মেঘনায় লঞ্চডুবি-উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা- অবশেষে ৫৪ টি লাশ উদ্ধার॥ লাশ গুমের অভিযোগ॥ উদ্ধার তৎপরতায় সংশ্লিষ্টদের বিচার দাবি
লিখেছেন লিখেছেন রৌদ্র ইকতিয়ার ১৭ মে, ২০১৪, ১০:১৭:৪২ রাত
মোঃ সুমন ইকতিয়ার রৌদ্র : বেলা ১টা বেজে ৪০ মিনিটে আধা ডুবন্ত লঞ্চ এমভি মিরাজ-৪ পুর্ণাঙ্গভাবে মেঘনায় ভাসানো হয়। আর লঞ্চ ভাসানোর সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ হতে থাকে লাশের সারি। শনিবার বেলা ১টায়ও লাশের সংখ্যা ছিল ৪৫টি কিন্তু বেলা দেড়টায় লঞ্চ ভাসানোর পর লাশের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৪টিতে। এতে করে ডুবুরি, নৌবাহিনীসহ সংশ্লিষ্টরা ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন লাশ উদ্ধারে। একটি লাশ উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যাচ্ছেন অপেক্ষমান স্বজনেরা। তাদের আর্তনাদে মেঘনার পাড় পরিণত হয় শোক নদীতে
নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানের বিচার দাবি করেছেন মেঘনায় লঞ্চ ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের স্বজনেরা। উদ্ধার কাজ অসমাপ্ত রেখে উদ্ধার কাজ সমাপ্তির ঘোষণা এবং সঠিক ভাবে উদ্ধার কাজ পরিচালনা না করার অভিযোগে নৌমন্ত্রীর বিচার দাবি করেন তারা। শনিবার সোয়া ১০টার দিকে লাশ না পাওয়া উত্তেজিত স্বজনেরা মেঘনার পাড়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এ দাবি জানান। শরীয়তপুর থেকে আগত মুজিবুর রহমান জানান, লঞ্চটি ডুবেছে বৃহস্পতিবার ৩টা ১৫ মিনিটি। এরপর উদ্ধারকারী একটি জাহাজ আনা হলেও লঞ্চটি উদ্ধার করার জন্য যথাযথ কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। নৌমন্ত্রী ইচ্ছা করলে লঞ্চ ডুবির ২ ঘণ্টার মধ্যে ছোট এ লঞ্চটি ডাঙায় তুলতে পারতো বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার থেকে যে কয়টি লাশ তোলা হয়েছে তার সবগুলোই বিক্ষিপ্তভাবে কাটাছেড়া করা। বিশেষ করে বুক থেকে পেট পর্যন্ত ফেড়ে নাড়িভুড়ি বের করা। এটা কখনোই হতে পারে না। তাছাড়া লঞ্চ ডুবির পর প্রায় ৫০ ঘণ্টা অতিবাহিত করা হলো শুধু শুধু।
তিনি বলেন, আমার ছোট ভাই আসাদুজ্জামান নিন্টো শরীয়তপুর আব্দুর রাজ্জাক কলেজের পিন্সিপাল। তিনি এ লঞ্চটির ১৯ নম্বর কেবিনে ছিলেন। লঞ্চটি যখন ডুবে যায় তখন আমাকে ফোন করে বললো, ‘ভাই আমার লঞ্চ ডুবে যাচ্ছে’। তার ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পার হলেও তার লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যর্থতার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্বজনহারারা নৌপরিবহনমন্ত্রী ও উদ্ধার তৎপরতায় সংশ্লিষ্টদের বিচার দাবি করেছেন।
ডুবে যাওয়ার প্রায় ৫৬ ঘণ্টা পরে এমভি মিরাজ-৪ এর উদ্ধার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখনো এমভি মিরাজ ও এর আশপাশের এলাকায় লাশ খোঁজা অব্যাহত রয়েছে। লঞ্চের ভেতরে আরও লাশ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে উদ্ধারকারী ডুবুরিরা জানান, লঞ্চটিকে পানি থেকে সম্পূর্ণ উপরে তুলে তার ভেতরে তন্নতন্ন করে অভিযান চালানো হয়েছে। এখন তীরের কাছে নেওয়ার সময় আবারও খোঁজা হবে অবশিষ্ট কারও লাশ রয়ে গেছে কিনা।
গজারিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার ড. এটিএম মাহবুব করিম জানান, ৫৪টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে যাবো। স্বজনদের লাশ প্রতি ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত মোট ৫৪ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ৫৪ লাশের মধ্যে ৫৪ জনের লাশ শনাক্ত শেষে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ জন পুরুষ, ১৩ জন নারী এবং ১১ জন শিশু কে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ডুবে যাওয়ার তিন দিন পর অবশেষে জলের ওপর ভাসানো হলো এমভি মিরাজ-৪। লঞ্চ ডুবির পর থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ও নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজনের চেষ্টায় শনিবার দুপুরে এমভি মিরাজকে জলের ওপর ভাসানো গেছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান শামসুদ্দোহা আনুষ্ঠানিকভাবে এ উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ দফতর সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস ও মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাইফুল হাসান বাদল বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ড. সামছুজ্জোহ খন্দকারের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং নিখোঁজ যাত্রীদের খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চালাতে চাপ প্রয়োগ করলে অবশেষে সমাপ্ত ঘোষণা দেওয়ার সোয়া এক ঘণ্টা পর তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
উদ্ধার কাজের সমাপ্তি ঘোষণার পর বেলা সাড়ে তিনটায় নিখোঁজ মেয়ে কল্পনা আক্তারের ছবি নিয়ে মেঘনা পাড়ে গড়াগড়ি করছেন বাবা অব্দুল করিম। আব্দুল করিমের বাসস্থান ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জে। মেয়ে কল্পনা আক্তার (১০) স্বজনদের সঙ্গে শরীয়তপুরে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। এর আগে কোনো দিন লঞ্চে চড়া হয়নি কল্পনার। এবারই প্রথম এমভি মিরাজ-৪ এর যাত্রী হয়েছিলো সে। জীবনের প্রথম যাত্রাই অনন্তকালের যাত্রায় পরিণত হলো কল্পনার। কল্পনার বাবা আব্দুল করিম বলেন বলেন, গত দুই দিনে অনেক পেট ফাঁড়া লাশ তোলা হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন এসব লাশের পেট ফাঁড়লো কে? কেন?
মো. নাঈম ক্ষিপ্ত কণ্ঠে বলেন, এতোদিন শুনেছি, পানিতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে লাশ গুম করার জন্য বা নিহত যাত্রীর হিসাব কম দেখানোর জন্য পানির নিচে লাশের পেট ফেঁড়ে নাড়ি-ভূড়ি বের করে দেওয়া হয়, যাতে লাশ ভেসে না ওঠে। কিন্তু এখানে নিজের চোখে পেটফাঁড়া লাশ দেখতে হলো।
মো. নাঈম আরো বলেন, গত বৃহস্পতিবার অফিস করে সবাই গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। ওই লঞ্চে কমপক্ষে সাড়ে তিনশ’ যাত্রী ছিলেন। কিন্তু লাশ পাওয়া গেছে মোট ৫৪ জনের। এছাড়া জীবিত উদ্ধার হয়েছেন মাত্র ৬০ জনের মতো। সব মিলিয়ে একশ’ জনেরও হিসাব পাওয়া যাচ্ছেন না। তাহলে বাকি যাত্রীরা কোথায় গেলেন?
তবে মেঘনার তীরে লাশের আশায় অপেক্ষমাণ অর্ধশতাধিক মানুষের দাবি, তাদের স্বজনদের লাশ প্রশাসন গুম করেছে। কারণ, এখানে লঞ্চ উদ্ধারের জন্য যে জাহাজ আনা হয়েছে তা অনেক শক্তিশালী। ইচ্ছাকৃতভাবে এ উদ্ধার অভিযানে তিনদিন লাগানো হয়েছে। তারপরও আমাদের স্বজনদের লাশ দেওয়া হচ্ছে না। মেঘনার পাড়ে লঞ্চডুবিতে বহু লাশ গুমের অভিযোগ করছেন স্বজনহারাদের আত্মীয়রা। তাদের দাবি, এমভি মিরাজ-৪ নামক লঞ্চটিতে তিনশ’রও বেশি যাত্রী থাকলেও প্র্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে, এক থেকে দেড়শ’ যাত্রী ছিলেন।
শরীয়তপুর থেকে আসা রেজোয়ান উদ্দিন নামের আরেক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, প্রশাসন তাদের ব্যর্থতা ঢাকতে লাশ গুম করে দিয়েছে। তারা ইচ্ছা করে উদ্ধারকাজ বিলম্ব করে আমাদের ঠকিয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। তবে আমরা নিহতের লাশ পাওয়ার অধিকার রাখি। তাছাড়া কয়েকটি লাশের পেট কাটা অবস্থায় পাওয়া গেছে। এগুলো কে করলো? প্রশ্ন তার।
রেহানা নামের এক নারী অভিযোগ করেন, তিন দিন পর লঞ্চটিকে যেভাবে উদ্ধার করে যেভাবে রাখা হয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে না যে, লঞ্চের মধ্যে আর কোনো লাশ আছে কি-না। লঞ্চটি যদি ভাসিয়ে দেওয়া হতো তাহলে আমরা বুঝতাম, তার মধ্যে আর লাশ নেই। তখন আমরা বাড়িতে চলে যেতাম।
স্বজনদের অভিযোগ লাশ পেট ফুলে নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে। তার প্রমাণ হিসেবে স্বজনদের অভিযোগ শনিবার সকালে ৩টি লাশ পেয়েছে যে লাশের পেট ফেড়ে দেয়া ছিল। অপরদিকে অপেক্ষমাণ স্বজনদের একটিই অভিযোগ যে প্রত্যয় কর্তৃপক্ষ প্রত্যয় চালানোর মতো তাদের দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা নেই। অদক্ষ লোক দিয়ে উদ্ধার কাজ চালানোর ফলে দীর্ঘ সময় লেগেছে লঞ্চটিকে উদ্ধার করতে। ফলে আমাদের স্বজনদের লাশ হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশী বলে মনে করেন তারা।
বাবা তুই কেন অন্যের লঞ্চে মরতে আসলি। কেন নিজের লঞ্চে আসলি না, চলো গো আমার বাবারে বিছরাই, বাবা মরে নাই, বাবা বাইচা আছে। এই আহাজারি কলি আক্তারের (২৫)। মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া লঞ্চ এমভি মিরাজ-৪-এর নিখোঁজ যাত্রী আনোয়ার হোসেন ঢালী কলির বাবা। নিখোঁজ আনোয়ার হোসেন ঢালীর জন্মস্থান শরিয়তপুর জেলার সুরেশ্বরের গোয়ালপাথান গ্রামে। তিনি ঢালী শিপিং লাইনস’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং ৬টি লঞ্চের মালিক। নিজের লঞ্চে নয়, এমভি মিরাজ-৪-এর ৬ নম্বর কেবিনের যাত্রী ছিলেন তিনি।
বাবাকে না পেয়ে পাগল প্রায় বড় মেয়ে কলি আক্তার। কলি আক্তারকে স্বজনেরা সান্তনা দেওয়ার যেন ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। অনেক সময় জ্ঞান হারিয়ে প্রলাপ বকতে থাকেন কলি আক্তার। কলি এ সময় বলেন, তোমরা লঞ্চ ভালো কইরা বিছরাও বাবারে পাওয়া যাইবো। বাবারে মায়ের কাছে নিয়া যামু। গরম লাগে বইলা বাবা চুলডিরে ছোট ছোট করছে। বাবা গরম সইতে পারে না হের লাইগ্গা সাদা টিস্যু জামা পরছে। বাবা মরতে পারে না, বাবা জিন্দা ভাইসা উঠবো।
শনিবার বেলা ১২টা নাগাদ ঢালীর লাশ উদ্ধার করা হয়নি। প্রায় শতাধিক স্বজন মেঘনা পাড়ে লাশের অপেক্ষায় আছেন। সঙ্গে সঙ্গে আধা ডুবন্ত লঞ্চটি ভাসানোর দাবি করছেন স্বজনেরা। স্থানীয় সূত্র জানায়, এখনও অনেক যাত্রীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। স্বজনরা তাদের সন্ধানে গত ৩দিন ধরে মেঘনার পাড়ে চষে বেড়ালেও সন্ধান পায়নি স্বজনেরা। দৌলতপর এলাকায় স্বজনরা অপেক্ষা করছে তাদের প্রিয় ভাই অথবা বোনটির লাশের জন্য।
কর্তপক্ষের কাছে ১৫জনের তালিকা রয়েছে যাদের লাশ এখনো পাওয়া যায়নি। তারা হলো আনছার উদ্দিন সর্দার (৬০), আফসানা বেগম (২০), মুসা শেখ (২৬), ইব্রাহীম খলিল (৩০), মো: মুন্না (২৮), মিয়াজু (৬৫), কালিম উদ্দিন চৌধুরী (৭০), কল্পনা (১৩), আবু কালাম ছৈয়াল (৪৫), রাজীব ছৈয়াল (২২), পায়েল আক্তার (১৫), আনোয়ার হোসেন ঢালী (৪৫) যিনি ৬টি লঞ্চের মালিক, কাঞ্চন হাওলাদার (৩৫), রতন মৃধা (৩৪), মো: খলিল (২৮), সজিব চৌকিদার (২৪), আসাদুজ্জামান (৩৩), লিপি আক্তার (১৮)। এদের স্বজনরা এখনো দৌলতপুর চরে বসে লাশে অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। এই বুঝি তাদের লাশটি পাওয়া যাবে।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত মোট ৫৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ৫৪ লাশের মধ্যে ৫৪ জনের লাশ শনাক্ত শেষে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা হলেন, জুলহাস হোসেন (৩৪), মোশারফ দেওয়ান (৩৫), জামাল শিকদার (৫০) ও তার ছেলে আবির (১১), সেতারা বেগম (৫৫), টুম্পা বেগম (২৬), শিশু মাহি, শিশু সুমনা, জলিল মালত (৫০), মানিক (১৪), আব্দুল্লাহ আল রেদওয়ান (৪০), রাফিয়া বেগম (৬০), খোরশেদ আলম খোন্দকার (৭৫), ওসমান গণি মোল্লা (৭০), ইসমাইল ফকির (৬০), কৃষ্ণ কমল দাস ৫০, আব্দুল জলিল (৫৫), তাসলিমা আক্তার রিয়া (২৫), রাশিদা বেগম (৫৬), লাইলী বেগম (৫৫), ঋতু (২৪), আব্দুল মান্নান দেওয়ান (৬৫), লক্ষ্মী দাস (৮৫), রজিয়া (৩২), শিশু রুমান, আব্দুল জলিল খান (৭০), মিন্টু সুখানী (৪০), মাসুম (৩৮), রিমা আক্তার (৩২), আহসানুল্লাহ কবিরাজ (৫৫), আরিফ রিসাত (১১), মিন্টু (২৭), রফিকুল ইসলাম (৪৫), নাঈম (১১), সায়েত ঢালী (৩৫), মেহরাজ খন্দকার (১২), শিরিন শিলা (২৪), আল আমিন (৭), সুমন বেপারি (২৭), বিউটি বেগম (২৩) লিটন মল্লিক (২৩), আব্দুুস সালাম (৪৫), মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম সরদার (৪৫)। ১০ জনের নাম জানা যায়নি।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গজারিয়া উপজেলার দৌলতপুর গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মর্মান্তিক এ লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে। সদরঘাট থেকে দুপুর একটার দিকে শরীয়তপুরের সুরেশ্বরের উদ্দেশে রওনা হয় এমভি মিরাজ-৪ লঞ্চটি। পথে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে। এতে মাত্র ৩ মিনিটের মধ্যে লঞ্চটি ডুবে যায়।
বিষয়: বিবিধ
১৬৪০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অবৈধ জঙ্গি--লীগের ক্ষমতায় সবই সম্ভব
মন্তব্য করতে লগইন করুন