জ্বলৎ
লিখেছেন লিখেছেন শুভ্র আহমেদ ২২ মার্চ, ২০১৪, ১১:৪৭:০৩ সকাল
সকালে কোচিং থেকে ফিরছি। রাস্তা ঘাট বেশী রকিমের ফাকা। শহরতলীতে ফাকা রাস্তাই, স্বস্থির।
আমার পাশে একজন মহিলা। আর সামনে এক মহিলা। সামনে থাকা মহিলা, পাশে থাকা মহিলাকে বললঃ দেশে কি কুকুরের জোয়াড় পরে গেলো নাকী? মাঠে গিয়েছি হাটতে পায়ের সাথে বাড়ি খায়। এতো কুকুর হলে তো সমস্যা।
পাশে থাকা মহিলা এমন ভাব করলেন, বিরক্ত কর। তিনিও এর শিকার। সামনে থাকা মহিলার পাশেই দুটি কুকুর। আমি তাদের এড়িয়ে গেলাম।
আমাদের এখানে একটি থেকে অন্য গল্লির দূরত্ব ২০ -২৫ মিটার হবে। কোনো রিক্সা যাবার উপযুক্ত না। কোনো এক কারনে আমার মন কুকুর নিয়ে চিন্তা করছে। তখন লক্ষ করলাম, প্রত্যেক গল্লিতে একটি করে কুকুর। আমি আগ্রহ নিয়ে পরিক্ষা করতে লাগলাম। প্রত্যেক বারই মিলে যাচ্ছে।। আরে! প্রত্যেক গল্লিতেই একটি, কোনো টিতে দুটি।
চলে এলাম বাসায়। একটি সৃতি মনে পড়ে গেলো। আমরা প্রতি বছরে একবার গ্রামের বাড়ী যাই। সেটা কুরবানির ঈদে। তখন আমি ছোট, আমার বয়স আনুমানিক ছয় কি সাত। গ্রামের বাড়ীতে আমরা চাচাতো, ফুফাতো ভাইয়েরা এক সঙ্গে থাকতাম। একটি কুকুর পেলাম। বাচ্চা কুকুর। কালো রংয়ের, ম্যাচী কুকুর হবে। গায়ে মাংষ নেই, হাড় দেখা যায়। দয়া হল না কৌতুহল জানিনা। সবাই একমত হলাম। পালব কোথায়?
পরে ঠিক করা হলো, ঘর বানানো হল।
কুরবানির ঈদে মাংষের অভাব হয় না। আমরা ইচ্ছা মতো খাওয়ালাম। এমন খাবার মনে হয়, ওর জীবনে খায় নি। দু তিন দিনেই দেখার মতো কুকুর হয়ে উঠল। খেলতে যেতাম, মজা করতাম। কতো চিন্তা ভাবনা। আমরা তো দু দিন পর চলে যাবো। তাহলে এই কুকুরের কি হবে!
আমরা বছরে একবার গ্রামে বেড়াতে যাতাম। যার ফলে আত্বীয়দের বাড়ীতে বাড়ীতে যেতে হত, দাওয়াত থাকতো। এমনই হল একদিন। সবাই গেলাম দাওয়াত পেয়ে বেড়াতে।
একরাত ছিলাম। কুকুরকে চূড়ান্ত নিরাপত্তা দিয়েছিলাম।
এসে শুনি কুকুর মারা গেছে, কেউ খুন করেছে। আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে।
জিজ্ঞেস করলাম কোথায় পুরে যাওয়া কুকুর কোথায়?
কেউ বলতে পারল না। আমাদের হতাশ হতেই হল।
অনেকদিন পর জানতে পারি, কুকুরটি পাশের গ্রামের কেউ নিয়ে গিয়েছিলো।
শুনে অনেক তৃপ্তি পেয়েছিলাম। যাক বেচে তো আছে!
বর্তমানে আরও অত্যাধুনিক কুকুর দেখা যায়। এরা জামা কাপড় ছাড়া, প্রায় উলঙ্গ নারীদের সঙ্গে নাচ গান করে। তেমন একজনের নাম হল হানী সিং। সানি লিয়নকে সাথে নিয়ে সে মদ খায়, গান গায় আর কুকুরের মতো ড্যান্স করে।
কুকুরের কামড়ালে ভাইরাস পাওয়া যায়, ইঞ্জেকসন নিলে ভালও হয়। তবে, এই কুকুরদের প্রতিরোধের কোনো ইঞ্জেকসন আবিষ্কার হয় নি। এদের মেরে ফেলাই আদর্শ ডাক্তারের কাজ।
আমার ক্ষেপে যাওয়ার কারন আজকের বাচ্চা ছেলেরা এই উলঙ্গ ভিডিও স্বাভাবিক ভাবে দেখেই চলেছে। কেউ বাধা দিচ্ছে না।
বাংলাদেশেও কিছু কিছু দেখা যাচ্ছে, Rap গান।
বন্ধ করা উচিৎ, নয়তো সভ্য নামের অমানবিক সমাজ পাবো।
শুভ্র আহমেদ
বিষয়: বিবিধ
১১২৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন