করা হয় ঈশ্বরের একজন মহান নবী এবং ঈশ্বরের কোন পুএ নেই, পিতাও নেই। ইহুদি ধর্ম ঈসা আ. কে স্বীকারই করে না। হিন্দু ধর্মে গরুকে ঈশ্বর মনে করা হয় অন্যদিকে ইসলাম ধর্মের ২য় প্রাধান উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হল পশু (এর মধ্যে গরুই বেশি করা হয়) জবেহ করা। হিন্দুদের ধর্মের একটি প্রাধান উপকরন হল প্রতিমা যা ইসলাম ও ইহুদি ধর্ম কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ।ইসলাম বলে সব ধর্মের মানুষ স্বাধীন ভাবে তাদের ধর্ম পালন করবে।কাউকে জোর করা যাবে না। কিন্তু ধর্ম যার যার উৎসব সবার এই শ্লোগান উৎসবের সঙ্গাই বদলে দিচ্ছে। পাপ মোচন এর চেস্টা থেকে অনেক দূরে সরে যাচ্ছে সবাই।এর প্রভাবে অনেক মুসলিম রমজান মাসে সিয়াম সাধনার চেয়ে কেনাকাটা, সাজগোজ ইত্যাদি বিষয়েই বেশি সময় ব্যায় করছে। আশংকা জনক ভাবে গিরজা, মন্দির গুলোতে মানুষের সংখা কমে যাচ্ছে। মুসলিমদের তদের বিশ্বাসে নিষিদ্ধ প্রতিমা পূজা, ঈশ্বরের পুএ এই বিষয়ের কাছে নি্যে যাচ্ছে অন্যদিকে হিন্দুদের গরুর মাংস খেতে বলছে। এটা অবচেতন মনে আমাদের মনে একটা ভায়াবহ মেসেজ দিয়ে দিচ্ছে তা হল আসলে কোন ধর্মই সঠিক নয়। ধর্মহীন, নাস্তিক প্রজন্ম তৈরি করা হচ্ছে যারা পশ্চিমাদের অন্ধের মত অনুকরন করছে । এটা ফ্রি ম্যাসনদের কুখ্যাত New World Order বাস্তবায়নের একটি ঘৃণ্য হাতিয়ার।
এখন দুর্গা পূজা চলছে তাই এর সাথে প্রাসঙ্গিক অংশ জুরে দিলাম। ।
কোন মুসলিম কোন ভাবেই পোওলিক বা অমুসলিমদের ধর্মীয় অনুস্ঠানে অংশ নিতে পারেন না। কারন তাদের বিশ্বাস সরাসরি আমাদের বিশ্বাসের বিপরীত। তাদের অনুস্ঠানে অংশ নেওয়া অর্থ আমাদের বিশ্বাসকে অশ্রদ্ধা করা। এসব হল পথভ্রষ্টদের পথ যা থেকে রক্ষা পেতে আমরা প্রতিদিন নামাজে সূরা ফাতিহায় আল্লাহর কাছে বলি...
'আমাদের সঠিক পথ দেখাও।
সেই সব লোকেদের পথ যাদের কে তুমি অনুগ্রহ করেছো।
অভিশাপ্ত ও পথভ্রষ্টের পথ নয়।'
অনেকে বলেন আমিতো মূতিপূজা পছন্দ করি না শুধু বন্ধুদের সাথে একটু ঘুরতে যাই অথবা ফরমালিটি এ জাতীয় কথা। একটু আল কুরআনের এই আয়াত গুলি একটু লক্ষ্য করুন
"হে মুমিনগন নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, মূতি পূজার বেদি, ভাগ্য নির্নয়ক শর এগুলো সব শয়তানের কাজ। এগুলো থেকে দূরে থাকো যদি সফল হতে চাও "
সূরা মায়িদা (৯০)
"আমি যদি তোমাকে দৃরপদ না রাখলে তুমি তাদের দিকে কিছুটা ঝুঁকতে পরতে তখন আমি অব্যশই তোমাকে ইহ ও পরকালে দ্বিগুন শাস্তি আস্বাদন করাতাম, এ সময় তুমি আমার মোকাবেলায় কোন সাহায্যেকারী পেতে ন"
-সূরা বনি ইসরাইল (৭৪-৭৫)
এ আয়াত নাযিলের প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে হযরত সাঈদ বিন যুবায়ের থেকে বর্ননা পাওয়া যায় একবার মহানবী সা. কাবা তাওয়াফ এর সময় হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করেছিলেন তখন কুরায়েশ গন তাকে বাঁধা দিয়ে বলে আমাদের দেবতার নিকটে না গেলে তোমাকে তা স্পর্শ করতে দেব না। তখন রাসূল সা. মনে মনে ভাবছিলেন হাজরে আসওয়াদ স্পর্শের বিনিময়ে মূতির কাছে গেলে কি পাপ হবে?আমি যে মূতি অপছন্দ করি আল্লাহ তা ভালো ভাবেই জানেন।
আল্লাহ রাসূল সা. এর এমন চিন্তা অপছন্দ করেন এবং তখন এই আয়াত নাযিল হয়। (তাফসীরে কুরতুবি)
এ আয়াতের তাফসির থেকে এটা পরিস্কার অন্তরে অপছন্দ নিয়েও মূতিপূজার কাছে যাওয়া যাবে না।
মহানবী সা. বলেন, "যে ব্যাক্তি যে জাতির সংস্কৃতি অনুসরন করবে সে তার অন্তভুক্ত বলে গন্য হবে"
"নিশ্চয়ই শিরক জঘন্য জুলুম"
-সূরা লুকমান (১৩)
যেখানে জঘন্য জুলুম সংগঠিত হয় সেখানে একজন মুসলিম কিভাবে যায়??
তারপর লক্ষ্য করুন আমাদের প্রিতার আমাদের জন্য দোয়া
"স্মরন কর, ইব্রাহিম বলেছিলেন,
হে আমার প্রতিপালক!
এই শহরকে নিরাপদ কর এবং আমার সন্তানদের প্রতিমা পূজা থেকে দূরে রেখো। হে আমার প্রতিপালক এই প্রতিমা বহু মানুষকে বিভ্রান্ত করছে "
-সূরা ইব্রাহিম (৩৪-৩৫)
বিষয়: বিবিধ
১২০৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 8870
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
এসব হল পথভ্রষ্টদের পথ যা থেকে রক্ষা পেতে আমরা প্রতিদিন নামাজে সূরা ফাতিহায় আল্লাহর কাছে বলি...
'আমাদের সঠিক পথ দেখাও। সেই সব লোকেদের পথ যাদের কে তুমি অনুগ্রহ করেছো। অভিশাপ্ত ও পথভ্রষ্টের পথ নয়'
খাঁটি কথা বলেছেন- মুসলমানদের কখনো উচিত হবে না আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ, জাপান, জার্মানী, সিঙ্গাপুর......এর মত এসব অভিশাপ্ত, পথভ্রষ্টের দেশের ভিসা/ইমিগ্রেশন পেলেই নিজের ভিটামাটি, গরুবাছুর সব বিক্রি/বন্দক দিয়ে উন্নত জীবন এবং ডলারের লোভে দৌড় দিয়ে ছুটে যাওয়া।
শুধু তাই না, এসব অভিশাপ্ত পথভ্রষ্ট দেশের সাথে গর্মেন্টস ব্যাবসা, ডলার রিমিটেন্স, চিকিৎসা, ঔষধপথ্য, গাড়ী, সেলফোন, উরুজাহাজ....... সব বর্জন করা।
ধন্যবাদ।
আমি বলছিনা খেলাটি ইসলামে খেলতে বলছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন