কৃষ্ণের মোট ১৬১০৮ জন স্ত্রী ছিলেন
লিখেছেন লিখেছেন জুলকারনাইন সাবাহ ০৭ অক্টোবর, ২০১৪, ০২:৫৯:০২ দুপুর
কৃষ্ণের মোট ১৬১০৮ জন স্ত্রী ছিলেন। এদের মধ্যে আটজন ছিলেন তাঁর প্রধান বউ এবং অপ্রধান বউ ছিলেন ১৬১০০ জন।
প্রধান বউদের নাম--রুক্মিণী, সত্যভামা, জাম্ববতী, নগ্নাজিতি, কালিন্দি, মদ্রা, মিত্রবিন্দা, ভদ্রা ও রোহিণী। অনেকে রোহিনীকে জাম্ববতীর অন্যনাম হিসেবে ধরে থাকেন।
রুক্মিণী ছিলেন শিশুপালের বাগদত্তা। কৃষ্ণ রুক্মিণীকে বিয়ের আসর থেকে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন।
সত্যভামা বাবা সত্রাজিতের কাছে একটি অমূল্য মণিরত্ন দেখে কৃষ্ণ প্রলুব্ধ হন। মণিটি দখল করার জন্য সরাজিতকে হত্যা করেন কৃষ্ণ এবং তার মেয়ে সত্যভামাকে বিয়ে করেন। সত্রাজিতকে হত্যা করার পরে যখন জানলেন মণিটি জাম্ববান নামে এক আদিবাসী রাজার কাছে আছে তখন কৃষ্ণ তাকে মেরে মণিটি দখল করেন এবং তার মেয়ে জাম্ববতীকে বিয়ে করেন। আরেকটি কাহিনীতে জানা যায়-- বিয়ের আগে সত্যভামার সঙ্গে প্রেম ছিল এক তরুণের সঙ্গে। সত্যভামাকে পছন্দ হওয়ায় কৃষ্ণ তরুণকে মেরে ফেলেন।
আটটি ষাঢ় মেরে রাজার মেয়ে নগ্নাজিতিকে বিয়ে করেন কৃষ্ণ।
কালিন্দি নামে একটি অতি অল্প বয়েসী মেয়েকে যমুনা নদীর পাড়ে ঘুরতে দেখে কৃষ্ণ মোহিত হন। তাঁকে অর্জুনের সহায়তায় বিয়ে করেন।
মিত্রবিন্দা নামের মেয়েটি কৃষ্ণের খলাতো বা ফুফাতা বোন। তার পরিবারের লোকজন মেয়েটির বিয়ে ঠিক করেছিল দুর্যোধনের সঙ্গে। বিয়েতে সবাইকে নিমন্ত্রণ করা হলেও কৃষ্ণকে নিমন্ত্রণ করা হয়নি। তখন কৃষ্ণ জোর করে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে বিয়ে করেন।
ভদ্রাকে স্বয়ম্বর সভায় অংশ নিয়ে কৃষ্ণ বিয়ে করেন। আর রোহিনীকে বিয়ে করেন এক আদিবাসী রাজাকে মেরে।
আর রাধা নামের রমণীর সঙ্গে কৃষ্ণকে পূজা করা হয় সেই রাধা ছিলেন কৃষ্ণের থেকে বয়সে বড়। সম্পর্কে আপন মামী। এটা ছিল পরকীয়া।
কৃষ্ণের অপর কাজিন ভদ্রাকে বিয়ে করেন কালিন্দিকে বিয়ে করার পরে।
কৃষ্ণ নানা সময়ে অনেক রাজার সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। বিভিন্ন রাজার কারাগারে নারী-বন্দীদের উদ্ধার করে কৃষ্ণ তাদের স্ত্রী করেন। ঘোষণা দেন এরা সবাই লক্ষ্মী দেবী। যেহেতু তিনি ভগবান নারায়ণের অবতার--তাই নারায়ণের স্ত্রী লক্ষ্মী হিসেবে এই ১৬১০০ নারীকে প্রকারন্তরে কৃষ্ণের স্ত্রী না হওয়া ছাড়া উপায় নেই।
কী অসাধারণ সব কৃষ্ণকথা। জেনে পূণ্যিলাভ হয়।
মূলঃ Click this link
বিষয়: বিবিধ
১৬৮১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন