সালাত ও পবিত্রতা – শর্ত, ফরজ ও ওয়াজিবসমূহ
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আসাদুল ইসলাম ১৮ মার্চ, ২০১৪, ০৫:২৭:১৩ বিকাল
লেখক: শায়খ আল্লামা আব্দুল আযীয ইবন আব্দুল্লাহ ইবন বায (রহিমাহুল্লাহ)
অনুবাদ : মোহাম্মদ রকীবুদ্দীন আহমাদ হুসাইন |
সম্পাদনা : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া ।
সালাতের শর্তাবলী
সালাতের শর্তাবলী মোট ৯টি। যথাঃ
ইসলাম
বুদ্ধিমত্তা
ভাল-মন্দ পার্থক্যের জ্ঞান হওয়া
নাপাকি দূর করা
ওজু করা
সতরে আওরাত অর্থাৎ লজ্জাস্থানসহ শরীরের নির্ধারিত অঙ্গগুলো আবৃত রাখা
সালাতের সময় উপস্থিত হওয়া
কিবলামুখী হওয়া এবং
নিয়ত করা, নিয়ত পড়া নয়
ওজুর ফরজসমূহ
এগুলো মোট ৬টি। যথাঃ
মুখমণ্ডল ধৌত করা; পানি দিয়ে নাক ঝাড়া ও কুলি করা এর অন্তর্ভুক্ত,
কনুই পর্যন্ত উভয় হাত ধৌত করা,
সম্পূর্ণ মাথা মসেহ করা; উভয় কান উহার অন্তর্ভুক্ত,
গোড়ালী পর্যন্ত উভয় পা ধৌত করা,
ওজুর কার্যাবলী পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন করা এবং
এগুলো পরপর সম্পাদন করা
উল্লেখ থাকে যে, মুখমণ্ডল, উভয় হাত ও পা তিনবার করে ধৌত করা মুস্তাহাব। একইভাবে কুলি করা ও নাকে পানি দিয়ে তিনবার ঝাড়া মুস্তাহাব। ফরজ মাত্র একবারই। তবে, মাথা মসেহ একাধিকবার করা মুস্তাহাব নয়। এই ব্যাপারে কতিপয় সহীহ হাদীস বর্ণিত আছে।
সালাতের রুকন (ফরজ)সমূহ
সালাতের রুকন ১৪টি। যথাঃ
সমর্থ হলে সালাতে দণ্ডায়মান হওয়া,
ইহরামের তাকবীর বলা,
সূরা ফাতিহা পড়া,
রুকুতে যাওয়া,
রুকু হতে উঠে সোজা দণ্ডায়মান হওয়া,
সপ্তাঙ্গের উপর ভর করে সিজদা করা,
সিজদা থেকে উঠা,
উভয় সিজদান মধ্যে বসা,
সালাতের সকল কর্ম সম্পাদনে স্থিরতা অবলম্বন করা,
সকল রুকন ধারাবাহিকভাবে তরতীবের সাথে সম্পাদন করা,
শেষ বৈঠকে তাশাহ্হুদ পড়া,
তাশাহহুদ পড়ার জন্য শেষ বারে বসা,
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর দরূদ পড়া এবং
ডানে-বামে দুই সালাম প্রদান করা।
সালাতের ওয়াজিবসমূহ
এগুলোর সংখ্যা হলো মোট ৮টি। যথাঃ
ইহরামের তাকবীর ব্যতীত অন্যান্য তাকবীরগুলো বলা,
ইমাম ও একা নামাজীর পক্ষে ‘সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ্’ বলা,
সকলের পক্ষে ‘রববানা ওয়া লাকাল হামদ’ বলা,
রুকুতে ‘সুবহানা রব্বিয়াল ‘আজীম’ বলা,
সিজদায় ‘সুবহানা রব্বিয়াল আ‘লা’ বলা,
উভয় সিজদার মধ্যে ‘রাব্বিগফিরলী’ বলা,
প্রথম তাশাহ্হুদ পড়া।
দ্বিতীয় রাকা‘আতে প্রথম তাশাহ্হুদ পড়ার জন্য বসা।লশায়খ আল্লামা আব্দুল আযীয ইবন আব্দুল্লাহ ইবন বায (রহিমাহুল্লাহ)
অনুবাদ : মোহাম্মদ রকীবুদ্দীন আহমাদ হুসাইন | সম্পাদনা : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
সালাতের শর্তাবলী
সালাতের শর্তাবলী মোট ৯টি। যথাঃ
ইসলাম
বুদ্ধিমত্তা
ভাল-মন্দ পার্থক্যের জ্ঞান হওয়া
নাপাকি দূর করা
ওজু করা
সতরে আওরাত অর্থাৎ লজ্জাস্থানসহ শরীরের নির্ধারিত অঙ্গগুলো আবৃত রাখা
সালাতের সময় উপস্থিত হওয়া
কিবলামুখী হওয়া এবং
নিয়ত করা, নিয়ত পড়া নয়
ওজুর ফরজসমূহ
এগুলো মোট ৬টি। যথাঃ
মুখমণ্ডল ধৌত করা; পানি দিয়ে নাক ঝাড়া ও কুলি করা এর অন্তর্ভুক্ত,
কনুই পর্যন্ত উভয় হাত ধৌত করা,
সম্পূর্ণ মাথা মসেহ করা; উভয় কান উহার অন্তর্ভুক্ত,
গোড়ালী পর্যন্ত উভয় পা ধৌত করা,
ওজুর কার্যাবলী পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন করা এবং
এগুলো পরপর সম্পাদন করা
উল্লেখ থাকে যে, মুখমণ্ডল, উভয় হাত ও পা তিনবার করে ধৌত করা মুস্তাহাব। একইভাবে কুলি করা ও নাকে পানি দিয়ে তিনবার ঝাড়া মুস্তাহাব। ফরজ মাত্র একবারই। তবে, মাথা মসেহ একাধিকবার করা মুস্তাহাব নয়। এই ব্যাপারে কতিপয় সহীহ হাদীস বর্ণিত আছে।
সালাতের রুকন (ফরজ)সমূহ
সালাতের রুকন ১৪টি। যথাঃ
সমর্থ হলে সালাতে দণ্ডায়মান হওয়া,
ইহরামের তাকবীর বলা,
সূরা ফাতিহা পড়া,
রুকুতে যাওয়া,
রুকু হতে উঠে সোজা দণ্ডায়মান হওয়া,
সপ্তাঙ্গের উপর ভর করে সিজদা করা,
সিজদা থেকে উঠা,
উভয় সিজদান মধ্যে বসা,
সালাতের সকল কর্ম সম্পাদনে স্থিরতা অবলম্বন করা,
সকল রুকন ধারাবাহিকভাবে তরতীবের সাথে সম্পাদন করা,
শেষ বৈঠকে তাশাহ্হুদ পড়া,
তাশাহহুদ পড়ার জন্য শেষ বারে বসা,
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর দরূদ পড়া এবং
ডানে-বামে দুই সালাম প্রদান করা।
সালাতের ওয়াজিবসমূহ
এগুলোর সংখ্যা হলো মোট ৮টি। যথাঃ
ইহরামের তাকবীর ব্যতীত অন্যান্য তাকবীরগুলো বলা,
ইমাম ও একা নামাজীর পক্ষে ‘সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ্’ বলা,
সকলের পক্ষে ‘রববানা ওয়া লাকাল হামদ’ বলা,
রুকুতে ‘সুবহানা রব্বিয়াল ‘আজীম’ বলা,
সিজদায় ‘সুবহানা রব্বিয়াল আ‘লা’ বলা,
উভয় সিজদার মধ্যে ‘রাব্বিগফিরলী’ বলা,
প্রথম তাশাহ্হুদ পড়া।
দ্বিতীয় রাকা‘আতে প্রথম তাশাহ্হুদ পড়ার জন্য বসা।
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৭ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন