যারা বলে ইসলাম নারীকে সঠিক মর্যাদা দেয় নি তাদের প্রতি করুনা ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই — পর্ব ২

লিখেছেন লিখেছেন শুভ্র আহমেদ ১০ অক্টোবর, ২০১৪, ০৬:১৮:৩৪ সন্ধ্যা

প্রাচীন কালে ঘুরে আসা যাক। আমরা প্রাচীন কালে কল্পনা করে আমাদের পূর্ব পুরুষদের গুহায় আবিষ্কার করতে পারি, আরো কল্পনা করতে পারি তাদের পোষাক নিয়ে। তারা কি পোশাক পড়ত? নাটক, গল্প, উপন্যাস, সিনেমা, প্রবন্ধ সব যায়গায় যে জিনিসটা আমরা পাই তা হল গাছের পাতা, পশুর চামড়া ইত্যাদি। আস্তে আস্তে পোশাকের বিবর্তন ঘটল, বিবর্তন ঘটতে ঘটতে এক সময় মানুষ সুতা দিয়ে কাপড়ও বুনতে শুরু করল। সে কাপড় শুধু লজ্জা স্থান আবৃত্তের জন্য ব্যবহৃত হল। এক সময় যার যতো বড় পোশাক সে ততো ধনী, সুন্দর হয়ে উঠল।   যাই হোক, আলোচনায় আসা যাক, আলোচনার বিষয় হিজাব।

হিজাব কি? 

হিজাব অর্থ দুটি বস্তুর মধ্যে পর্দা, বাধা। ইসলামিক পরিভাষায় শালিনতার স্তর, পর্যায়। শালিনতা বলতে ব্যবহার নয় বরং পোশাককে বোঝানো হচ্ছে। অর্থাৎ, পোশাকের শালিনতা বজায় রাখাকেই হিজাব বলা হয়।

হিজাব এর ইতিহাসঃ

আজকের দুনিয়ায় হিযাব, পর্দা, বোরকা ব্যবহারের রীতি রেওয়াজকে ইসলামের প্রতিভূ বলে চিহ্নিত করা হলেও দুনিয়াতে এই প্রথা সর্বপ্রথম মুহাম্মদ সাঃ আবিষ্কার করেন নি এবং ইসলামও প্রথম নারীদের উপর তা চাপিয়ে দেয়নি। হাজার হাজার বছর পূর্ব থেকে যে এই প্রথা দুনিয়ার বিভিন্ন জ্ঞানে বিজ্ঞানে উন্নত দেশে, সমাজে প্রচলিত ছিলো।

হরপ্পা মহেঞ্জোদারো যেমন প্রাচীনতম মানব সভ্যতা ছিলো, তেমন করে মেসোপটেমিয়া নামে আরেকটি মানব সভ্যতা ছিলো, খৃষ্টপূর্ব ৫হাজার অব্দ থেকে সূচনা হয়ে সে সভ্যতা খৃষ্টপূর্ব ৩হাজার অব্দে পূর্ণতা লাভ করেছিলো। 

মেসোপটেমিয়া সভ্যতা বর্তমান উত্তর ইরাকের দজলা এবং ফোরাত নামক দুই বিষম উর্বরা নদীর মধ্য ভূখণ্ডে অবস্থিত ছিলো। এই সভ্যতা অ্যাসিরিয়া নামক জাতিদের সময়ে এসে তখনকার দুনিয়ায় জ্ঞানে বিজ্ঞানে চরম উন্নতি বিকাশ করেছিলো।  সে সময়ে জ্ঞানে বিজ্ঞানে উন্নত আসিরিয়ানগণ যুদ্ধ বিগ্রহে লব্ধ পরাজিত পুরুষ মানুষকে দাস এবং নারীদের তারা দাসী বাদী রক্ষিতা করে রাখতো। দাস দাসীর এত পর্যাপ্ততা থাকায় অভিজাত নারীদের জন্য খাওয়া দাওয়া ঘুমানো আর আমোদ ফুর্তি করা ছাড়া কোন কর্ম করার দরকার ছিলোনা। এ সময় নারীদের অভিজাত শ্রেণী হিসাবে মর্যাদাবান রাখতে বাইরের চলাচল রত দাসী,বাদী,পতিতা,রক্ষিতাদের থেকে আলাদা করে রাখার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে। এই প্রয়োজনীয়তা থেকে তারা নারীদের বাইরে যাবার বিষয় আইন করে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছিলো। এই সব অভিজাত শ্রেণীর নারীরা কালে ভদ্রে বাইরে বের হওয়ার অনুমতি পেলেও- বাইরের দাসী বাদী রক্ষিতা এবং গণিকাদের থেকে পার্থক্য প্রকাশ করতে, তাদের বিশেষ পোশাক পরে মাথা এবং মুখ ঢেকে বের হতে হতো। যদি কেউ কোন কারণে মাথা মুখ না ঢেকে বাইরে বের হয়ে পড়তো তখন তাঁকে আইন অমান্য করার অপরাধে শাস্তি দেয়া হতো। এই প্রথা শুধু অ্যাসিরীয়দের মধ্যে ছিলো তা নয়, এই প্রথা সুমেরীয়, ব্যাবেলিয় পরে পার্সিদের মধ্যে প্রচলিত ছিলো।

৫৩৯ খৃষ্টপূর্ব অব্দে যখন প্রথম বারের মত পার্শিরা অ্যাসিরীয়দের রাজধানী মেসোপটেমিয়া দখল করে বিজয়ীর বেশে নগরে প্রবেশ করে, তখন রাস্তায় চলাচলকারী সাধারণ বেশভূষা পরিহিত নারীদের মধ্যে ২/১ জন নারীকে বিশেষ পোশাক পরা এবং মাথা, মুখ ঢেকে চলাচল করতে দেখে। তখন তারা জানতে পারে যে,

অ্যাসিরীয়দের অভিজাত নারীরা ঘরের বাইরে আসেনা, কোন কারণে আসলে তারা যে অভিজাত পরিবারের নারী তা পথচারীদেরকে জ্ঞাত করতে তারা তাদের মাথা এবং মুখ ঢেকে রাখে। পার্সিরাও আভিজাত্যের প্রতীক হিসাবে তাদের নারীদের মধ্যেও এই প্রথাকে গ্রহণ করে। কালক্রমে পার্সি সাম্রাজ্য বিস্তার এবং বর্ধিত আকার ধারণের সাথে সাথে নব বিজিত এলাকার অভিজাত শ্রেণীর লোকেরাএই প্রথাকে গ্রহণ করে নেয়। পরবর্তীতে পার্সিদের হাত ধরে এই প্রথা ভূমধ্য সাগরের পূর্ব পাশের দেশ সমূহ সিরিয়া, লেবানন ও উত্তর আরবে ছড়িয়ে পড়েছিলো, কিন্তু বিস্তীর্ণ মরুময় দুর্গম বালিয়াড়ি টিলা- টক্করের জন্য আরবের অন্যান্য অঞ্চলের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্গম থাকার কারণ, আরবের সর্বত্র এই প্রথা প্রসার লাভ করতে পারেনি, ইসলাম যখন পার্সি সাম্রাজ্যের অংশ বিশেষ দখল করে তখন থেকে আরবের এই এলাকার মানুষজন এই প্রথা সাথে পরিচিত লাভ করেছিলো।

ইসলামে হিজাবের নির্দেশঃ

সুরা নুরের ৩০ নং আয়াত  এ আল্লাহ্‌  বলেছেনঃ –

"হে নবী মু’মিন পুরুষদের বলে দাও তারা যেন নিজেদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে এবং নিজেদের লজ্জা স্থানসমূহের হেফাজত করে ৷ এটি তাদের জন্য বেশী পবিত্র পদ্ধতি ৷ যা কিছু তারা করে আল্লাহ তা জানেন ৷- '" 

আয়াত টিতে আল্লাহ্‌ মুমিন পুরুষদের দৃষ্টি সংযত করতে বলেছেন, নারীদের থেকে দৃষ্টি থেকে দৃষ্টিকে সংযত বা নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছেন। এছাড়াও বলেছেন, লজ্জা স্থানের হেফাজত করতে, অর্থাৎ পোশাক পরিধান করতে। এটা তাদের জন্য বেশী পবিত্র। অর্থাৎ শালিনতা শীল পোশাক পরিধান করতে বলেছেন।

নিন্মের আয়াতে দৃষ্টি দেওয়া যাকঃ

ﻭَﻗُﻞ ﻟِّﻠۡﻤُﺆۡﻣِﻨَٰﺖِ ﻳَﻐۡﻀُﻀۡﻦَ ﻣِﻦۡ ﺃَﺑۡﺼَٰﺮِﻫِﻦَّ ﻭَﻳَﺤۡﻔَﻈۡﻦَ ﻓُﺮُﻭﺟَﻬُﻦَّ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﺒۡﺪِﻳﻦَ

ﺯِﻳﻨَﺘَﻬُﻦَّ ﺇِﻟَّﺎ ﻣَﺎ ﻇَﻬَﺮَ ﻣِﻨۡﻬَﺎۖ ﻭَﻟۡﻴَﻀۡﺮِﺑۡﻦَ ﺑِﺨُﻤُﺮِﻫِﻦَّ ﻋَﻠَﻰٰ ﺟُﻴُﻮﺑِﻬِﻦَّۖ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﺒۡﺪِﻳﻦَ

ﺯِﻳﻨَﺘَﻬُﻦَّ ﺇِﻟَّﺎ ﻟِﺒُﻌُﻮﻟَﺘِﻬِﻦَّ ﺃَﻭۡ ﺀَﺍﺑَﺎٓﺋِﻬِﻦَّ ﺃَﻭۡ ﺀَﺍﺑَﺎٓﺀِ ﺑُﻌُﻮﻟَﺘِﻬِﻦَّ ﺃَﻭۡ ﺃَﺑۡﻨَﺎٓﺋِﻬِﻦَّ ﺃَﻭۡ ﺃَﺑۡﻨَﺎٓﺀِ

ﺑُﻌُﻮﻟَﺘِﻬِﻦَّ ﺃَﻭۡ ﺇِﺧۡﻮَٰﻧِﻬِﻦَّ ﺃَﻭۡ ﺑَﻨِﻲٓ ﺇِﺧۡﻮَٰﻧِﻬِﻦَّ ﺃَﻭۡ ﺑَﻨِﻲٓ ﺃَﺧَﻮَٰﺗِﻬِﻦَّ ﺃَﻭۡ ﻧِﺴَﺎٓﺋِﻬِﻦَّ ﺃَﻭۡ ﻣَﺎ

ﻣَﻠَﻜَﺖۡ ﺃَﻳۡﻤَٰﻨُﻬُﻦَّ ﺃَﻭِ ﭐﻟﺘَّٰﺒِﻌِﻴﻦَ ﻏَﻴۡﺮِ ﺃُﻭْﻟِﻲ ﭐﻟۡﺈِﺭۡﺑَﺔِ ﻣِﻦَ ﭐﻟﺮِّﺟَﺎﻝِ ﺃَﻭِ ﭐﻟﻄِّﻔۡﻞِ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ

ﻟَﻢۡ ﻳَﻈۡﻬَﺮُﻭﺍْ ﻋَﻠَﻰٰ ﻋَﻮۡﺭَٰﺕِ ﭐﻟﻨِّﺴَﺎٓﺀِۖ ﻭَﻟَﺎ ﻳَﻀۡﺮِﺑۡﻦَ ﺑِﺄَﺭۡﺟُﻠِﻬِﻦَّ ﻟِﻴُﻌۡﻠَﻢَ ﻣَﺎ ﻳُﺨۡﻔِﻴﻦَ

ﻣِﻦ ﺯِﻳﻨَﺘِﻬِﻦَّۚ ﻭَﺗُﻮﺑُﻮٓﺍْ ﺇِﻟَﻰ ﭐﻟﻠَّﻪِ ﺟَﻤِﻴﻌًﺎ ﺃَﻳُّﻪَ ﭐﻟۡﻤُﺆۡﻣِﻨُﻮﻥَ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢۡ ﺗُﻔۡﻠِﺤُﻮﻥَ ٣١ #

ﺍﻟﻨﻮﺭ : ٣١

‘আর মুমিন নারীদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করবে। আর

যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাই এর ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীগণ, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে নিজদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার’
। {সূরা আন-নূর, আয়াত : ৩১}

এই আয়াতে আল্লাহ্‌ নারীদের হিজাবের নির্দেশনা দিয়েছেন তার সাথে কাদের সামনে তারা এটা পালন করবে তাও বলে দিয়েছেন। এই হল নির্দেশনা হিজাব সম্পর্কে।

কতিপয় ইসলাম বিদ্ধেষীদের আস্ফালনঃ

কোরআন এ আল্লাহ্‌ প্রথমে পুরুষদের এরপরে নারীদের পোশাকের নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে কিছু ইসলামের বিরোধীরা নারীকেই বেছে নিয়েছে সমালোচনার জন্য। আরে ভাই সমালোচনা করবি তো দুটোই কর? তা না করে তারা নারীদের নিয়ে টানাটানি করে। এর পেছনে কারন হল তাদের অশালীন বানিয়ে নিজেদের উপপত্নী রূপে তৈরি করা।  ইসলামিক শালিনতা এতোটাই মর্যাদা সম্পূর্ণ যে, মুসলিম নারীদের আর্ট কালচারের রঙিন পর্দার আড়ালে ভোগের বস্তু হিসেবে তৈরি করতে পারে না। সেই জের ধরেই তাদের নানান অযৌক্তিক পদ্ধতি অবলম্বন করে। যেহেতু, পুরুষের হিজাব নিয়ে তাদের মাথা ব্যথা নেই তাই যেটা নিয়ে মাথা ব্যথা সেটা নিয়েই আলোচনা চালাতে হবে।

 

শালিনতার লেভেল একে স্থানে একেক রকমঃ

শালিনতার লেভেল একেক যায়গায় স্থান ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন ধরুন পশ্চিমা সমাজে একজন নারী যা খুশী তাই পড়তে পারে। যেমনঃ মিনি স্কার্ট, বিকিনি, প্যান্ট -সার্ট, ইত্যাদি। তারা যে কোনো পুরুষের সাথে হ্যান্ড শেক করতে পারে, চুমু খেতে পারে এটা স্বাভাবিক। কারো কারো কাছে আবার এরকমটা না করাটাই অশালীনতা।

আবার ভারতে বা বাংলাদেশে দেখুন। শাড়ি, থ্রি-পিছ, ফোর - পিছ, লেহেঙ্গা  পড়তে পারবে, তবে হাত মেলানো  খাওয়া চূড়ান্ত অশালীনতা। আবার আরব দেশ গুলোতে একজন পুরুষের সাথে অন্য পুরুষ কথা বলাটাই একটি অশালীনতা। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, অশালীনতার স্তর ভিন্ন। একই ভাবে ইসলামেও একটি শালিনতার স্তর বেধে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, সব শালিনতা কল্যাণকর নাও হতে পারে।

ইসলামিক হিজাবের নিয়মঃ

কিছু ছবি দেখা যাক।











হিজাবের বৈজ্ঞানিক উপকারিতাঃ

ultraviolet (UV) radiation সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে ক্ষতিকর তাপের কারনে ত্বকের ক্ষতি হয়ে থাকে। যার ফলে স্কিন ক্যান্সারজনিত রোগে বা স্কিন ড্যামেজ হতে পারে। আমেরিকায় ৩.৫ মিলিয়নের বেশী নারী স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত। [১] 

{ MELANOMA -  ম্যালানোমা }

প্রতি ৬২ মিনিটে একজন মানুষ মারা যায় ম্যালানোমা রোগে আক্রান্ত হয়ে।  [২]  

" About 65 percent of melanoma cases can be

attributed to ultraviolet (UV) radiation from the

sun.
"  [২]

ম্যালানোমা রোগের সম্ভাবনা মেয়েদের বেশী হয়ে থাকে। তাদের ত্বক কোমল আর বেশী নার্ভ ফাইবার  থাকার দরুন। মেয়েদের ত্বকের প্রতি স্কয়ার সেন্টিমিটার এ ৩৪  নার্ভ ফাইবারস আর পুরুষের মাত্র ১৭।।

ScienceDaily (Oct. 25, 2005) — 

For centuries, it has been generally believed women are the more sensitive gender. A new study says that, when it comes to pain, women are in fact more sensitive. According to a report

published in October's Plastic and Reconstructive Surgery®, the official medical journal of the American Society of Plastic Surgeons (ASPS), women have more

nerve receptors, which cause them to feel pain more intensely than men.

"This study has serious implications about how we treat women after surgery as well as women who experience chronic pain," said Bradon Wilhelmi, MD, ASPS member and author of the study. 

"Because women have more nerve receptors, they may experience pain more powerfully than men, requiring different surgical techniques, treatments or medicine dosages to help manage their pain and make them feel comfortable."

According to the study, women averaged 34 nerv fibers per square centimeter of facial skin while men

only averaged 17 nerve fibers.
  Despite psychosocial expectations for men to be tougher than women when feeling pain, these findings illustrate that women's lower pain tolerance and threshold are physical . "Eighty-seven percent of the 9.2 million cosmetic surgery

procedures performed last year were on women," said

Dr. Wilhelmi. "The ability to minimize pain often affects a patient's perception of their results. We hope this data will give new perspective on how to better treat post- operative pain in women."

Currently, 15 to 20 percent of the U.S. population

suffers from acute pain, says Dr. Wilhelmi, while 25 to 30 percent suffer from chronic pain.
  "  [৩]

ম্যালানোমা রোগ পুরুষের চেয়ে নারীদেরই বেশী ক্ষতিকরে থাকে।

Melanoma appears to have a stronger overall impact on women than men, according to a new report. In a study of 562 men and women published this month in the Archives of Dermatology, Dutch researchers evaluated the health-related quality of life of melanoma survivors. Subjects filled out several questionnaires, including the Impact of Cancer scale, which measures the effect of the disease on patients’ lives. Women were more likely to report that melanoma had a stronger effect (both positive and negative) on their lives. Behaviorally, female survivors tended to take more definitive action to protect themselves from sun damage after being diagnosed: They were more likely than men to go on fewer vacations to sunny climates; more likely to seek the shade, and more inclined to use sunscreen. They also worried more about the effects of the sun on their skin , as well as on the skin of their children and spouses. However, they had more negative scores than men in physical functioning, bodily pain, general health vitality, and mental health. The authors concluded that female survivors might benefit from more follow-up

care, including psychological counseling. They also noted that male survivors may need more education about sun protection.
" [৪ ]

 

হিজাব করলে এই মারাক্তক রোগ থেকে অবশ্যই মুক্তি পাওয়া যাবে। এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের ডাক্তাররা রোদে বের হতে দেন না। তবে কেউ যদি ছাতা বা ত্বক ঢেকে বের হয় তাহলে অসুবিধা কম। আর স্কিন বিশেষজ্ঞগ্ণ সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে থাকেন  চেহারা রোদ থেকে নিরাপদে রাখতে। যেহেতু, হিজাব বা বোরখা পড়লে এই সুবিধা থেকে বাচা যায় সুতরাং সবারই পড়া উচিত।

সামাজিক উন্নয়নে হিজাবঃ

বোরখা পড়েই যে হিজাব পালন করতে হবে এমন কোনো আয়াত বা হাদিস নেই। তবে, ইসলামিক চিন্তাবিদ গণ সার্বিক বিবেচনায় প্রায় সকলেই এক মত যে, বোরখা পড়লেই হিজাব বা পোশাকের শালিনতা রক্ষা হয়। দেখুন, ইসলামিক শালিনতা হীন পোশাকের মর্যাদা কোনো অঞ্চলেই নেই।

শালিনতার নামে এসব ভোগবাদী পোশাক শিল্প তাদের অর্থিক সম্পদ আর নিজেদের কথা চিন্তা করে সুন্দরী নারীদের দিয়ে অর্থ সম্পদ নাম, জশ এর লোভ দেখিয়ে তাদের দিয়ে অশালীন পোশাক প্রচার করিয়ে নিজেদের ফায়দা হাসিল করছে। আজ যে পশ্চিমা সমাজ নারীদের স্বাধীনতা দিয়েছি বলে চিৎকার করে তারা তাদের মা বোনদের যে সমাজ, যে শালিনতা উপহার দিয়েছে সে শালিনতার শিকার হয়ে অসংখ্য  নারী হচ্ছে ভোগের বস্তু। অবশ্যই নারীদের পোশাক সমাজে প্রভাব ফেলে।

উদাহরণ দেওয়া যাক। ৮০-৯০ এর দশকে দেশে শালিনতা বলে যে জিনিস ছিল আমাদের দেশে তা উঠে গেলো। ফলে কি হল?  ইভটিজিং নামের এক বিকৃত রোগের আগমন ঘটল। এই রোগের শিকার হয়ে মেয়েরা এখন আত্মহত্যা পর্যন্ত করছে।  একটা প্রাকটিক্যাল উদাহরণ  হল, দুজন নারী, দুজনই জমজ তারা একজন পড়ল ইসলামিক হিজাব অন্য জন পড়ল মিনি স্কার্ফ।  তারা দুজন রাস্তায় হাটছে, আর রাস্তার মোড়ে একজন বখাটে ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। এখন প্রশ্ন হল,  বখাটে ছেলেটা কাকে ইভ টিজিং করবে?  উত্তরঃ মিনি স্কার্ফ পড়া মেয়েকে! 

সুতরাং, সমাধান। যে পোশাক পড়লে আমাকে ইভ টিজিং করবে কেন সে জামা পড়তে যাব?  আর একজন যুবতী মেয়েকে যদি কারো ভালো লেগে যায়, তখন সে যদি তাকে বাজে প্রস্তাব দেয় তাহলে কি করা উচিত?  তাই এসবের থেকে বেচে থাকতে সোজা সমাধান, ইসলামিক হিজাব।

বাংলাদেশে এসিড ছোড়া একটা জাতীয় সমস্যায় রূপ নিয়েছিল। এই এসিড ছোড়া হত কেনো? 

কারন, বখাটে ছেলেরা ইভ টিজিং করে স্কুল-কলেজের মেয়েদের বিরক্ত করত। তারা মাঝে মাঝে বাজে প্রস্তাবও দিত, এছাড়াও বিয়ের প্রস্তাব দিত। যদি এই প্রস্তাব কেউ ফিরিয়ে দিত তখনই ঐ মেয়েকে এসিড দিয়ে মুখ ঝলসে দেওয়া হত।  এখন আমি প্রশ্ন করি, যদি মেয়েকে ছেলেটা না দেখতে পেতো, মেয়েটি যদি ইসলামিক হিজাব পড়ত, তাহলে কি এসিড নিক্ষেপের মতো খারাপ কাজ হত?   অবশ্যই না। তাহলে সামাজিক ভাবেই হিজাব একটি উপকারী সমাধান। 

পশ্চিমা সমাজে নারীদের ধর্ষনের রেকর্ডঃ

আমেরিকায় প্রতি ৫জনে ১জন ধর্ষিতা। প্রায় ১১ কোটি female

জনসংখ্যার এই দেশে - ২ কোটি ২০ লাখ

নারী ধর্ষিতা  (   http://m.timesofindia.com/world/us/One-in-five-women-

raped-in-US-says-White-House-report/articleshow/

29274360.cms.) 

* “বৃটেনে প্রতি ২০জনে এক জন ধর্ষিত হয়।”(সূত্র:আমেরিকান এসাসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি ওম্যান,১৯৯৩

* কর্মস্থলে যৌন নিপিড়নঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শতকরা ৫০% নারী কর্ম ক্ষেত্রে যৌন নিপিড়নের শিকার হতে হয়। বাকী ৫০% এর মধ্যে অনেকের এ জাতীয় অভিজ্ঞতা আছে তবে চাকুরী হারানোর ভয়ে তারা চুপ থাকে। (সূত্রঃ ওমেন্স ভায়োলেন্স এন্ড মেইল পাওয়ার) 

* শিক্ষাঙ্গনেঃ পাশ্চাত্যের স্কুল-কলেজে শতকরা ২৩% থেকে ৪৪.৮% ছাত্রী তাদের ছেলে বন্ধুদের দ্বারা যৌন নিপিড়নের শিকার হয়।(সূত্রঃ অ্যাসেসমেন্ট অব ফ্যামিলি ভায়োলেন্স,দ্বিতীয় সংষ্করণ,পৃ-২১২

* ‘বৃটেনের ৫৪% নারী কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানীর শিকার হয়।’(সূত্রঃ ইন্ডাস্ট্রিয়াল সোসাইটি,১৯৯৩) 

* “৮৫% স্কুল ছাত্রী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়।”(সূত্র:আমেরিকান এসাসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি ওম্যান,১৯৯৩) 

এই হল মডেল দেশের অবস্থা।

পরিশিষ্টঃ

অভিভাবক যা বলেন, তা আমাদের কাছে ভালো লাগে না। কেনো লাগে না!  আমরা জানি না। যখন বাবা বলেন যে, ছেলে রাত জেগে কম্পিউটারে গেম খেলো না। তখন সন্তান যুক্তি দেখাতে পারে, না বাবা আমি পত্রিকায় পড়েছি যারা রাত জাগে তারা জ্ঞানী হয়। আর গেম খেললে আমাদের মস্তিষ্ক সক্রিয় হয় ব্লা ব্লা ব্লা। যে যুক্তিই দেক না কেনো তা যে সঠিক না তা বাবা ভালো করেই জানেন। যে সন্তান বাবার কথা মেনে নেয় সে সফল হয় আর যে মানে না সে বিফল হয়।

শুভ্র আহমেদ

রেফারেন্সঃ

[১] : http://www.cancer.org/cancer/skincancer-melanoma/detailedguide/melanoma-skin-cancer-key-statistics

[২] : http://www.skincancer.org/Skin-Cancer-Facts/

[৩] : http://www.sciencedaily.com/releases/2005/10/051025073319.htm

[৪] : http://www.skincancer.org/melanoma-affects-women-more-strongly-than-men.html

[৫] : http://infokosh.gov.bd/atricle/এসিড-নিক্ষেপ-0

[৬] : http://www.youtube.com/watch?

v=8FK2E5BMZrk&feature=related

[৭] : http://www.answering-christianity.com/hijab_miracle.htm

[৮] : http://m.somewhereinblog.net/mobile/blog/theslave/29830194

[৯] : http://infokosh.gov.bd/atricle/ইভটিজিং

[১০]  : http://islam.priyo.com/ইসলামি-বিধান-জীবন-বিধান/কোরান-হাদিসের-আলোকে-মুসলিম-নারীর-পর্দা-প্রবন্ধ-১১-শরিয়ত-সম্মত-পূর্ণাঙ্গ

[১১] : http://sodalap.org/munim/23017/

বিষয়: বিবিধ

১৮৯৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

272924
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:২৮

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7238

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> রায়হান রহমান লিখেছেন : বৃটেনে প্রতি ২০জনে এক জন ধর্ষিত হয়।”(সূত্র:আমেরিকান এসাসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি ওম্যান,১৯৯৩

* কর্মস্থলে যৌন নিপিড়নঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শতকরা ৫০% নারী কর্ম ক্ষেত্রে যৌন নিপিড়নের শিকার হতে হয়। বাকী ৫০% এর মধ্যে অনেকের এ জাতীয় অভিজ্ঞতা আছে তবে চাকুরী হারানোর ভয়ে তারা চুপ থাকে। (সূত্রঃ ওমেন্স ভায়োলেন্স এন্ড মেইল পাওয়ার)

* শিক্ষাঙ্গনেঃ পাশ্চাত্যের স্কুল-কলেজে শতকরা ২৩% থেকে ৪৪.৮% ছাত্রী তাদের ছেলে বন্ধুদের দ্বারা যৌন নিপিড়নের শিকার হয়।(সূত্রঃ অ্যাসেসমেন্ট অব ফ্যামিলি ভায়োলেন্স,দ্বিতীয় সংষ্করণ,পৃ-২১২

* ‘বৃটেনের ৫৪% নারী কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানীর শিকার হয়।’(সূত্রঃ ইন্ডাস্ট্রিয়াল সোসাইটি,১৯৯৩)

* “৮৫% স্কুল ছাত্রী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়।”(সূত্র:আমেরিকান এসাসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি ওম্যান,১৯৯৩)


ইসলাম ধর্মে নারী ধর্ষন বৈধ। যে কারনে মধ্যপ্রাচ্যের কোথাও ধর্ষনের ক্ষতিয়ান নেই। ঘরে ঘরে ধর্ষন এতোটাই ভয়ংকর যে কারনে সম্প্রতি বাংলাদেশ, ইন্দেনেশিয়া, ফিলিপিন সরকার মধ্যপ্রাচ্যে কাজের বুয়া পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে।
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৯:৩৮
217061
শুভ্র আহমেদ লিখেছেন :
ইসলাম ধর্মে নারী ধর্ষন বৈধ।
যে কারনে মধ্যপ্রাচ্যের কোথাও
ধর্ষনের ক্ষতিয়ান নেই। ঘরে ঘরে ধর্ষন
এতোটাই ভয়ংকর
যে কারনে সম্প্রতি বাংলাদেশ,
ইন্দেনেশিয়া, ফিলিপিন সরকার
মধ্যপ্রাচ্যে কাজের বুয়া পাঠানো বন্ধ
করে দিয়েছে।



ওহে ভাই, আমি জানি না আপনে কিসের কথা বলিলেন। তবে ভাইডি, মধ্য প্রাচ্যে কি শুধু মুসলিমরাই থাকে? আরবে প্রায় ১০% খ্রিস্টান ই আছে তাহলে তারা এইকাজ কি করতে পারে না?
272972
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:৫১
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..


আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
১১ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:৫০
217194
শুভ্র আহমেদ লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File