অলৌকিক একটি খেজুর গাছ
লিখেছেন লিখেছেন এমদাদ ২৫ এপ্রিল, ২০১৪, ০৭:০৩:৪৩ সন্ধ্যা
অবাস্তব মনে হলেও সত্য সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের কাশিবাটী গ্রামের শেখবাড়ির পুকুরের দক্ষিণ কোনার রহস্যময় ও অলৌকিক একটি খেজুর গাছের কাছে রোগমুক্তির আশায় এখন হাজারো মানুষের ভিড়। আর এই সুযোগে শুরু হয়েছে সেখানে নানা ধরনের ব্যবসা।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন পুকুরপাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, অলৌকিক খেজুরগাছটি একনজর দেখার জন্য স্থানীয়সহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের অসংখ্য নারী-পুরুষ-শিশুর উপস্থিতি। এরই মধ্যে বাঁশের চটা দিয়ে পুকুরপাড়ের চারপাশ ঘিরে দিয়েছে মালিকপক্ষ। দূরদূরান্ত থেকে আসা কৌতূহলী মানুষের কেউ কেউ এসেছেন বিষয়টি একনজর দেখার জন্য।
আবার কেউবা এসেছেন আজব খেজুরগাছের শিকড় নিয়ে মাদুলি ভরে রোগমুক্তির আশায়। ঠিক পুকুরপাড়ের ডান পাশে বসেছে চা-পানসহ হরেক রকম পসরার দোকান। সেখানে বিক্রি হচ্ছে কালো সুতা, মাদুলি, রুমাল, খালি প্লাস্টিকের বোতলসহ বিভিন্ন সামগ্রী।
পুকুর ও খেজুরগাছের মালিক নজরুল ইসলামসহ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, সত্য মনে না হলেও এটাই বাস্তব যে খেজুরগাছটি প্রতিদিন রাত ১২টার পর থেকে দুপুর দেড়টার মধ্যে ঠিক যেন ঘড়ির কাঁটা ধরে আস্তে আস্তে পুকুরের পানির মধ্যে এক হাত পরিমাণ মাথা নুয়ে পড়ে। দুপুর দেড়টার পর থেকে আবারও আস্তে আস্তে গাছটি সোজা হয়ে দাঁড়ায়।
প্রত্যক্ষদর্শী কালীগঞ্জ উপজেলার নাংলা গ্রামের মমিনুর রহমান মমিন, চৌবাড়িয়ার কবির হোসেন, পাইকাড়ার সোহাগ হোসেনসহ স্থানীয় আলীম হোসেন, রাকিবুল ইসলাম, মনিরুল ইসলামের কাছ থেকে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ যাবৎ খেজুরগাছটির আজব রহস্য একনজর দেখতে স্থানীয়সহ বিভিন্ন অঞ্চলের অসংখ্য নারী-পুরুষ-শিশু প্রতিদিন সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন। অনেকে এ রহস্যময় খেজুরগাছের পাতা ভেজানো পুকুরের পানিকে মৃত্যু ব্যতীত সব রোগের মহৌষধ মনে করে পান করছেন ও গায়ে মাখছেন। একই সঙ্গে বোতলে ভরে নিয়ে যাচ্ছেন তারা।
পানি পান করার কারণ জিজ্ঞেস করলে তাদের সবার একই উত্তর- আল্লাহর ওপর আস্থা রেখে ওই পানি পান করলে তাদের রোগবালাই সেরে যাবে অথবা নানা বালামুসিবত দূর হবে- এমন আশায় তারা খেজুরগাছ ডোবা ওই পুকুরের পানি পান করছেন।
পুকুর মালিকের ভাই শেখ খায়রুল ইসলাম জানান, তাদের জায়গায় অবস্থিত পুকুরের পাড়ে জন্মানো খেজুরগাছটি অনেক দিন আগে থেকেই হেলানো অবস্থায় বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু প্রায় ২০ দিন যাবৎ ওই খেজুরগাছটি মাঝ বরাবর থেকে ওপরের অংশ পানিতে তালিয়ে যাচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে সেটি আবার উঁচু হয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। এই উত্থান-পতনের ব্যবধান কমপক্ষে ৫-৬ ফুট।
তিনি আরো জানান, লোকজনের সমাগম উপলক্ষে পুকুরপাড়ে বসেছে বেশ কয়েকটি খাদ্যদ্রবের দোকান। তবে অলৌকিক এ ঘটনাটিকে আধ্যাত্মিকসহ বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসীসহ দূরদূরান্ত থেকে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। দূরদূরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীদের ভিড় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সংগৃহীত
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন