জানেন কিঃ আপনিও অপরাধদমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন যে ক্ষমতাবলে!!
লিখেছেন লিখেছেন আইন যতো আইন ২৪ মে, ২০১৪, ০৯:১৪:১৫ রাত
ব্লগে, পত্রিকায় এবং বাস্তবজীবনে অনেকেই অন্যায়-অপরাধ, দুর্নীতি ইত্যাদির বিরুদ্ধে লেখেন এবং লড়েন। এটা ভালো লক্ষণ এবং ভালোমানুষীর চিহ্ন বলতেই হবে।
অনেকে দেখেছি তার প্রতিবাদে কাজ হোক আর না হোক, সেদিকে তোয়াক্কা না করে আপনমনে তার সৎকাজটি করেই চলেছেন। কোনো বাঁধাই তাকে দমাতে পারেনা। এ জাতীয় লোকদের অনেকে পাগল বলেও মন্তব্য করে থাকেন এভাবে- খেয়ে-দেয়ে কাজ নেই তো, কী আর করবে? অনেকে আবার তার প্রতিবাদে কাজ না হওয়ায় একসময় হতাশায় ক্ষান্তও দিয়ে থাকে।
নিজে ভালোকাজ না করলেও অন্যের ভালোকাজে বাধা দেয়া কিংবা বিরক্তিপ্রকাশও একধরণের মানসিক রোগ, যা অনেকেই জানেন না। হাদীসে আছে--ভালোকাজের নিয়ত করলেই সওয়াব দেন আল্লাহ; কিন্তু পাপকাজের নিয়ত করলে পাপ লেখেন না যতক্ষণ পর্যন্ত পাপকাজটি করে ফেলে। তাহলে ক্ষতি কী, কারো সমালোচনায় এ ধরণের বাস্তবে ফলহীন এবং অদৃশ্য ভালোকাজ ছেড় দিয়ে; আল্লাহর সমর্থন তো আপনি পাচ্ছেন!
তাই আসুন, ছোটো-বড়, দৃশ্য-অদৃশ্য যাই হোক, আমরা প্রতিদিন অন্ততঃ একটি করে ভালোকাজ করি এবং দেশ ও মানবতার উপকার হোক না হোক, আল্লাহর কাছে পুরস্কার নিই। সবচে' বড়কথা--ভালোকাজ করতে না পারলেও প্রতিদিন অন্ততঃ একটি করে মন্দকাজ তো আমরা বর্জন করতেই পারি; হোক না তা অপছন্দনীয় কারো সাথে হাসিমুখে কথাবলা কিংবা কথা বলিনা এমন কারো সাথে আবার কথাবলা শুরু করা?
এবার আসল কথায় আসি; এধরণের ভালোকাজে যারা আসক্ত, তাদের জন্য সুন্দর ও কার্যকর একটি আইন এদেশেই আছে। সে আইন কাজে লাগিয়ে অনায়াসেই দেশ থেকে সব ধরণের দুর্নীতি, অপরাধ এবং যেকোনো প্রকার অস্বচ্ছতাও দূর করার কাজে আমরা শরিক হতে পারি।
একটা ঘটনা বলেই আইনটি সম্পর্কে বিশদ বলছি। হজরত ওমর রাঃ এর রাজত্বকালে আইনানুযায়ী তিনিই কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও খতীব। একদিন জুম্মার নামাজে খুতবাহ শুরুর আগে এক সাহাবী তাকে বললেন, আমিরীল মু'মিনিন-আমার একটা প্রশ্নোত্তর দিয়ে তবে খুতবাহ শুরু করুন। এমন একজন প্রতাপশালী শাসকের মুখের ওপর কৈফিয়ত তলব করা তখন সম্ভব থাকলেও এক্ষণ কি তা সম্ভব?
হজরত রাগ না করেই হেসে জিজ্ঞেস করলেন, কী প্রশ্ন বলো দেখি। যুবক সাহাবী নির্ভয়ে বললেন, সরকারি গণিমতের (রিলিফ) মাল হিসেবে আমরা সবাই এক টুকরো করে কাপড় পেলাম, যা দিয়ে কারো জামা বানানো সম্ভব নয়। অথচ আপনি কিভাবে সেই কাপড়েই এতো লম্বা জামা বানালেন? ওপর রাঃ হাসলেন এবং বললেন, এর জবাব দেবে আমার ছেলে আবু শামা। আবু শামা রাঃ যা বললেন, তা হচ্ছে যে পিতা-পুত্রের দু'জনের কাপড় জোড়া দিয়েই সেই জামা বানানো হয়েছে; যেহেতু উক্ত টুকরো দিয়ে কারুরই আলাদা আলাদা জামা হচ্ছিলো না।
এখানে আমরা পেলাম জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার তুলনাহীন উদাহরণসহ শিক্ষা এবং দুর্নীতিরোধের উপায়, তাই নয়কি!
সরকারও একই উদ্দেশ্যে যে আইন পাশ ও কার্যকর করেছে, তার নাম ''তথ্য অধিকার আইন-২০০৯''। অনেকেই এর নাম শুনলেও এ আইনের যে এতো শক্তি আছে কয়জনে জানে? এয়াইনের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে-জনগণের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতিরোধ এবং সর্বত্র জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
৩৭ ধারাসম্বলিত ছোট্ট আইনটির লক্ষ্য হচ্ছে- দেশের জনগণ যাতে তথ্যসমৃদ্ধ হয়ে এ সকল প্রতিষ্ঠানের ওপর নজর রাখতে পারে এবং এ সকল প্রতিষ্ঠান যেন তাঁদের নিকট দায়বদ্ধ থাকে, তার ব্যবস্থাগ্রহণ করা।
আইনটির প্রস্তাবনায় যা বলা হয়েছে তা নিম্নরূপঃ যেহেত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে চিন্তা, বিবেক ও বাকস্বাধীনতা নাগরিকগণের
অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃত এবং তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার চিন্তা, বিবেক ও বাকস্বাধীনতার ৃ
একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ; এবং
যেহেত জনগণ প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক ু ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার
নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক; এবং
যেহেত জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা হইলে সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং সরকারী ও বিদেশী অর্থায়নে সষ্ট বা পরিচালিত বেসরকারী সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাইবে, দূর্নীতিহ্রাস পাইবে ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হইবে; এবং
যেহেত সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং সরকারী ও বিদেশী অর্থায়নে সৃষ্ট বা পরিচালিত বেসরকারী সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বিধান করা সমীচীন ও
প্রয়োজনীয়;
সেহেত এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ
উল্লেখ্য যে, ধারা-৩ এ আছে- ''প্রচলিত অন্য কোন আইনের তথ্যপ্রদানসংক্রান্ত বিধানাবলী এ আইনের বিধানাবলী দ্বারা ক্ষুণ্ণ হবে না এবং তথ্যপ্রদানে বাধাসংক্রান্ত বিধানাবলী এ আইনের বিধানাবলীর সাথে সাংঘর্ষিক হলে, এ আইনের বিধানাবলী প্রাধান্য পাবে।''
৪ নং ধারায় বলা হয়েছে--এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে প্রত্যেক
নাগরিকের তথ্যলাভের অধিকার থাকিবে এবং কোন নাগরিকের অনুরোধের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাহাকে তথ্যসরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।
অতএব, বিসিএসসহ বিভিন্ন পরীক্ষার নম্বর, সরকারি-বেসরকারি অফিস, এনজিও কিংবা চেয়ারম্যানের বিভিন্ন প্রকল্পের তথ্য, আয়-ব্যয়ের হিসেব, হাসপাতালে্ কী কী ফ্রিসেবা পাওয়া যায় ইত্যাদি বিষয়ও সহজে জানা সম্ভব।
৮ নং ধারানুযায়ী নির্ধারিত ফর্মেটে (ফরম নয়) সংশ্লিষ্ট অফিসের ''দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা'র নিকট তথ্যপ্রাপ্তির অনুরোধপত্র পেশ করতে হবে। তবে নিমোক্ত ৮টি সংস্থার তথ্য চাওয়া নিষিদ্ধ যদিও মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দুর্নীতিসংক্রান্ত তথ্য চাইলে তা এই সংস্থাগুলো দিতে বাধ্য--
১/ জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)।
২/ ডাইরেক্টরেট জেনারেল ফোর্সেস ইনটেলিজেন্স (ডিজিএফআই)।
৩/ প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা ইউনিটসমূহ।
৪/ ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি), বাংলাদেশ পুলিশ।
৫/ স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)।
৬/ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের গোয়েন্দা সেল।
৭/ স্পেশাল ব্রাঞ্চ, বাংলাদেশ পুলিশ।
৮/ র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর গোয়েন্দা সেল।
৯ নং ধারানুযায়ী আবেদনপ্রাপ্তির ২০ কার্যদিবসের মধ্যে ''দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা'' আপনাকে তথ্যপ্রদানে বাধ্য যদি না আইনগত কোনো বাধা থাকে। তবে তথ্য দিতে আইনতঃ বা অন্য বৈধ কারণে অপারগ হলে তিনি ১০ কার্যদিবসের মধ্যেই লিখিতভাবে জানাতে বাধ্য। আর তথ্য দিতে চাইলে আপনাকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্যমূল্য পরিশোধের অনুরোধ জানিয়ে অনুরোধপত্র দেবে।
নির্দিষ্ট সময়ে তথ্য না পেলে কিংবা পেয়েও সংক্ষুব্ধ হলে আপিল কর্তৃপক্ষের নকট ৩০ দিনের মধ্যে বা ২০ কার্যদিবস পর আপনি আপিল করতে পারবেন। আপিল কর্তৃপক্ষ হয় ১৫ দিনের মধ্যে আপনাকে তথ্যপ্রদানের নির্দেশ দেবেন কিংবা আপনার বিপক্ষে রায় বা আপিল খারিজ করে দেবেন। এখানেও আপনি সংক্ষুব্ধ হলে সংক্ষুব্দ হবার তারিখের পর বা আপিলের মেয়াদান্তে ৩০ দিনের মধ্যে তথ্য কমিশন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করতে পাবেন।
উল্লেখ্য, তথ্য কমিশন হচ্ছে তথ্য পাইয়ে দেয়ার লক্ষ্যে গঠিত আধাবিচারিক একটি দেওয়ানী আদলত। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তথ্য না দেয়ার অপরাধ প্রমাণিত হলে নির্দিষ্ট সময়ে তথ্যপ্রদানের নির্দেশসহ প্রতিদিন ৫০টাকা হারে মোট ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড দিতে পারবে তথ্য কমিশন। এছাড়াও বিভাগীয় মামলা চালুর অনুরোধ জানতে পারবে। তার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তাও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তথ্য কমিশনকে জানাতে বাধ্য।
তথ্যপ্রাপ্তির আবেদনসহ যাবতীয় তথ্য পাবেন এখানে
Click this link
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৫ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে সর্ষের মধ্যেই যেখানে ভূত সেখানে ভূত তাড়াবেন কে?
তবুও উদ্যোগ খারাপ না!
একটু জানাবেন,।১/ আইন কি?
/ ন্যায় কি?
৩/ আইন হলেই সেটা ন্যায় হতে হয় কিনা?
৪/ অন্যায় যখন আইন হয়ে যায় তখন তা মানতে মানুষ বাধ্য কিনা?
৫/ আইন শুধু ক্ষমতাশালীদের সুবিধার জন্যই বাবানো হয় কিনা?
৬/ আইন বাবানোর সময় জনগণের সুবিধার জন্য এই আইন বানানো হচ্ছে বলা হলেও সেই আইন থেকে জনগণ কতটুকু সুবিধা পায় আর ক্ষমতাশালী চুরেরা কতটা সুবিধা পায়?
৭/ আইন বাবানোর সময় জনগনের সুবিধা মাথায় রেখে বানানো হয়?
৮/ নাকি দেশের সম্পদ চুরি করেও পার পাওয়ার ব্যবস্থা রাখতেই আইন বানানো হয়?
৯/ দেশের বিপক্ষে বলা আর সরকারের বিপক্ষে বলার মধ্যে পার্থক্য আছে কিনা?
১০/ সরকারের অন্যায়ের বিপক্ষে কথা বললে তা দেশের বিপক্ষে বলে চালিয়ে দিয়ে বিরোধী দলকে হয়রানী করার জন্য আইন রাখা হয়েছে কিনা?
১১/ ক্ষমতায় গিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হতে চুরেরা কোন আইন ব্যবহার করে।?
১২/ যে সব আইন চুরি করার সুবিধার জন্য বানানো হয় তা জনগণ চাইলে ভেঙ্গে দিতে পারে না?
যতটুকু আপনার জানা থাকে জানাবেন আশা করি।
১/ আইন হলো নিয়মের এক পদ্ধতি যাকে নাগরিক বাধ্যতা, রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সমাজের ভিত্তি নির্মান করতে ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যমে কার্জকরী করতে ইহাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আইন জনগণের মধ্যে সম্পর্ককে প্রধান সামাজিক মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। ৩৫০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে গ্রিক দার্শনিক অ্যারিষ্টটল লিখেছিলেন , " আইনের শাসন যেকোন ব্যক্তি শাসনের চেয়ে ভাল"।
২/ আইন আপেক্ষিক একটা ধারণা যা ধর্ম, দেশ, সমাজ, ব্যক্তি ইত্যাদির ধ্যান-ধ্যারণাকে উপেক্ষা করতে পারেনা বলেই কারো কাছে যা ন্যায়, অন্যের কাছে তা অন্যায় মনে হতে পারে।
৩/ ন্যায়ও আপেক্ষিক অর্থে ব্যবহৃত হয়। যা বিবেকসম্মত তা-ই সাধারণত ন্যায় হলেও রাষ্ট্র, ধর্ম, সমাজ ইত্যাদি ভেদে তা নির্ণীত হয়ে থাকে।
৪/ অন্যায়কে আইনে পরিণত করা হলে তা মানা না মানার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা থাকা না থাকাও ব্যক্তি, ধর্মীয় বা রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে।
৫/ আইন সাধারণত দুনিয়ার সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী কর্তৃপক্ষই যেমন রাজা-বাদশাহ ও সংসদ বানিয়ে থাকে বলে তা ক্ষমতাশীলদের স্বার্থ অধিকাংশ ক্ষেত্রে সংরক্ষিত হয়ে থাকে।
৬/৬, ৭ ও ৮ নম্বর প্রশ্নোত্তর ৫ নম্বরের জবাবেই আছে।
৯/ আইনগতভাবে দেশের বিরুদ্ধে কথাবলা শাস্তিযোগ্য কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে কথাবলা গণতান্ত্রিক অধিকার বলে সুস্পষ্ট ফারাক আছে।
১০/ না এ ধরণের কোনো আইন না থাকলেও ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতা অনেক বলে তারা চাইলে কাউকে হয়রানী করতে সক্ষম।
১১/ আইনে চুরির সুযোগ না থাকলেও বিভিন্ন আইনের অপপ্রয়োগ কিংবা প্রয়োগ না থাকা কিংবা যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় অনেকেই অন্যায় করেও আমাদের দেশে পার পেয়ে যায়।
১২/ অবশ্যই জনগণ যে কোনো আইন পরিবর্তনের অধিকারী যদি তারা তাদের পছন্দনীয় দলকে ক্ষমতায় এনে সংসদের মাধ্যমে করা যায়।
আমার একটি ধারণা ছিল আইন কাকে বলে তার উত্তরে। সঠিক কিনা একটু জানাবেন।
আইন বলা হয় এমন কোনো বিধানকে যা কোনো সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা লিখিতভাবেই স্বীকৃত।
আমার ধারণাটি কতটুকু সঠিক জানাবেন আশা করি।
আল্লাহ আপনার কল্যাণ করুন।
এজন্যই আন্তর্জাতিক আইনকে এখনো আইন বলে মানা হয়না যেহেতু সার্বজনীন নয় এবং ভঙ্গ করলে আইনানুযায়ী শাস্তি দেয়া হয়না বা যায়না।
আমেরিকা যা করে তা অবশ্য পরাশক্তিসুলভ আচরণ, আইন নয়।
তারা যাদের সাথে নির্বাচনে পারবে না, তাদেরকে আইন করেই নির্বাচনের বাইরে রাখা হয়। তারপরেও যদি তারা আসে তাহলে ক্ষমতা সেই নির্বাচনকে আইন করেই অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
তারপরেও যদি জনগনের সরকার ক্ষমতায় আসে তাহলে আইন করেই তাদের কাছ থেকে সেনাবাহিনী দিয়ে ক্ষমতা নিয়ে নেয়া হয়।
ক্ষমতাশালীদের চুরির প্রতিবাদ করলে আইন করেই জেলে দেয়া হয়। হা হা হা
আপেক্ষিক বিষয়টি এখানেও খুব ভালভাবেই কাজ করে। সেই হিসেবে বর্তমানের আইনের সংজ্ঞা এরকম হলেই শুধু সঠিক হবে বলে মনে হচ্ছে যে
আইন হলো এমন কিছু বিধান যা ক্ষমতাশালীরা জনগনের উপর নির্যাতন এর কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে। সেই বিধান প্রয়োগ করে জনগণের টাকায় পালিত গুণ্ডাবাহিনী দ্বারা।
এক কথায় ক্ষমতাই আইন আর আইনই ক্ষমতা।
এর বাইরে যা কিছুই বলা হবে সেটাও ঠিক তেমন হবে যেমন আইন বানানোর সময় বলা হয় এটা জনগণের সুবিধার জন্য করা হচ্ছে আসলে তা মিথ্যা । সত্য হলো আইন বানানো হয় জনগণের অধিকার হরণ করার জন্য। জনগণের উপর জুলুমকে বৈধ করার জন্য।
এক কথায় আইনই ক্ষমতা আর ক্ষমতাই আইন।
তবে তাও আপেক্ষিক।
স্থান কাল পাত্র পরিবর্তন হলে আইনের সংজ্ঞাও পরিবর্তন হয়ে যাবে।
আমার কথাগুলোতে একটু ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। তাই না?
একটি বড় কারণ হলো ক্ষমতাশালীরা দেশের সম্পদ চুরি করে বলেই আজ আমাদেরকে বিদেশে খুব কষ্ট করতে হচ্ছে। আমার ধারণা মতে ক্ষমতাশালীরা যদি চুরি না করে তাহলে আমাদের দেশ হবে ধনী দেশ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন