ফিলিস্তিনের একটি সাধারন গল্প এবং ইতিহাস
লিখেছেন লিখেছেন চিলেকোঠার সেপাই ২৩ জুলাই, ২০১৪, ০৩:০২:৩২ দুপুর
-দেখ এই সারির সাত নম্বর বাড়িটা আমাদের ছিল না??
-হুম। তোদের ৭ নম্বরটা। আমাদের ছিল ৬ নম্বর।
-তোর মনে আছে আমাদের বাড়িটা ছিল সবচেয়ে সুন্দর লাল রং এর। আর আমার রুমটা ছিল সবচেয়ে সুন্দর চিলেকোঠার পাশে।
-হুম মনে আছে। তোদের ফুল বাগান টাও কি সুন্দর ছিল। জানিস মনে মনে আমি কত হিংসা করতাম।
-কিন্তু তোদের বাড়ীর পেছনের পেছনের ফল বাগানটা বামাল্লার সেরা ছিল। তোর ঐ প্রিয় বড়ই গাছ। ওত মিষ্টি বড়ই আমি কখনও খায় নি। আমি আম্মুর কাছে তোর বাড়ি যাওয়ার বায়না ধরতাম বড়ই খাওয়ার জন্যই।
-আমার সবচেয়ে মনে পরে ঘুরি উড়ানোর কথা। আমারা ২ জন দুই ছাদে দাড়িয়ে কি সুন্দর ঘুরি উড়াতাম। তোর না হলে আমার ঘুরিই সবচেয়ে উপরে উঠতো। এজন্য পাশের বাড়ীর রুমি, সাদাতরা কেমন হিংসা করতো আমাদের।
-হুম। একবার আমার ঘুরির সাথে লেগে সাদাত এর ঘুরি কেটে যায়। ওর কি কান্না। আমার সাথে ৩ দিন কথা বলে নি। ওদের কোন খবর নেই। ওরা কি কেউ বেঁচে আছে রে??
- নারে।। ওদের মধ্যে শুধু রুমিই বেঁচে গিয়েছিল। কিন্তু ও যে হাসপাতাল এ ভর্তি হয়েছিল। গতকাল রাতে সে হাসপাতালেও বোমা পরেছে। ভেতরে যারা ছিল সবাই.
- রুমির এত্তো অনেক সুন্দর সুন্দর পাহাড়, সাগর, বাঘ, বনের ছবি ছিল। আমাকে একদিন দেখিয়েছিল। আর ওর সাইকেলটা কি সুন্দর ছিল। আমাকে মাঝে মাঝেই চালাতে দিত। দেখ কিভাবে কি হয়ে গেলরে সব। প্রথমে প্লেন থেকে বোমা পরে একদিন ঐ লোক গুলো বুলডোজার দিয়ে সব গুড়ো করে দিয়ে গেল। রুমির বাবা, মা, ভাই, বোন, সবাই। তোর আব্বু, আংটি, ভাইয়া, আমার আম্মু, ছোট ভা। সবাই। । । আচ্ছা ঐ লোক গুলো আমাদের মারে কেন??
- জানি না রে। তুই জানিস? । । ।
সংলাপটি কাল্পনিক। তবে গল্পগুলো এমনই। এভাবেই ইজরাইল শুষে নিচ্ছে ফিলিস্তিনের ভূমি। -দেখ এই সারির সাত নম্বর বাড়িটা আমাদের ছিল না??
-হুম। তোদের ৭ নম্বরটা। আমাদের ছিল ৬ নম্বর।
-তোর মনে আছে আমাদের বাড়িটা ছিল সবচেয়ে সুন্দর লাল রং এর। আর আমার রুমটা ছিল সবচেয়ে সুন্দর চিলেকোঠার পাশে।
-হুম মনে আছে। তোদের ফুল বাগান টাও কি সুন্দর ছিল। জানিস মনে মনে আমি কত হিংসা করতাম।
-কিন্তু তোদের বাড়ীর পেছনের পেছনের ফল বাগানটা বামাল্লার সেরা ছিল। তোর ঐ প্রিয় বড়ই গাছ। ওত মিষ্টি বড়ই আমি কখনও খায় নি। আমি আম্মুর কাছে তোর বাড়ি যাওয়ার বায়না ধরতাম বড়ই খাওয়ার জন্যই।
-আমার সবচেয়ে মনে পরে ঘুরি উড়ানোর কথা। আমারা ২ জন দুই ছাদে দাড়িয়ে কি সুন্দর ঘুরি উড়াতাম। তোর না হলে আমার ঘুরিই সবচেয়ে উপরে উঠতো। এজন্য পাশের বাড়ীর রুমি, সাদাতরা কেমন হিংসা করতো আমাদের।
-হুম। একবার আমার ঘুরির সাথে লেগে সাদাত এর ঘুরি কেটে যায়। ওর কি কান্না। আমার সাথে ৩ দিন কথা বলে নি। ওদের কোন খবর নেই। ওরা কি কেউ বেঁচে আছে রে??
- নারে।। ওদের মধ্যে শুধু রুমিই বেঁচে গিয়েছিল। কিন্তু ও যে হাসপাতাল এ ভর্তি হয়েছিল। গতকাল রাতে সে হাসপাতালেও বোমা পরেছে। ভেতরে যারা ছিল সবাই.
- রুমির এত্তো অনেক সুন্দর সুন্দর পাহাড়, সাগর, বাঘ, বনের ছবি ছিল। আমাকে একদিন দেখিয়েছিল। আর ওর সাইকেলটা কি সুন্দর ছিল। আমাকে মাঝে মাঝেই চালাতে দিত। দেখ কিভাবে কি হয়ে গেলরে সব। প্রথমে প্লেন থেকে বোমা পরে একদিন ঐ লোক গুলো বুলডোজার দিয়ে সব গুড়ো করে দিয়ে গেল। রুমির বাবা, মা, ভাই, বোন, সবাই। তোর আব্বু, আংটি, ভাইয়া, আমার আম্মু, ছোট ভা। সবাই। । । আচ্ছা ঐ লোক গুলো আমাদের মারে কেন??
- জানি না রে। তুই জানিস? । । ।
সংলাপটি কাল্পনিক। তবে গল্পগুলো এমনই। এভাবেই ইজরাইল শুষে নিচ্ছে ফিলিস্তিনের ভূমি। তাদের টার্গেট হেজাজের ইয়াসরিব (জাজিরাতুল আরব এর মদিনা) থেকে তুরস্কের আলেকজান্দ্রিয়া প্রদেশ এবং ভুমধ্যসাগর ও নীল নদের সীমা থেকে ট্রাইগ্রিস ও ইউফ্রেতিস (ফেরাত ও দজলা) নদীর মোহনা পর্যন্ত তাদের কল্পিত পিতৃভূমি। (এটা নাকি ওল্ড টেস্টামেন্ট এ আছে)
আমারা আরামেই আছি। আমাদেরতো সমস্যা নেই। আমদের সরকার একটা প্রতিবাদ জানায়। আমারা তাতেই খুশি। আর কিছু করার দরকার নাই।হয়তো আমরা ঠিক। নয়তো না।
"Injustice anywhere is a threat to justice everywhere."
Martin Luther King, Jr.
বিষয়: বিবিধ
১৫৬৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
না, চাপা পড়তে পারে না। গল্পেরা জীবন্ত হয়ে উঠবেই একদিন।
অনেক আগে ফিলিস্তিন এর উপর মরিয়ম জামিলার একটি উপন্যাস পড়েছিলাম আনেক আগে। এখনও সেই অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন