যারা বলে ইসলাম নারীকে সঠিক অধিকার দেয় নি তাদের প্রতি করুনা ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই ( প্রথম পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন শুভ্র আহমেদ ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৫:৪৬:৪৪ বিকাল
ভারতীয় হিন্দুদের অনেক কুপ্রথাই বাংলায় বেশ জোরালো প্রভাব পড়েছে। এরকম একটি কু প্রথার নাম হল যৌতুক
এই প্রথা এক সময় ভারত, থেকে বাংলাদেশ, উপমহাদেশ থেকে ইউরোপ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিলো। ১৯ শতক থেকে ২০ শতকের মধ্যে ইউরোপেও এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। (ইনসাইক্লোপিডিয়া অব ব্রিটানিকা, প্রাগুক্ত)
যৌতুক বাংলা শব্দ। এর প্রতিশব্দ পণ। দু’টোই সংস্কৃত থেকে এসেছে। হিন্দীতে বলে দহীজ (উবযরল) ইংরেজিতে Dowry (ডাওয়ারি)।
ইনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকায় এর সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এভাবে-
` Dowry’ : The Property that a wife or a wifes
family give to her husband upon marriage.
অর্থাৎ , যৌতুক হল বিবাহ
উপলক্ষে কন্যা বা কন্যার পরিবারের
পক্ষ থেকে বরকে প্রদেয় সম্পদ। (The New
Encyclopedia Britannica V. 4, P. 205)
বাংলা পিডিয়ায় বলা হয়েছে-
"বিবাহের চুক্তি অনুসারে কন্যাপক্ষ বরপক্ষকে বা বরপক্ষ কন্যাপক্ষকে যে সম্পত্তি বা অর্থ দেয় তাকে যৌতুক বা পণ বলে।" (বাংলাপিডিয়া ৮/৪৫৫)
যৌতুক প্রথার জন্য কেনো হিন্দু ধর্মকে ঈঙ্গিত দেওয়া হল সেটা পরিষ্কার করা দরকার:
মূলতঃ যৌতুক প্রথার প্রচলন হিন্দু সমাজেই পাওয়া যায়। ভারতের মুসলিম সমাজে এ প্রথা কখনোই ছিল না। (অবশ্য বিংশ শতাব্দীতে বাঙালী মুসলিমরা নিষ্ঠুর এই প্রথার উপড় প্রভাব ফেলে)
হিন্দু ধর্মে বিবাহিত মেয়ে তার বাবার সম্পত্তি পায় না। এ ব্যাপারে হিন্দু আইনে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, পুত্র, পৌত্র, প্রপৌত্র, বা বিধবা থাকতে কন্যা পিতার পরিত্যক্ত সম্পদ লাভ করতে পারে না এবং অবিবাহিতা কন্যা বিবাহিতা কন্যার উপর প্রাধান্য পায়। কন্যা কখনো এই সম্পত্তি পেলে তা শুধু ভোগের অধিকার থাকে। তাতে স্বত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় না।
(হিন্দু আইন, পৃ. ৩৫)
হিন্দু আইনে এ সম্পত্তিকে নারীর মূল সম্পত্তি বা স্ত্রীধন বলা হয় না। নারীর স্ত্রীধন বলতে বুঝায়, যাতে তার স্বত্বও প্রতিষ্ঠিত হয় তা হল, পিতামাতা, বন্ধু- বান্ধব ও অন্যান্য আত্মীয়ের দান এবং বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল যৌতুক। (হিন্দু আইন, পৃ. ৫৮-৬৯)
হিন্দু সমাজে নারীরা যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন দিক থেকে নির্যাতিত। উত্তরাধিকারের বিষয়েও তারা চরমভাবে বঞ্চিত হয়েছে।
বৌদ্ধায়নের শাস্ত্রে লেখা আছে, স্ত্রী লোকেরা বুদ্ধিহীন, তাহাদের কোন বিচারশক্তি নাই, তাহারা উত্তরাধিকার লাভের অযোগ্য। (হিন্দু আইন, পৃ. ৫১)
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রাচীন হিন্দু সমাজে এটি ছিল কন্যাপণ ( ) অর্থাৎ বরপক্ষ কনে পক্ষকে দিত। কনেপক্ষ বিয়ের মাধ্যমে তাদের একজন সদস্য হারাচ্ছে এর ক্ষতিপূরণের জন্য কনের পরিবারকে বরপক্ষ কর্তৃক বিভিন্ন সম্পদ দিত। কালক্রমে এটি বরপণে রূপ ধারণ করে| (The family Structure in Islam, By : Dr.
Hammadah Abdul Ati);
বাংলাপিডিয়া ৮/৪৫৫; ইসলাম ও
যৌতুক, সিরাজুল হক সম্পাদিত, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত, পৃ. ১৫)
উল্লেখ্য, হিন্দুদের এই কন্যাপণের সাথে ইসলামের মোহরের কোনো সম্পর্ক নেই।
কেননা, কন্যাপণ দেওয়া হত ক্ষতিপূরণের জন্য কন্যার পরিবারকে, কন্যাকে নয়। আর মোহর দেওয়া হয় কন্যার সম্মানি হিসাবে স্বয়ং কন্যাকে, কন্যার পরিবারকে নয়। প্রাচীনকালে অনার্যরা সমাজে মর্যাদা পাওয়ার
আশায় আর্যদের নিকট তাদের কন্যা সম্পাদন করত। বিনিময়ে মোটা অংকের সম্পদ দিত।
তখন থেকেই যৌতুক প্রথা কালক্রমে একটি সামাজিক রূপ নেয়। (ইসলাম ও যৌতুক, প্রাগুক্ত)
'' উনবিংশ শতাব্দিতে দেখা যায়, উচ্চবর্ণের বাহ্মণরা প্রচুর যৌতুক পাওয়ার আশায় একাধিক বিবাহ করত। এসব স্ত্রী তাদের পিতৃগৃহেই থাকত। স্বামীরা বছরে একবার দেখা করতে আসত এবং প্রচুর আতিথেয়তা ভোগ করে যাওয়ার সময়
অনেক যৌতুক নিয়ে যেত। (বাংলা পিডিয়া ৮/৪৫৫)
" আশা ছিল শিক্ষার ফলে কুলিনত্বের
ক্ষতিকর দিকগুলো দূরিভূত হবে। কিন্তু তা না হয়ে বরং কুলিনত্ব আরো শক্তিশালী হয়েছে। (বাংলা পিডিয়া ৮/৪৮৮; ইসলাম ও
যৌতুক পৃ. ৮৬, ৫২)
উনবিংশ - বিংশ শতাব্দীতে ভারতে যৌতুক প্রথা এমন আকার আর সামাজিক অবক্ষয় ধারন করে যে, ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুক, শরৎচন্দ্র প্রমুখ প্রতিবাদ শুরু করেন। তাদের লেখালেখি পর্যালোচনা করলেই আমরা এর ধারনা লাভ করি। এর মধ্যে রবীন্দ্রনাথ এর দেনাপাওনা গল্পটি হিন্দু শিক্ষিতদের উপড় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। গল্পটিতে অসহায় রাম সুন্দরের একমাত্র মেয়ে যৌতুকের টাকা না দিতে পেরে শ্বশুর বাড়ীর নির্যাতনে (নিরূপমা) মৃত্যু হয়। তবে, এই অভিশাপ থেকে ভারত রক্ষা তো পায় ই নাই বরং তা সম্প্রসারিত হয়ে বাংলাদেশ এ বিরাট আকার ধারন করে। বাংলাদেশের চিত্র ভয়াবহ আকার ধারন করে এবং এক সময় বাংলাদেশের জাতীয় সমস্যায় পরিনত হয়।
বাংলাদেশের ১৯৮০ সনের যৌতুক নিষিদ্ধকরণ আইনে যৌতুকের যে পরিচয় দেওয়া হয়েছে তা নিম্নরূপ : যৌতুক অর্থ
-(ক) কোন এক পক্ষ কর্তৃক অপর পক্ষকে,
অথবা
-(খ) বিবাহের কোন এক পক্ষের
পিতামাতা অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক অন্য কোন পক্ষকে বা অন্য কোন ব্যক্তিকে বিবাহের মজলিসে বা বিবাহের পূর্বে বা পরে যে কোন সময়ে বিবাহের
পণ রূপে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রদানে অঙ্গিকারাবদ্ধ যে কোন সম্পত্তি বা জামানত। (যৌতুক নিষিদ্ধকরণ আইন ১৯৮০, আইন নং ০৫)
অনেকে হয়তো খুশীতে মুচকি মুচিকে হাসছে যে, তাহলে দেনমোহর ও তো সেই একই যৌতুক এর মতো। যৌতুক প্রথা নিষিদ্ধ করলে দেনমোহর এর প্রথাও নিষিদ্ধ করা হোক। যারা এরকম ভাবছেন তাদের প্রতি বলে রাখি, যৌতুক নিষিদ্ধ করণ আইন ১৯৮০ তে যৌতুকের সংজ্ঞা দেওয়ার পর বলা হয়েছে, শরীয়়ত মোতাবেক প্রদেয়
দেনমোহর, বা মোহরানা ইহার অন্তর্ভুক্ত
নহে।’ (যৌতুক নিষিদ্ধ আইন ১৯৮০, আইন
নং৩৫)
এবং ভারতের ১৯৬১ সনের যৌতুক নিষিদ্ধ করণ আইন থেকেও মোহরকে বাদ! দেওয়া হয়েছে। (বাংলা পিডিয়া ৮/৪৫৫)
পূর্বেই বলেছি, যৌতুক এবং দেন মোহরের মাঝে আকাশ বিস্তার তফাৎ রয়েছে। সমাজে যৌতুক প্রথার ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে যা দেনমোহর এর ক্ষেত্রে নেই। কিছু পরিসংখ্যান দেখা যাক
২০০৩ সালের জুলাই মাসে প্রাপ্ত জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (টঘউচ) এর রিপোর্ট
অনুযায়ী
বাংলাদেশে পূর্ববর্তী ১০ বছরে ৫০ শতাংশ নারী যৌতুকের কারণে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ঐ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০১ সালে সারা দেশে অন্তত ১২৮ জন মহিলা যৌতুকের কারণে খুন হয়েছে, আত্মহত্যা ১৮ জন, নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৪০ জন, তালাকপ্রাপ্তা হয়েছে ১৫ জন। এজন্য মামলা হয়েছে ২, ৭৭১টি।
জাতীয় মহিলা আইনজীবি সমিতির এক জরিপে প্রকাশ, ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত যৌতুকের জন্য খুন হয়েছে ৬৮৫ জন নারী, শারীরিক নির্যাতন ৫৮২ জন। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের নারী নির্যাতন সেলের হিসাব অনুযায়ী যৌতুকের কারণে ২০০০ সালে পারিবারিক আদালতে মামলা হয়েছে ৬৭৫টি। ২০০১ সালে ৪১২টি, ২০০২ সালে ১২০টি ও ২০০৩ সালে ১৪১টি। (পিআইডি ইউনিসেফ ফিচার, তথ্য
অধিদপ্তর ইউনিসেফ থেকে প্রকাশিত
‘মা ও শিশু’ বই থেকে সংগৃহিত)
এগুলো ১০% হবে হয়তো । বাংলাদেশের উচ্চ বিত্ত পরিবার থেকে এখনও অহরহ যৌতুক দেওয়া নেওয়া হচ্ছে। যার কোনো পরিসংখ্যান নেই। এসব মনগড়া প্রথা মানুষেরই সৃষ্টি, যদি নাস্তিকতা প্রতিষ্ঠা পায় ( যদিও তার সম্ভাবনা ০০০০০০০০০.১% এরও কম) তাহলে এরকম প্রথার যে উদ্ভব হবে না তার কোনো নিশ্চয়তা কোনো সেক্যুলার নাস্তিকই দিতে পারবে না। তবে, এই প্রথার ইসলামিক রাষ্ট্রে বা সমাজে অথবা ব্যক্তিজীবনে কোনো ভূমিকা নাই ।
ইসলামে এর উল্টো প্রথা রয়েছে যা দেন মোহর নামে পরিচিত। এই প্রথার তেমন কু-প্রভাব ইতিহাসে দেখা যায় না। দেনমোহর দেয়ার ব্যাপারে আল্লাহ্ তায়ালা পবিত্র কোরআন এর সূরা আন-নিসা : আয়াত ৪ এ বলেছেন :
ﻭَﺁﺗُﻮﺍْ ﺍﻟﻨَّﺴَﺎﺀ ﺻَﺪُﻗَﺎﺗِﻬِﻦَّ ﻧِﺤْﻠَﺔً ﻓَﺈِﻥ ﻃِﺒْﻦَ ﻟَﻜُﻢْ ﻋَﻦ ﺷَﻲْﺀٍ ﻣِّﻨْﻪُ ﻧَﻔْﺴًﺎ
ﻓَﻜُﻠُﻮﻩُ ﻫَﻨِﻴﺌًﺎ ﻣَّﺮِﻳﺌًﺎ
অর্থাৎ;-আর তোমরা স্ত্রীদের খুশী মনে তাদের
মোহর দিয়ে দাও। তারা যদি খুশী হয়ে তা থেকে কিছু অংশ ছেড়ে দেয় তবে, তা তোমরা সাচ্ছন্দে ভোগ কর।
অনেকে দেনমোহর কে ভুল ব্যাখ্যা করে থাকেন । যারা আসলে যৌতুক প্রথাকে সমর্থন করে তারাই দেন মোহর প্রস্তাবকে অনৈতিক প্রমানের চেষ্টা করে। অনেকের দাবী এতোটাই নিম্ন পর্যায়ের যে তা ভাষায় প্রকাশ করাও কঠিন।
♠
নারীকে কি যৌনকর্ম করার অনুমতি চেয়ে দেনমোহর দেওয়া হয়?
উত্তরঃ এ রকম প্রশ্ন মূর্খ কর্তিক উপস্থাপিত হয়। এসবের সাথে দেনমোহরের বিন্দু মাত্র সম্পর্ক নেই। তাৎক্ষনিক দেনমোহর - তাৎক্ষনিক দেনমোহর স্ত্রী চাওয়ামাত্র পরিশোধ করতে হয় । বিলম্বিত দেনমোহর- বিলম্বিত দেনমোহর বিয়ের পর যে কোন সময়ে পরিশোধ করা যায়। তবে মৃত্যু বা বিয়ে বিচ্ছেদের পর দেনমোহর অবশ্যই পরিশোধ করতে হয়। তখন দেনমোহর স্ত্রীর কাছে স্বামীর ঋণ। অর্থাৎ, বিলম্বিত দেনমোহর পদ্ধতি অনুসারে মৃত্যুর
পরেও পরিশোধ করা যায়। তাই এই অভিযোগ করার কোনোই ভিত্তি হয়না , বরং হাস্যকর। বস্তুতঃ ইসলাম ধর্ম মতে বিয়ে একটি সামাজিক পবিত্র চুক্তি।
দেন মোহর দিলে স্ত্রীর আর্থিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়। দেনমোহর কোনো লেনদেন বা দেওয়ানেওয়া প্রথা নয়। এটি স্ত্রীর প্রতি স্বামীর সম্মানী। এ ব্যাপারে একজন নারীবাদীর সাথে কথা বলা যেতে পারে।
নারী বাদী (তথাকথিতঃ আচ চালামুলাকুম
শুভ্র আহমেদঃ আস সালামু আলাইকুম
নারীবাদীঃ তো যা নিয়ে কথা বলছিলাম, দেন মোহর আর যৌতুকের মাঝে পার্থক্য নেই। দুটোই কু প্রথা।
শুভ্র আহমেদঃ না, মুসলিম আইন অনুযায়ী দেনমোহর বিয়ের একটি অন্যতম শর্ত। দেনমোহর স্বামী কতৃর্ক স্ত্রীকে পরিশোধ যোগ্য একটি আইনগত দায়। সুতরাং দেনমোহর এবং যৌতুক পুরাপুরি দু’টি ভিন্ন বিষয়। ( দেনমোহর, জাতীয় ই তথ্য কোষ)
নারীবাদী ভাই একটা প্রশ্ন করব?
নারী বাদীঃ জ্বি করুন।
শুভ্র আহমেদঃ আপনি তো মানবতা মানব সেবায় বিশ্বাসী তাই না?
নারীবাদীঃ জ্বি।
শুভ্র আহমেদঃ ধরুন আপনার কাকা মারা গেলো, আপনার কাকা তার স্ত্রীকে দেনমোহর দেন নাই। মৃত্যুর আগে তিনি দেওলিয়া হয়ে গিয়েছেন। তার দুটি সন্তান। এখন আপনার কাকি কষ্টের কাজ করে খাবে সেই রকম যোগ্যতা নেই। ধরুন, একটা সরকারী চাকরি পেলো, আরে ধরেন ধরেন ধরতে তো সমস্যা নাই। তাই না?
নারীবাদীঃ হ্যা।
শুভ্র আহমেদঃ সরকারী চাকরী করতে পাত্তি লাগে জানেন?
নারীবাদীঃ নাও তো লাগতে পারে।
শুভ্র আহমেদঃ বেসরকারি তে তো লাগবে?
নারীবাদীঃ হ্যা লাগতে পারে।
শুভ্র আহমেদঃ তাহলে টাকা পাবে কোথায়?
নারীবাদীঃ আত্মীয় রা দেবে।
শুভ্র আহমেদঃ আত্মীয় এতো ভালো হয় নাই যে দিবে।
নারীবাদীঃ কি আউল ফাউল প্যাঁচাল লাগাইছেন?
শুভ্র আহমেদঃ যদি দেন মোহরের টাকাটা থাকে তাহলে উপকার কি-না?
নারীবাদীঃ উপকারী তবে এমন ঘটনা কোটিতে একবার ঘটে।
শুভ্র আহমেদঃ সমস্যা কোথায়?
নারীবাদীঃ নারীর মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি, তাকে অচল মনে করা।
শুভ্র আহমেদঃ আপনার বাবা যদি আপনার মাকে সম্পত্তি দেয় তাহলে কি এটা অন্যায়?
নারীবাদীঃ না তা কেনো হবে!
শুভ্র আহমেদঃ তাহলে দেনমোহর এ কেন এতো জ্বালা পোড়া করে?
নারীবাদীঃ একটা সিগারেট হবে?
দেনমোহর নিয়ে নারী বা পুরুষের মধ্যে বা সামাজিক কোনো বিরূপ ফলাফল পাওয়া যায় না। সত্যি বলতে, যৌতুক প্রথা দূরীকরণে দেনমোহর ব্যাপক ভূমিকা অপরিসীম । তবে, দুঃক্ষজনক যে ইসলামিক এই প্রথার চেয়ে ভয়ানক সেই যৌতুক প্রথাই অধিক সমাদৃত।
যৌতুক এর মতো বাজে প্রথা রোধে দেনমোহর প্রথার প্রচলন করার প্রতি আমাদের মুসলিম শরীয়া প্রতিষ্ঠা অথবা ব্যক্তিগত জীবনে দেনমোহর পদ্ধতির পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন রয়েছে।
শুভ্র আহমেদ
বিঃ দ্রঃ কমেন্ট দ্রষ্টব্য কমেন্টে এ বিষয়ে আরো তথ্য উঠে আসতে পারে।
Reference ::
¢œ http://www.infokosh.gov.bd/atricle/দেনমোহর-0
¢œ http://www.bengalifreebook.wordpress.com/2013/08/02/dena-paona-by-rabindranath-tagore/
¢œ http://www.rokomari.com/review/1512;jsessionid=E8F66F5A8D526F4644470E15BF1F101E
¢œ http://www.alkawsar.com/article/417
¢ কোরআন
বিষয়: বিবিধ
২১৮৭ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি পোষ্টের জন্য।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন