তথ্য অধিকার আইন-২০০৯: জনগণকে ক্ষমতায়নের আইন।
লিখেছেন লিখেছেন আইন যতো আইন ১৭ মার্চ, ২০১৪, ১১:১১:১৫ সকাল
সরকার তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ নামে যে আইনটি করেছে, তা আসলেই একটি যুগান্তকারী আইন। শুধু একটি বিষয় বললেই টা পরিস্কার হবে। আমাদের দেশে যত আইন আছে--তা জনগনকে নিয়ন্ত্রণ করা অথবা তাদের বিরুদ্ধের প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু এটাই একমাত্র আইন যা দিয়ে জনগণই সরকার বা প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। এটা মূলত জনগণের ক্ষমতায়নের প্রকৃত একটা আইন। আইনতি নিচে দেয়া হলঃ
''তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিতকরণের নিমিত্ত বিধান করিবার লক্ষ্যে প্রণীত আইন।
যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতা নাগরিকগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃত এবং তথ্য প্রাপ্তির অধিকার চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ; এবং
যেহেতু জনগণ প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক; এবং
যেহেতু জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা হইলে সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং সরকারী ও বিদেশী অর্থায়নে সৃষ্ট বা পরিচালিত বেসরকারী সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাইবে, দুর্নীতি হ্রাস পাইবে ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হইবে; এবং
যেহেতু সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং সরকারী ও বিদেশী অর্থায়নে সৃষ্ট বা পরিচালিত বেসরকারী সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-
সূচী
ধারাসমূহ
প্রথম অধ্যায়
প্রারম্ভিক
১৷ সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন৷
২৷ সংজ্ঞা৷
৩৷ আইনের প্রাধান্য
দ্বিতীয় অধ্যায়
তথ্য অধিকার, তথ্য সংরক্ষণ, প্রকাশ ও প্রাপ্তি
৪৷ তথ্য অধিকার৷
৫৷ তথ্য সংরক্ষণ৷
৬৷ তথ্য প্রকাশ৷
৭৷ কতিপয় তথ্য প্রকাশ বা প্রদান বাধ্যতামূলক নয়৷
৮৷ তথ্য প্রাপ্তির অনুরোধ৷
৯৷ তথ্য প্রদান পদ্ধতি৷
তৃতীয় অধ্যায়
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
১০৷ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ৷
চতুর্থ অধ্যায়
তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা, ইত্যাদি
১১৷ তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা৷
১২৷ তথ্য কমিশন গঠন৷
১৩৷ তথ্য কমিশনের ক্ষমতা ও কার্যাবলী৷
১৪৷ বাছাই কমিটি৷
১৫৷ প্রধান তথ্য কমিশনার ও তথ্য কমিশনারগণের নিয়োগ, মেয়াদ, পদত্যাগ, ইত্যাদি৷
১৬৷ প্রধান তথ্য কমিশনার ও তথ্য কমিশনারগণের অপসারণ৷
১৭৷ তথ্য কমিশনারগণের পদমর্যাদা, পারিশ্রমিক ও সুবিধাদি৷
১৮৷ তথ্য কমিশনের সভা৷
পঞ্চম অধ্যায়
তথ্য কমিশনের আর্থিক বিষয়াদি
১৯৷ তথ্য কমিশন তহবিল৷
২০৷ বাজেট৷
২১৷ তথ্য কমিশনের আর্থিক স্বাধীনতা৷
২২৷ হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা৷
ষষ্ঠ অধ্যায়
তথ্য কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী
২৩৷ তথ্য কমিশনের সচিব এবং অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী৷
সপ্তম অধ্যায়
আপীল, অভিযোগ, ইত্যাদি
২৪৷ আপীল, নিস্পত্তি ইত্যাদি৷
২৫৷ অভিযোগ দায়ের, নিস্পত্তি ইত্যাদি ৷
২৬৷ প্রতিনিধিত্ব৷
২৭৷ জরিমানা, ইত্যাদি৷
২৮৷ Limitation Act, 1908এর প্রয়োগ৷
২৯৷ মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা৷
অষ্টম অধ্যায়
বিবিধ
৩০৷ তথ্য কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন৷
৩১৷ সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম রক্ষণ৷
৩২। কতিপয় সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই আইন প্রযোজ্য নহে
৩৩৷ বিধি প্রণয়ন ক্ষমতা৷
৩৪৷ প্রবিধান প্রণয়ন ক্ষমতা৷
৩৫৷ অস্পষ্টতা দূরীকরণ৷
৩৬৷ ইংরেজীতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ৷
৩৭। রহিতকরণ ও হেফাজত'
আরো জানুন এখান থেকে
বিষয়: বিবিধ
১১৯৭ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার সমর্থক সরকার এলে তখন কী হবে--যদি আইন দিলিত করে দিই!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন