আপনি না চাইলেও ১৩টি কারণে প্রেম আসতে পারে, যা ভাবতেও পারবেন না!!
লিখেছেন লিখেছেন শাহ আলম বাদশা ৩১ জুলাই, ২০১৪, ০৬:৩৪:৪৯ সন্ধ্যা
প্রেমে পড়ার নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই এবং বয়সও নেই। অনেক সময় এমন পরিস্থিতিতে আপনার প্রেম হতে পারে, যা আপনি ভাবতেও পারবেন না। এ ধরনের ১৩টি কারণ নিয়েই এ লেখা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. একসঙ্গে রোমাঞ্চকর কিছু করলে
আপনি যদি কারো সঙ্গে একত্রে রোমাঞ্চকর কোনো কাজ করেন তাহলে তা আপনাদের মাঝে হৃদয়ঘটিত সম্পর্ক তৈরি করতে পারে। ১৯৭৪ সালের এক গবেষণাতেই বিষয়টি প্রমাণিত হয়। দেখা গেছে, একসঙ্গে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ ও রোমাঞ্চকর কাজ করলে পরস্পরের প্রেমে পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
২. তাকে প্রাধান্য দিলে
কোনোক্ষেত্রে কাউকে প্রাধান্য দিলে তা স্মৃতিশক্তিতে প্রভাব ফেলে। যদি বিপরীত লিঙ্গের কাউকে আপনি প্রাধান্য দেন, তাহলে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হতে পারে।
৩. কাছাকাছি বসবাস
আপনার আশপাশে যদি মনের মানুষ হওয়ার উপযোগী কেউ বাস করে তাহলে তার সঙ্গে প্রেম হয়ে যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এমআইটির এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে কাছাকাছি বাসকরাদের মাঝে পরস্পরের ঘনিষ্ঠতার একটি অনুভূতি তৈরি হয়। কারণ এতে উভয়ের মাঝে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগাযোগ সৃষ্টি হয়, যা তাদের সম্পর্ক পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে উৎসাহিত করে।
৪. সুন্দর বাড়িতে বসবাস
পুরুষের সুন্দর গাড়ির প্রতি নারীর আকর্ষণের কথা অনেকেই জানেন। কিন্তু শুধু গাড়ি নয়, বাড়িও বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণ করে। আপনি যদি সুন্দর কোনো বাড়িতে বসবাস করেন, তাহলে তা মনের মানুষকে আকর্ষণ করার জন্য খুবই কার্যকর হবে। এ বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে কার্ডিফ মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায়।
৫. আপনার যদি পোষা প্রাণী থাকে
পোষাপ্রাণী আছে, এমন পুরুষদের নারীরা পছন্দ করে। বিশেষ করে আপনার যদি একটা পোষাকুকুর থাকে তাহলে তা অনেককেই আকর্ষণ করতে পারে।
৬. প্রথমবার পছন্দ না করলে
আপনার সঙ্গে কারো দেখা হওয়ার পর প্রথমেই যদি তাকে আকর্ষণীয় বলে মনে না হয়, তাহলেও হতাশ হবেন না। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, প্রথমবার দেখার পর অনেককেই ভালো লাগেনা। কিন্তু ক্রমে তার প্রতি দুর্বলতা ও প্রেম তৈরি হয়। ১৯৭২ সালের এক গবেষণায় বিষয়টি প্রমাণিত হয়।
৭. আপনার সঙ্গে কারো হাঁটার গতি যদি মিলে যায়
কারো সঙ্গে আপনার হাঁটার গতি যদি মিলে যায় তাহলে বিষয়টিকে কাকতালীয় ভাববেন না। কারণ হাঁটার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, পছন্দের নারীর সঙ্গে তালমেলাতে পুরুষ তাদের হাঁটার গতি কমিয়ে দেয়। আর যারা একে অন্যের প্রতি আকর্ষণবোধ করে না, তারা হাঁটার গতিও মেলায় না।
৮. একধরনের চেহারা
কোনো ব্যক্তির সঙ্গে আপনার প্রেমকরার সম্ভাবনা বাড়বে যদি তিনি আপনার মতোই চেহারার অধিকারী হন। অর্থাৎ কোনো দু'জন ব্যক্তি যদি অন্যদের তুলনায় সুন্দর হন তাহলে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরির সম্ভাবনা থাকে। একইভাবে দু'জনেরই যদি চেহারা অন্যদের তুলনায় খারাপ হয় তাহলে তাদের প্রেমের সম্ভাবনা বাড়ে।
৯. কসমেটিক্স সার্জারি করলে
যারা মুখে কসমেটিক্স সার্জারি করেন তারা অন্যদের তুলনায় বিপরীত লিঙ্গকে বেশি আকর্ষণ করেন। বিশেষ করে বয়স কমদেখানোর জন্য বটক্স নামে একটি পদ্ধতিতে ত্বকের নিচে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। এটি করা হলে সমবয়সীদের তুলনায় কমবয়স দেখা যায়। ফলে বিপরীত লিঙ্গ এতে আকর্ষণবোধ করে।
১০. আপনি যদি হাসিখুশি হন
হাসিখুশি মানুষ সহজেই বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণ করে। আপনি যদি হাসিখুশি হন তাহলে তা অন্যকে আকর্ষণ করতে সহায়ক হবে। এ বিষয়টি বহু গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। সুইজারল্যান্ডের দু'টি গবেষণায় দেখা গেছে, হাসিখুশি মানুষ অন্যদের তুলনায় সুখী হয় এবং অন্যকে আকর্ষণে প্রভাব বিস্তার করে।
১১. আপনি যদি সঙ্গীতে পারদর্শী হন
যারা গান গাইতে বা বাজনা বাজাতে পারে, তারা অন্যের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়। ফ্রান্সের এক গবেষণায় দেখা গেছে, সঙ্গীতের অনুশীলন বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণ করে।
১২. লালরঙের পোশাক পরলে
লাল পোশাকপরা ব্যক্তি বিপরীতলিঙ্গের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়। স্লোভেনিয়ার এক গবেষণায় দেখা যায়, লাল পোশাকপরা নারী বিপরীতলিঙ্গকে আকর্ষণে বেশি সফল হয়। এটি যৌনতার ক্ষেত্রেও আকর্ষণ তৈরি করে।
১৩. আপনার যদি থাকে বিশেষ ধরনের দাড়ি
দাড়ির মাত্রার ওপরও নারীর আকর্ষণের মাত্রা নির্ভর করে বলে অস্ট্রেলিয়ার এক গবেষণায় উঠে এসেছে। এতে দেখা গেছে, যাদের ঘন ছোটদাড়ি আছে, নারীরা তাদেরই সবচেয়ে আকর্ষণীয় মনে করে। অন্যদিকে ঘন বড়দাড়ি, হালকাদাড়ি কিংবা পরিষ্কার সেভ করা দাড়ি তাদের কাছে কম আকর্ষণীয়।
এক্ষেত্রে নবীর হাদিসটি স্মরণ করাই যায় যে, যখন দু'জন বিবাহযোগ্য (বিবাহে বাধা নেই) নর-নারী গোপনে একত্রে মিলিত হয়, তখন সেখানে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে হাজির হয় শয়তান।
এর মানে হলো যে, একতরফা কারো প্রতি আকর্ষণবোধ করলেও একতরফা কিন্তু প্রেম হয়না যদি উভয়পক্ষ মেলামেশা বা ওঠাবসা বা দেখাসাক্ষাৎ না করে এবং ঘনিষ্ঠতা না হয়।
এজন্যই নর-নারীকে পর্দামেনে চলার জন্য আল্লাহ তাগিদ দিয়েছেন। এজন্যই সহশিক্ষা, সহচাকরি, সুহভ্রমণ ইত্যাদি জায়েজ নয়, যা একে অপরের প্রতি প্রেম-অভিসার কিংবা জেনা-ব্যভিচারের জন্ম দিয়ে থাকে।
আর এজন্যই বেগম রোকেয়া নারীশিক্ষার জন্য উতলা হয়ে শুধু নারীর জন্যই স্কুল-কলেজ চালু করেছিলেন কিন্তু সহশিক্ষার পাশ দিয়ে হাঁটেননি।
তথ্যসুত্র
বিষয়: বিবিধ
১২১৮ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তার চাইতেও বড় কথা হচ্ছে আমি অনেকের সাথেই এ বিষয়ে একমত যে – ‘প্রেম এক ভয়াবহ মানসিক রোগ’, এ রোগে আক্রান্তরা মূলত যৌনাসক্তি থেকে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে, সে আকর্ষনের দ্বারা সৃষ্ট সম্পর্ককে মহান-প্রেম বলে অভিহিত করে থাকে।
আমি দোয়া করি রাব্বুল আ’লামিন এর কাছে – এ রোগে আক্রান্ত সকলকে এ রোগ থেকে আশু-মুক্তি দান করুন।
ঈদের শুভেচ্ছা ভাইয়া।
এ রোগের হাত থেকে আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিন
আমাদের সবাইকে রক্ষা করবেন। আমিন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন