তথ্য অধিকারঃ আল বদরের জন্ম কোথায় ও জন্মদাতা কে?
লিখেছেন লিখেছেন তথ্য অধিকার ১৬ মার্চ, ২০১৪, ১০:২৮:১৪ রাত
আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে সরকারর পক্ষের জোরালো তথ্য প্রমাণ দেখুন--
বাংলাদেশে তথ্য অধিকার কায়েম হবেই যদি এমন কাণ্ড ঘটে এবং তথ্যের এমন বেদিশা হয়--
আলবদরের জন্ম কোথায় হয়েছিল সে সম্পর্কে প্রসিকিউশন নানা জায়গায় নানা কথা বলেছে।
সানসেট এট মিড ডে বইতে তারা বলছে, নোয়াখালীতে মহিউদ্দিন চৌধুরী আল বদর গঠন করেন।
মাওলানা একেএম ইউসুফ সাহেবের মামলায় বলা হয়েছে তিনি খুলনায় প্রথম রাজাকার ও আলবদর বাহিনী গঠন করেন মে মাসে।
৭১ এর দশ মাস বইতে বলা হয়েছে জুন মাসে আলবদর বাহিনী গঠন করা হয় বিহারী ও মাদ্রাসা ছাত্রদের নিয়ে।
একাত্তরের ঘাতক ও দালালেরা কে কোথায় বইতে বলা হয়েছে ঢাকার লালবাগে বদর বাহিনী গঠিত হয় মাদ্রাসা ছাত্র ও বিহারীদের নিয়ে।
শাহরিয়ার কবিরের মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বইয়ে বলা হয়েছে, কামারুজ্জামানের নেতৃত্বে জামালপুরে প্রথম আলবদর বাহিনী গঠিত হয়।
ফর্মাল চার্জে তারা বলেছেন ২২ এপ্রিল জামালপুরে প্রথম আলবদর গঠিত হয়।
এই বইগুলো সবই তাদের দাখিল করা বই। আর মাওলানা নিজামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বাহিনী গঠন করেন ছাত্র সংঘের সদস্যদের নিয়ে যখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেন বলে বলা হয়েছে। অথচ তিনি ৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেন মর্মে কোন প্রমাণ তারা দাখিল করেননি।
প্রসিকিউশনের কোন বক্তব্য সত্য ? সেলিম মনসুর খালেদের যে বই তারা এ্ই মামলায় ব্যবহার করছেন তা উর্দুতে লেখা যার প্রকাশক, অনুবাদকের নাম নেই। বইটা বাজারেও পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন, নিজামী সাহেব আলবদরের প্রধান ছিলেন মর্মে তারা অসমর্থিত ও রেফারেন্সবিহীন বই থেকে তারা বলতে চেয়েছেন। তিনি যেহেতু ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলেন তিনিই আলবদরের প্রধান ছিলেন।
আবার এটাও তাদের ডকুমেন্টেই আছে যে, ৩০ সেপ্টেম্বরের পরে তিনি ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলেন না। তাহলে নবেম্বর-ডিসেম্বরের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে কিভাবে আসে?
আবার তারাই ১১-১২-১৯৭১ তারিখের দৈনিক সংগ্রাম দাখিল করেছেন যাতে বায়তুল মোকাররমে আলবদরের পথসভার খবর ও ছবি আছে যাতে আলবদর প্রধান হিসেবে অন্য এক ব্যক্তির নাম আছে।
মিজানুল ইসলাম বলেন, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ মাওলানা নিজামীর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ¦ী। ১৯৮৬ সালে প্রথম নির্বাচনে অংশ নেয়ার পর থেকেই নিজামী সাহেবের বিরুদ্ধে লেখালেখি শুরু হয়।
তার আগে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ কেউ করেনি। সাইয়িদ সাহেবও তার আগে কিছু লেখেননি। স্বাধীনতা যুদ্ধের পরপরই পাবনা জেলা পুলিশ সুপারের মাধ্যমে জেলার স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার আলবদরদের তালিকা তৈরী করা হয়। তাতে কোথায়ও মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর নাম নেই।
এই মামলার ১ নং সাক্ষী মিছবাহুর রহমান চৌধুরী পদে পদে মিথ্যা কথা বলেছেন। তার কোন একাডেমিক লেখাপড়ার সার্টিফিকেট নেই, অথচ বলেছেন কুষ্টিয়া কলেজ থেকে বিএ পাস করেছেন। আমরা ঐ বছরের টেবুলেশন শিট জমা দিয়েছি যাতে তার নাম নেই। সে যে চিঠি দাখিল করেছে তা ফটোকপি তাতে নানা অসঙ্গতি রয়েছে।
তথ্যসুত্রঃ এখানে দেখুন
বিষয়: বিবিধ
১৩২৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন