জাতীয় সংগীতঃ জামায়াতের বাংলাদেশ বিরোধিতা এবং আওয়ামীলীগের বাংলাদেশ বিরোধিতা গানকে জাতীয় সংগীত হিসেবে বহাল রাখা।

লিখেছেন লিখেছেন তথ্য অধিকার ২৬ মার্চ, ২০১৪, ০৫:১২:৪৪ বিকাল



১৯০০ শতকের শুরুর দিক। সাম্রাজ্যবাদী বৃটিশরা ভারতের রাজক্ষমতায়। ভারতবর্ষের অন্তর্ভূক্ত বঙ্গভূমি(সমন্বিত পশ্চিম ও পূর্ব বাঙলা ) ও তাদের করতলগত। বঙ্গভূমি তথা বাঙলার প্রানকেন্দ্র তখন কলকাতা। বৃটিশরাজ চাইলেন ঢাকাকে কেন্দ্র করে বাঙলাকে দুই প্রদেশে বিভক্ত করে ফেলতে যাতে উনাদের "ভাঙন ও শাসন" নীত বাস্তবায়িত হয় এবং বাঙলায় তাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থা সুদৃঢ় হয়।

সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম অধ্যুষিত পুর্ব বাঙলা(বর্তমান বাংলাদেশ)'র অবহেলিত জনগন বৃটিশরাজের উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। কারণ এতে করে সাম্রাজ্যবাদী প্রভু বৃটিশরাজের দয়া-দাক্ষিন্য লাভ করে নিজেদের উন্নয়ন করা'র এক বিস্তৃত দরজা খুলে যাবে। কিন্তু বেঁকে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ী, গুনী, শিল্পী, প্রভাবশালী ও সুশীল সমাজ। কারন এতে করে উনাদের ভাগের অংশ অনেক কমে যাবে। উনাদের ব্যবসা, মুনাফা, সুযোগ-সুবিধা, প্রভাব অনেক কমে যাবে। "বঙ্গভঙ্গ রদ আন্দোলন" নাম দিয়ে উনারা দীর্ঘদিন উনাদের পরম শ্রদ্ধেয় মান্যবর প্রভু সামাজ্যবাদী বৃটিশরাজের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যান।

আন্দোলনের আগুনে লাকড়ির ইন্ধন দিতে ১৯০৫ সালে কবিগুরু তাঁর প্রতিভাকে ব্যবহার করে অসাধারন এক কবিতা লিখে ফেললেন। সুর করে তা ছড়িয়ে দিলেন পুর্ব বঙ্গ তথা বাংলাদেশ বিরুধী সংগ্রামী যোদ্ধাদের মুখে মুখে বুকে বুকে। ১৯০৫ সাল গেল। এক সময় বৃটিশরাজ পশ্চিমবাংলার সংগ্রামী যুদ্ধাদের কাছে নতি স্বীকার করলো।

তারো অনেক পরে এক সময় সাম্রাজ্যবাদী বৃটিশরাজ লেজ প্রসারিত(গণতন্ত্রের শিকল ভারতবর্ষের উপর চাঁপিয়ে) করে রেখে তল্পি-তল্পা গুটিয়ে চলে গেলেন।

তারো অনেক পরে বাংলাদেশ স্বাধীন হল। বিয়াল্লিশ বছর পরও জামায়াতীরা আজ যুদ্ধাপরাধী, বাংলাদেশের জন্য হুমকী কারণ। ওরা ৭১ এ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলো। কিন্তু ১০৮ বছর পর আজ ১৯০৫ সালে যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ছিল তারাও কি যুদ্ধাপরাধী নয়, বাংলাদেশের জন্য হুমকী নয় বরং তারা বাংলাদেশের পরম বন্ধু??

৭১ এ বাংলাদেশের জন্মলগ্নে যারা বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের পক্ষে ছিল সেটা অমার্জনীয় অপরাধ এবং তারা পরাজিত হয় তাদের ইচ্ছা বাস্তবায়িত না হয়ে দেশ স্বাধীন হওয়ায়। কিন্তু যারা ১৯০৫ সালে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরোধিতা এবং বাংলাদেশ বিরোধী যোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য রচিত সংগীতকে "জাতীয় সংগীত" করলো তাদের কি কোন অপরাধ নেই!!! বরং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঠিকাদারী তাদেরই হাতে!!!

১৯০৫ সালে এই স্বাধীনতাবিরোধীদের আন্দোলনের ফলেই তো বঙ্গভঙ্গ রোধ হয়ে কোল্কাতা বাংলাদেশের অংশ হওয়া থেকে বঞ্চিত হয়? এর জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তার এই জাতীয় সংগীত এককভাবেই দায়ী। (সংগৃহীত) Click this link

বিষয়: বিবিধ

১৩২৩ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

198372
২৬ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৯
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনি কবিরা গুনাহ করিয়া ফেলিয়াছেন৷ ফেরি ওয়ালারা শুনিয়া ফেলিতে পারে৷
২৬ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৭
148328
মুই অমপুরী লিখেছেন : তাই বাহে --মুই পালাং কোন্টে ??
198411
২৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:১২
হতভাগা লিখেছেন : জাতীয় সংগীতের কোথাও বাংলাদেশের কথা উল্লেখ নেই , আছে বাংলার কথা । রবীন্দ্রনাথের সময়কালে (১৮৬১-১৯৪১) ভারতবর্ষও স্বাধীন হয় নি , বাংলাদেশ তো দূরের কথা ।

এই গান উনি লিখেছিলেন বঙ্গভঙ্গের বিপক্ষে, যে বঙ্গভঙ্গের ফলে এতদ অন্চলে উন্নতির ছোঁয়া আসতে শুরু করেছিল ।

এ অন্চলের ম্যাক্সিমাম লোকই ছিল বাংলা ভাষী মুসলমান । গোঁড়া হিন্দু রবীন্দ্রনাথ ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা কখনই চায় নি এরা উন্নত হোক । এমন কি উনি ঢাবিরও বিরোধিতা করেছিলেন এবং এর বিপরীতে শান্তি নিকেতন বানিয়েছিলেন ।

বঙ্গভঙ্গ বিরোধী তথা কালের পরিক্রমায় বাংলাদেশ বিরোধী এই সঙ্গীতকে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা দেওয়া বাংলাদেশীদের দূর্বল ও নতজানু মানসিকতাকেই বুঝিয়ে দেয় ।
২৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৩২
148357
মুই অমপুরী লিখেছেন : একদম ঠিক কইছে বাহে
২৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৪২
148364
হতভাগা লিখেছেন : আপনি কি ব্লগার তথ্য অধিকারের এসিসটেন্ট ?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File