ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাস-অপকর্ম

লিখেছেন লিখেছেন ছাত্রসন্ত্রাস তথ্যসন্ত্রাস ১৬ মার্চ, ২০১৪, ১১:০২:৪৪ রাত



আমি বিস্মিত যে, শিবিরের সন্ত্রাসের নামে ইন্টারনেটে যেভাবেই সার্চ দিইনা কেন--পাওয়া যায় শুধু তাদের কর্মকাণ্ডের পজেটিভ ছবি-ভিডিও কিংবা উল্টো ছাত্রলীগ -আওয়ামীলীগ কর্তৃক তাদেরই আক্রান্ত বা আহত-নিহত হবার নানান দৃশ্য? অবাক হবারই পালা, যে শিবিরের বিরুদ্ধে এত সন্ত্রাসের অভিযোগ অথচ ছাত্রলীগের ন্যায় তাদের বিরুদ্ধে চাক্ষুষ কোন তথ্য-প্রমাণ বা সশস্ত্র হামলার কোন ছবি-ভিডিও সার্চ দিলে পাওয়াই যায়না? কারণ কী এবং কেন, কিছুই বুঝলাম না?



অথচ ছাত্রলীগের নামে ইন্টারনেটে সার্চ দিলেই ছাত্রলীগের কর্মীদের হাজারো সন্ত্রাসী ছবি-ভিডিওসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার খবর চলে আসে। ছাত্রলীগের কর্মীরা রামদা, কিরিচ, চাপাতি, পিস্তল, বন্দুক, লাঠি ছাড়াও হরেক রকম অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে বা সন্ত্রাস করছে! এসব কি আসলেই কাকতালীয় ব্যাপার নাকি আন্তর্জাতিক বা গুগোলীয় চক্রান্ত!

তবে হ্যাঁ, শিবিরের সন্ত্রাসের নামে সার্চ দিলে মাঝে মাঝে পাওয়া যায় শুধু ২০১৩ সালে ১৮/১৯ দলীয় জোট বা শিবির-জামায়াতের হরতাল-অবরোধের সময় সংঘটিত সন্ত্রাসের কিছু ছবি-ভিডিও অর্থাৎ পুলিশের ওপর হামলা, গাড়িভাংচুর, পটকা ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, পথ অবরোধ, টায়ার জ্বালানো ইত্যাদির চিত্র। কিন্তু তাদের কারো হাতে ছাত্রলীগের মত কোন অস্ত্রই দেখা যায় না কিছু লাঠিসোটা ছাড়া!! শুধুমাত্র ২০১৩ সালে আন্দোলনের নামে হরতাল-অবরোধে হঠাৎ ছাত্রলীগের ন্যায় আগ্রাসী-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ায় ''যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক তথ্য ও মতামত সরবরাহকারী সংস্থা'' কর্তৃক বিশ্বের ৩য় সন্ত্রাসী সংগঠনের খেতাবপ্রাপ্ত ভদ্র শিবিরের সন্ত্রাসী ছবি-ভিডিও খুঁজে না পাওয়াটা সত্যই বিস্ময়কর! শিবিরের জন্মসাল ১৯৭৭ থেকে ২০১২ পর্যন্ত একই অবস্থা, ছাত্রলীগের মত তাদের সন্ত্রাসী দলীলপত্র আদৌ নেই ইন্টারনেটে।



আর কিছু কিছু মিডিয়ায় ছাত্রশিবির কর্তৃক সংঘটিত সন্ত্রাসের নামে প্রকাশিত বিরোধীপক্ষের কিছু আহত-নিহতের ছবি দেখা যায় বটে; কিন্তু সরাসরি হামলাকারী হিসেবে ছাত্রশিবিরের সশস্ত্র কাউকে ছবিতে আদৌ খুঁজে পাওয়া যায়না। এর ফলে এটাই মনে হওয়া স্বাভাবিক যে, ওইসব মিডিয়া সরাসরি সশস্ত্র হামলার প্রামাণ্য ছবি-ভিডিও ব্যতীতই সন্দেহমূলকভাবে সন্ত্রাসের জন্য শিবিরকে অভিযুক্ত করেছে মাত্র!! তবে শিবিরকর্মীদের হাতে লাঠি, ইট-পাটকেল ছাড়া কোন অস্ত্র বা সশস্ত্র হামলার দৃশ্য খুঁজে না পাওয়ায় আমার তো আক্কেল গুড়ুম! তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের বা অপকর্মের অকাট্ট তথ্য-প্রমাণতো আমার দরকার? কারণ এই ব্লগে হলুদ সাংবাদিকতা বা গুজবভিত্তিক প্রমাণহীন অভিযোগের সুযোগ নেই। তবুও ছাত্রলীগের মত অকাট্ট তথ্য-প্রমাণ বা ছবি-ভিডিও খুঁজে না পেলেও তাদের বিরুদ্ধে মিডিয়ার অভিযোগসংক্রান্ত কিছু তথ্য দিতেই হলো।

আমাদের অনুরোধ- যাদের সংগ্রহে ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাস এবং নারীনির্যাতন বা ধর্ষণ, টেণ্ডারবাজী, চাঁদাবাজি, মাতলামী ইত্যাদি অপকর্মসংক্রান্ত অকাট্ট তথ্য-প্রমাণ বা ছবি-ভিডিও আছে, তারা দয়া করে সেসব ডকুমেন্ট আমাদের ইমেইলে পাঠিয়ে দিন যাতে দেশ-জাতি তাদের কুকীর্তি জেনে তাদের বিষয়ে সজাগ হতে পারে।

====================================

শিবিরকে জড়ানোর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পরিষ্কার * রিপোর্টে রয়েছে সীমাহীন গোজামিল * প্রশ্ন, এই কারসাজিটা কার?

জেনসের সন্ত্রাস তালিকা: বাংলাদেশে ভয় দেখানোর রাজনীতি

গৌতম দাস: গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে জামাতের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশের ইসলামী ছাত্রশিবিরকে দুনিয়ার এই মুহূর্তে শীর্ষ দশ অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গ্রুপের তালিকার (TOP 10 MOST ACTIVE NON-STATE ARMED GROUPS IN 2013) মধ্যে তিন নম্বরে রেখে এই সংগঠনটি একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। এটা নাকি কেবল গত বছরের প্রবণতা লক্ষ্য করে বানানো তালিকা। কিন্তু কিসের, কোন ফ্যাক্ট বা ফিগারের ভিত্তিতে বা কোন মানদ-ে তাদের এই সিদ্ধান্ত তার কোন হদিস জানা যায় না। ফলে এই নাম অন্তর্ভুক্তি পক্ষপাতদুষ্ট বা খামখেয়ালিপনা বলে উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এতে পরিষ্কার। কিন্তু যেটা বোঝা বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের এই যুগে এই ধরনের তালিকার মধ্যে নাম ঢোকানোর পেছনকার কারসাজি। এই ক্ষেত্রে একধরনের জবরদস্তি কাজ করেছে, সন্দেহ নেই।

২. দশ শীর্ষ বলে সাজানো হয়েছে কিন্তু শীর্ষকে রাখা হয়েছে নবম স্থানে: জেনস সেন্টারের এই রিপোর্টের শুরুতেও স্বীকার করে বলা হয়েছে TERRORISM SPIKE SEEN IN ARAB SPRING COUNTRIES; ATTACKS IN SYRIA ALMOST DOUBLE IN ONE YEARÕ|’। অর্থাৎ গত একবছরে টেররিজমের কামড় দেখা গিয়েছে আরব স্প্রিং ঘটা দেশগুলোতে, আর সিরিয়ার সন্ত্রাসী হামলার বৃদ্ধি ঘটেছে দ্বিগুণ। এই হিসেবে সিরিয়ান গ্রুপ জাবাত আল-নুসরা’র নাম থাকার কথা শীর্ষ দশ সংগঠনের নামের প্রথমে। কিন্তু রাখা হয়েছে নয় নম্বরে। নিচে দেখুন। অর্থাৎ নিজেই নিজের রিপোর্টের শুরুতে যা বলেছে এর উল্টাটা করেছে তালিকা সাজানোর সময়। দেখুন: 10 MOST ACTIVE NON-STATE ARMED GROUPS IN 2013 2013 সালের শীর্ষ দশ অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গ্রুপ;

1. BARISAN REVOLUSI NASIONAL (THAILAND), 2. TALIBAN, 3. ISLAMI CHHATRA SHIBIR (BANGLADESH), 4. COMMUNIST PARTY OF INDIA - MAOIST, 5. AL-QAEDA IN IRAQ, 6. HARAKAT AL-SHABAAB AL-MUJAHIDEEN (AL-SHABAAB), 7. FARC (COLOMBIA), 8. NEW PEOPLES ARMY (PHILIPPINES), 9. JABHAT AL-NUSRA (SYRIA), 10. UNIFIED COMMUNIST PARTY OF NEPAL - MAOIST

৩. হামলার প্রধান নির্দেশিকাতে (KEY ATTACK INDEX) দক্ষিণ এশিয়াই নেই অথচ সংগঠনের তালিকা করার সময় আছে বাংলাদেশ: ওই রিপোর্টেই একটু পরে আছে, , KEY HIGHLIGHTS FROM THE IHS JANES 2013 GLOBAL TERRORISM & INSURGENCY ATTACK INDEX অর্থাৎ চোখে পড়ার মত সন্ত্রাসী আক্রমণের নির্দেশিকা বা সূচক বলে যে পাঁচটা ফেনোমেনাকে উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো;

ক। GLOBAL: SIGNIFICANT RISES IN GLOBAL MILITANT AND NON-MILITANT FATALITIES

খ। ARAB SPRING COUNTRIES SEE ATTACKS SPIKE

গ। SYRIA: ATTACKS ALMOST DOUBLE BETWEEN 2012 AND 2013

ঘ। IRAQ: SUICIDE ATTACKS QUADRUPLE AND AL-QAEDA IN IRAQ RE-ENTERS THE TOP FIVE MOST ACTIVE NON-STATE ARMED GROUPS IN THE WORLD

ঙ। SUB-SAHARAN AFRICA: TERRORISM FATALITIES RISE

এই পাঁচটার প্রথমটা গ্লোবাল বা সামগ্রিক দিক থেকে, আর বাকি চারটা দেশ বা অঞ্চল হিসেবে; আঞ্চলিক ভাগ হলো, ‘সন্ত্রাস’, আরব স্প্রিং এর দেশগুলো, এরপর সিরিয়াকে আলাদা করে, এরপর ইরাক আর সবশেষে সাব-সাহারান আফ্রিকা অর্থাৎ, সোমালিয়া থেকে শুরু করে মালি, নাইজিরিয়া পর্যন্ত দেশগুলো। তাহলে দেখা যাচ্ছে গত এক বছরের মুখ্য তৎপরতার স্থানের নির্দেশিকায় দক্ষিণ এশিয়ার নাম গন্ধ নাই, ফলে আফগানিস্তান বা পাকিস্তানের নামও নাই। অর্থাৎ অন্যগুলো বা যা আছে তাদের তুলনায় উল্লেখযোগ্য নয়।

তাহলে বাংলাদেশের ইসলামী ছাত্রশিবিরের নাম আসল কোথা থেকে? বোঝাই যাচ্ছে একটা ভুইফোঁড় ঘটনা ঘটেছে এখানে, বাইরে থেকে একটা নাম এনে জবরদস্তি ঢুকানো হয়েছে।

সার কথায়, এই রিপোর্ট নিজের KEY ATTACK INDEX এর সাথে TOP 10 MOST ACTIVE NON-STATE ARMED GROUPS-এর তালিকার সঙ্গে কোন সামঞ্জস্য রাখেনি। যদি সন্ত্রাসী আক্রমণের নির্দেশিকাকে বিভিন্ন দেশ ও সংগঠনের ভূমিকার বিচারের মানদ- ধরি তাহলে তালিকায় বাংলাদেশ বা শিবির অন্তর্ভুক্ত করার কোনো যুক্তিই নাই। দক্ষিণ এশিয়া বা বাংলাদেশ ঘটনা হিসেবে না থাকলেও দশ শীর্ষ সংগঠনের তালিকায় বাংলাদেশ ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নাম ঢুকানো নিছকই একটা জবরদস্তি। রাজনৈতিক বদ মতলব ছাড়া এর আর অন্য কোন তাৎপর্য নাই।

৪. শীর্ষ দশ সংগঠনের তালিকা বানাবার ক্রমিক নির্ণয়ের মানদ-টাই ভিত্তিহীন: এই তালিকায় শীর্ষে রাখা হয়েছে থাইল্যান্ডের বরিসন গ্রুপের নাম। কোন ক্রম মেনে কার পরে কে হতে পারে তা ঠিক করার মানদ- যে এখানে নেই, কাজ করেনি, তা স্পষ্ট।

কিছু অবিশ্বাস্য ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ দিক এখানে তুলে ধরছি -

ক. একথা প্রতিষ্ঠিত এবং এই রিপোর্টও স্বীকার করে, দুনিয়াজুড়ে সন্ত্রাসী তৎপরতার শীর্ষে আছে আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কিত কোন না কোন দেশীয় গ্রুপ; যেমন, JABHAT AL-NUSRA (SYRIA), AL-QAEDA IN IRAQ, আফ্রিকার আল-শাবাব (AL-SHABAAB) অথবা পাক বা আফগান তালিবান ঞধষরনধহ। এই চার সংগঠনের মধ্যে কোনটা গত বছর তৎপরতায় শীর্ষে ছিল তা নিয়ে তর্ক থাকতে পারে। এই রিপোর্টই সে তর্ক মিটিয়ে বলছে সিরিয়ার আল নুসরা শীর্ষে। তাহলে থাইল্যান্ডের বরিসন গ্রুপকে শীর্ষ স্থানে রাখা হচ্ছে কোন যুক্তিতে? আবার গত বছরের সক্রিয়তার দিক থেকে তালেবানের চেয়েও সক্রিয় ছিল সিরিয়ান আল নুসরা। এবং এখনও তাই। অথচ তালিবানের ভাগ্যে জুটেছে দ্বিতীয় অবস্থান আর আল নুসরার নবম স্থান।

খ. আবার এক তালিবান ছাড়া আলকায়েদা সংশ্লিষ্ট বাকি তিন সংগঠন জাবাত আল-নুসরা ((JABHAT AL-NUSRA - SYRIA, ইরাকের আল কায়দা (AL-QAEDA IN IRAQ), আফ্রিকার আল শাবাব(AL-SHABAAB)|। অথচ দশ শীর্ষ তালিকায় এদের স্থান যথাক্রমে নবম, পঞ্চম ও ষষ্ঠ। ওদিকে ছাত্রশিবিরের স্থান নাকি তৃতীয়!!! অর্থাৎ এই রিপোর্ট দাবি করছে, গত বছর সংগঠন হিসেবে জাবাত আল নুসরা, ইরাকের আল কায়েদা ও আফ্রিকার আল শাবাবের চেয়েও ইসলামী ছাত্রশিবিরের তৎপরতা ভয়ঙ্কর ছিল। এই ধরনের মূল্যায়ন দিবাস্বপ্ন কিম্বা উন্মাদ কল্পনাতেও আঁকা সম্ভব না।

গ. এই জাতীয় মৌলিক তথ্যের গরমিলে ভরা এই রিপোর্ট। এ রকমই আর একটা: সপ্তম নম্বরে রাখা হয়েছে কলম্বিয়ার FARC (COLOMBIA)গেরিলাদের। ল্যাটিন আমেরিকা বা দক্ষিণ আমেরিকার কলম্বিয়া রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বামপন্থী তবে ‘লিবারেশন থিওলজি’ অনুসরণ করা এই সশস্ত্র গ্রুপ বহু পুরনো, তাদের উত্থান আশির দশকে। কিন্তু সাম্প্রতিক খবর হলো এরা কিউবার মধ্যস্থতায় গত প্রায় দুবছর ধরে বর্তমান কলম্বিয়া সরকারের সাথে আলোচনা নিগোশিয়েশন চালাচ্ছে। সামরিক তৎপরতা অনানুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত।

যারা আল জাজিরা টিভি ফলো করেন তারা কমবেশি এ ব্যাপারে আপডেটেড, অবগত। এখন এই গ্রুপের গত বছরের তৎপরতাকে কেন শীর্ষ সন্ত্রাসী তৎপরতায় আনা হলো? শুধু তাই না, একে সপ্তম অবস্থানে রাখা হয়েছে। আর জীবন্ত জাবাত আল নুসরার (সিরিয়া) অবস্থান হল নবমে। কী মানে দাঁড়াল? সিরিয়ার আল নুসরার চেয়েও সক্রিয় ও জীবন্ত তৎপরতায় গত বছর জড়িত ছিল কলম্বিয়ার ফার্ক গেরিলারা! এটা কি বিশ্বাসযোগ্য একটা তথ্য?

কমবেশি ঠিক একই কা- করা হয়েছে নেপালের মাওবাদীদের প্রসঙ্গে। যদিও একে দশম স্থানে রাখা হয়েছে। কিন্তু এটা তো আদতে সামরিক দিক থেকে এখন সক্রিয় সংগঠনই না। গত চার বছর ধরে তাদের মূল অংশটাই আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় সারেন্ডার করেছে, কর্মীরা সমাজে পুনর্বাসিত হয়েছে, দলের নেতারা নেপালে সরকার চালিয়েছে প্রায় একবছর, প্রাক্তন যোদ্ধাদের সামরিক বাহিনীতে নেয়া হবে কি না এ নিয়ে বিরাট রাজনৈতিক বিতর্ক ওঠেছে ইত্যাদি। এরপর দল দুভাগ হয়ে গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন অংশই সশস্ত্র তৎপরতায় ফিরে যাবে বা গিয়েছে এমন কোন খবর আমরা এখনও দেখিনি, জানা নাই। তারা আবার সামরিক কর্মকা-ে তারা ফিরতে পারে কি? অবশ্যই পারে। কিন্তু জেনস সেনটারের এ তালিকা তো পটেনশিয়ালিটির তালিকা নয়, গত বছরের সামরিক তৎপরতায় কারা সক্রিয় ছিল তাদের তালিকা। এই তালিকায় নেপালের মাওবাদীদের নাম আসায় পাঠক নিজেই বিচার করতে পারেন এটা কতটা বেমানান।

৫. গণ-সাংগঠনিক তৎপরতা বনাম সশস্ত্র তৎপরতা: গণ-সাংগঠনিক কথার অর্থ হলো যেখানে রাজনীতি হচ্ছে জনগণকে নিয়ে, অর্থাৎ রাজনৈতিক তৎপরতা হবে প্রকাশ্যে। তার চেয়ে বড় কথা, হবে দিনের প্রকাশ্য আলোয়, জনগণের সমাবেশ ও মিছিলে, সরব স্লোগানে। কোন ধরনের ফায়ার আর্মস (বন্দুক, পিস্তল বা এর চেয়ে বড় গুলির ছোঁড়ার অস্ত্র অথবা গ্রেনেড) এখানে ব্যবহারের কথা চিন্তাও করা যাবে না। কারণ এখানে মূল লক্ষ্য শুধু জনমতকে প্রভাবিত করে নিজের গণদাবির পক্ষে আনা নয়, বরং জনগণ যেন নিজের তাগিদে মিছিল সমাবেশ মিটিংয়ে সরাসরি অংশগ্রহণ করে। গণতান্ত্রিক বিপ্লবের পূর্ব শর্ত হিসেবে এই প্রক্রিয়া গণশক্তি পরিগঠনের জন্যও অতি আবশ্যিক একটি প্রক্রিয়া। আর ফায়ার আর্মস আর জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ দুটো জিনিস পরস্পরবিরোধী। এই দুটো জিনিস কখনও একসাথে একপাত্রে থাকতে চায় না, স্বস্তিবোধ করে না। অতএব, গণ-আন্দোলনের সীমা বা মাত্রার মানদ- হলো, যতই পুলিশী বা রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন আসুক, ফায়ার আর্মস ছাড়া রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হবে। এজন্যই এটা মাস মুভমেন্ট। গণআন্দোলন ও গণসংগ্রাম। এটা কোন নৈতিক তর্ক নয়, রাজনৈতিক কৌশলের তর্ক নয়। এর মানে এই নয় যে, সশস্ত্র সংগ্রাম নিন্দনীয়। আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ও অহিংস না হলে তাকে নিন্দা করতে হবে। রাজনৈতিক প্রশ্নকে নৈতিক প্রশ্নে রূপান্তর মূলত গণবিরোধী ও নিপীড়কের পক্ষাবলম্বন। যে কারণে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী গান্ধির অহিংসাবাদ সমর্থন করতেন না।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনীতির কথা ভেবে অনেকের মাথায় ককটেল বা ঘরে বসে বানানো বোমা প্রসঙ্গে বিভিন্ন প্রশ্ন কাজ করছে, তাই কিছু কথা বলা জরুরি মনে করছি। রাজনৈতিক সংস্কৃতির ইতিহাস বিচার করলে প্রত্যেক দেশের গণআন্দোলন গণ সংগ্রামের একটা নিজস্বতা বা ভিন্নতা থাকে। বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের পক্ষাবলম্বনকারী কয়েকটি গণমাধ্যমের কারনে এ বিষয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। মলোটভ ককটেল বা ঘরে বসে বানানো বোমা ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য ধোঁয়া আর শব্দ সৃষ্টি করে পুলিশের সরাসরি গুলীর বিরুদ্ধে পুলিশকে ভয় দেখিয়ে কিছুক্ষণ নিবৃত্ত রাখা। বাংলাদেশের গণআন্দোলন, গণআন্দোলনের সংস্কৃতির মধ্যে এর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। বাকশালী শাসনামলে জনগণ বাধ্য হয়ে এই ধরনের কৌশল অবলম্বন করেছিল। সেটা জিয়ার আমলেও চলেছে। এরশাদ যখন বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের দেখামাত্রই গুলী করবার নির্দেশ দিয়েছিলেন, তারপর থেকে বাংলাদেশের গণআন্দোলন গণসংগ্রামে মলোটভ ককটেল ও ঘরে তৈরি বোমা অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একে মোকাবিলার একমাত্র পথ হচ্ছে কথা বলা, মত প্রকাশ ও শান্তিপূর্ণ সভাসমাবেশে নিশ্চিত করা। কিন্তু কিছু গণমাধ্যম ক্ষমতাসীনদের হত্যাযজ্ঞের কোন সমালোচনা না করে ক্রমাগত গণআন্দোলন গণসংগ্রামকে ‘তা-ব’, ‘সহিংসতা’, ’সন্ত্রাস’ ইত্যাদি নানান ট্যাগ দিয়ে যাচ্ছে।

জেনস সেন্টারের শীর্ষ দশ সংগঠনের যে তালিকা বানিয়েছে, লক্ষ্য করলে দেখা যাবে ওর মধ্যে একমাত্র ইসলামী ছাত্রশিবিরই সামাজিক গণসংগঠন। ইসলামী ছাত্রশিবির হাসিনার রাষ্ট্রের বিবেচনায় নিষিদ্ধ সংগঠনও নয়। গত একবছরের আন্দোলনে এই সংগঠনের কোন ফায়ার আর্মসের ব্যবহারের উদাহরণ আমরা দেখিনি। যদিও ককটেলের ব্যবহার হতে দেখা গিয়েছে। আইনী গণআন্দোলনের ফরম্যাটের মধ্যে তারা বরাবরই নিজেদের রাখার চেষ্টা করেছে, ফলে অকাতরে অনেক প্রাণ ঝরেও গিয়েছে।। তুলনায় বাকি নয়টা সংগঠন ফায়ার আর্মস ব্যবহারভিত্তিক সংগঠন। সুবীর ভৌমিকের ভাষায় “গাড়িবোমা” বাংলাদেশের রাজনৈতিক তৎপরতার প্রবণতা এখনও নয়। কিন্তু এরপরেও কোন বিবেচনায় ইসলামী ছাত্রশিবির ওই নয় সংগঠনের সাথে তালিকায় উঠল এবং তিন নম্বরে তাকে জায়গা দেয়া হলো তা সত্যিই বিস্ময়কর। জেনস সেন্টার এই রিপোর্ট কি খোদ জেনস প্রতিষ্ঠানের সততা ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে না!

৬. জেনসের গ্রাহক বা ভোক্তারা: জেনস ১৯৫৯ সালে চালু হয়েছিল মূলত একটা ক্যাটালগ তৈরির প্রতিষ্ঠান হিসেবে। সেটা মাইক্রোফিল্ম টেকনোলজি আসার যুগ। ফলে তথ্যের মাইক্রোফিল্মিং ডকুমেন্টেশন আর যার অনুষঙ্গ হলো ক্যাটালগিং। এখান থেকে কালক্রমে কোন দেশের সামরিক সম্ভার বাড়ানোর অভিমুখ কোনদিকে, নতুন কি কিনছে, নীতি কি, নীতির বদল কোনদিকে Ñ এসব তথ্যের স্বাধীন উৎস হবার দিকে মনোযোগ দেয় এই সংগঠন। সবার বেলায় যেটা ঘটে Ñ শেষবিচারে গ্রাহক চাহিদাই ঠিক করে দেয় দোকানটা কেমন হবে, কি পাওয়া যাবে বা কি বেঁচবে। জেনসের মূল গ্রাহক হলো ছোট - বড় বিভিন্ন দেশের ইনটেলিজেন্স সংস্থা। বুঝা যায় ব্যাপারটা আবার এমনও নয় যে, তাদের সবার তথ্যের একক উৎস সে।

ইনটেলিজেন্স বা মিলিটারি স্ট্রাটেজিক তথ্য নানান উৎস থেকে সংগ্রহ করে ক্রসচেক করে যতটা সম্ভব সঠিক করে নেবার একটা দরকার থাকে। সে বিবেচনায় জেনস একমাত্র না, একটা উৎস। এখন খোদ জেনসের খবর যদি বায়াসড বা কান্নি মারা হয়, কোন দেশের ইনটেলিজেন্সের অর্থ পরামর্শের প্ররোচনায় প্ররোচিত হয় Ñ পোলাপানি আনপ্রফেশনল রিপোর্ট তৈরি করে Ñ তার পরিণতি কোথায় গিয়ে পৌঁছাবে জেনসকে তা আমলে নিতে হবে। জেনস নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ নিবন্ধিত একটা কোম্পানি। তাই শেয়ারের দাম পড়তে সময় বেশি লাগবে না। তবে এটা পরিষ্কার যে, এই রিপোর্ট জেনসের ব্যবসা খারাপ যাবার লক্ষণ।

রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ছেলেখেলা করার বিষয় নয়। এটা নিয়ে হৈ হল্লা বড় করে বলার বেকুবির সুযোগ নাই, আবার নাই খাটো করারও। কিন্তু গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে সরকার সে কাজটাই করছে। গত ২০০১ সাল থেকে দুনিয়াজুড়ে সব দেশেই আল কায়েদা ফেনোমেনা দেখা দিয়েছে বা এর প্রভাব পড়েছে, একটা পটভূমি তৈরি হয়েছে। পশ্চিমের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর কাছে বিষয়টা অতিমাত্রায় সেনসেটিভ হয়ে ওঠেছে। ‘সন্ত্রাস’ বা ‘টেররিজম’ নামে শব্দ দিয়ে তা ধরার ও ব্যাখ্যা করার চল শুরু হয়ে তা এমন অবস্থা হয়েছে যে শুধু ‘টেররিজম’ শব্দটা ব্যবহার করে কেউ কেউ আলকায়েদা ফেনোমেনা বা এর তৎপরতাকে বুঝাচ্ছে। আমেরিকাসহ পশ্চিমাদেশগুলোর অভ্যন্তরীণ আইন ও কাঠামো বদলিয়ে কঠোর করা হয়েছে, নিরাপত্তা ধারণাটাই বাস্তব চর্চায় নতুন করে সাজানো হয়েছে। সেই সূত্রে আমাদের মতো দেশগুলোতেও এর প্রভাব পড়েছে। রাষ্ট্রের কাঠামো, আইনেও পরিবর্তন ঘটেছে।

গ্লোবাল ক্যাপিটালিজম লেনদেনের ফলে দুনিয়াব্যাপী রাষ্ট্রগুলোকে আগের চেয়ে অনেক অনেক বেশি পস্পরের সঙ্গে আবদ্ধ। একে অন্যের উপর কারও চাওয়া না চাওয়ার ওপর নির্ভর না থেকে নৈর্ব্যক্তিক কারণেও আরও গভীর সম্পর্কে জড়িত হয়ে পড়েছে। পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর তৈরি ও অনুভূত সমস্যা ও সংকট আমাদের নয় বলে তাদ্র আধিপত্যের বলয় ও কর্মকা-ের পরিণতি থেকে বাইরে থাকার সুযোগ সীমিত হচ্ছে। আলকায়েদা বাঘ আসছে বলে একটা ভয়ের যুগ শুরু হয়েছে। ভয়টা মূলত পশ্চিমের হলেও সম্পর্ক সূত্রে আমাদের রাজনীতিতে ক্ষমতাসীনরা তা হামেশাই ব্যবহার করছে। আর শ্রেণি হিসেবে যত গভীর স্বার্থে যে সকল শ্রেণি পশ্চিমের সাথে সম্পর্কিত তাদের ভয়টাই তত বেশি। এ কারণে শহুরে মধ্যবিত্তের মধ্যে আল কায়েদা ভীতি ভালই কাজ করে। ক্ষমতাসীনরা এই ভীতিটাই কাজে লাগায়।

আলকায়েদা ফেনোমেনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে নতুন বিষয়টা হলো, ‘বাঘ আসতে পারে’ এই ভয়কে বিক্রি করে নিজের সংকীর্ণ লাভ হাসিল করার সুযোগ হিসেবে একে কাজে লাগানোর প্রাণপণ চেষ্টা। হাসিনার গত পাঁচ বছরের সরকার এটাই করে এসেছে, যদিও তার ইচ্ছাটা পিছনের আরও পাঁচ বছরের পুরনো। আর গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য শেখ হাসিনা আরও মরিয়া হয়ে ওঠেছেন। তাঁর ফর্মুলাটা সোজা। নিজ রাজনৈতিক নীতির বিরোধীদের দমনের জন্য গুম খুন হত্যা টর্চার ইত্যাদির অত্যাচার নিপীড়ন চালানোটাকে ‘জঙ্গি বা সন্ত্রাস’ দমন বলে চালিয়ে দেয়া।

কাকে টেররিজম বলবো এর কোন সংজ্ঞা এখন পর্যন্ত নির্ধারিত নাই। পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো অথবা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সভায় যেখানে পাশ্চাত্য শক্তিই অধিপতি Ñ তারা যেসব গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের তৎপরতাকে সন্ত্রাসবাদী বলে মনে করবেন, একমত হবেন, তালিকায় তুলবেন, তারাই সন্ত্রাসী, তাদের তৎপরতাই সন্ত্রাসবাদ। তবু, এখন যদি ধরেও নেই কথিত এই টেররিজমের বিরুদ্ধে লড়াই করা রাষ্ট্রের বা তার জনগণের নিরাপত্তার জন্য জরুরি এরপরও ‘বাঘ আসার ভয় বিক্রি করা’ Ñ এটা কোনভাবেই রাষ্ট্রের বা তার জনগণের নিরাপত্তার বিষয়ই নয়, ফলে জরুরি হবার তো প্রশ্নই আসে না।

শেখ হাসিনা আর ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা আর আমলারা বাংলাদেশে ক্রম গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া শেখ হাসিনার ক্ষমতাকে জোর করে ধরে রাখার জন্য ‘বাঘ আসার ভয় বিক্রি করার’ রাজনীতি করে চলেছে। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিয়ে এ ধরনের ভয় বিক্রি করার খেলা আসলে অপরাধ। আর তার চেয়েও মারাত্মক হলো, এটা আত্মঘাতী। এতে কেউ ক্ষমতার স্বাদ নেয়, তার রাষ্ট্রের নগদ স্বার্থ লাভ ঘটে। কিন্তু কিছু রাষ্ট্র ও জনগণ হেরে যায়। ঠিক যেমন ২০০৮ সালে হাসিনা ক্ষমতা পেয়েছিলেন। কিন্তু দল হিসেবে আওয়ামী লীগ আর বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও জনগণ হেরে গিয়েছিল। এই মারাত্মক বিপদের মধ্যে আমরা সকলে আছি। একটি অভিজ্ঞ রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের যে ভাবমূর্তি সেখানে দিল্লীর স্থানীয় বরকন্দাজ হওয়া রীতিমতো অপমানজনক। এই কলঙ্ক আওয়ামী লীগের পক্ষে ঘোচানো কঠিন।

ইসলামী ছাত্রশিবিরকে সন্ত্রাসী প্রমাণ করে এই কলঙ্ক ঘোচানো যাবে বলে মনে হয় না। এই প্রচার আগে কাজ করেছে। এখন করবে বলে মনে হয় না।

লেখক: গবেষক ও রাজনীতি বিশ্লেষক, ১ মার্চ ২০১৪।

(প্রকাশিত মত লেখকের নিজস্ব। এর সঙ্গে RTNN.NET’র সম্পাদকীয় অবস্থানের কোনো মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। লেখকের বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে ৎঃহহ.হবঃ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।) Click this link

ছাত্রিশিবিরের সন্ত্রাস জানুন

বিষয়: বিবিধ

২৮৫০ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

193246
১৬ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:২৪
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আমি এখানে কোন প্রকার মন্তব্য করবো, করলে নতুন তথ্যপ্রযুক্তি আইনে আমার ফাসিঁ হবে।
১৬ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:২৯
143947
ছাত্রসন্ত্রাস তথ্যসন্ত্রাস লিখেছেন : হায় হায় সেই আইনে কী আছে? এখানে যান-জানুন--http://lawalllaw.wordpress.com/
193262
১৬ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:৫৬
ওমার আল ফারুক লিখেছেন : আমি বিশ্বের তৃতীয় নম্বর সন্ত্রাসী সংগঠনের একজন.সুন্দর একটি লেখা..
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:১৫
143963
ছাত্রসন্ত্রাস তথ্যসন্ত্রাস লিখেছেন : পছন্দ হইছে ভাই ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসী কাণ্ড??
193279
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:০৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : উল্টা থেকে গনছে তো তাই তিন নম্বরে পড়েছে।
১৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:৫১
144056
ছাত্রসন্ত্রাস তথ্যসন্ত্রাস লিখেছেন : এটা পরিকল্পিত গনণা
193281
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:১১
জোস্নালোকিত জ্যাস লিখেছেন : গাঞ্জার দাম আবার কমলোরে...কমলো....
১৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:৫২
144058
ছাত্রসন্ত্রাস তথ্যসন্ত্রাস লিখেছেন : খাইতে শুরু করেন ধুমছে
193289
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:৪১
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আপনার লেখাটা পড়ে খুব ভালো লেগেছে।
১৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:৫২
144059
ছাত্রসন্ত্রাস তথ্যসন্ত্রাস লিখেছেন : Good Luck Good Luck Good Luck
193303
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ০৩:০৩
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : লেডি হিটলার হাসিনার সরকার আজ দেশে যে তান্ডবের সৃস্ঠি করেছে তা সীমাহীন। ধন্যবাদ আপনাকে।
১৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:৫৩
144060
ছাত্রসন্ত্রাস তথ্যসন্ত্রাস লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও Good Luck Good Luck Good Luck
193338
১৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৬:৩৫
তহুরা লিখেছেন :











১৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:৫৫
144061
ছাত্রসন্ত্রাস তথ্যসন্ত্রাস লিখেছেন : এরপরও এরা সন্ত্রাসীর তালিকায় যাইবো কবে--শালার ওবামা তুই কী করিস??
১৭ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:২৮
144237
তহুরা লিখেছেন :
১৭ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৪
144240
তহুরা লিখেছেন :
193340
১৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৬:৩৮
তহুরা লিখেছেন :



১৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:৫৬
144062
ছাত্রসন্ত্রাস তথ্যসন্ত্রাস লিখেছেন : বোনজি--শিবিরের কিছু দেন না--নোংরামীর ছবি
193415
১৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:৪১
হতভাগা লিখেছেন : '1. BARISAN REVOLUSI NASIONAL (THAILAND), ''

০ তালেবান , আল-কায়েদারও উপরে থাকা এই সংগঠনটির নামক আগে তো কখনও শুনি নাই । পোস্টদাতা কি শুনেছেন ?

এরা কি তাদের চেয়েও বেশী সন্ত্রাস(!) করেছে আন্তর্জাতিকভাবে যে তালেবান/আল-কায়েদারদের আগেই তারা ?
১৯ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৫২
145361
ছাত্রসন্ত্রাস তথ্যসন্ত্রাস লিখেছেন : যুক্তি দিলেই ইতিহাস বদলে যায়না---৪৩ বছরের ইতিহাস কি ছাত্রলীগের সন্ত্রাসকে ৩মাসের কাজেই হার মানতে পারে?
১০
193644
১৭ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:২৩
শেখের পোলা লিখেছেন : শিবির জিন্দাবাদ৷
১৯ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৫২
145362
ছাত্রসন্ত্রাস তথ্যসন্ত্রাস লিখেছেন : হুম
১১
193760
১৮ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:৫৩
জোস্নালোকিত জ্যাস লিখেছেন : তুমি কি আর তাল পাও সত্যের দুয়ারে....?

বানের জলের মত ভেষে গেলে আর নিজে দিয়েছো দুখান ফুডো যাও আবার লিগেরই ফুডো...একটাতে চেহারা সব ঘসে দিস যাতে চেনা যায়না ...বুঝি রে বুঝি সবি বুঝি....

কোন বিজের জন্ম তোর সেটা আমরাও বুঝি...
১৯ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৫৩
145363
ছাত্রসন্ত্রাস তথ্যসন্ত্রাস লিখেছেন : Good Luck Good Luck Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File