জামায়াত-শিবিরের মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্যঃ ক্ষমতায় যাওয়া নাকি আল্লাহর সন্তোষ্টি অর্জন-১

লিখেছেন লিখেছেন জুলকারনাইন সাবাহ ২৩ মে, ২০১৪, ০৩:০৮:০৩ দুপুর



ক্ষমতায় যেতে চাইলে জামাতের যা করা উচিত (১) শিরোনামে বিভ্রান্তিকর, কুফরি ও শিরকী চিন্তাধারায় লেখা পোস্টের জবাবেই এই লেখা। পোস্টদাতা গ্যারান্টি দিয়ে সেই পোস্টে দাবী করেন যে, কিন্তু বর্তমান ফরম্যাটে জামাতের ক্ষমতায় যাবার কোন সম্ভাবনা নাই। ক্ষমতায় যেতে হলে অনেক পরিবর্তন আনতে হবে।। এমন দাবী করা বা গ্যারান্টি দেয়ার অর্থ কী, তা তিনি বুঝতেই অক্ষম!



আর লেখকসহ সমালোচক কিছু ভাই ধরেই নিয়েছেন যে, ইসলামী আন্দোলন বা জামাত-শিবিরের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে---রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়া। কিন্তু আমি ১৯৭৭ সাল থেকে তাদের সঙ্গে থেকে এমনকি রুকন পর্যন্ত পার করেও এমন কোনো উদ্দেশ্যই যখন খুঁজে পাইনি, তখন এমন বিভ্রান্তিকর লেখার প্রতিবাদসহ সঠিক তথ্য এবং আল্লাহ-নবীর মূল মিশন কী ছিলো-তাও ধারাবাহিকভাবে লিখবো এখানে?





আলোচক জামায়াত সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ বলেই মনে হলো। জামাত-শিবিরের সিলেবাসের কোনো ইসলামী বই পড়েছেন বলেও মনে হয়না। একটা দল আবার ইসলামী দল সম্পর্কে লিখতে হলে আগে সেই দলের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, মূলনীতি, কর্মপদ্ধতি, সংবিধান পড়া জরুরি। কিন্তু এই মূর্খপণ্ডিত জামাতের লোকেরাও যা জানেনা, দাবী করেনা যেমন-নারীদেরসহ অমুসলিমদের সম্পর্কে তাদের নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গী, তা-ই তিনি জামাতের ওপর নির্দ্বিধায় চাপিয়ে দিচ্ছেন। অথচ জামাতের কোনো প্রকাশনার রেফারেন্স দিতে পারছেন না। অথচ তার জানা উচিৎ জামাত-শিবিরে অমুসলিম বন্ধু ও সমর্থক সৃষ্টি করার বাধ্যবাধকতাও আছে বলে আমরাও অনেক অমুসলিম ভাইদের সমর্থক ফরম পূরণ করিয়েছি এবং এখনো হাজার হাজার অমুসলিম জামাত-শিবিরের সাথে আছে। তাহলে তিনি অমুসলিমরা জামাত-শিবিরবিরোধী বলে কিসের ভিত্তিতে দাবী করলেন। সাঈদী সাহেব এবং তার ছেলে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদীকে শত শত হিন্দু যে ভোট দিয়েছেন, তার কী জবাব দেবেন তিনি?



আর আরেকজন মোহাম্মদ ফখরুল নিজেকে ৯৭ সালের শিবির-জামায়াত সমর্থক এবং শিবিরের সাথী ছিলেন দাবী করে জামায়াতের সবকিছু জেনে ফেলার যে মিথ্যে দাবী করেছেন-তাও তার আপত্তিকর মন্তব্য এবং জামায়াতকে মওদুদীবাদী বা কুত্তার লেজ সোজা হয়না জাতীয় দাবী করায় সম্পূর্ণ পরিস্কার হয়েছে। আরো পরিস্কার হয়েছে যে, তার আর ইসলামবিরোধীদের জামায়াতবিরোধিতা একই সূত্রে গাঁথা যদিও তিনি ইসলামপন্থী বলে পরিচয় দিয়েছেন।



বিশেষতঃ জামাত-শিবির করা লোক নিষ্ক্রিয় হলে বা দল থেকে বহিষ্কৃত বা বের হয়ে গেলেও জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে বাতিলের পক্ষে ওকালতী করেনা বলেই আমরা জানি। কিন্তু ফখরুল নামক শিবির দাবীকারী লোকটি আসলে ইসলামবিরোধী কেউ হবেন বলে আমার সন্দেহ। সেজন্যই তিনি জামাত-শিবিরবিরোধীদের সাথেই সবসময় আছেন।



পোস্টদাতা ভুলে গেছেন যে, জামায়াত-শিবিরে ঢুকতে হলে প্রথমে হতে হয় সমর্থক, এরপর সক্রিয় সমর্থক, কর্মী, অগ্রসর কর্মী, সাথীপ্রার্থী, সাথী, সদস্যপ্রার্থী(রুকনপ্রার্থী) এবং সদস্য(রুকন) এবং ধারাবাহিক সিলেবাসভিত্তিক প্রচুর ইসলামী সাহিত্য পড়তে হয়। সেসব বইয়ে কোথাও জামায়াত যদি দাবী করে থাকে যে, ক্ষমতায় যাওয়াই তাদের মূল উদ্দেশ্য, তবে তার উদ্ধৃতি দেয়া কি তাদের উচিৎ নয়?



যদিও ওই পোস্টে একভাইর জামায়াত সম্পর্কে চরম আপত্তিকর ও ইসলামবিরোধী গালাগালের জবাব দিয়েছি একটু রুঢ় ভাষায়; সেই মন্তব্য দিয়েই এই লেখাটির ভূমিকা দিলাম নিচেঃ



ইসলামের শত্রু খ্রিস্টান লর্ড ম্যাকলের মাদ্রাসা শিক্ষা

মাদ্রাসার ভাইদের আমি সম্মান করি এবং আমার উদ্দেশ্যমূলক মন্তব্য পড়ে মনঃক্ষুণ্ণ না হতে অনুরোধ জানাই। এমন মন্তব্য করার কারণ হচ্ছে--মাদ্রাসার ছাত্র অনেকেই মাওলানা মওদুদীকে ছোট করার চেষ্টা করেন তিনি মাদ্রাসার ছাত্র নন দাবী করে। এমনকি আমরা যারা স্কুল-কলেজ-ভার্সিটি পেরেয়ে এসেছি এবং ইসলাম যতই শিখিনা কেনো, তাদের ভাষায় আমরা আলেম নই এবং ইসলামের কথা বলার অধিকার আমাদের নেই। তাদের ভূয়া অহংকার ভেঙ্গে দিতেই আমাকে মাদ্রাসার ব্যাপারে এমন কথা বলতে হলো-এখন তাদের উচিৎ কুরআন- হাদীসের যুক্তি দিয়ে আমার কথা দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া।



জানিনা মাওলানা মওদুদীবিরোধীরা কী জবাব দেবেন? খ্রিস্টান লর্ড ম্যাকলের শিক্ষাপদ্ধতি হিসেবে ১০৩৬ সালে প্রবর্তিত বলে এটিকে ইসলামীশিক্ষা দাবী করা দাবী করা কি যায়!

(দেখুন প্রমাণ) বরং একে বিদাত দাবী করলেও কেউ করতেই পারে। কারণ নবী ও সাহারা কেউ মাদ্রাসায় পড়েননি মাদ্রাসা-স্কুল কিছুই বানানো ফরজ-সুন্নত বা মুস্তাহাব মনে করেননি বলে। ইসলামের শত্রু খ্রিস্টান লর্ড ম্যাকলের মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিতরা কিভাবে নিজেকে মাওলানা মওদুদীর চেয়েও বুজুর্গ এবং সম্মানী লোক দাবী করে তা শুনে আমার শুধু হাসি পায়? কী অজ্ঞ তারা, যাদের শিক্ষার শেকড় একজন খ্রিস্টানের হাতে, যারা ইংরেজি শিক্ষার জাতক, তারা কী করে তা ভুলে যায়? তবে যারা কওমির ছাত্র তাদের ব্যাপারে আমার মন্তব্য নেই। যদিও নবীসাঃ ও সাহাবারা কেউ মাদ্রাসাকে জরুরি বিষয় মনে করেননি বলে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করলেও একটি মাদ্রাসাও জীবনে প্রতিষ্ঠা করেন বা করতে বলেননি!! তাহলে এটি যে, বিদাত তাকি বলার অপেক্ষা রাখে?



আর শিবির থেকে মোহাম্মদ ফখরুল সাহেবরা জীবনে লাভবান হয়েছেন কিনা জানিনে? তবে আমি যে শিবিরেরই প্রডাক্ট, তা বলতে আমি গর্ব করি। আমার ইসলামের পথে আসার একমাত্র ও মূল ঠিকানাই হলো শিবির-জামায়াত সেই ১৯৭৭ সাল থেকেই।

কিন্তু ফখরুলের এই কথা ''কারণ জামায়াত মওদুদী মতবাদ ও ওহাবী দর্শন দ্বারা পরিচালিত হয়। জামায়াত যদি মওদুদী মতবাদ ও ওহাবী দর্শন পরিত্যাগ করে এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধী-মানবতাবিরোধী-স্বাধীনতাবিরোধী নেতাদের ও তাদের সমথর্কদের পরিত্যাগ করে তাহলেই জামায়াত নতুন নামে মাথা তুলে দাড়াতে পারবে।'' শুনে মনে হলো তিনি ইসলামের মূল স্প্রিট ও আল্লাহর মানুষসৃষ্টির উদ্দেশ্য থেকেই দুরে সরে গেছেন। তিনি একজন গণক ঠাকুরও বটে এবং আল্লাহর মতোন গায়েবের খবর জানার অধিকারী দাবী করে শিরক করে যাচ্ছেন! এমনকি আল্লাহ কর্তৃক নবী-রসুলদের দুনিয়ায় প্রেরণ এবং জ্বীন-ইনসানকে বানানোর আসল উদ্দেশ্যই তিনি ভুলে গেছেন।



কারণ আমি ইসলাম শিখেছি যেখান থেকে তিনি সেখান থেকে শিখেছেন বিভ্রান্তি ও চরম অকৃতজ্ঞতা-মুনাফিকী। জামায়াত বিরোধী কাফিরসহ নাস্তিক, কমুনিস্ট, ইহুদী-খ্রিস্টান এবং জামায়াত-শিবিরবিরোধী দলসমূহের মানসিকতার সাথে তার মানসিকতার একটু ফারাক আছে বটে। কিন্তু থার্ড আইসহ তার কথা মানলে বলতে হয় যে, অন্য নবী-রাসুলরাও ক্ষমতায় না যেতে পেরে ভুল করেছেন এবং তাদের আন্দোলন ও জীবন সবই বৃথা ছিলো (নাউজুবিল্লাহ)' আপনার ধারণা- ইসলামী হুকুমত কায়েমই ছিল নবীদের ও আল্লাহতায়ালার আসল ইচ্ছা উদ্দেশ্য। এর ব্যতিক্রম হওয়া মানেই চরম বিফলতা। কিন্তু আল্লাহ কোথাও এমন কথা বলেছেন? বরং বলেছেন-আমি আমি মানুষ ও জ্বীন জাতিকে শুধুমাত্র ইবাদতের উদ্দেশ্যেই সৃষ্টি করেছি। ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম না হলে কি কেউ ১০০% ইবাদতগুজার হয়ে বেহেস্তে যেতে পারবেনা আপনাদের মতে? আল্লাহ এও বলেছেন--হে ঈমানদারগণ তোমরা হতাশ হয়োনা চিন্তা করোনা বরং তোমরাই বিজয়ী হবে যদি তোমরা প্রকৃত ঈমানদার হও।



তাই জামায়াত যতই ইসলামের কাজ করুক এবং আমার মত লাখ লাখ মানুষকে ইসলামের দিকে আনুক--তার কি কোনোই মূল্য নেই আপনাদের কাছে?

অনেক নবীর স্ত্রীরাও কাফির ছিলেন বা সন্তানরাও কাফির ছিলেন বলে বা নবীরা সাধারান মানুষ হওয়ায় কাফেররা যে তাদের নবুয়ত মানতে চাইতো না এ বলে যে, এ আবার কেমন নবী যে আমাদের মত খায় ইত্যাদি; এজন্যও কি নবীরাই অপরাধী যেহেতু তারা তাদের মনঃপূত নবী হলেন না, তাইকি?? এমন মুসলিম দাবীদারের আর বাতিলদের মাঝে কী ফারাক তা আমার বোধগম্যই হয়না।



ইসলামকে সমাজে পুরোপুরি প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামী খেলাফত কায়েম মুসলিমদের জন্য জরুরি হলেও একজন মুসলিমের পরকালীন মুক্তির জন্য তা কায়েমের শর্ত বাধ্যতামূলক কি? ঈমানের সংজ্ঞায় কি এমন কোনো শর্তও আল্লাহ-রসুল জুড়ে দিয়েছেন, যাতে যতোই ঈমানদার হোক ইসলাম কায়েমে ব্যর্থ হলে তাকে জাহান্নামে যেতেই হবে? নাহ- বরং আল্লাহ-রসুলের কথামতো চললেই যদিও ফরজ হিসেবে ইসলামী আন্দোলনে জড়িত থাকতে হবে কিন্তু পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামীরাষ্ট্র কায়েম কোনো শর্তযুক্ত নয়।



এমন অজ্ঞ মুসলিম ও পোস্টদাতার কথামত, ইসলামবিরোধীরা নবীদের আন্দোলনের বিরোধী থাকায় নবীদের কর্মপন্থাও যেমন বদল করা উচিত ছিলো যাতে তারা সফল হন কী ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমে কী দলে দলে বাতিলদের তাদের দলে ভিড়াতে?? এটা হয়নি বলে মানে আপনারদের ভাষায় অনেক নবীর ২/৪ জনের বেশি সমর্থকও ছিলো না বলে তার সফল হননি এবং বিফল ছিলেন, তাই কি??



তাহলে জামাত-শিবিরের কারণে আমাদের মত লাখ লাখ মানুষের ইসলামের পথে আসার কী হবে--আমরা কি বিফল এবং সবাই দোজখে যাবো? আমরা ভুল করেছি নাকি জামাত-শিবির আমাদের সৎপথ দেখিয়ে মহাভুল করেছে, এর কী জবাব আছে তাদের কাছে? (চলবে)

বিষয়: বিবিধ

২৩৭৬ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

225044
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:১৭
সত্যবাদী ব্লগার লিখেছেন :
জামায়াত-শিবিরের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যঃ ক্ষমতায় যাওয়া নাকি ইবাদাত করা?



অবশ্যই ক্ষমতায় যাওয়া । সাইদি সাহেব বলেছিলেন >> তোমরা আমাদেরকে একবার সুযোগ দাও<<<চট্টগ্রামের এক ওয়াজে <<<
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৩২
172215
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : সাইদীর ওয়াজটা আমি ভাল করে শুনেছি । তার উপর ২০০১ সালের নির্বাচন উপলক্ষ্যে সাইদীর ক্যাসেট বেড়িয়েছিলো এবং এটা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিলো - এটাতেও বলা হয়েছে : ক্ষমতার কথা । ইসলামী শাসনের কথা । আল্লাহর আইনের কথা । আল কুরআনের পার্লামেন্টের কথা ।

এখন নতুন কিছু শুনছি ।

শিবিরের ৫ নং দফায় কি আছে ? বিপ্লবের কথা নয় কি ?

ইবাদত তো তাবলীগ জামায়াতের লোকরাও করে !!! সাধারণ মুসলিমরাও করে !!!!


তাহলে ইকামতে দ্বীন শব্দটার ব্যাখ্যাও পাল্টাতে হবে ।

আমার আর বিশেষ কিছু বলার নেই ।

সত্যবাদী ব্লগার ভাই । আমার কাছে এখন সাইদির ক্যাসেট ও সিডিগুলো নেই । থাকলে এগুলো হতে জামায়াতের উদ্দেশ্যে বা মনজিলে মকসুদ হলো ক্ষমতায় যেয়ে আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন কায়েম করা - তা তুলে ধরতাম এবং ইউটিউবে ছেড়ে দিতাম ।


জামায়াত বিধিবদ্ধ রাজনৈতিক দল । রাজনৈতিক দলের প্রধান উদ্দশ্য থাকে ক্ষমতায় যাওয়া ।

জামায়াত এনজিও নথিভুক্ত হয়নি । যেমন : মিশরের ইখওয়ান নথিভুক্ত হয়েছিলো এনজিও হিসেবে । তবে রাজনৈতিক উইইংটা ফ্রিডিম এন্ড জাস্টিস পার্টি নামে পরিচিত হযেছিলো । যার নেতৃত্বে মোহাম্মদ মুরশী ছিলেন এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন । কিন্তু জামায়াতের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অত্যাচারী ও রাজতান্ত্রিক সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ নির্মমভাবে মুরশীর দলকে কি করেছিলেন তা আমরা ভাল করেই জানি ।


এই জামায়াতে ইসলামী কে আমি থুথু মারি । আল্লাহর গজব পড়ুক সৌদি রাজতন্ত্র ও তাদের চামচাদের উপর ।
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৩
172218
জুলকারনাইন সাবাহ লিখেছেন : আঃপনি ব্যক্তির কোটেশন দিয়ে কী বুঝালেন? তাদের সিলেবাস থেকে লিখুন
২৩ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:০৫
172230
জুলকারনাইন সাবাহ লিখেছেন : ভাই আমার পোস্টের হেডিংটা আরেকবার পড়ুন-আমি কী দাবী করেছি--মূল উদ্দেশ্য কী? ক্ষমতায় যেতে চাওয়া আর মূল উদ্দেশ্য কি এক হলো--মুল উদ্দেশ্য যে, আল্লাহর সন্তোষ্টি অর্জন--তাকি তাদের বইয়ে পড়েননি, কিভাবে শিবির করেছেন বলে দাবী করেন?
২৩ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৩
172262
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : হা । ভাই বই ভাল করে পড়েছি । এজন্য আমাকে শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রফিকুল ইসলাম খান (শপথ দিয়েছেন শাহ আলম ভুইয়া । ঢাকা মহানগরী উত্তরের ১৯৯৫ সালের দায়িত্বশীল । পরে তিনি সংগঠণ হতে বেড়িয়ে যান এবং উম্মাহ পার্টি নামে আন্ডার গ্রাউন্ড পার্টি বানান । )শিবিরের সাথী বানিয়েছিলেন ।

শিবিরের লিফলেটে আমাদের সময় লেখা থাকতো (যা আজও মনে আছে), শিবিরের লক্ষ্য উদ্দেশ্য - আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসুল সা প্রদর্শিত বিধান অনুযায়ী মানব জীবনের সর্বক্ষেত্র পূর্ণবিন্যাস সাধন করে আল্লাহর সন্তোষ অর্জন । (হয়ত দুই একটা শব্দ হেরফের হতে পারে) । শিবিরের ভাইরা এই লিফলেটরা মুখস্হ করাতো আমাদের দুই দিন ধরে ।

আমি শিবির করেছি : সত্যিকার শিবির করেছি । যে শিবির ইসলামকে বিজয়ী করতে চায় । গোলাম আজম নিজামী সাইদির পা চাটতে বলে সেই শিবির । সেই শিবির নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানাতে বলে না ।

আল্লাহর গজব পড়ুক বর্তমানকালের শিবিরের উপর ।


ক্ষমতা যদি শিবিরের উদ্দেশ্য না হয় , তাহলে সারা বাংলাদেশে বড় বড় কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আর কলেজ কেন দখলে রেখেছে । সেখানে তো তাবলীগ জামায়াতও দাওয়াতী কাজ করে ?

সংগঠণের কিতাবে অনেক কিছু থাকে না । সেগুলো বুঝে তিনি হয় ।
225047
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:২৪
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : এই লেখায় দেখছি : আমাকে উদ্দেশ্য করে অনেক কিছু বলা হয়েছে ।

কাদা যখন ছোড়া হয়েছে । সুতরাং কাদা ছোড়াছোড়ি হবে ।

আমি আপাতত নিরব থাকলাম ।

অদুর ভবিষ্যতে " শিবির জীবনের দিনগুলি " শিরোনামে একটা লেখা প্রকাশ করা শুরু করবো ।

সেখানে জামায়াত-শিবিরের সিলেবাসভুক্ত বিভিন্ন বইয়ের রেফারেন্স দিয়ে তুলে ধরবো : জামায়াত-শিবিরের আসল উদ্দেশ্য কি এবং তারা আসলেই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান এবং বিশ্বের অন্যান্য স্হানে কী করছে ? এবং তাদের কার্যক্রম বাংলাদেশের মুসলিমদের জন্য কতটা ক্ষতিকর ।
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৫
172222
জুলকারনাইন সাবাহ লিখেছেন : স্বাগতম, তবে মিথ্যা লিখবেন না, বই থেকে এবং কুরআন-হাদীসের কোটেশনের আলোকে প্রমাণ করবেন তাদের উদ্দেশ্য কী? আপনি যা বলছে নাকি জামাত যা বলে?
২৩ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৪
172263
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : হা । ভাই বই ভাল করে পড়েছি । এজন্য আমাকে শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রফিকুল ইসলাম খান (শপথ দিয়েছেন শাহ আলম ভুইয়া । ঢাকা মহানগরী উত্তরের ১৯৯৫ সালের দায়িত্বশীল । পরে তিনি সংগঠণ হতে বেড়িয়ে যান এবং উম্মাহ পার্টি নামে আন্ডার গ্রাউন্ড পার্টি বানান । )শিবিরের সাথী বানিয়েছিলেন ।

শিবিরের লিফলেটে আমাদের সময় লেখা থাকতো (যা আজও মনে আছে), শিবিরের লক্ষ্য উদ্দেশ্য - আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসুল সা প্রদর্শিত বিধান অনুযায়ী মানব জীবনের সর্বক্ষেত্র পূর্ণবিন্যাস সাধন করে আল্লাহর সন্তোষ অর্জন । (হয়ত দুই একটা শব্দ হেরফের হতে পারে) । শিবিরের ভাইরা এই লিফলেটরা মুখস্হ করাতো আমাদের দুই দিন ধরে ।

আমি শিবির করেছি : সত্যিকার শিবির করেছি । যে শিবির ইসলামকে বিজয়ী করতে চায় । গোলাম আজম নিজামী সাইদির পা চাটতে বলে সেই শিবির । সেই শিবির নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানাতে বলে না ।

আল্লাহর গজব পড়ুক বর্তমানকালের শিবিরের উপর ।


ক্ষমতা যদি শিবিরের উদ্দেশ্য না হয় , তাহলে সারা বাংলাদেশে বড় বড় কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আর কলেজ কেন দখলে রেখেছে । সেখানে তো তাবলীগ জামায়াতও দাওয়াতী কাজ করে ?

সংগঠণের কিতাবে অনেক কিছু থাকে না । সেগুলো বুঝে তিনি হয় ।
২৩ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:০০
172283
জুলকারনাইন সাবাহ লিখেছেন : ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আমার সাথেই এলেন কিন্তু স্বভাবমতো বিভ্রান্তি তৈরি করে। মানে মুল লক্ষ্য আল্লাহর সন্তষ অর্জন মাত্র।

একটা পরামর্শ দেই--আপনি যেভাবে জামাত-শিবিরের লোকদের গাল দেন এবং এসবের ডকুমেন্ট রেখে যাচ্ছেন দুনিয়ায়; এসবই হবে আপনার বিরুদ্ধে পরকালের সাক্ষী। কারণ যারা বহিষ্কৃত তারাও আপনার মতো তাকওয়াবিরোধী ভাষা বলেনা জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে। বাচ্চু ভাইর কথা কোথাও বলেছিলেন আপনি-- তাকে আমি এখনো সম্মান-দরদ করি। কিন্তু তিনি ৮৩ সালে পদস্খলিত হয়ে ইরানের ফাঁদে পড়ে যা করেছিলেন-তা সঠিক ও তাকওয়াপূর্ণ ছিলোনা। যেমন-আমাদের জেলার সদস্য শাখায় তিনি লোক পাঠিয়েছিলেন, আমাদের তার পক্ষভুক্ত করতে সংগোপনে, যা ছিলো শিবিরের আদর্শ ও তৎকালীন সংবিধানবিরোধী যার আওতায় তিনি শপথ নিয়ে তা ভঙ্গ করে পাপ করেছিলেন।

তাই আমাদের ঈমান তার ডাকে সাড়া দেয়নি এবং আমরা তার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করি।

তিনি যদি বিভ্রান্ত ও নৈতিকভাবে দুর্বল না হতেন তবে কেন্দ্রীয় সভাপতির শপথ নিয়ে সিস্টেম ভেঙে এমন করতে পারতেন না। আর করলেও তার উচিৎ ছিলো শিবির ত্যাগ নতুন দল তৈরি করা যেখানে শিবিরের কেউ গেলেও যেতো। কিন্তু তিনি শিবিরে বিভ্রান্তি তৈরিসহ শিবিরভাঙ্গার মতো ষড়যন্ত্র করতেন না। যাক-আপনিও কি বহিষ্কৃত?
225049
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:২৪
সত্যবাদী ব্লগার লিখেছেন :
সর্বস্তরে নামাজ কায়েম করা




তারা এমন লোক যাদেরকে আমি পৃথিবীতে শক্তি-সামর্থ দান করলে তারা নামায কায়েম করবে, যাকাত দেবে এবং সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ করবে। প্রত্যেক কর্মের পরিণাম আল্লাহর এখতিয়ারভূক্ত।২২:৪১

এখানে
শক্তি-সামর্থ
মানে কি ?? সরকারি ক্ষমতা ?? অবশ্যই না ।।

আর
সর্বস্তরে
কোথায় পাইলেন ????
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৪১
172224
জুলকারনাইন সাবাহ লিখেছেন : ''পৃথিবীতে শক্তি-সামর্থ দান করলে'' কী সর্বস্তরে বুঝায়না ভাই??? শক্তিসামর্থ্য মানে কী বলবে শিখি? এমন শক্তির উদাহরণ দেবেন কী-রাষ্ট্রক্ষমতা ছাড়াও যে শক্তি দিয়ে মানুষকে বাধ্য করা যায় জাকাত দিতে নামাজ পড়তে সৎকাজের অনুরোধ নয় নির্দেশ দিতে? নিরদেশ কে দেয়? আপনি আমি, সাঈদী নাকি সার্বভৌম সরকার!







রতে
২৩ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:১১
172236
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : শক্তি-সামর্থ , সর্বস্তরে - এসব কথা নিজেদের মনগড় । জামায়াত-শিবিরের বইয়ে এসব বাড়তি শব্দে পরিপূর্ণ ।
الَّذينَ إِن مَكَّنّٰهُم فِى الأَرضِ أَقامُوا الصَّلوٰةَ وَءاتَوُا الزَّكوٰةَ وَأَمَروا بِالمَعروفِ وَنَهَوا عَنِ المُنكَرِ ۗ وَلِلَّهِ عٰقِبَةُ الأُمورِ

সুরা হজ্জ : ৪১

مَكَّنّٰهُم শব্দের অর্থ হলো তাদের সক্ষমতা দান করা হলে ।


এই কথাটা সর্বক্ষেত্রেই প্রযোজ্য । যেমন :

আমি যেখানে কাজ করি সেখানে অল্প কয়েক জন লোক নামাজ পড়তো মসজিদে যেয়ে । আমরা চিন্তা করলাম : অফিসের বারান্দায় নামাজ পড়া যায় কি না । এতে সময় বেচে যাবে আর অনেক দুরে যেয়ে নামাজ পড়া লাগলো না । আর আমাদের দেখাদেখি অনেকে নামাজ পড়া শুরু করবে বা আগ্রহী হবে ।

সাহস করে এক দিন আমরা শুরু করলাম । এখন আমাদের প্রতিষ্ঠানের সবাই সেই বারান্দাতে যুহর, আসর, মাগরিব নামাজ পড়ি । এক দিন দেরি করে নামাজে উপস্হিত হওয়ার পর দেখলাম মালিক আর মালিকের ছেলে নামাজের শেষ সারিতে দাড়িয়ে নামাজ পড়ছেন এবং তার সাথে আমাদের পতিষ্ঠানের পরিচ্ছন্ন কর্মীও নামাজ পড়ছেন ।



নামাজ কায়েমের জন্য রাষ্ট্র ক্ষমতার প্রয়োজন হয় - এই কথা জামায়াতের লোকদের কাছ থেকেই শুনি সর্ব প্রথম ।

আমি যখন ছেলে মেয়ে পড়াতাম ( কলেজ এবং প্রাইভেট ) তখন আমি ছেলে - মেয়েদের এক সাথে নিয়েই নামাজ পড়তাম । তবে মেয়েরা শেষের সারিতে দাড়িয়ে ছেলেদের সাথেই নামাজ পড়তো । প্রথমে অনেক মেয়ে আপত্তি করতো । আমি বলতাম ফরজ গোছল করার প্রয়োজন যাদের থাকবে তাদের নামাজ পড়ার প্রয়োজন নেই ।

বিস্তারিত জানতে আমার এই লেখাটা দেখতে পারেন : http://muhajjabah-bangladesh.blogspot.com/2013/07/blog-post.html

মালয়েশিয়ার এক টিভি চ্যানেলের আযান । এই আযান প্রচারের সময় দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন পেশার লোক জন আযান শোনার পর যার যার কাজ বাদ দিয়ে নামাজের জন্য প্রস্তত হচ্ছেন এবং নামাজ পড়ছেন । এতে দেখা যায় ছেলে-মেয়েরা এক সাথে নামাজ পড়ছে এবং মেয়েরা পেছনের সারিতে দাড়িয়ে ছেলেদের সাথেই নামাজ পড়ছে । ভিডিওটা দেখুন : http://youtu.be/_K7gaerfKZc জামায়াত-শিবিরের মতে এভাবে নামাজ পড়া হারাম । (নাউজুবিল্লাহ)
225050
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:২৭
সত্যবাদী ব্লগার লিখেছেন :
আর মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাও ইহুদিদের দ্বারা চালু হয় । তাই আমি প্রচলিত মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ইহুদিদের শিক্ষাব্যবস্থাই মনে করি ।
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৩
172225
জুলকারনাইন সাবাহ লিখেছেন : আপনি স্পাম করে যাচ্ছেন-ব্লক হতে পারেন। আর ইতিহাস বিকৃতি করবেন না প্রমাণ ছাড়া যে, মাদ্রাসা ইহুদীদের প্রবর্তিত?
225054
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৪
নোমান২৯ লিখেছেন :





দারুণ । অ-সা-ধা-র-ণ । ধন্যবাদ ভাইয়া । Good Luck RoseGood Luck RoseGood Luck Rose
২৩ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:০৭
172232
জুলকারনাইন সাবাহ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
২৩ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:০৯
172234
নোমান২৯ লিখেছেন :





শুভ কামনা রইলো । যেন ইতর গুলার সাথে জয়ী হতে পারেন ।Good Luck Good Luck
২৩ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:১১
172237
জুলকারনাইন সাবাহ লিখেছেন : কুরআন-হাদীসের সাথে থাকলে তারা জয়ী হতে পারবেনা ইনশাআল্লাহ
228063
২৯ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৩
সত্যবাদী ব্লগার লিখেছেন : নামাজ পড়তে বাধ্য করা যায় না । কারন ইসলামে কোন জোরজবরদস্তি নেই।
৩০ মে ২০১৪ রাত ১২:০১
175014
জুলকারনাইন সাবাহ লিখেছেন : সহমত--জোর-জবরদস্তি করে নামাজ পড়ানোর কোনো নজিরও নেই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File