এইডস কি গবেষণাগারে তৈরি?
লিখেছেন লিখেছেন চিলেকোঠার সেপাই ২৩ জুলাই, ২০১৪, ১১:১৭:০৮ রাত
এইডস সম্পর্কে আমরা যা জানি তা হল এইডস (ইংরেজি AIDS, পূর্ণ রূপ Acquired Immunodeficiency Syndrome) হচ্ছে এইচ.আই.ভি. (HIV) নামক ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট এক ব্যাধী, যা মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা হ্রাস করে দেয়। এতে করে একজন এইডস রোগী খুব সহজেই যে কোন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন, যা শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু ঘটাতে পারে। এইডস আফ্রিকার এক প্রজাতির সবুজ বানর থেকে মানুষের মধ্যে প্রবেশ করছে। এইডস ছড়াতে পারে খাদ্য, রক্ত বা শারীরিক উপায়ে।
যেমন
*এইচ.আই.ভি. তে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করলে, বা তার ব্যবহৃত ইনজেকশনের সিরিঞ্জ বা সূঁচ ব্যবহার করলে।
*এইচ.আই.ভি. তে আক্রান্ত গর্ভবতী মায়ের শিশুরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
*এইচ.আই.ভি. তে আক্রান্ত কারো সাথে অসংরক্ষিত যৌন সম্পর্ক করলে।
১৯৮১ সালে আমেরিকাতে এই রোগ প্রথম সনাক্তকরণ হয়। বর্তমান তৃতীয় বিশ্বের ৫০ টিরও বেশি দেশের মৃত্যুর প্রধান কারন এইডস।
এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল তবে ১৯৮৪ সালের ৪ জুলাই ভারতের The Patriot এর প্রকাশিত একটি রিপোর্ট একটি আন্তর্জাতিক বিতর্কের শুরু করে। তারা এইডস এর ব্যাপারে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন ছাপে। আমেরিকার বিজ্ঞানী ও Anthropologist দের কোট করে The Patriot দাবি করে এইডস একটি জীবাণু যুদ্ধের ফসল। এটি জেনেটিকালি তৈরি করা হয়েছে আমেরিকার আর্মির গবেষণাগারে। অদূর ভবিষ্যৎ এ ভারত এ নিয়ে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে বলে দাবি তারা করে। আমেরিকা একে অস্বীকার করে সোভিয়েত প্রপাগান্ডা বলে অভিহিত করে। তবে বিতর্কের শেষ হয় না।
১৯৮৫ সালে রাশিয়ান বিজ্ঞানী লাবিদ দাবি করেন "AIDS was caused by experiments carried out in the USA as part of the development of new biological weapons" অর্থাৎ এইডস আমেরিকার নতুন জীবাণু অস্ত্র।
১৯৮৬ সালের ২৬ অক্টবর লন্ডনের Sunday Express প্রথম পাতায় "AIDS made in lab. shock." শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপে। প্রতিবেদনে বলা হয় এইডস গবেষণাগারে তৈরি করা। Sunday Express প্রথম পশ্চিমা সংবাদপএ যা The Patriot এর প্রকাশিত সংবাদকে সমর্থন করে এবং বিতর্কটি আরও জোরালো করে।
১৯৮৮ সালের ২ জুন লস এ্যাঞ্জেলস টাইমস প্রথম আমেরিকান সংবাদপএ এ বিষয়ে একটি গবেষণামূলক প্রতিবেন প্রকাশ করে। যা রীতিমত আলোড়ন ফেলে দেয়। তারা বলে যে সবুজ বানরের তত্ব ভুয়া। এইডস কোনভাবেই সবুজ বানর থেকে আসে নি কারন এইডস এর DNA এর গঠন কোন ভাবেই সবুজ বানরের শরীরের টিকে থাকতে পারে না। এবং প্রকৃতির কোথাও এইডস এর ভাইরাস টিকে থাকতে পারে না। এটা শুধু মাএ মানুষের শরীরেই টিকে থাকতে পারে।
১৯৮৭ সালের ১১ মে লন্ডন টাইমস একটি উদ্বেগ জনক প্রতিবেন ছাপে এইডস এর বিস্তার নিয়ে। তারা বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিকেন পক্স কর্মসূচির সাথে এইডস এর যোগসূত্র রয়েছে। তাদের প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল “Smallpox vaccine triggered AIDS virus.”
১৯৭০ এর দশকে বিশ্ব স্বাস্থ্য আফ্রিকাতে প্রায় ১০০ মিলিয়ন মানুষকে চিকেন পক্স এর টিকা দেয়। টিকার নামে তারা মূলত এইডস এর ভাইরাস ঢুকিয়ে দেয়!!!
লন্ডন টাইমসকে এইডস এর অন্যতম আবিষ্কারক রবার্ট গ্যালো (Robert Gallo) বলেন, “The link between the WHO program and the epidemic is an interesting and important hypothesis" অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিকেন পক্স কর্মসূচির সাথে এইডস এর যোগসূত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ হাইপথিসিস।
একই বছরের সেপ্টেম্বরে ডঃ উইলিয়াম ক্যাম্বেল (William Campbell M.D) ক্যালিফ্রোনিয়ার মনরোভিয়ায় অনুষ্ঠিত Douglass National Health Federation এর একটি কনফারেন্স এ এইডস এর জন্য সরাসরি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে দায়ী করেন। এবং বলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আফ্রিকাতে গণহত্যা চালাচ্ছে।
তিনি বেশ কিছু কৌতুহল উদ্বীপক তথ্য দেন এবং এইডস সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করেন। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি হল
⦁ It's a homosexual disease-WRONG. (The homosexuals certainly spread it but the primary responsibility wasn't theirs.)
⦁ It's related to anal intercourse only-WRONG.
⦁ Only a small percentage of those testing positive for AIDS would get the disease-WRONG.
⦁ It came from the African green-back monkey-WRONG.
⦁ It came from the cytomegalovirus-WRONG.
⦁ It was due to popping amyl nitrate with sex-WRONG.
⦁ It was started 400 years ago by the Portuguese-WRONG. (It started in 1972.)
⦁ You can't get it from insects-WRONG.
⦁ The virus can't live outside the body-WRONG.
ডঃ এ্যালেন ক্যান্টওয়েল (ALAN CANTWELL, J.R, M.D.) এইডস এর ব্যাপারে একটি বিস্তারিত নিবন্ধ লেখেন "AIDS: A Doctor’s Note on the Man-Made Theory" শিরোনামে। তার কথা উইলিয়াম ক্যাম্বেল এর লেখাকে সমর্থন করে। তিনি সবুজ বানরের ব্যাপারে বলেন এটা অসম্ভব সবুজ বানর থেকে এইডস এসেছে। তিনি আরও বলেন দেশির ভাগ ডাক্তারই সবুজ বানর তত্ব বিশ্বাস করে না। গে (The Gay Hepatitis & The Gay Plague) দের অসুখ এর যে তত্ব প্রথমে দেওয়া হয়েছিল তাও ভুয়া বলে অভিহিত করেন। এবং আফ্রিকায় এইডস এর বিস্তারের ব্যাপারে লন্ডন টাইমস এর বক্তব্য সমর্থন করেন।
সব কথা যদি আমরা সাজাই তাহলে আমারা যা পাই তা হল বিজ্ঞানী এবং ডাক্তারদের মধ্যে একটি বড় অংশ আছে যারা বিশ্বাস করেন এইডস কোন ভাবেই প্রাকিৃতিক রোগ নয়। তারা প্রমান করে দেখিয়াছেন কোন ভাবেই এইডস রোগের ভাইরাস সবুজ বানরের শরীরে বাঁচতে পারে না। এটি প্রাকিৃতিতে একমাএ মানব দেহেই টিকে থাকতে পারে। এবং এটি আমেরিকার জীবাণু অস্ত্র যা গবেষণাগারে তৈরি।
এখন প্রশ্ন আসতেই পারে কেন আমেরিকা এটি করবে?
এজন্য আমাদের আর একটু পেছনে ফিরে যেতে হবে। ১৯৭০ সালে আমেরিকার নোবেল জয়ী ! প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার যখন ক্ষমতায় তখন হোয়াইট হাউজ Global 2000 নামে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন। এতে দাবি করা হয় পৃথিবীর যাবতীয় সমস্যার জন্য তৃতীয় বিশ্বের মাএাতিরিক্ত জনসংখ্যাই একমাএ দায়ী। নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা (New World Order. একটু খেয়াল করলে আমেরিকার সব প্রেসিডেন্ট এর মুখেই এই শব্দটি শুনতে পাবেন) এর সমাধান হিসাবে ২০০০ শতাব্দীর মধ্যে তৃতীয় বিশ্ব থেকে ২০০ কোটি মানুষ অপসারণ করতে হবে বলে অভিমত দেন।
এইডস আর কিছুই না তাদের এই তথাকথিত New World Order এর একটি সমাধান।
হতে পারে এইডস এর ব্যাপারে আরও কোন গোপন তথ্য সন্মিলিত ভাবে এবারের এইডস সন্মেলনে দিতে যাচ্ছিলন গবেষক গন। এবং এজন্য এইডস এর গবেষকদের সরিয়ে দিতেই মালেশিয়ান এয়ারলাইন্স এর MH17 প্লেন এ মিসাইল হামলা করা হয়।
সব লিংক কমেন্ট এ
বিষয়: বিবিধ
২৩৮৬ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নতুন আরও কিছু তথ্য দিয়েছেন আপনার পোষ্টে
ভালো লাগলো আপনারটা পড়েও।
http://promoteliberty.wordpress.com/2011/03/08/aids-created-and-spread-through-us-military-experiments/
http://cdn.preterhuman.net/texts/conspiracy/aids-2.txt
http://thetruthwillrise.wordpress.com/the-london-times-“smallpox-vaccine-‘triggered-aids-virus-’”/
http://www.biblebelievers.org.au/46a.htm
http://www.bibliotecapleyades.net/sociopolitica/esp_sociopol_depopu30.htm
মন্তব্য করতে লগইন করুন