চরমোনাই ও জামায়াতের অপূর্ব মিলন মেলা
লিখেছেন লিখেছেন টুটুল মাহমুদ ১৬ মার্চ, ২০১৪, ১০:০৮:১৯ সকাল
বাবা মা চরমোনায়ের মুরিদ, বোন ৬ টা জামায়াত ও ছাত্রী সংস্থা করে, বড় ভাই শিবিরের রাজশাহী ভার্সিটিতে একটি হলের দায়িত্তে। একটি পরিবারের ভিতর কিভাবে এই সহযাত্রা সম্ভব হয়েছিল এখন ভাবতে অবাক লাগে। আমার বাবাকে সব সময় দেখেছি মউদুদী সাহেবের নামের সাথে (রাহঃ) উচ্চারন করতেন। তখন ছোট ছিলাম, মনে করতাম এটাও উনার নামের একটা অংশ। তখনকার যিনি পীর ছিলেন (বর্তমান পীরের বাবা) উনার কথায় মাঝে মাঝে আমার বাবা কষ্ট পেতেন কিন্তু উনি কখনও চরমোনাইকে ছাড়েননি। পীর সাহেবের যে কথা উনি সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করতেন সেটা হলো, "শিবিরের ছেলেদের তিনটি গুন - বেয়াদব, বেতমিজ ও বে-ইনসান। তখন তিনি আর কিছু মিলাতে পারতেন না। কারন তাঁর শিবির করা বড় ছেলেটা এই পাড়ার ভিতর সব চেয়ে আদর্শবান, সবার প্রিয় নামাজি একটা ছেলে। অথচ হুজুর এইসব কি বলে? তারপরও তিনি ইন্তেকালের আগ পর্যন্ত চরমোনায়ের মুরিদ ছিলেন। আর আমরা আট ভাই বোন জামায়াত শিবিরের সাথে জড়িত ছিলাম। আমি ১৯৯৫ সালে অষ্টম শ্রেনীতে পড়া কালীন জুবায়ের ভাইয়ের কাছে সাথী শপথ নিয়েছিলাম। কখনও বাবার কাছ থেকে বাঁধা পাইনি। বরঞ্চ সাহায্য পেয়েছি, আওয়ামীলীগ মৈত্রী যখন যশোর শহর জামায়াতের অফিসে হামলা করতে আসে আমার বাবা নিজের লাইসেন্স করা বন্দুক নিয়ে হাজির হয়েছিল। এলাকার আওয়ামীলীগের নেতারা এসে অনুরোধ করেছিল, মোল্লা সাহেব আপনি চলে জান, আপনি তো জামায়াতের লোক না। উনার উত্তর ছিল, এখানে জামায়াত চরমোনার বিষয় না। এখানে ইসলামের উপর আঘাতের বিষয়।
এই ভ্রাতিত্ত, চিন্তাধারা যদি আজকে চরমোনাই ভাইদের থাকতো তাহলে ইসলামের বিজয় অনেক সহজেই অর্জন হতো। আজকের চরমোনাই থেকে জামায়াত শিবিরের যত সমালোচনা করা হয় এই সময়টা যদি ইসলাম প্রচারে ব্যয় করতো তাহলে ইসলাম অনেক উপকৃত হতো।আল্লাহ্ চরমোনাই ভাইদের বোঝার তৌফিক দিন। আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১৫৯২ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার জুবায়ের ভাইর জন্য দোয়া করবেন। তিনি জেলে আছেন। এবং অসুস্থ।
এই ভ্রাতিত্ত, চিন্তাধারা যদি আজকে চরমোনাই ভাইদের থাকতো তাহলে ইসলামের বিজয় অনেক সহজেই অর্জন হতো। আজকের চরমোনাই থেকে জামায়াত শিবিরের যত সমালোচনা করা হয় এই সময়টা যদি ইসলাম প্রচারে ব্যয় করতো তাহলে ইসলাম অনেক উপকৃত হতো।আল্লাহ্ চরমোনাই ভাইদের বোঝার তৌফিক দিন। আমীন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন