শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বি'র এর যৌন বিকারগ্রস্ত শিক্ষকগণ!!!
লিখেছেন লিখেছেন নামহীন আমি অনামিকা ০৮ এপ্রিল, ২০১৪, ০৪:৩১:১৩ বিকাল
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারী কর্তৃক এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির পর এবার লোকপ্রশাসন বিভাগের থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। ওই কর্মচারীকে বাঁচাতে গিয়ে ফেঁসে যাচ্ছেন বিভাগের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মো: নাছির উদ্দিন।
শুধু তাই নয় এর সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেটের মুখোশ উন্মোচন হতে শুরু করেছে। বিভাগের অপর শিক্ষক শাহজাহান চৌধুরীর বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ। আর তাদের নেতৃত্বে রয়েছেন বিভাগের প্রধান আনোয়ারা বেগম। একে একে বেরিয়ে আসছে ওই তিন শিক্ষক সিন্ডিকেটের নানা অজানা তথ্য।
তাদের অত্যাচারে অতিষ্ট বিভাগের ছাত্র থেকে শুরু করে ছাত্রীরাও। কারনে অকারনে তাদের মানষিকভাবে টর্চার করা হয়। আর নাসির-শাহজাহানের বিরুদ্ধে রয়েছে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির গুরুতর অভিযোগ। কথা না শুনলেই ছাত্রীদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়। সেমিনার পেপার, টার্ম পেপার, টার্ম টেস্টের নামে তাদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়। ওই সিন্ডিকেটের এমন অত্যাচারে বিভাগের এক ছাত্রী আত্মহত্যারও উদ্যোগ নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। এছাড়া অনেক শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনও হুমকির মুখে পড়েছে ওই সিন্ডিকেটের খপ্পড়ে পড়ে। বিশেষ করে ছাত্রীদের বেশি হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।
সোমবার এসব বিষয় নিয়ে শাবি ভিসি প্রফেসর ড. আমিনুল হক ভুঁইয়া, প্রক্টর হিমাদ্রি শেখর রায় ও রেজিষ্ট্রার ইশফাকুল হোসনের কাছে বিভাগের শিক্ষকদের নানা নির্যাতনের কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন ছাত্রীরা। এসময় শিক্ষকরাও চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
ছাত্রীরা জানান, সম্প্রতি ট্যুরে গিয়ে তাদের সঙ্গে লোক প্রশাসন বিভাগের দুই শিক্ষক নাছির উদ্দিন ও শাহজাহান চৌধুরী আপত্তিকর আচরণ করেছেন। সেখানে মেয়েদের গোসলের ছবি ভিডিও ও ছবি তুলেন শিক্ষক নাছির উদ্দিন ও শাহজাহান চৌধুরী।
এছাড়াও ওই দুই শিক্ষক দুপুরে মেয়েদের ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের কক্ষে উঁকি মারতেন এবং অনুমিত না নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করার অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রীরা। শুধু তাই নয় শিক্ষার্থীরা সী বীচে গ্রুপ ছবি তুলার সময় তীর্যক ও আপত্তিকর মন্তব্য ছুড়তেন নাছির উদ্দিন ও শাহজান চৌধুরী।
এছাড়াও শিক্ষা সফরের সময় মেয়েদের মোবাইল কেড়ে নিয়ে দুইদিন আটক রেখেছিলেন ওই দুই শিক্ষক। এসময় তাদের মোবাইলে কি এসএমএস আসে তাও দেখতেন। ছেলেদের এসএমএস আসলে মেয়েদেরকে নানাভাবে হয়রানি করতেন। এসবের প্রতিবাদ করায় বাধে বিপত্তি। পরে ৭দিনে ট্যুর ৫দিনেই শেষ করে দেয়া হয়। ক্যাম্পাসে আসার পর শুরু হয় আরেক অত্যাচার। যারা ট্যুরে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে ১৫জনকে নানা কারনে শোকজ প্রদান করা হয়।
এছাড়া বিভাগের অপর শিক্ষক শাহজাহান চৌধুরী ও বিভাগীয় প্রধান আনোয়রা বেগম বিভিন্নভাবে ওই ছাত্রীর নামে কুৎসা রটাতে থাকেন। এমনকি যৌন হয়রানির বিষয়ে ওই ছাত্রীকেই দোষারোপ করা হয়। বিষয়টি ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা জানার পর এনিয়ে শুরু হয় ক্ষোভ। এনিয়ে এখন ক্যাম্পাসে উত্তাল অবস্থা বিরাজ করছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ভিসি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেছেন। এছাড়া যৌন হয়রানি, আশ্রয়দাতা, প্রশ্রয়দাতা, আপত্তিকর মন্তব্যকারী ও বিভাগের নিরব ভুমিকায় যাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
Click this link
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৭ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
'এখনো আগের মতো ধর্ষিত হচ্ছে নারীজাতি !
কিসের স্বাধীনতা কিসের অহংকার এই জাতির !
স্বাধীনতা যদি বদলে দিতো আমাদের ভাবমূর্তি
বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে
দাড়াতে পারতো আমার জাতি ?'
(এটা আমার লেখা কবিতার একটা অংশ )
এদের জন্যই আমাদের দেশের পুরান প্রবাদটি রয়েছে।
"দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য"।
মন্তব্য করতে লগইন করুন