রিযিকের হ্রাস-বৃদ্ধি আল্লাহর ইচ্ছাধীন

লিখেছেন লিখেছেন এমদাদ ৩১ মার্চ, ২০১৪, ০৮:০৯:১১ রাত

আল্লাহ তাআলা নিজ বান্দাদের পরীক্ষা ও পরখ করার জন্য রিযক বৃদ্ধি বা হ্রাস করেন। রিযক বৃদ্ধি যেমন আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রমাণ নয়, অনুরূপ রিযকের সংকীর্ণতা তার অসন্তুষ্টির কারণ নয়। অধিকাংশ মানুষ এ বিষয়টি জানে না। দুনিয়ার সচ্ছলতা কারো শুভলক্ষণের দলিল নয়, কারণ আখেরাতের সাফল্য নির্ভর করে নেক আমলের উপর, যা চিরস্থায়ী ও চিরকাল। দুনিয়াতে কখনো আল্লাহ অবাধ্যকে দেন সচ্ছলতা, আনুগত্যকে দেন সংকীর্ণতা। আবার কখনো এর বিপরীত করেন। কখনো উভয়কে সচ্ছলতা দেন, কখনো দেন সংকীর্ণতা। কখনো অবাধ্য বা আনুগত্য একই ব্যক্তিকে এক সময় দেন সচ্ছলতা, অপর সময় দেন অস্বচ্ছলতা। এসব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন আল্লাহ তাআলা নিজ প্রজ্ঞা ও হিকমতের ভিত্তিতে, যদি সচ্ছলতা সম্মান ও আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রমাণ হতো, তাহলে এর অধিকারী একমাত্র অনুগতরাই হতো, অবাধ্যরা কখনো এর স্বাদ পেত না। আর যদি সংকীর্ণতা অপমান ও আল্লাহর গোস্বার কারণ হতো, তাহলে অবাধ্যরা সদা সংকীর্ণতা ভোগ করত, অথচ বাস্তব এমন নয়। সারকথা সচ্ছলতা বা সংকীর্ণতা অবাধ্য বা অনুগত উভয়ের জন্যই সমান।

কতক কাফের সচ্ছলতাকে সামনে রেখে তাদের পক্ষে আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রমাণ পেশ করেছে, যদি আমাদের উপর আল্লাহর অনুকম্পা না হত, তাহলে তিনি আমাদেরকে সচ্ছলতা দিয়ে সম্মানিত করতেন না। হে রাসূলের অনুসারীগণ, আল্লাহর নিকট তোমরা তুচ্ছ বলেই বঞ্চিত। বস্তুত সচ্ছলতা বা অস্বচ্ছলতা শুভ লক্ষণ বা অশুভ কোন লক্ষণ নয়, হতভাগা বা সৌভাগ্যবান হওয়ারও কোন আলামত নয়। এ পার্থিব জগতে অনেক সচ্ছল ব্যক্তি বিদ্যমান যারা হতভাগা, আবার অনেক অসচ্ছল ব্যক্তি রয়েছে যারা সৌভাগ্যবান। অধিকাংশ লোকই তা জানে না। অভাব, অস্বচ্ছলতা, প্রবৃদ্ধি, সচ্ছলতা ইত্যাদি আল্লাহর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল, নেককার বা বদকার বলে কোন বিষয় নেই। সম্মান ও মর্যাদার কারণে যেমন কাউকে সচ্ছলতা প্রদান করা হয় না, আবার হীন ও তুচ্ছতার কারণে কাউকে অভাব দেয়া হয় না। সচ্ছলতা কখনো অবকাশ ও সুযোগ হিসেবে প্রদান করা হয়, অস্বচ্ছলতা কখনো মর্যাদা বৃদ্ধি ও পরীক্ষামূলক দেয়া হয়।

তাবারি বলেছেন : ‘দাম্ভিক কাফেররা আল্লাহর নবী ও রাসূলদের বলেছে : তোমাদের তুলনায় আমাদের সম্পদ ও সন্তান অধিক, আমাদেরকে আখেরাতে আযাব দেয়া হবে না, কারণ আল্লাহ যদি আমাদের বর্তমান ধর্ম ও আমলের উপর সন্তুষ্ট না হতেন, তাহলে আমাদেরকে তিনি অধিক সম্পদ ও সন্তান দান করতেন না, রিযকের ব্যাপারে স্বচ্ছলতা দিতেন না, তাই আল্লাহ আমাদেরকে যা দিয়েছেন, তা এ জন্যই দিয়েছেন যে, তিনি আমাদের আমলের উপর সন্তুষ্ট, আমরা তার প্রিয় পাত্র। আল্লাহ তাআলা তার নবীকে বলেন : হে মুহাম্মদ তাদেরকে বল : নিশ্চয় আমার রব তার বান্দাদের থেকে যার জন্য ইচ্ছা রিযক বৃদ্ধি করেন, আর যার উপর ইচ্ছা তিনি সংকীর্ণ করেন। মহব্বত, কল্যাণ কিংবা নৈকট্যের কারণে কাউকে তিনি ধন দৌলত প্রদান করেন না, আবার অসন্তুষ্টি ও গোস্বার কারণে তিনি কারো উপর সংকীর্ণতা করেন না। শুধু পরীক্ষার জন্য কাউকে প্রদান করেন, করো থেকে ছিনিয়ে নেন। অধিকাংশ লোক তা জানে না। এটা আল্লাহর একটা পরীক্ষা মাত্র, কিন্তু তাদের ধারণা, প্রিয়পাত্র হলে তিনি সচ্ছলতা দেন, আবার গোস্বার পাত্র হলে তিনি অভাবে পতিত করেন।’

বিষয়: বিবিধ

১১৬২ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

200987
৩১ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৩২
নূর আল আমিন লিখেছেন : ভালো লাগলো আপনাকে
ধন্যবাদ
201004
৩১ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৪৯
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম চমৎকার পোস্ট, জাজাকাল্লাহুল খাইরান
201030
৩১ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:৩৯

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7238

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> রায়হান রহমান লিখেছেন : তাহলে আমেরিকার হাতে এত খাদ্য কেন?
201052
৩১ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৪৮
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম চমৎকার পোস্ট, জাজাকাল্লাহুল খাইরান
201065
০১ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:০২
আনিস১৩ লিখেছেন : Nice sharing brother.
201067
০১ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:২৭
সন্ধাতারা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
201848
০২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:১৮
এমদাদ লিখেছেন : ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File