ইতিহাস থেকেঃ পুলিশের সামনে কোনও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ছিল না : ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার
লিখেছেন লিখেছেন ছাত্রসন্ত্রাস তথ্যসন্ত্রাস ১৬ মার্চ, ২০১৪, ০৩:৫৭:১২ দুপুর
পুলিশ বেষ্টনীর মধ্যে খুব কাছ থেকে রেঞ্চ দিয়ে ছাত্রদল সভাপতির মাথায় আঘাত করছে জহুরুল হক হলের ছাত্রলীগ কর্মী সংগীত দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্র বরকত
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্র হাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া যুবকদের পরিচয় মেলেনি। ক্যাম্পাসে পুলিশের উপস্থিতিতেই অস্ত্রধারী যুবকরা তাণ্ডব চালালেও পুলিশ মঙ্গলবার রাত নাগাদ শুধু একজনের পরিচয় জানতে পারার কথা বলেছে।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার একেএম শহীদুল হক বলেন, “আমি ডিসি রমনাকে বলেছি যে সাংবাদিকরা বা অন্যরা দেখে পুলিশের সঙ্গে অস্ত্রধারীরা হাঁটছে কিন্তু সে বিষয়গুলো আপনাদের চোখ এড়িয়ে গেল কেন।” তিনি দাবি করেন পুলিশের সামনে কোনও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ছিল না।
সংঘর্ষের ব্যাপারে তিনি বলেন, পত্রিকা ও বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে আসা অস্ত্রধারীদের ছবিগুলোর বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আটজনের নাম উল্লেখ করে যে মামলা হয়েছে সোমবার রাতে তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হয়েছে।
হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ছাত্রলীগ ক্যাডার বাপ্পী (দর্শন, চতুর্থবর্ষ) ছাত্রদল সভাপতির মাথায় আঘাত করছে
পুলিশের রমনা জোনের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, পত্রিকাগুলোতে ছবি ছাপা হওয়া পিস্তলধারী এক যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম পাশা ও সে ঢাকা কলেজের ছাত্রদল কর্মী। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
হামলায় ছাত্রলীগের কথিত সম্পৃক্ততা নিয়ে তিনি বলেন, “অনেক কিছুই বলা যায় না।”
ছাত্রদলের একজন যুগ্ম সম্পাদক বলেন, “সূর্যসেন হলের একজন ছাত্রলীগ কর্মী পুলিশের সামনে লাঠি ঘোরাতে ঘোরাতে টুকু (সভাপতি) ভাইয়ের মাথায় বাড়ি দিল। ওই কর্মী আবার ওই লাঠি ঘোরাতে ঘোরাতেই ছাত্রলীগের সঙ্গে মিছিল করতে করতে চলে গেল। একটি স্যাটেলাইট চ্যানেল ওই ছেলের কর্মকাণ্ড দেখিয়েছে, অনেকে দেখেছে। এরপরও ছাত্রলীগ নেতারা তাদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করতে চায়।”
ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন মঙ্গলবার মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই এতবড় সংঘর্ষ ঘটেছে। ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস করে করে তারাই আবার হাস্যকরভাবে ধর্মঘট ডেকেছে, উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেছে।”
নাইন এমএম পিস্তল হাতে বহিরাগত ছাত্রলীগ ক্যাডার পরশ
ছাত্রলীগ এ ঘটনায় কোনোভাবেই জড়িত নয় দাবি করে তিনি বলেন ভবিষ্যতে ছাত্রদল এরকম কোনও ঘটনা ঘটালে তার সংগঠন ‘প্রতিহত’ করবে।
আর এ ঘটনার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিম বলেন, “ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে, ছাত্রদলের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়েছে। এখানে ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কোনও বিষয় নেই। এ কারণে শাহবাগ থানায় যে মামলা করা হয়েছে তাতে সরকারি দলের কর্মীদের বাঁচিয়ে শুধু ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের আসামী করা হয়েছে। তথাকথিত বিদ্রোহী হিসেবে যাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে এখানে আসামী হিসেবে তাদের একজনেরও নাম নেই।”
আলিম প্রশ্ন করেন, “তাহলে কে আমাদের ওপর হামলা চালালো, আমরা কাদের প্রতিরোধ করলাম? বিষয়টি স্পষ্ট, ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালিয়েছে।”
রামদা হাতে সূর্যসেন হলের মাস্টার্সের ছাত্র কামরুল, চাপাতি হাতে সূর্যসেন হলের সুমন (আইইআর, গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ)
ছাত্রসন্ত্রাস-তথ্যসন্ত্রাসk
বিস্তারিত এখানে (চলবে)
বিষয়: বিবিধ
১১৫৯ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্তু মুই খাইম বাহে
কিন্তু মুই খাইম বাহে
মন্তব্য করতে লগইন করুন