সর্বক্ষেত্রে দ্বায়িত্বশীলদের আনারি সিধান্ত।
লিখেছেন লিখেছেন ফেলানীর ছোট ভাই ২১ মার্চ, ২০১৪, ১২:৪৭:২০ দুপুর
১০৮ রানের মামুলি পুজিঁ নিয়ে ম্যাচ জেতার স্বপন দেখা বোকামি! সে যে মানের দলের বিরুদ্বেই হোক না কেন। তাই এই ম্যাচে বোলাদের কাঠগড়ায় দ্বার করানো কোন সুযোগ ছিল না। তাছারা রাজ্জাক/ রেজার চেয়ে খারাপ বোলিং করে এর আগে , রুবেল, শফিউল, মাশরাপিরা অনেক জেতা ম্যাচ হারিয়েছেন। তাই রেজার ওই ওভারটাকে আমি দো্ষবো না, এটা খেলারই একটি অংশ।
আমার প্রশ্ন হল দলে ফরহাদ রেজার পজিশনটা আসলে কি? বোলার, ব্যাটসম্যান নাকি ফিল্ডার? আর মাহমুদউল্লাহ এর টুংকো বোলিং দিয়ে হংকং কে বোকা বানানো গেলেও গেইল, কোহলি, আফ্রিদি, ওয়াটসনদের বিরুদ্ধে এই বোলিং কোন কাজে আসবে না। তাই দলে মুশফিকের ভাইরার (মাহমুদউল্লাহ) অবস্থানও আমার কাছে ক্লিয়ার না। সত্যি বলতে কি আমার ১৪ বছরের ভাতিজা ক্লাস নাইনে পড়ুয়া ছাত্রের যতটুকু কিক্রেট জ্ঞান আছে আমাদের ভাদা মার্কা নির্বাচকদের মনে হয় সেটা নাই।
বিষয়: বিবিধ
১১৮৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
১০৮ রান করলেও বাংলাদেশ জিততে পারতো , কারণ এই হংকংকে বাংলাদেশের চেয়ে কম ভাল বোলিং নিয়ে নেপাল ৬৯ রানে প্যাকেট করেছে ।
মুশফিকের উচিত ছিল ৫০ রানে যখন ৫ উইকেট পড়ে যায় তখন নাসির , সাব্বির এদেরকে দিয়ে স্পিন চালানো ।
সেটা সে না করে আনলো রুবেল আর ফরহাদ রেজাকে । ওদের ৬ষ্ঠ উইকেট পড়ে ৮৩ রানে , মানে ২৬ রান লাগে শেষ ৪ উইকেটে । বলও ছিল ২৪ টা ।
৫০ থেকে ৮৩ - এই ৩৩ রানের ভিতর মুশফিক রাজ্জাককেও আনতে পারতো । কারণ ডাররা স্পিন খেলতে একটু আনিজি ফিল করছিল ।
২৪ বলে যখন ২৬ রান সে সময়ে মুশফিক নিয়ে আসলো ফরহাদ রেজাকে । রেজা প্রথম বলেই দিল বাউন্সার । আর যায় কোথায় , হুক করে চার মারলো ডার । পরে ৬ ও ৪ মেরে ঐ ওভারে আসলো ১৫ । মানে ১৮ বলে ১১ রান । খুবই সহজ হয়ে যায় ম্যাচ সেখানে ।
পরে মুশফিক কি মনে করে যেন রাজ্জাককে দিল । সেও ভাল বল করে ১ উইকেট নিল । পরের ওভারে সাব্বিরও ভালই লেগ স্পিন চালালো । সেও নিল ১ উইকেট । ৬ বলে ৬ রান , হাতে ২ উইকেট । রাজ্জাক শেষ ওভারে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না ।
১৮ ও ১৯ নং ওভারে রাজ্জাক ও সাব্বির ভাল করাতেই মুশফিককের উপর চাপ আসবে কেন এদেরকে আগেই আনা হল না ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে । না এনে সেই জুটিকে থিতু হবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে ।
অবশ্যই মুশফিককে সারাজীবন এই প্রশ্নের জবাব দিয়ে যেতে হবে ।
বড় দল গুলোর সাথে ২ রানে বা শেষ বলে হারা , ৩০০ রানে বা ১০ উইকেটে হারা কোন ব্যাপার না ।
ব্যাপার হচ্ছে নন টেষ্ট প্লেয়িং কান্ট্রির সাথে হারা , তাও আবার তাদের কাছে যাদের বাংলাদেশের সাথে খেলার আগে বাকী দলগুলো ছনি মিনি খেলেছে যাদের সাথে বাংলাদেশই বলে কয়ে জিতেছে । এসব নন টেস্ট প্লেয়িং দেশের কাছে হারলে ভারত/শ্রী লংকার বিপক্ষে যে এচিভমেন্ট তাতে কালি পড়বে ।
আইসিসিতে ৩ মোড়লের প্রস্তাবে পাশ হবার আগে বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস নিয়ে যে আশংকা দেখা দিয়েছিল তা হয়ত লবিং করে থামানো গেছে । কিন্তু মাঠে বাংলাদেশ কি তার মর্যাদা রাখতে পারছে ? গত এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের কাছে এবং টি২০ কোয়ালিফাইংয়ে হংকংয়ের কাছে হার বাংলাদেশের প্রতি এক তাছিল্যই বয়ে আনবে মোড়লদের দিক থেকে ।
গ্রুপে কোন নন টেস্ট প্লেয়িং দেশ থাকলেই বাংলাদেশের জন্য তা ভয়ের কারণ হয়ে দাড়ায় , এই না হেরে যাই । দেখা যায় ''যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই রাত হয়'' । ২০০৩ ও ২০০৭ ওয়ার্ল্ড কাপে আমরা তা ভালই টের পেয়েছি ।
তবে মূল পর্বে যাদেরকে পাচ্ছে বাংলাদেশ তারা সবাই ওডিআই চ্যাম্পিয়ন এবং ৩ জন টি২০ চ্যাম্পিয়ন । তাই এবার নন-টেস্ট প্লেয়িং দেশের কাছে হারার যে লজ্জা তা থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে ।
তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের স্বার্থেই কিছু কিছু প্লেয়ারকে নজরদারিতে রাখতে হবে : তামিম , রাজ্জাক , ফরহাদ রেজা এবং মুশফিক । এদের একটিভিটি খুবই সন্দেহজনক ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন