তোমায় আমি নিয়ে যাবো তোমার স্বপ্নের নীলগিরি।

লিখেছেন লিখেছেন টুটুল মাহমুদ ১৭ আগস্ট, ২০১৪, ০২:৪৯:০২ দুপুর



নীলগিরির পাহাড় আর মেঘের সাথে লুকোচুরি

আমি ২৪ বছর বয়সে বিয়ে করে ছিলাম। বউ সবে এইচ এস সি পরীক্ষা দিয়েছে। অন্য রকম ভাল লাগায় ভাসতে থাকি দুজনেই। আসলে বয়সের দোষ বলেন আর আবেগ বলেন তখন সারা পৃথিবীটাই নিজের বলে মনে হতো। রাত জেগে গল্প করা, হাঁসি বদমাইশি, মনোমালিন্য সব কিছুই উপভোগ করার মত! যা আজ অবধী বিদ্যমান আছে। এর মাঝই জানতে পেরেছিলাম বউয়ের একটা স্বপ্নের যায়গা আছে, মনে মনে অনেকবার সে ঘুরে এসেছে সেখান থেকে... ! বাবা মা অনেক যায়গায় নিয়ে গেছে কিন্তু এখানে নেয়নি, নিতে সাহস পায়নি...!! বলেছে স্বামীর সাথে ঘুরে এসো ..

নাহ, আমি এই পাঁচ বছরেও নিয়ে যেতে পারিনি সেখানে!! আমিও তাকে বলেছি- আমার সাহস হয়না তোমাকে নিয়ে ওখানে ঘুরতে যেতে!! পৃথিবীর আর কোথায় যেতে চাও বলো, আমি নিয়ে যেতে চেষ্টা করবো। কিন্তু এখানে আপাতত নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। আমার বউয়ের সেই বিখ্যাত যায়গাটা হলো আমাদের দেশের পার্বত্য চট্রগ্রামের নীলগিরি। এক নয়নাভিরাম স্বর্গীয় রূপ বিরাজ করে সেখানে। তার ইচ্ছা পাহাড়ের চুড়ায় বসে সকালের মেঘের সাথে লুকোচুরি খেলবে আর আমার সাথে চা খেতে খেতে গল্প করবে, রিসোর্ট এর চুড়ায় উঠে পাহাড়ের পর পাহাড় দেখে দেখে চোখ জুড়াবে। ভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর সমাজের সাথে পরিচিত হবে। তাঁদের সাথে অনেক অনেক ছবি তুলবে....



কোথায় পাবো নীলগিরির এই মনোরম দৃশ্য ..?



থাইল্যান্ডের ফুকেটের এই দৃশ্যের থেকে নীলগিরি আসলেই কম কিছুনা।



আমাদের নীলগিরির লেক



পাতায়ার পাহাড়ী সারি।



মালায়েশিয়ায় আমার কন্যা

আমি তাকে নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন যায়গায় ঘুরতে গিয়েছি, অনেক সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করিয়েছি কিন্তু পারিনি ঘরের পাশের নীলগিরিতে যেতে!! অনেকবার ভেবেছি, সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার যাবো, আবার অজানা এক আতংকে পরিকল্পনা বাদ দিয়েছি। আমার বউকে যেখানেই নিয়ে গিয়েছি সব দেখার পরে বলে উঠে ইশ, নীলগিরির ঐ ছবিটা দেখতে আরো সুন্দর!! নাজানি বাস্তবে আরো কত সুন্দর দেখতে....!! ভিতরে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস বের হয়, কোন উত্তর দিতে পারিনা...



নীলগিরি রিসোর্ট

কিভবে তাকে নিয়ে সেখানে যাবো? কে আমাদের নিরাপত্তা দিবে?? পার্বত্য এলাকার উপজাতিরা যে অরাজকতার রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে যাওয়ার কথা মনে হলেই ভয়ে আঁতকে উঠি!! আগে ছিল শান্তি বাহিনীর নামে এক অশান্তির নাম।



উপজাতি সন্ত্রাসীরা পুড়িয়ে দিয়েছে বাঙ্গালী ঘরবাড়ি।

এখন আছে নাম ছাড়া অশান্তি। এখানকার বাঙ্গালীদের ঘর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে চাঁদাবাজি, অপহরণ সবই চলছে। সাথে যোগ হয়েছে পর্যটকদের ধর্ষণ, বলাৎকার হয়রানি করা। অথচ কেউ দেখার নাই, সরকার যেন নির্বিকার...!!! আমাদের দেশের মিডিয়া রহস্যজনক কারনে এদিকে তেমন নজর দেয়না, যার কারনে এখানকার অরাজকতার ৫% খবরও আমাদের কাছে আসেনা। দুদিন আগে খবর পাওয়া গেল ঘুরতে যাওয়া এক দম্পতিকে পাহাড়ী চাকমারা উলঙ্গ করে নাজেহাল করলো। নিজেকে এই দম্পতির যায়গায় রাখলে ভুলেও আর পার্বত্য এলাকায় বেড়াতে যাওয়ার কথা ভাবনায় আসেনা। কোন দেশে আমরা বাস করছি যেখানকার এক পর্যটন এলাকায় যাওয়ার সাহস হয়না!!! গতকাল দেখলাম এক বাংগালীকে উপজাতি সন্ত্রাসীরা হাত কেটে নিয়েছে!! কিভাবে এখানে মানুষ বেড়াতে আসবে?



পেপার কাটিং

পার্বত্য চট্রগ্রামের উপজাতিরা ভিন্ন রাষ্ট্রের সহায়তায় এদেশকে আলাদা করে দিতে চায়। তাঁরা জুম্মুল্যান্ড প্রতিষ্ঠায় অনেকভাবে তৎপর। তাঁরা তাঁদের নারীদেরকেও একাজে ব্যবহার করছে। একদিকে চাকমা নারীরা দেশে ও বিদেশে পতিতাবৃত্তি করছে এবং সেসব পতিতাদেরকেও কৌশল হিসেবে যুক্ত করা হচ্ছে চাকমাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের জন্য। তারা বাঙালি ছেলেদের ফ্রেন্ড লিষ্ট ঢুকে নিজেদের মেডিকেল ছাত্রী, ইঞ্জিঃ ছাত্রী পরিচয় দিয়ে নিজেদের পতিতাবৃত্তির প্রচারণা বৃদ্ধির পাশাপাশি জুম্মাল্যান্ডের কাজ করছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে চট্টগ্রামের একটি ইঞ্জিঃ ইউনিভার্সিটিতে মেডিকেল সাব্জেক্টে পড়ছে এমন তথ্য দিলে ভার্সিটির ভিসির নাম জানতে চাইলে তাদের ভুয়া পরিচয় প্রকাশ হয়ে পড়ে।



আমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো সোনালী চাকমার স্কিনশট। পাহাড়িদের নিয়ে কিছু লেখা লেখি করায় রহস্যজনকভাবে প্রতিদিন কিছু পাহাড়ি মেয়ে ছেলের ফ্রেন্ড রেকোয়েষ্ট গালাগাল সবই পাচ্ছি।



তাঁদের ষড়যন্ত্র নিয়ে লিখলেই চলে গালাগালি

এদের ভিতর থেকে সোনালী চাকমা আইডিধারী একটি মেয়ের ছবি গুগুলে সার্চ দিলে দেখা যায় সে একজন বাইরের সেক্স ওয়ার্কার। উল্লেখ্য, পাহাড়ে তাদের ওয়েষ্টার্ণ চালচলনের কারনে ও বাড়িতে বসে মাদক ব্যাবসায় সরাসরি নারীদের জড়িত থাকার কারনে চাকমা মহিলারা যখনতখন মাদক সেবকদের দ্বারা ধর্ষিত হলেও প্রায় সবসময় বলে আসছে- বাঙ্গালিরা তাদের ধর্ষন করেছে।



গুগুল সার্চ দিলে দেখা যায় এই মেয়ে একজন সেক্স ওয়ার্কার

যদিও এমন কোন ঘটনায় বাঙালিদের জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়া গেলেও নিজেদের ধর্ষন মুক্ত পুরুষ দাবি করে সবসময় একতরফা উগ্র প্রচারণা চালিয়ে বাঙালিদের ওপর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চাপিয়ে দিতে চায়। এজন্য প্রায়ই তারা নারীদের ব্যবহার করে। মিছিল মিটিং ও যেকোন হামলায় নারীদের ব্যবহারের পাশাপাশি তারা সম্প্রতী একটি বাঙালি পর্যটক জুটিকে যৌননিগ্রহ করে। এই লজ্জা জনক ঘটনার পরেও এইসব পাহাড়ী কুলাঙ্গাররা তাদের নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন পেইজে গর্ব করে পোষ্ট দিয়ে উল্লাস করতে দেখা গেছে।

তারপরেও আমি স্বপ্ন দেখি নীলগিরির পাহাড় আর মেঘমালায় বউকে নিয়ে ভেসে বেড়াচ্ছি। একটু অপেক্ষা করো বউ, যেদিন সব ষড়যন্ত্র তছনছ করে দিয়ে পার্বত্য এলাকায় স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসবে, তোমায় নিয়ে ঘুরতে যাবো তোমার সেই স্বপ্নের নীলগিরি।।

বিষয়: বিবিধ

৩৫৬০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

255205
১৭ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:১২
নূর আল আমিন লিখেছেন : খুব দুঃখ লাগলো ভাই! কোন এক কবি বলেছিলেন দেখা হয়নাই চক্ষু মেলিয়া ঘর হইতে দুই পা ফেলিয়া কিন্তু আমরা এমন এক দেশের নাগরিক যে দেশে ঘরের ভিতরেই নিরাপত্তা নেই ঘর হইতে দুই পা ফেলা তো অনেক কিছু
255209
১৭ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:২৭
নানা ভাই লিখেছেন : ধন্যবাদ,পুস্টে প্লাস মারলাম।
অনেক তথ্য আছে পুস্টে!
ডিজিটাল নিরাপত্তা তো শেখ হাসিনা দিয়াই রাখছে তার সাংগ-পাংগগো জইন্য, জনগনের জইন্য আছে পুলিশ আর ক্যাডারের ক্রসফায়ার।
255225
১৭ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৪:০৮
নিউজ ওয়াচ লিখেছেন : নানা ভাই লিখেছেন : ধন্যবাদ,পুস্টে প্লাস মারলাম।
অনেক তথ্য আছে পুস্টে!
255256
১৭ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৮
ওমার আল ফারুক লিখেছেন : আজ কিন্তু কিছু কইনাই শুধু ছবিগুলো নয়ন ভরে দেখেছি পাছে যদি ...
255293
১৭ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:১৫
হতভাগা লিখেছেন : আল্লাহ তায়ালা পাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক দিয়ে বাংলাদেশকে প্রচুর দিয়েছেন । কিন্তু আমাদের যোগ্যতা নেই সেটাকে কাজে লাগানোর । উল্টো এমন ব্যবস্থা করি যাতে আগে যা কিছু সামান্য আসতো তারাও এখন থেকে ১০ বার চিন্তা করবে এসব জায়গায় আসতে ।

পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করা সঠিক হয় নি বলে মনে করি

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File