স্বাধীনতা, চেতনা, রাজাকার ও নাস্তিক
লিখেছেন লিখেছেন চিলেকোঠার সেপাই ০১ এপ্রিল, ২০১৪, ১২:০৭:০০ রাত
স্বাধীনতার মাস চলে যাচ্ছে।৪৩ বছরের স্বধীনতা। খুবই সহজ প্রশ্নের উওর কেউ জানেন না।প্রশ্ন গুলো কেউ তুলেনও না।জানি না কেন।
প্রথমত, আমরা কেন স্বধীনতা চাইলাম?????? আমরাই পৃথীবির একমাএ জাতি যারা মেজরিটি মাইনরিটির কাছ থেকে স্বধীনতা চেয়েছে।ব্যাপারটি কেমন?? এবং কেন??
আরও সহজ ভাবে আওয়ামী লীগ কেন স্বধীনতা চাইবে?? অথবা আদেও তারা স্বধীনতা চেয়েছিল কি? ৭ মার্চ এর ভাষণে শেখ মুজিবুর রহমান জয় বাংলার পরে জিয়ও পাকিস্থান ও বলেছিলেন। আর আওয়ামী লীগ এর পক্ষে স্বধীনতা চাওয়ার যুক্তি কি? তারা ছিল পাকিস্তানের মেজর পার্টি এবং তারা পুরো পাকিস্তানের ক্ষমতায়ই যেত।আর সে সময়( ৭১) শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ মার্চ পর্যন্তই সমঝতার চেষ্টা করেছেন। গ্রেফতারের আগে স্বধীনতার ব্যপারে সহায়তা চয়ে ভারতের সাথে কোন যোগাযোগ করেন নাই।অনেকে দাবি করেন করেছিলেন। এই বিতর্কটি পরিষ্কার করতে একটু খেয়াল করে পড়ুন, শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী, ১৯৭১ সালের ৬ই নভেম্বর কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে একটা লেকচার দিয়েছিলেন, সেই বক্তৃতায় তিনি আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে কী বলেছিলেন ?
"আলোচনা শুরু হলো। শেখ মুজিব কিংবা তার দলের সাথে আমাদের কোন যোগাযোগ ছিল না। কাজেই আমরা জানতাম না সেখানে আসলে কী হচ্ছে। তবে খবরের কাগজ পড়ে জানতে পারি যে একটা আলোচনা চলছে। পরে, আরো অনেক পরে, সত্যি বলতে কি এখানে আসার এক সপ্তাহ আগে একজন লোকের সাথে আমার সাক্ষাৎ হয় যিনি ঐ আলোচনায় শরীক ছিলেন। এই লোকটি জানালেন যে ২৪শে মার্চ তারা ধারনা করেছিলেন যে একটা সমাধানে
পৌছতে যাচ্ছেন। সেই সমাধান (পূর্ব বাংলার জন্যে) খুব সন্তোষজনক না হলেও আপাতত কাজ চালানো যাবে। কিন্তু বাস্তবে এই সময়টিতে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সৈন্য আনা হয়।"
আর ৭১ এ কত জন মানুষ শহীদ হয়েছেন ?
মুজিব নগর সরকারের অ্যাম্বাসেডর নুরুল কাদের তার ২৬৬ দিনে স্বাধীনতা বইয়ে লিখেছেন তিনি ভুল করে ১ মিলিয়নকে ১ লক্ষ মনে করে ৩ মিলিয়ন বলেছিলেন।স্বাধীনতার পর মুজিবুর রহমান বিচারপতি আবু সাইদ ও আসাফ উদ দ্রৌলাকে শহীদের তালিকা করার দায়িত্ব দেন তারা ২ বছরে মাএ ৬০,০০০ এর তালিকা করতে পারেন বলে জানা যায়। তার পর আর কাজ আগায়নি। টাইমস অব ইন্ডিয়া বলে ২ লক্ষ ৬৬ হাজার মত মারা গেছেন। সংখ্যাটি আসলে কত আমরা জানি না। সত্যটি আমরা কেউই জানি না। একটা জাতি কখনও মিথ্যার উপর থাকতে পারে না।
৩ চেতনা ও চেতনা ব্যবসা।স্বধীনতার মূল চেতনা কি ছিল?? অনেক চেতনার ব্যপারে অনেক কথা বলেন। আমি যেটা বুঝি মুজিব নগর সরকার এর যে ৩টি মূল নীতি ছিল তাই মূল স্বধীনতার চেতনা। সেগুলো হল এক Equity দুই Democracy এবং তিন Social Justice। এই তিন মূল নিতির কথা কেউ বলেন না।
ধর্ম হীনতা, কমিউনিজম, বিজাতীয় প্রথাকে স্বধীনতার চেতনা বলে প্রচার করা হচ্ছে। ধর্ম পালন করলেই তাকে স্বধীনতার চেতনা বিরোধী ও পাকিস্তানের দালাল বলে কষে গালি গালাজ ।
জাপানে আমেরিকা এটম বোমা মেরে লক্ষ মানুষ সেকেন্ডে শেষ করে দিয়েছিল। এমনকি এখনও তার ক্ষতিকর প্রভাব যায়নি। এর জন্য কি জাপান আমেরিকাকে গালি দিয়ে বসে আছে? তারা এখন সবচেয়ে ঘনিস্ট মিএ। ভিয়েতনাম ও আমেরিকা এর ক্ষেএও ব্যপারটি একই। ভিয়েতনাম ও আমেরিকা যুদ্ধ এর সময় চীন ছিল ভিয়েতনাম এর বন্ধু।এখন কৌশল গত কারনে আমেরিকাই বন্ধু আর চীন শএু। ইন্টারন্যাশনাল পলেটিক্স এ চির বন্ধু অথবা শএু বলে কিছু নেই। আমদের লাভ আগে হিসাব করতে হবে।অথচ ৪৩ বছর পরে স্বধীনতার ধুয়া তুলে যা করা হচ্ছে। আর ভারতের দাদাগিরির সমালোচনা করলে সেই পাকিস্তানের দালাল আর ৭১ এর ধুয়া।এই চেতনার নামে দেশকে ২ ভাগ করে ফেলা হয়েছে।যার ফল চোখের সামনে আমরা দেখতে পাচ্ছি। কিছু বললে হয় রাজাকার অথবা নাস্তিক বলে গালি শুনতে হবে। আমার মত কিছু সৌভাগ্যবান দের আবার দুইটিই।
এগুলোর সমাধান হওয়া দরকার।এভাবে চলতে পারে না।কারন দেশটা আমাদের সবার।
আরও অনেক কথা ছিল। আজ এতটুকুই থাক।
মনেরে আজ কহ যে
ভাল মন্দ যাহাই আসুক
সত্যরে লও সহজে।
বিষয়: বিবিধ
১২৪৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন