জামায়াত শিবির এর কর্মীদের ধারনা বনাম বাস্তবতা
লিখেছেন লিখেছেন চিলেকোঠার সেপাই ০৮ জুলাই, ২০১৪, ১১:০৯:৩৪ রাত
বর্তমান সরকার জামায়াত এবং তাদের ছাএ সংগঠন শিবির এর উপর খড়গ হস্ত। এহেন কোন উপায় নাই যাদিয়ে জাশিকে শায়েস্তা করার চেষ্টা করে নাই। জামায়াত এবং শিবির এর ভূমিকা অবিশ্বাস্য। তারা টানা ৫ বছর এমন নির্যাতন এর পরও এখনোও বেশ ভাল ভাবেই টিকে আছে। একমাএ অন্ধ ছারা সবাই এ ঘটনার সমালোচনা করবে। তবে আমার লেখা একটি ভিন্ন বিষয় নিয়ে। তা হল। জামায়াত শিবির এর কর্মীদের ধারনা। এটা ঠিক বাংলাদেশে জামায়াত একটি ইসলামি দল। তারা নানা ভাবে ইসলাম এর সেবা করার চেষ্টা করে। ইসলামের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করে। তবে তারা যে ১০০ ভাগ ইসলামিক এটা হয়তো তারাও দাবি করবে না আর সম্ভবও না।
এখন জামায়াত এর কর্মীরা মনে করে ইসলামি দল হওয়ার জন্য তাদের উপর সরকার এর খড়গ হস্ত। এজন্য তাদের নেতাদের সাজানো মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে এবং তাদের উপর এই নির্যাতন। আমি তাদের বিশ্বাস নিয়ে কোন মন্তব্য করবো না তবে এইখানে আমার একটু কথা আছে। আপনারা একটু আওয়ামী লীগ এর প্রথম শাসন আমল এর অব্যস্থা একটু পড়ে দেখেন। তখন লীগ সরকার হাজার হাজার গন বাহিনীর সদস্য হত্যা করেছে, নির্যাতন করেছে। আরে আব্দুল কাদের মোল্লাকে তো তাও একটা ট্রায়াল দিয়ে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। সিরাজ শিকদারকে তো ডিরেক্ট । কারন গন বাহিনী ছিল তাদের ক্ষমতার একমাএ থ্রেট। ৭২-৭৫ এ যেকারনে বামপন্থি তথা নাস্তিকদের উপর লীগ সরকার এর খড়গ হস্ত উঠেছিল। ঠিক একই কারনে জামায়াত শিবির এর উপর উঠেছে। ইসলামি দল হওয়ার জন্য জামায়াতকে লীগ সরকার পেটাচ্ছে না। কারনটা পরিষ্কার যদি জামায়াত না থাকে বিএনপি এর পক্ষে লীগ সরকারকে ক্ষমতায় থেকে নামানো এবং ক্ষমতায় যাওয়া দুটিই খুবই কঠিন। এখানে মূল ব্যাপার ক্ষমতা। আদর্শ কোন ব্যাপার না। যদি জামায়াত এর মত অবস্থানে এরশাদ চাচা থাকত তাহলে লীগ সরকার এরশাদ চাচাকে ও একই ভাবে পেটাতো।
আপনারা যা ভাবছেন কতটা সঠিক আল্লাহ মালুম।
বিষয়: বিবিধ
২৬২২ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ।
৭০এর দশকে বামেরা সরাসরি গলাকাটার রাজনীতি করেছে কিন্তু জামায়াত সেটা করছেনা।
ধরুন আপনাকে আমি আমার শত্রু মনে করি কিন্তু আপনি সরাসরি আমাকে আঘাত করেন না এমতাবস্থায় আপনার প্রতি আমি যতই নারাজ হইনা কেন ভেবে চিন্তে পদক্ষেপ নিব। কিন্তু যদি আপনি আমার গায়ে হাত তুলেন তখন ছেড়ে কথা বলব কোন দুঃখে?
আর একটা বিষয় হল আমাদের দেশের ইসলামী ব্যক্তিরা সবার কাছে সম্মানিত তাই তাদের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক কিছু করলে আপন ঘর থেকেই প্রতিবাদ শুরু হবে। বামপন্থীরা কখনই সমাজের মানুষের আস্থাভাজন হতে পারেনি। তারা আইন হাতে তুলে নিয়েছিল দেশের অধিকাংশ মানুষ বামদের লীগের চেয়েও নিকৃষ্ট মনে করত।
বাম সর্বহারাদের নিজের চোখে দেখেছি। বঞ্চিতদের অধিকারের কথা বলে তারা যে কত মানুষের হক ছিন্তাই করেছে এবং কত নারীর ইজ্জত লুটেছে তার ইয়াত্তা নাই।
দেশের লোক যতই আওয়ামি বিরোধী হোকনা কেন যখন তারা দেখবে গলাকাটা কমিউনিস্টদের আওয়ামিলীগ নিয়ন্ত্র করছে তখন জনগণ আওয়ামীলীগকে ক্ষণিকের জন্য হলেও সাধুবাদ দিবে।
আজ যদি ইনুকে মন্ত্রীসভা থেকে বাদ দেয়া হয় তাহলে দেখবেন অনেক আওয়ামী বিরোধী লোকও তাদের সাধুবাদ জানাবে।
বাঙ্কিমুন আর কেরীরা জামায়াতের পক্ষে নয় বরং একজন নিরপরাধ মানুষকে যে অন্যায় ভাবে জুডিশিয়াল কিল করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে কথা বলেছিল। আব্দুল কাদের মোল্লাকে একবার ফাঁসি দেয়া গেলে ৭১ এর ভূমিকার জন্য আমেরিকাকে ১০০ বার ফাঁসি দেয়া যায় বিষয়টা ভুল্লে হবেনা।
তাছাড়া দিন বদলে গেছে তাই কাউকে হত্যা করতে হলেও একটা যুক্তি খুজতে হয় যেমনটা বিন লাদেনের ক্ষেত্রে তারা করেছে।
ধন্যবাদ।
প্রথমত, সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য জামায়াত অন্তরায়।
দ্বিতীয়ত, ইসলামী দল হবার কারণে জামায়াত কে নির্যাতন করে কাবু করা যাচ্ছেনা।
এরশাদ শাহেবকে নির্যাতন করার দরকার হয়নি, তিনি ধমকেই কাবু হয়েছেন।
বিএনপিকে পিটানোর দরকার হয়নি, জেলের ভয়েই তারা কাবু হয়েছে।
বেয়াড়া জামায়াতকে ধমক, জেল, নির্যাতন, হুমকি, হত্যা, লোভ, প্রলোভন এ সবের কোনটাতেই কাজ হয়নি। তাই সরকার তাদের উপর শতগুন গোস্বা নিয়ে হাজির হয়েছে। অনেকের দৃষ্টিতে হয়ত জামায়াত ইসলামী দল নয়; তবে জামায়াত উপরের এসব নৈতিক শক্তি অর্জন করেছে ইসলাম থেকে। সেজন্য সরকার ইসলামের নৈতিক মূল্যবোধ কে আরো বেশী ভয় করে। আর ভয়ের দূর করার অস্ত্র হল নির্যাতন। তাই কখনও তারা সমজিদ, মাদ্রাসায় হামলে পড়ে কখনও দাড়িওয়ালা মানুষ দেখলেও ভয়ে আৎকে উঠে।
বামপন্থিরা নৈতিকতার দাবী করলেও চারিত্রিক কোন নৈতিকতায় তারা দৃঢ় নয়। অন্তত ইতিহাস তাই বলে! তাদের নৈতিকতা, কাজ ও বক্তৃতার মাঝে সীমাবদ্ধ। তদুপরি শুরুতে তারা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করতে পারে এবং অসহায় জনগন তাদেরকে বিশ্বস্থ ভাবে। আর বামপন্থীদের এই যোগ্যতাকে ইস্যুবাদী সরকারকে ভাবিয়ে তুলে। ফলে তারাও আক্রমনের শিকার হয়।
আমার নিজের এবং অভিজ্ঞতা হল - জামায়াত সঠিক ইসলাম চর্চার জন্যই আজকের এই অবস্থা। তার পরও আপনাকে মোবারকবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন