( রমাদান-অালোচনা) যাকাতের সঠিক বন্টন

লিখেছেন লিখেছেন বাজলবী ২১ জুলাই, ২০১৪, ০৮:৫২:২৬ সকাল

যাকাত ইসলামের তৃতীয় বৃহৎ স্তম্ভ। দ্বীনের মধ্যে নামাযের পরই যাকাতের স্হান। কোরঅানে ঈমানের পরে নামাযের এবং নামাযের পরে যাকাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। দৈহিক ইবাদতে নামায সমগ্র দ্বীনের প্রতিনিধিত্ব করে অার অার্থিক ইবাদতে যাকাত সমগ্র দ্বীনের প্রতিনিধিত্ব করে। নামায অাল্লাহর হক অাদায় করার জন্য বান্দাকে তৈরী করে এবং যাকাত বান্দাদের হক অাদায় করার গভীর অনুভুতি সৃষ্টি করে।

যাকাতের অাভিধানিক অার্থঃ পাক হওয়া ,বৃদ্ধি পাওয়া।

পরিভাষায়ঃ প্রত্যেক সাহেবে নেসাব মুসলমান তার মাল থেকে শরীয়তের নির্ধারিত পরিমান মাল ঐসব লোকদের জন্য বের করবে শরীয়ত অনুযায়ী যাকাত নেয়ার যারা হকদার।

যাকাত ব্যবস্হার উদ্দেশ্যেঃ যাকাত ব্যবস্থা প্রকৃত পক্ষে মুমিনের অন্তর থেকে দুনিয়ার ভালবাসা ও তার মূল থেকে উৎপন্ন যাবতীয় ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার করে সেখানে অাল্লাহর ভালবাসা তৈরী করতে চাই। অার ইসলামী সমাজকে কৃপাণতা ,সংকীর্ণতা স্বার্থপরতা, হিংসা বিদ্ধেষ এবং শোষন করার সুক্ষ্ম প্রবণতা থেকে পাক পবিত্র করে।

যাকাতের হুকুমঃ প্রত্যেক সাহেবে নেসাবের (সচ্ছল ব্যাক্তি) ওপর ফরয যে, যদি তার কাছে নেসাব পরিমাণ মাল এক বছর যাবত মওজুদ থাকে,তাহলে তার যাকাত সে অবশ্য দেবে। যাকাত অপরিহার্য ফরয। এ ফরয কেউ অস্বিকার করলে সে কাফের হবে। অার যে ফরয হওয়া অস্বিকার করেনা কিন্তু যাকাত দেয় না সে ফাসেক এবং কঠিন গুনাহগার।

যাকাতের খাত সমূহঃ কোর অানে অাল্লাহ তাঅালা শুধু যাকাতের গুরুত্ত মাহাত্ম্য বয়ান করে তাকিদই করেননি বরং বিষদ ভাবে তার ব্যায় করার খাত গুলো বলেদিয়েছেন।

"এ সদকা তো ফকির মিসকিনদের জন্য এবং তাদের জন্য যারা সদকার কাজের জন্য নিয়োজিত এবং তাদের জন্য যাদেন মন জয় করার উদ্দেশ্যে এবং শৃংখলা মুক্ত করার জন্য, ঋণ গ্রস্হদের সাহায্যের জন্য, অাল্লাহর পথে এবং মুসাফিরদের জন্য ব্যয় করার উদ্দেশ্যে অবশ্য পালনীয় ফরয অাল্লাহর পক্ষ থেকে এবং অাল্লাহ সব কিছু সম্পর্কে অবগত এবং মহাঞ্জানী"

(সূরা: অাত্ তাওবা -৬০)

এ অায়াতে যাকাতের ৮টি খাতের কথা বলা হয়েছে।

১। ফকির বা দরিদ্র।

২।মিসকিন অভাব গ্রস্হ অথচ হাত পাতে না।

৩। যাকাত অাদায় ও বন্টনের কর্মচারী।

৪। মন জয় করার উদ্দেশ্যে।

৫।শৃংখল মুক্ত করার জন্য।

৬। ঋণ গ্রস্হদের জন্য।

৭। ফি সাবিলিল্লাহ বা অাল্লাহর পথে।

৮। পথিক মুসাফির।

যাকাত দুঃস্হ ও অভাব গ্রস্হের ভরণ পোষণ ও ধনের সঠিক বন্টনের একটা প্রক্রিয়া -পদ্বতি। যা মানুষের মন ও রুহের পবিত্রতা করে।

অাল্লাহ তাঅালা অামাদেরকে যাকাতের সুষ্ঠু বন্টনের উপর অামল করার তাওফিক দিন।অামিন।

বিষয়: বিবিধ

১৩৯৫ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

246633
২১ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৯:৪৬
মোহাম্মদ নূর উদ্দীন লিখেছেন : ইসলামের গুরুত্বপূর্ন একটি পিলার ।
২১ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫০
191634
বাজলবী লিখেছেন : জি ভাইয়া ঠিক বলেছেন তাইতো অাল কোরঅানে নামাযে পরে যাকাতের কথা বলা হয়েছে। জাযাক অাল্লাহ খাইর।
246712
২১ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০২:৫১
আফরা লিখেছেন : অনেক ভাল লাগল । ইসলামে যাকাতের সঠিক বন্টন ব্যবস্থাও বলে দিয়েছেন ।কিন্ত আমরা বেশীর ভাগ যাকাত দিলে ও সঠিক বন্টন ব্যবস্থা মত দিচ্ছি না ।
২১ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৬
191628
বাজলবী লিখেছেন : অাল কোরঅানে অাল্লাহ তাঅালা সুস্পষ্ট নির্দেশ যাকাত অাদায় ও বিলি-বন্টনের দায়িত্ব একটি মুসলিম সরকারের। এ দায়িত্ব সরকার পালন না করায় সমাজে দারিদ্র,বেকারত্ব বৃদ্ধি পায়।সঠিক বন্টনে জনগণের প্রতি অামাদেরকে এগিয়ে অাসতে হবে।সুন্দর মন্তব্যের জন্য অাপনাকে ধন্যবাদ।
246855
২১ জুলাই ২০১৪ রাত ০৯:০৯
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : ভাইজান , শিরোনামের আগে বা পরে লিখে দিন।(( রমযান-আলোচনা।)

আর লেখা খুব সুন্দর হয়েছে ।
২২ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৫
191979
বাজলবী লিখেছেন : ভাইজান,সুন্দর মন্তব্যের জন্য অাপনাকে ধন্যবাদ।
246864
২১ জুলাই ২০১৪ রাত ০৯:২২
হতভাগা লিখেছেন : কারও সম্পদ যদি ৭.৫ ভরি স্বর্ণের কম পরিমান থাকে + তার কাছে ৭ ভরি স্বর্ণ থাকে তাহলে তার উপর কি যাকাত ফরয হবে ? কিন্তু দুটো যোগ করলে যাকাত দেবার মত অবস্থা চলে আসে ।

যাকাত কি স্বর্ণের উপর আলাদা এবং সম্পদের উপর আলাদা এভাবে আরোপ হয় ?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File