বর্ণবাদ ও নবী মুহাম্মদ
লিখেছেন লিখেছেন সিংহ শাবক ০৭ জুন, ২০১৪, ০২:১১:২৫ দুপুর
ততদিনে ইসলাম অনেকটা বিস্তৃতি লাভ করেছে। সংখ্যা বেড়েছে মুসলমানদেরও । কাজ কর্মের জন্য তাদের অনেক দূর দূরান্তে যেতে হয় । সবাইকে সঠিক সময়ে নামাজে ডাকার জন্য একট পদ্ধতি দরকার। জরুরী বৈঠক বসল মসজিদে নববীতে । কেউ বলল, ঘন্টা বাজানো হোক। কেউ বলল, আগুন জ্বালানো হোক অথবা নিশান উড়ানো হোক । কিন্তু কোনটিই গ্রহণযোগ্য হল না। বৈঠক মুলতবী করে সেদিনের মত যে যার কুঠিরে চলে গেল। রাতের বেলায় একজন সম্মানিত সাহাবী স্বপ্নে দেখলেন, এক লোক একটি ঘন্টা নিয়ে কোথাও যাচ্ছে। সাহাবী বললেন, লোকদের নামাজে ডাকার জন্য তোমার ঘন্টাটি দরকার । লোকটি তাঁকে ঘন্টাটি না দিয়ে চমৎকার একটি পদ্ধতি শিখিয়ে দিলেন। পরের দিন সাহাবি রাসূলকে উক্ত পদ্ধতির বর্ণনা করলে তিনি বললেন, এটিই উত্তম পদ্ধতি । সেদিন থেকেই প্রচলিত হল আযান।
রাসূল (স) কালো হাবশি গোলাম বেলালকে ডাকলেন। বললেন, “বেলাল ! তুমি আযান দাও”। বেলাল ছিলেন কালো, কন্ঠও তেমন ভালো ছিল না । কিন্তু মুহাম্মদ (স) যে সাম্যের আদর্শ প্রচার করেছিলেন সেখানে সাদা-কালো্, ধনী-গরীব, উচু-নিচু, দশ তলা-গাছ তলার কোন ভেদাভেদ নেই। তাই বেলালের মত কালো হাবশী গোলাম হতে পেরেছিলেন সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী । ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন। রাসুল বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে যদি কোন কালো হাবশী গোলামও তোমাদের নেতা হয় তবুও তার আনুগত্ব্য কর”। আজ থেকে ১৪শত বছর আগে বর্ণ প্রথা নামের ঘৃন্য বস্তুকে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে ধরনীর বুকে এক অনন্য নযীর পেশ করেছিলেন মুহাম্মদ (স)। বেলালের আবেগময় আযানের ধ্বনিতে সেদিন আরবের বুকেই চির কবর রচিত হয়েছিল বর্ণ প্রথার।
তাই আজকের দুনিয়ায় করম চাঁদ গান্ধী আর নেলসন মেন্ডেলাদের নিয়ে যতই মাতামাতি করা হোক না কেন বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের প্রথম প্রবক্তা হিসেবে মুহাম্মদ নামের মানুষটির নামই ইতিহাসে স্বর্নাক্ষরে লেখা থাকবে…………………।।
বিষয়: বিবিধ
১৩০০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাজাকাল্লাহু খাইরান।
মন্তব্য করতে লগইন করুন