পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩
লিখেছেন লিখেছেন আইন যতো আইন ৩১ মার্চ, ২০১৪, ১২:১১:৪৬ রাত
পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩
( ২০১৩ সনের ৪৯ নং আইন )
[২৭ অক্টোবর, ২০১৩ ]
সন্তান কর্তৃক পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রনীত আইন
যেহেতু সন্তান কর্তৃক পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ—
সূচী
ধারাসমূহ
১) সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
২) সংজ্ঞা
৩) পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ
৪) পিতা-মাতার অবর্তমানে দাদা-দাদী, নানা-নানীর ভরণ-পোষণ
৫) পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ না করিবার দণ্ড
৬) অপরাধের আমলযোগ্যতা, জামিনযোগ্যতা ও আপোষযোগ্যতা
৭) অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ ও বিচার
৮) আপোষ-নিষ্পত্তি
৯) বিধি প্রণয়নের ক্ষমত
৩নং ধারায় যা আছে- পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ
৩। (১) প্রত্যেক সন্তানকে তাহার পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করিতে হইবে।
(২) কোন পিতা-মাতার একাধিক সন্তান থাকিলে সেইক্ষেত্রে সন্তানগণ নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করিয়া তাহাদের পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করিবে।
(৩) এই ধারার অধীন পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করিবার ক্ষেত্রে প্রত্যেক সন্তানকে পিতা-মাতার একইসঙ্গে একই স্থানে বসবাস নিশ্চিত করিতে হইবে।
(৪) কোন সন্তান তাহার পিতা বা মাতাকে বা উভয়কে তাহার, বা ক্ষেত্রমত, তাহাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে, কোন বৃদ্ধ নিবাস কিংবা অন্য কোথাও একত্রে কিংবা আলাদা আলাদাভাবে বসবাস করিতে বাধ্য করিবে না।
(৫) প্রত্যেক সন্তান তাহার পিতা এবং মাতার স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ খবর রাখিবে, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও পরিচর্যা করিবে।
(৬) পিতা বা মাতা কিংবা উভয়, সন্তান হইতে পৃথকভাবে বসবাস করিলে, সেইক্ষেত্রে প্রত্যেক সন্তানকে নিয়মিতভাবে তাহার, বা ক্ষেত্রমত, তাহাদের সহিত সাক্ষাত করিতে হইবে।
(৭) কোন পিতা বা মাতা কিংবা উভয়ে, সন্তানদের সহিত বসবাস না করিয়া পৃথকভাবে বসবাস করিলে, সেইক্ষেত্রে উক্ত পিতা বা মাতার প্রত্যেক সন্তান তাহার দৈনন্দিন আয়-রোজগার, বা ক্ষেত্রমত, মাসিক আয় বা বাৎসরিক আয় হইতে যুক্তিসঙ্গত পরিমাণ অর্থ পিতা বা মাতা, বা ক্ষেত্রমত, উভয়কে নিয়মিত প্রদান করিবে।
৫নং ধারায় যা আছে-পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ না করিবার দণ্ড
৫। (১) কোন সন্তান কর্তৃক ধারা ৩ এর যে কোন উপ-ধারার বিধান কিংবা ধারা ৪ এর বিধান লংঘন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য অনূর্ধ্ব ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবে; বা উক্ত অর্থদণ্ড অনাদায়ের ক্ষেত্রে অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবে।
(২) কোন সন্তানের স্ত্রী, বা ক্ষেত্রমত, স্বামী কিংবা পুত্র-কন্যা বা অন্য কোন নিকট আত্নীয় ব্যক্তি—
(ক) পিতা-মাতার বা দাদা-দাদীর বা নানা-নানীর ভরণ-পোষণ প্রদানে বাধা প্রদান করিলে; বা
(খ) পিতা-মাতার বা দাদা-দাদীর বা নানা-নানীর ভরণ-পোষণ প্রদানে অসহযোগিতা করিলে—
তিনি উক্তরূপ অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করিয়াছে গণ্যে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত দণ্ডে দণ্ডিত হইবে
বিশদ জানতে Click this link
আরো কি আইন জানতে চান Click this link
বিষয়: বিবিধ
১২৬০ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মনে করুন আমি পিতা-মাতার ভরণ-পোষন দিলাম না, রাষ্ট্র আমাকে জেলে দিল. আমি জেলে থাকা কালিন কি রাষ্ট্র আমার বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে ভরন-পোষণ দেবে.
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : আহারে..কোন জায়গায় পৌঁছে গেছি আমরা। এখন বাবামায়ের দেখাশোনা করার জন্য আইন করা লাগে!
স হমত ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন