শ্বশুরবাড়িতে পর্দা করতে কি খুব কষ্ট করতে হয়? আল্লাহর সাহায্যই আমাদের একমাত্র অবলম্বন॥
লিখেছেন লিখেছেন মারইয়াম উম্মে মাবরুরা ২৩ মার্চ, ২০১৪, ১২:৫৩:০৩ দুপুর
বিয়ের পর নববধূ হয়ে যখন শ্বশুর বাড়িতে যাই, তখন পর্দাহীন পরিবেশের সাথে নিজেকে পর্দার মাঝে রাখা অনেক কষ্টকর হতো। যদিও সংসার স্বামী আর শ্বাশুড়ি ছাড়া আর কেউ ছিলনা। কিন্তু যখন বড় দুই ভাশুর আসতেন, তখন বলা হতো বড় ভাই তো হয়, সামনে গেলে কিছু হবেনা। অথচ ভাশুর কখনো মাহরাম হয়না, তাদের সামনে পর্দাহীনভাবে যাওয়া ইসলামে কঠোর ভাবে নিষেধ করে এই কথাটি ঐ সময় বুঝাতে অনেক কষ্ট হয়েছিলো। এমন ও সময় গিয়েছে সারাদিন বোরকা পড়েই থাকতে হয়েছে। যে কোনো বিয়ের অনুষ্টান,ঘরোয়া কোনো পরিবেশে কখনোই পর্দাকে লঙ্গন করিনি, যদিও নিজেকে বাঁচানো অনেক কষ্টকর হতো। কিন্তু আজ এমন একটি পরিস্থিতিতে এসেছি যে, সবাই বুঝে এই মেয়েটি পর্দা করে চলার চেষ্টা করে, তাকে সাহায্য করা উচিত। তাই বড় ভাইয়ারা যখনি বাসায় আসে ভিতরে ঢুকার পূর্বেই জিজ্ঞেস করে আমি আছি কিনা! থাকলে আমি যেন ভিতরে চলে যাই। আল্লাহর রহমতে ননদের স্বামী, ভাশুরদের সামনে কখনোই পর্দার লঙ্গন হয়নি। আমি শুধু চেষ্টা করেছিলাম গুনাহের পরিবেশের মাঝেও আল্লাহর হুকুম মেনে চলার। সাহায্য তো একমাত্র আল্লাহ করেছেন।
তাই জীবনের কঠিন কোনো মূহূর্তেও এখন আর হতাশা কাজ করেনা। মনের মাঝে প্রশান্তি আসে এই ভেবে যে, আল্লাহতো মুমীনের সাথে সর্বদাই আছেন। তিনি থাকতে কিসের ভয়, আর কিসের পেরেশানী? আল্লাহ যার সাথে থাকেন তার কোনো ভয় নেই, কোনো পেরেশানী নেই।
হৃদয়ের আকুতি একটি, তিনি যেন সর্বদা তার রহমতের দৃষ্টির মাঝে আবদ্ধ রাখেন আমায়। আমাদের কে তিনি যেন পরিপূর্ণ রুপে পর্দা করে চলার তৌফিক দান করেন।
বিষয়: বিবিধ
১৫৫৬ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ
ভালো লাগলো
অনেক ধন্যবাদ
আল্লাহর রহমত যেন আপনার এবং আমাদের সবার উপরে থাকে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন