আমাদের জন্য মা শব্দটি পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর শব্দ... কিন্ত সবার জন্য কি তা? পড়ে দেখুন।
লিখেছেন লিখেছেন ফেলানীর ছোট ভাই ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৩:৪৮:২৩ দুপুর
ছবির এই বাবুনিটার নাম ঈশিতা। পাপ পূর্ন বোঝার বয়স এখনও হয়তো ঈশিতার হয় নাই। তাই ওর নির্বাক চাহনি প্রমান করে মহান প্রভুর কাছে ঈশিতা এখনও নিষ্পাপ। তাঁরা দুই বোন বড় বোনের নাম আনিশা সে ক্লাস সেভেনে পড়ে। ঈতিশা এখন স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে।
অনেক জাকজমকপূর্ন ভাবে ঈশিতার মা বাবার বিয়ে হয়েছিল ২০০০ সালে। খুবই ভালো করেই যাচ্ছিল দুই অদরের দুলালীকে নিয়ে ঈতিশা আর আনিশার মা বাবার দাস্পত্য জীবন।
কিন্ত ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ঈতিশা আনিশা আজ তাদের গর্ভবধারীনি সন্তানদের জন্য প্রভুর দেয়া শ্রেষ্ট নেয়ামত গুলোর একটি মহিয়সী মমতাময়ী মায়ের আদর স্নেহ থেকে বঞ্চিত!!
কিন্ত কেন? শুনেন আমি যতটুকু জানি তার বাকীটা।
আমাকে যদি মাকে নিয়ে লিখতে বলা হয় তাহলে আমি তেমন কিছুই বলতে বা লিখতে পারবো না। কারন মা তো মায়েই! মায়ের ভালোবাসার স্নেহ মমতা কে যথাযত বিশ্লেষন করার মত কোন ভাষা ও কোন জ্ঞানীর জন্ম পৃথিবীতে হয় আজও হয়নি, ভবিষ্যতে হবে এটা আমি বিশ্বাস করি না। তাই মায়ের বিশ্লেষন শুধু মা! শুধুই মা! কিন্ত অানিশা ঈতিশার কাছে মা শব্দের বিশ্লেষন হয়তো আমাদের পৃথিবীর ক্ষুদে জ্ঞানীদের ঠুংকো কলমের দ্বারা বিশ্লেষিত কোন বই উপন্যাস পড়ে শিখতে হবে। কারন প্রাকটিক্যাল মায়ের অনুভূতি জানা এবং বোঝার আগেই পৃথিবীতে ওদের মা আজ থেকেও নেই।
আনিশা ঈতিশা দুই জনেই কন্যা সন্তান সেটা নাম দেখেই বুঝা যায়। তাই তারা পৃথিবীতে মায়ের জাতি বলেই পরিচিতি সেই দুনিয়ার সৃষ্টি লগ্ন থেকে।
কিন্ত একটা কথা না বল্লেই হচ্ছে না সেটা হলো মেয়েরা যেমন মায়েয় জাতি তেমনি সমান ভাবে মেয়েরা আজ নোংরা জাতিও বটে। (আমার ব্যাক্তিগত অভিমত মা বোন যারাই লিখাটা পড়বেন ক্ষমা করবেন) কারন অন্য একজন নারীর কল্যানেই ওরা আজ মাতৃ স্নেহ থেকে বঞ্চিত। পৃথিবীর কোন আইন আদালত কোন শ্রেষ্ট মস্তিষ্ক তাদের সেই মায়ের ভালোবাসা ফিরিয়ে দিতে পারবে না।
পার্শবর্তী দেশের সাংষ্কৃতিক আগ্রাসনের ফলে আমার বর্তমান সমাজে একটা পরিবারের সুখ শান্তি বন্ধন গুলো কিভাবে তছনচ করে দিতে হয় সেই জ্ঞান আমরা খুব ভালো ভাবেই আয়ত্ব করতে ইতি মধ্যে শিখে গেছি। ঈতিশা, আনিশার ব্যাপাটা এর একটা বাস্তব উপমা হল মাত্র।
ঈতিশার, বাবা তার সদ্য ডিভোসকৃত ( আমার জানা মতে ২বছর আগে) খালাতো বনের প্রতি অজ্ঞত কারনে দূর্বল হয়ে পড়ল প্রায় ১২ বছর সংসার করার পরে। রাতে বাসায় ঠিক মতো ফিরতো না, ফিরতে দেরি হলো কেন সেটা জানতে চাইলে তার মাকে করা হতো শারারীক টর্চার এমন কি ঈতিশার মাকে সরাসরি বলে দিত তুমি তো বুঝতে পারছো যে তোমাকে আমার ভালো লাগছে না তো তুমি চলে যাচ্ছো না কেন? একটা সংসারী মহিলার জন্য কথাটার ওজন কত হতে পারে সেটা আমার জানা নেই কারন মা জাতি হয়ে জন্মানোর সুভাগ্য বিধাতা আমাকে করে দেয়নি। পরে এই অমানষিক যন্ত্রনা আর অবহেলা সহ্য করতে না পেরে ঈতিশার মা তার নানুর বাড়ি চলে যায়। এবং পাক্কা দুই বছর অপেক্ষা করে যে তার প্রিয় মানুষটি আবারো পরিশুদ্ধ হয়ে তার কাছে ফিরে আসবে। এর মাঝে একদিন ঐই ঈতিশার বাবার খালাতো বোনটা ঈতিশার মাকে ফোন করে বলে যে ঈতিশার বাবা নাকি তাকে নিয়ে হ্যাপি না তাই উনি যেন ঈতিশার বাবাকে ডিভোস দিয়ে দেয়!! এই আমাদের উপলদ্ধি না হলে আমারা আর এক যুগ ধরে স্টার জলসা আর জি বাংলাতে মগ্ন হয়ে আছি কেন?
বাস্ততবেও হলোও তাই। ইতিশার বাবা গত নভেম্বরে ওর খালাতো বোনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ঈতিশার মা বিনয় করে তার দুই দুলালীকে তার কাছে রাখতে পারেনি। আমাদের সমাজ ঘুনে ধরা ব্যাক্তি দ্বারা পরিচালিত তাই সমাজ ঈতিশার মাকে সেই অধিকার দেয়নি।
শেষ কথা..
আনিশা, ঈতিশা একদিন বড় হবে, ভালো মন্ধ বোঝার শক্তি হবে আল্লাহ যেন ঈতিশাদের মাথায় এই জ্ঞানটা দেয় যে পৃথিবীতে অনেক গুলো পশু চরিত্রের পুরুষ আছে কিন্ত সন্তানদের জন্য পৃথিবীতে একটাও খারাপ বাবা নেই। মায়ের স্নেহ ভালোবাসা থেকে ঈতিশা আনিশা বঞ্চিত হলেও ওরা বড় হয়ে যেন মা বাবা দুইজনকে সমান শ্রদ্ধা করে। ভালো থেকো ঈতিশা আনিশা! তোমরা অনেক বড় হও।
বি:দ্র: (লেখাটি কাল্পনিক নয় বাস্তব)
বিষয়: বিবিধ
১৮০৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমাদের নারিরা যতই বিদেশি সংস্কৃতিতে মগ্ন হচ্ছে ততই নষ্ট হচ্চে পরিবার ব্যবস্থা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন