যতো দোষ নন্দ ঘোষ নাকী শত অপদোষ ইসলামের?
লিখেছেন লিখেছেন শুভ্র আহমেদ ২০ মার্চ, ২০১৪, ০২:৩৩:১৭ দুপুর
প্রত্যেক মুসলমান ভাই কে আমার সালাম আস-সালামু আলাইকুম।
সত্য আর মিথ্যা দুটো জিনিসই রহস্যের। বলা হয়ে থাকে মিথ্যা প্রকাশিত হবে, কিন্তু টিকে থাকবে না। শেষে সত্য প্রকাশিত হবে। যখন সত্য প্রমানিত হবে তখন মিথ্যা বিলুপ্ত হবে।
বর্তমানে মুসলিমরা অন্যান্য স্বাধারন মানুষের কাছে নির্যাতিত। যারা ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দাড় করাচ্ছে, সিরাত সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকায় অনেক মুসলিম তা শিকার করছে। শুধু তাই নয়, দিন সম্পর্কে না জেনে হুমকীর মুখে পড়ছে, মুসলিম তরুন।
বর্তমানে ইসলামের কাল যুগ বা পরীক্ষা যুগ চলছে, আমাদের হাতে এখন পাওয়ার নেই। পাওয়ার" অমুসলিমদের হাতে। আর এই পাওয়ার বা শক্তির অপব্যবহার করছে, ইহুদী, খ্রীষ্টানরা।
তারা ইসলাম ধর্মের নামে মিথ্যা প্রচার করছে, ফলে নিরপেক্ষদের নিকট মুসলিমরা আতঙ্কের কারন হয়েছে। আসলে আমরা মুসলিমরা স্পেনে ৮০০ বছর রাজত্ব করেছি। কখনও কোনো অমুসলিমকে দাওয়াত দেই নি, প্রচার করিনি। পরবর্তীকালে যখন সেখানে ক্রুসেডরা এলো, আমরা দাওয়াত তো দূরের কথা প্রকাশ্যে আযান দেবার সুযোগ ছিলো না। তাহলে বুঝুন, ভালো মানুষের ভাত নাই " কথাটি মিল খায় কিনা।
আমরা যদি তখন ইসলাম প্রচার করতাম বা জোর করতাম, তাহলে স্পেন আমাদের দেশ হয়ে যেতো। কিন্তু আমরা তা করিনি। কারন আমরা জোর করে ইসলামে আতৃষ্ট করি না।
আল্লাহ সূরা বাকারা;২৫৬ আয়াতে বলেছেঃ দ্বীন সম্পর্কে কোনো জ্বোর জবরদস্তি নেই।
অন্যান্য ধর্মে সন্ত্রাসঃ
বর্তমানে মুসলমানদের বলা হয় সন্ত্রাসী। এরা উদাহরন স্বরূপ ওসামা বা পাকিস্তানকে বেছে নেয়। সব ধর্মেই কিছু শয়তান থাকে। আমাদের ধর্মেও বিদ্যমান। তবে যারা এরকম করছে তারা সাথে সাথে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাচ্ছে।
আমরা যানি যে এখন পাওয়ার " খ্রীষ্টানদের হাতে।
তারা আমাদের যেভাবে ধর্মের নামে কুৎসা রটাচ্ছে, আমাদেরও কি উচিৎ তাদের ধর্মের ভুল তুলে ধরা?
অবশ্যই।
আসুন আমরাও অন্য ধর্মের সন্ত্রসী সম্ভন্দে জানি।
আমরা জানি যে ইতিহাসের সব চাইতে শ্রেষ্ঠ সন্ত্রসী হিটলার। এই হিটলার এক দুই না, ৬০ লক্ষ ইহুদীকে মেরেছিলো। যাদের সবার দোষ ছিলো তারা ইহুদী। হিটলারের ধর্ম ছিল খ্রীষ্টান। আর মুসলিমরা একটি খুন করলেও ধর্ম গিলে খেতে চায়। আমরা বলে থাকি ইসলাম খুনের নির্দেশ দেয় না। তারা মানে না। তারা সূরা তাওবার ৭ নাম্বার আয়াতের কথা বলে।
"তোমরা কাফেরদের যেখানে পাও হত্যা কর। "
আসলেও তা আছে। কিন্তু, এটা প্রসঙ্গ ছাড়া। এটা বুঝতে হলে সূরা আত তাওবার ১ নাম্বার আয়াত থেকে পড়া শুরু করতে হবে। তখন অমুসলিমদের সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তি হয়েছিলো । কিন্তু মুসরিকরা এই শান্তি চুক্তি ভঙ্গ করে। তাই আল্লাহ্ বলছেন, "তোমরা মুসরিকদের যেখানে পাবে হত্যা করবে। নিজেদের রক্ষা করবে। "
হিটলারের কথায় ফিরি,
"যীশু বলেছেন"আপনাকে যুদ্ধ করতে হবে। (বুক অব এক্সেডাজ, অধ্যায়ঃ ২২, অনুঃ ২০)
যীশু বলেছেন ",তরবারী নিয়ে তোমরা যুদ্ধ কর "। (বুক অব লুক,অধ্যায় ২২, অনু৩৬,)
তাহলে?
খ্রীষ্টানরা ৬০ লক্ষ মানুষ মেরে ফেলল অথচ তাদের সন্ত্রাসী বলা হচ্ছে না কেনো?
কারন তো পরিষ্কার, "পাওয়ার "।
মুসলিমরা কিছু করলেই শুরু হয়ে যায়!
বলা হয় "পবিত্র যুদ্ধ "
এই পবিত্র যুদ্ধ আসলে কি?
অমুসলিমরা বলে থাকে জিহাদ। জিহাদ অর্থ পবিত্র যুদ্ধ।
এই পবিত্র যুদ্ধ আসলে খ্রীষ্টনেরা করতো। কিন্তু এখন সেই টাইটেল আমাদের দেওয়া হচ্ছে।
পবিত্র যুদ্ধ বলতে ক্রুসেডারদের বোঝানো হত। এরা খ্রীষ্টান ধর্মের নামে যুদ্ধ করতো।
আর বলা হয় জিহাদ অর্থ পবিত্র যুদ্ধ। আপনি যদি কোরান পড়েন আপনি কোথাও পবিত্র যুদ্ধ শব্দটি খুঁজে পাবেন না। আসলে এই শব্দটা দ্বারা খ্রীষ্টানদের বোঝানো হত। যারা খ্রীষ্টান ধর্মের নামে যুদ্ধ করত।
আপনারা কি,
“শর্টি” বা “পিস্তি” গুজম্যান
নামে পরিচিত মেক্সিকোর
শীর্ষ ফেরারি মাদক সম্রাট
জ্যাকুইন গুজম্যান এর নাম শুনেছেন? এই লোক ছিলেন একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। ফোবর্স
সাময়িকীতে বিশ্বের
শীর্ষস্থানীয় কোটিপতিদের
তালিকায় তার নামও উঠেছিল। এই লোক সন্ত্রাসীদের গড ফাদার " বা প্রধান ছিলেন। তিনি এশিয়া সহ নানান রাষ্ট্রে মাদক,অস্ত্র ব্যবসায় করতেন। তিনি অনেক লড়াই করেছেন। তার করা যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা ৮০,০০০ এরও বেশী। তাহলে কি আমরা ধরে নেবো? তিনি তার ধর্মের কাজ করছেন। এই লোককে আমরা কজনে চিনি?
চিন্তা করেন এক লোক গত কয়েক দশক যাবত আশি হাজার মানুষ খুন করে আসছে, অথচ আমরা কেউ তাকে চিনি না। অথচ ইসলামের দিকে আঙুল তুলে শিশুদেরও দেখাচ্ছে, মুসলিমরা সন্ত্রাসী। টুপি, মুখে দাড়িওয়ালা কাউকে অন্যায়ের প্রতিবাত করতে দেখলে মুসলিমরা খুনি, সন্ত্রাসী।
আমেরিকায় টয়লেটের টিসু পেপারে ওসামা বিন লাদেনের ছবি থাকে । আসলে তারা (আমেরিকানরা) ওসামা নয়, ইসলামের ঘোর শত্রু। এর প্রমান পাওয়া যায় যখন ইসরাইলি ইহুদি ‘স্যাম
ব্যাসেলি’ হানাদার
যুক্তরাষ্ট্রে বসে তাদের
মদদে ‘ইনোসেন্স অব মুসলিম’
বা মুসলমানদের অজ্ঞতা নামক ঘৃণ্য
সিনেমা বানিয়ে ইসলামের নামে অপপ্রচার চালায়।
ওয়াল স্ট্রিট
জার্নালকে দেয়া সাক্ষাতকারে সিনেমা তৈরিকারী ইসরাইলি এ
কুখ্যাত ইহুদি স্যাম
ব্যাসেলি বলেছে,
‘চলচ্চিত্রটি নির্মাণের জন্য সে ১০০
জন ইহুদির কাছ থেকে ৫০ লাখ ডলার
পেয়েছে।’ অর্থাৎ এ ঘৃণ্য
কাজে অর্থায়ন করেছে একশ’র
বেশি উগ্রবাদী ধনাঢ্য ইহুদী। জঘন্য
সিনেমাটিতে সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন,
নূরে মুসাজসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার নাম মুবারক-এ এক
ব্যক্তিকে দেখানো হয়েছে-
যাকে প্রতারক, নারীলোভী,
সমকামী এবং সম্ভ্রমহরণকারী হিসেবে চিত্রায়িত
করেছে। নাঊযুবিল্লাহ!। আর পবিত্র
দ্বীন ইসলামকে তুলনা করা হয়েছে ক্যান্সারের
সাথে। নাঊযুবিল্লাহ!
কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও
ইসরাইলের প্রত্যক্ষ মদদে এ কুখ্যাত
সিনেমাটি নির্মিত হওয়ায়
তারা এখন পর্যন্ত
সিনেমাটি নিষিদ্ধের
কোনো ব্যবস্থা নেয়নি এমনকি সিনেমার
প্রযোজক স্যাম ব্যাসেলিসহ তার
সহযোগীদের বিরুদ্ধেও কোনোরকম
ব্যবস্থা নেয়নি। বরং তথাকথিত
মতপ্রকাশের স্বাধীনতার
কথা বলে মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী বলেছে ‘ওই
ভিডিওটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র
সরকারের করার কিছু নেই,
আমরা কাউকে তার মত
প্রকাশে বাধা দিই না, তা যত
অরুচিকরই হোক না কেন?
নাউযুবিল্লাহ!
অথচ বিশ্ববাসী জানে যুক্তরাষ্ট্রের
গোপন নথি ফাঁস করার
অভিযোগে সাড়া জাগানো ওয়েব
সাইট উইকিলিকসের
প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান
এ্যসেঞ্জকে আমেরিকা বিভিন্ন
মামলা দিয়ে তার দেশ
ছাড়া করে রেখেছে। জুলিয়ান
এ্যসেঞ্জ বিভিন্ন
দেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এক্ষেত্রে তথাকথিত মানবতাবাদী,
লুণ্ঠনকারী,
আমেরিকা ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’
দেয়নি জুলিয়ান এ্যসেঞ্জকে ।
কিছু বুঝতে পারছেন?
"যতো দোষ নন্দ ঘোষ "
শান্তির কথা বললেই মুসলিমরা সন্ত্রাসী অমুক তমুক।
আসলে এখানে আমাদেরই দোষ। আমরা ইন্ডিয়ায় ১০০০ বছর বাজত্ব করেছি। অথচ, আমরা কোনো হিন্দুকে বাদ্ধ করিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করতে। এখন ইন্ডিয়ার ৮০% মানুষ হিন্দু। তখন চাইলেই কিন্তু আমরা ইন্ডিয়াকে মুসলিম দেশ বানাতে পারতাম। কিন্তু আমরা তা করি নি। আমরা মুসলিমরা ন্যায়ের পথে সচল।
আমাদের প্রয়জন এখন পাওয়ার। এই পাওয়ার দিয়ে আমরা আবার পৃথিবীকে সুন্দর আদর্শ করে গড়ে তুলতে পারব।
বলা হয় হযরত মুহাম্মদ (সঃ) আরবের সব খ্রীষ্টানদের মেরে ফেলেছেন (নাঊজুবিল্লাহ)। আরবে বর্তমানে প্রায় দেড় কোটি কপটিক খ্রীষ্টানদের বসবাস। কপটিক খ্রীষ্টান মানে ''বংস পরাম্পরায় খ্রীষ্টান। তাহলে যদি নবী এদের মেরেই থাকে এই বংশগত খ্রীষ্টানরা এলো কোথা থেকে?
৯/১১ এর পর ৩৪ হাজার মানুষ ইসলাম গ্রহন করল কেনো? কারন তারা সত্য দিন ইসলাম সম্পর্কে জেনেছে। তারা ন্যায়ের পথে এসেছে। কেউ তাদের বাদ্ধ করেনি।
আমাদের কি উচিৎ নয় হিটলারের, জ্যাকুইন গুজম্যান, হিলারীর, স্যাম
ব্যাসেলির ছবি টয়লেটের টিস্যু পেপারে ছাপানো?
বীন লাদেন অপরাধ করেছে তারা করেনি? শাস্তি দিতে হলে তাদেরও দিতে হবে। অপবাদ দিতে হলে তাদের ধর্মের নামেও দিতে হবে।
১৭৭৬ সালে আমেরিকানরা স্বাধীন হয়, তাদের বৃটিশরা শাষন করত। বৃটিশরা বলল জর্জ ওয়াশিং টন ১ নাম্বার সন্ত্রাসী। কিন্তু তিনিই হলেন ইউএসের প্রেসিডেন্ট।
১ নাম্বার সন্ত্রাসী দেশের প্রেসিডেন্ট! ভাবা যায়?
নেলসন ম্যান্ডেলাঃ
শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদী সরকার তাকে বললেন সন্ত্রাসী। তাকে ২৫ বছর আটকে রেখেছিলেন "রোবেন সাইলেন্ডে"। পরে যখন দক্ষিণ আফ্রিকা বর্ণবাদী সরকার মুক্ত হল তিনি হলেন প্রেসিডেন্ট। আবার শান্তি নোবেল পুরষ্কারও পেলেন।
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, সন্ত্রাসীরা হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট। তাহলে.?
হিন্দু ধর্মে সন্ত্রাসবাদঃ
ভগবত গীতায় কৃষ্ণ অর্জুনকে উপদেশ দিচ্ছেন "হে অর্জুন তোমার মনে এমন চিন্তা কিভাবে এলো? কিভাবে তুমি এতোটা শক্তিহীন হলে? " (ভগবত গীতা,অধ্যায় ১, অনু২)
তখন মহাভারতে আত্বীয়দের মদ্ধে যুদ্ধ চলছিলো। পান্ডবদের ৫ ভাইয়ের সাথে কৈরবদের ১০০ ভাইয়ের যুদ্ধ। যুদ্ধের এক সময় অর্জুন বলল সে যুদ্ধ করবে না। নিজ আত্বীয়ের সঙ্গে যুদ্ধ চলবে না। তখন শ্রী কৃষ্ণ অর্জুনকে উপদেশ দেয়।
শ্রী কৃষ্ণ বলেনঃ তুমি সর্গে আগমন করতে পারবে না। (ভগবত গীতা,অধ্যায়২,অনু২)
আসলে এই ভগবত গীতার পুরো বইয়েই ঈশ্বর অর্জুনকে বলছে আত্বীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করো।
ঈশ্বর বলেছেন, "হে অর্জুন তুমি একজন ক্ষত্রিয়, ধর্মের পক্ষ নিয়ে যুদ্ধ করা হচ্ছে তোমার দায়িত্ব। যদি যুদ্ধ না কর তবে পাপ হবে। যদি যুদ্ধ কর তাহলে তুমি সর্গে যাবে।আর সেই ক্ষত্রিয়রাই ভাগ্যবান যারা যুদ্ধ করার সুযোগ পায়। (ভগবত গীতা, অধ্যায় ২,৩১-৩৩)
এখন আমি যদি বলি হিন্দু ধর্ম উৎসাহ দিচ্ছে যুদ্ধ করতে?
:
:"হে অর্জুন যাও যুদ্ধে লিপ্ত হউ। যদি মারা যাও তাহলে তুমি সর্গে যেতে পারবে। যদি যুদ্ধ থেকে ফিরে আসো তাহলে যুদ্ধের লন্ঠিত অর্থ তুমি পাবে। (ভগবত গীতা,অধ্যায় ২, অনু৩৭)
আপনারা কি গান্ধী হত্যার কথা যানেন?
নথুরাম গডস। এই লোক কি ঈশ্বরের নির্দেশে থেকে এই কাজ করেছে?
না। অবশ্যই না।
আমরা মুসলানরা নিজ স্থান থেকে আমাদের শক্ত অবস্থান তুলে ধরবো।
ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধ করবো। আমাদের দেশে তা দেখা যায় না। আমরা কি দাওয়াত দিতে পারি না? অন্তত পক্ষে এটা তো পারা উচিৎ অপবাদ অপপ্রচার রোধ করা ।
ধর্মের অনুসারীরা কি করল তা দিয়ে ইসলাম বিচার করলে চলবে না। ইসলাম বুঝতে হলে ইসলামের ভালো সব দিক জানতে হবে।
আমরা যদি নিজেদের স্থানে শক্ত থাকি তখন কোনো অপপ্রচারই আমাদের আঘাত করবে না।
এসোসিয়েট প্রফেসর রবার্ট পেপ , একজন আত্মঘাতী বোমা হামলার বিশেষজ্ঞ (ইউনিভার্সিটি অব সিকাগো) তিনি একটি বই লিখেছেন "ডাইং টু উইন "(Dying to win)।
বইটিতে তিনি লিখেছেন, "আমেরিকা আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১নাম্বার।
পেপ তিনি কি মুসলিম?
=না।
তাহলে?
কুরান হাদিস পড়লে কোথাও আত্মঘাতী বোমা হামলা পাওয়া যায় না। প্রথম যারা আত্মঘাতী বোমা হামলা করে তারা হল "তামিল টাইগারস। এরা কি মুসলিম?
এর পর শুরু করল মার্ক সবাদী আর লেলিনবাদীরা। রবার্ট পেপ লিখেছে, ইরাকে আমেরিকানরা আসার পূর্বে আত্মঘাতী বোমা ছিলো না। আমেরিকানরা ইরাকে আসতে শুরু করল আর তখন বোমা হামলা শুরু হল।
রবার্ট পেপ একজন আমেরিকান খ্রীষ্টান। তাকে ধন্যবাদ সত্য প্রকাশের জন্য, আল্লাহ্ তাকে মর্যাদা দান করুন, হেদায়াত দান করুন।
আরেকটা জলজেন্ত প্রমান দেই, ওকলাহোমায় বোমা বিষ্ফোরনের পরে আমেরিকানরা বলল এটা মুসলিমরা করেছে। বলা হল এসব "মধ্য প্রাচ্যের ষড়যন্ত্র "। পরে তদন্দ করে দেখা যায় এর সাথে জড়িত "আমেরিকান সেনা বাহিনীর একজন সৈনিক " একেবারে হাতে হাতে ধরা। অথচ টাইটেল দেয়া হয় মুসলিমরা বোমা বাজ সন্ত্রাস, খুনি চাঁদাবাজ।
একটা সময় গিয়েছে, বেজাল মুক্ত খাবারের জন্য মানুষ মুসলিমদের বিশ্বাস করত। কিন্তু এখন মুসলিম মানে আতঙ্ক।
আরও আছে, একজন আমেরিকানের বিয়ের আগে অন্তত ২০ জন যৌন সঙ্গীনি থাকে।(আই,আর,এফ। ১৯৯৬)
আমরা যদি ইন্টারনেটে সার্চ দেই টেনিজার দের পর্ণের অভাব নেই। একজন আমেরিকান যদি একটি তরুণীকে ধর্ষন করে তাহলে সেটা খুবই স্বাভাবিক। আমেরিকান পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতিদিন প্রায় ১৬০০ এরও বেশী আমেরিকান ধর্ষিত হয়। এটা ১৯৯৬ এর রিপোর্ট , বর্তমানে এর মাত্রা বেড়েছে অবশ্যই।
এতে কোনো রিপোর্ট তৈরি হবে না। কেউ জানবেও না। অথচ, একজন মুসলিম যদি একজন তরুনীকে বিয়ে করে তাহলে ইসলাম বর্বর ধর্ম, এই শিরোনাম হয় পত্রিকার হেড লাইন।
কি বুঝলেন ভাইয়েরা?
যতো দোষ ইসলামের,মুসলিমদের । আমাদের উচিৎ ইসলামের প্রসার বাড়ানো। তরবারী দিয়ে ছরানো ধরকার। যে তরবারীতে রক্ত না শান্তি ঝড়বে।
ইসলাম নাকী তরবারীর মাদ্ধমে ছরানো হয়েছে।
আচ্ছা, এটাম বোমা ব্লাষ্টিং কারা করে ছিলো?
মুসলিমরা?
এটা তো প্রমানিতই।
বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জরিপ করছে, ইসলামেই সন্ত্রাসের মাত্রা বেশী। মাদরাসা বন্ধ হোক। আমি বলবো কলেজও বন্ধ হোক। কারন হিটলারের মতো খুনি কলেজ থেকে শিক্ষা নিয়েছে।
আমাদেরও উচিৎ এই জরিপ গুলো দেখানো। যে খ্রীষ্টান ধর্ম বর্বর ধর্ম। ইহুদী বর্বর ধর্ম।
ডিলেসি ওলেরী বলেছেন (তার বই "ইসলাম অন দ্য ক্রুস রোড ৮ নং পৃষ্ঠায়।) তিনি বলেছেন যে" ইতিহাসে এটি পরিষ্কার যে হাতে তরবারী নিয়ে মুসলিমদের ইসলাম ধর্মের প্রচার এবং বিভিন্ন দেশ জয় করার এই আজগুবি গল্পটি একটি অসাধারন মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছাড়া কিছুই নয়। যেটি বরাবর বলা হয়ে থাকে।"
ডিলেসিকে তো আপনারা চেনেন। তিনি একজন বিখ্যাত ঐতিহাসিক।
এতো অপপ্রচারের পরেও কিন্তু ইসলাম এর প্রসারই সব চেয়ে বেশী গত কয়েক দশক যাবৎ।
আল্লাহ্ বলেন তারা চক্রান্ত করেছিলো এবং আল্লাহ্ কৌশল করেছিলেন এবং আল্লাহ্ সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলী। (সূরা আল ইমরান ৫৪)
তার পরেও বলব আমরা মুসলিমরা আমাদের ধর্ম প্রচারে কাজ করছি না। বাংলাদেশে যতো গুলো ব্লগ আছে তার মাঝে খুব কমই আছে ইসলাম প্রচার করছে । তাই আমাদের উচিৎ সকল ক্ষেত্রেই প্রচার মাদ্ধম গড়ে তোলা।
[শুভ্র আহমেদ ]
কারও দিলে আঘাত দিয়ে থাকলে বিনিত ভাবে ক্ষমা ভিক্ষা চাই। আমার উদ্দেশ্য তা ছিলো না।
যে কোনো ভুল ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ জ্ঞাপন করছি।
আস-সালামু আলাইকুম
বিষয়: বিবিধ
১৪৯৭ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কথাটার সাথে একমত। মুসলমানরা পিছিয়ে এই কারণেই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন