গৌতম বুদ্ধ কি কখনো মানবজাতির আদর্শ হতে পারে ?
লিখেছেন লিখেছেন শাহ আলম বাদশা ২৯ জুলাই, ২০১৪, ১২:৫৬:৪৫ দুপুর
গভীর রাতে সিদ্ধার্থ তার স্ত্রী ও পুত্রকে ফেলে ঘরের কাউকে না জানিয়ে গৃহত্যাগ করলো। তথাকথিত সিদ্ধিলাভ করার পরও সিদ্ধার্থ আর কোনদিন নিজ স্ত্রী পুত্রের কাছে ফিরে আসলো না। আর সারাজীবন নিজ স্ত্রী যশোধারা আর পুত্র রাহুলের কোন খোজ খবর না নেওয়া এই গৃহত্যাগী ব্যক্তিটিই এখন হয়ে গেছে বৌদ্ধদের কাছে দেবতূল্য। গৌতম বুদ্ধ উনার ২৮ বছর বয়সে মাত্র ২ বছর সংসার জীবন যাপন করে উনার নিজ স্ত্রী যশোধরা ও নিজ পুত্র রাহুল কে সারাজীবনের জন্য ত্যাগ করে জঙ্গলে চলে যায়। যদিও গৌতম বুদ্ধের স্ত্রী যশোধারা অনেকবার গৌতম বুদ্ধকে অনুরোধ করেছিল তার সাথে সংসার করতে। গৌতম বুদ্ধ যে সারাজীবন তার নিজ স্ত্রী যশোধরা ও রাহুলের কোন খোঁজখবর রাখল না এর কারন কি ? গৌতম বুদ্ধ তো তার সৎ ভাই নন্দের বৈবাহিক জীবনটাও ধ্বংস করে দিয়েছে। নন্দও সংঘে যোগদান করার পর তার স্ত্রী জনপদ কল্যাণীর সাথে আর কোন সম্পর্ক রাখে নাই। আল্লাহর রাসূল সংসার করেছে সন্তান জন্ম দিয়েছে এটাই এখন নাস্তিকদের কাছে দোষের হয়ে গেছে কিন্তু গৌতম বুদ্ধ যে সারাজীবন তার স্ত্রী যশোধরার কোন খোঁজ খবর নিল না গৌতম বুদ্ধ তার সৎ ভাই নন্দের সংসার জীবনটা ধ্বংস করে দিল এটা নাস্তিকদের কাছে কোন দোষের না। তথাকথিত সিদ্ধিলাভ করার পর গৌতম বুদ্ধ একবার তার জন্মভূমি কপিলাবস্তুতে আসেন। তখন গৌতম বুদ্ধের স্ত্রী যশোধরা তার ছেলে রাহুলকে গৌতম বুদ্ধের কাছে এই বলে পাঠান যে তুমি তোমার কাছে পিতৃধন চাবা। পিতৃধন দেয়া তো দূরের কথা উল্টা গৌতম বুদ্ধ তার ছেলে রাহুলকেও সংঘে নিয়ে যায়। এরপর যশোধরা সারা জীবন একাকী থাকেন।
রাহুলকে নিয়ে যাওয়ার পর যশোধরার দূর্দশার কথা একটা ইংরেজী সাইটে খুব সুন্দর ভাবে বলা হয়েছে – So now Buddha’s wife is torn not only from her husband but her son. And his father has lost not only his son but his grandson. They both beg Buddha not to take Rahula but Buddha ignores them. Rahula becomes the youngest monk in Buddha’s following. Was Siddhartha a good dad? A good husband? I’m not one to judge. “ এখন গৌতম বুদ্ধের স্ত্রী শুধু তার স্বামীর জন্যই কান্না করবে না তার পুত্র রাহুলের জন্যও কান্না করবে। সেইসাথে রাজা শুদ্ধধন তার নাতিকেও হারাল। যশোধরা ও গৌতম বুদ্ধের পিতা রাজা শুদ্ধধন উভয়েই গৌতম বুদ্ধকে অনুরোধ করেছিল রাহুলকে না নিয়ে যেতে। কিন্তু বৌদ্ধ তাদের সকলের অনুরোধ উপেক্ষা করে রাহুলকে নিয়ে চলে গেল। গৌতম বুদ্ধ কি একজন ভাল স্বামী বা ভাল পিতা বা ভাল পুত্র ছিলেন ? না এই ৩ টার কোনটাই উনি ছিলেন না। যশোধরা কিন্তু গৌতম বুদ্ধের আপন ফুফাত বোন ছিল। যশোধরার মা পমিতা ছিল গৌতম বুদ্ধের পিতা রাজা শুদ্ধধনের আপন বোন। যশোধরার বাবা ছিলেন কৌল্যিয় বংশের রাজা শুপ্পবুদ্ধা | মা ছিলেন শাক্য বংশের কন্যা পমিতা | বলা হয়, শাক্য এবং কৌল্যিয় এই দুইটি বংশ আসলে সূর্য বংশীয় ইক্ষ্বাকু বংশের প্রলম্বিত অংশ | প্রাক বৌদ্ধ যুগে এই দুটি বংশের সমকক্ষ অন্য কোনও বংশ কপিলাবস্তুতে ছিল না| এবং বিয়ের সম্পর্ক এই দুটি বংশের মধ্যেই তৈরি হত | বিভিন্ন বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী, সিদ্ধার্থ এবং যশোধরা, দুজনেরই জন্ম একই বছরের বৈশাখী পূর্ণিমার দিন | অর্থাৎ, যেদিন বুদ্ধ জয়ন্তী, সেদিন আবার বুদ্ধ-পত্নী যশোধরারও জন্মদিন বটে| [তথ্যসূত্র উইকিপিডিয়া]
তো আপন ফুফাত বোন হিসাবেও কিন্তু গৌতম বুদ্ধের উচিত ছিল যশোধরার প্রতি একটু ভালবাসা দেখানো। দীর্ঘ ৭ বছর পর কপিলাবস্তুতে আসার পর রাজবাড়ির সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় গৌতম বুদ্ধের স্ত্রী যশোধরা পুত্র রাহুলকে ডেকে বললেন -ওই তোমার পিতা, তাকে ডেকে আন। রাহুল নিজের পরিচয় দিয়ে গৌতম বুদ্ধ কে ঘরে যেতে বললেন। গৌতম বুদ্ধ সে আহ্বান অগ্রাহ্য করলেন। এরপর সকলের কাতর অনুরোধে উনি বাড়িতে প্রবেশ করলেন কিন্তু কোথাও দাঁড়ালেন না। রাজবাড়ি থেকে শেষবারের মতো বের হওয়ার সময় তাঁর স্ত্রী যশোধরা গৌতম বুদ্ধের সামনে তাঁর দীর্ঘ চুল বিছিয়ে অপেক্ষা করলেন। গৌতম বুদ্ধ বিন্দু মাত্র বিচলিত না হয়ে যশোধরার চুল মাড়িয়ে রাজবাড়ী থেকে বেরিয়ে এলেন। একটু চিন্তা করে দেখুন যশোধরা কতটা ভালবাসা নিয়ে তার স্বামীর জন্য অপেক্ষা করেছে দীর্ঘদিন কিন্তু গৌতম বুদ্ধ যশোধরার ভালবাসা পায়ে মারিয়ে সারা জীবনের জন্য নিজ স্ত্রীকে পরিত্যাগ করল। আর এই গৌতম বুদ্ধই কিনা এখন হয়ে গেছে নাস্তিকদের কাছে আদর্শ ! গৌতম বুদ্ধ সংসার করবেন না ভাল কথা কিন্তু গৌতম বুদ্ধের তো উচিত ছিল তার স্ত্রীকে তালাক দেয়া। কিন্তু গৌতম বুদ্ধ তো এটাও করেন নি। আর গৌতম বুদ্ধ তালাক দিবে কিভাবে ? বৌদ্ধ ধর্মে তালাক, মেয়েদের সম্পত্তির অধিকার, বিবাহের দেনমোহর এইসব কিছুই নাই। এই ২০১৪ সালেও বৌদ্ধ মেয়েরা বাপ মা স্বামীর এক ফোঁটা সম্পত্তিও পায় না। বৌদ্ধ ধর্মে আছে খালি বড়বড় কথা আর কঠিন চীবর দান। একটা সমাজ কিভাবে চলবে, একটা রাষ্ট্র কিভাবে চলবে, স্বামীর উপর স্ত্রীর কি অধিকার আছে এই সব ব্যাপারে গৌতম বুদ্ধ কিছুই বলে যান নি। খালি কয়েকটা বাণী দিলেই আর নির্বান লাভ করলেই মহামানব হওয়া যায় না। নিজ স্ত্রী পুত্রেরও খোঁজখবর রাখতে হয়। আর যশোধরা কখনই গৌতম বুদ্ধের আশ্রমে যান নি। এটা কোন ঐতিহাসিক বলে নাই। বৌদ্ধরা গৌতম বুদ্ধের দোষ ঢাকতে এটা বলে। গৌতম বুদ্ধ আশ্রমে নারী ঢুকানোর পক্ষে ছিলেন না। হ্যা আশ্রমে নারী প্রবেশ করেছিল গৌতম বুদ্ধের মৃত্যুর পরে। গৌতম বুদ্ধ জীবিত থাকা অবস্থায় কখনই উনার আশ্রমে কোন মেয়ে প্রবেশ করে নাই। খুব শখ করেই যশোধরার বাবা কৌল্যিয় বংশের রাজা শুপ্পবুদ্ধা গৌতম বুদ্ধের সাথে নিজের মেয়ের বিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু শেষে এই যশোধরা কি পেল ? ঐতিহাসিকরা বলেন যশোধরা সারাজীবন এক দূঃখিনী রাজকন্যা ছিলেন।
Facebook এ বড় বড় নাস্তিকদের About Me ও Cover picture এ এখন গৌতম বুদ্ধের বাণী ও ছবি দেখা যায়। আপনারাই বলেন যে ব্যক্তি সারাজীবন তার স্ত্রী পুত্রের আর কোন খোজ খবর রাখে নি সে কি কখনো মানব জাতির আদর্শ হতে পারে ? কই কোনদিন ও তো দেখলাম না কোন নাস্তিককে গৌতম বুদ্ধের এই সারজীবন স্ত্রী পুত্রের অবহেলা নিয়ে কিছু লিখতে। কিন্তু আল্লাহ্র রাসূলের বৈবাহিক জীবন নিয়ে অনলাইনে হাজার হাজার ব্লগ লেখা হয়েছে। নাস্তিকদের কাছে কেউ সংসার জীবন করলেই দোষ কিন্তু সারা জীবন কেউ নিজ স্ত্রী পুত্রের কোন খোজ খবর না নিলে এটা নাস্তিকদের কাছে কোন দোষের না। একটু চিন্তা করে দেখুন যদি এরকম কোন ঘটনা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনে হত যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সারা জীবন উনার কোন এক স্ত্রীর আর কোন খোজ খবর নেন নি তাইলে নাস্তিকরা সেই ঘটনাটা উল্লেখ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে কি পরিমানই না কটুকথা বলত। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সব সময় উনার স্ত্রী ও কন্যাদের খোজ খবর নিতেন। হাদিসের কিতাব গুলিতে আইলে বাইত অধ্যায় গুলি উল্টাইলেই বুঝা যায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্ত্রী ও কন্যাদের কি পরিমান ভালবাসতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যুর পর সকল খলিফা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রীদের অর্থ্যাৎ উম্মুল মুমেনীনদের খোজ খবর রাখতেন এবং উনারা ভাতাও পেতেন।
যখনই সাহাবিরা কোন রাজ্য জয় করতেন তখন সেই যুদ্ধের গনীমতের একটা অংশ সর্বপ্রথম এই উম্মুল মুমেনীনদের কাছেই পৌছত। প্রত্যেক উম্মুল মুমেনীনদের মৃত্যুর পর সেই সময় যিনি খলিফা থাকতেন তার ইমামতিতেই উনাদের দাফন কাফন হত। এই গৌতম বুদ্ধ নিজেও কোনদিন তার স্ত্রীর খোজ খবর নিল না আর তার আপন সৎ ভাই নন্দের সংসার জীবনটাও গৌতম বুদ্ধ ধ্বংস করে দিল। গৌতম বুদ্ধের পাল্লায় পরে নন্দও সারাজীবন তার স্ত্রী জনপদ কল্যাণীর আর কোন খোঁজখবর নেয় নি। যেই ব্যক্তি সারাজীবন তার নিজ স্ত্রীর কোন খোঁজখবর রাখে নি সে কখনই মানবজাতির আদর্শ হতে পারে না। গৌতম বুদ্ধ নির্বান পাইছে কি পায় নাই এটা আমার দেখার বিষয় না। আমার কথা হল যেই ব্যক্তি তার স্ত্রী পুত্রের খোঁজখবর রাখে নাই সে কখনই একজন ভাল মানুষ হতে পারে না। আর বৌদ্ধ ধর্ম মুলত হিন্দু ধর্মেরই একটা শাখা। হিন্দুরা গৌতম বুদ্ধকে তাদের নবম অবতার বলে। আর গৌতম বুদ্ধ হিন্দুদের কাছ থেকেই পুনজন্ম concept টা পেয়েছেন। গৌতম বুদ্ধ মানব জাতিকে তেমন নতুন কিছু দিতে পারেন নাই। মাঝখান থেকে গৌতম বুদ্ধের পাল্লায় পরে অনেক লোক নাস্তিক হয়েছে। এখন হয়ত আপনি রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বহু বিবাহ নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন। শাফিউর রহমান ফারাবী
বিষয়: বিবিধ
৩৮২৯ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তা হলে গৌতম বুদ্ধের কি করা উচিত ছিল? মোহাম্মদের মত ডজন ডজন নিত্য নতুন বিয়ে পাগলামী??
নবী একাধিক বিয়ে করে সমালোচনার মতো খারাপ কিছু করলে আপনাদের আব্বাহুজুর আবু জেহেল, আবু লাহাব কি ছেড়ে কথা কইতো?
তোমার মতো নব্য বামনই তো ভাতরে কয় অন্ন!!
@গ্রামের পথে, অপ্রিয় সত্য কথা,খেলাঘর বাধঁতে এসেছ,আকবার ,স্বাধীনতা,জুলিয়া,
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্তার এত নিক
আমরা পবিত্র কোরআন এবং সুন্নাহর মাধ্যমে জানতে পেরেছি ইয়াহুদী এবং নাসারা রা তাদের ধর্মীয় বোধ বিশ্বাসে আল্লাহ প্রদত্ব নিয়ম কানুনের অনেক রদ বদল করেছিল। তারা নিজেরাই আল্লাহর বিধানের ক্রমান্বয়ে বিকৃত করতে করতে এমন অবস্থায় চলে গেছিল যে, এক পর্যায়ে তাদের ধর্মীয় কিতাব যবুর ও ইঞ্জিলের আসল নোসকাটাই সম্পূর্ণরূপে বিকৃত হয়ে নিজস্ব ভাষাটাতে একটা আয়াত পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখতে পারেনি। তার পরেও এ দুটি ধর্মের উৎপত্তি এবং বিকাশের সঠিক কিছু নির্ভরযোগ্য ইতিহাস জানার সুযোগ রয়েছে।
কিন্তু বৌদ্ধ ধর্মের ব্যাপারে সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য কোন ইতিহাস জানার সুযোগ নেই কারো। সবকিছুই অনুমান নির্ভর। যদিও বা বৌদ্ধ ধর্মকে ঐশী কোন ধর্ম হিসেবে স্বীকার বা অশ্বীকার করার যৌক্তিকতা বা প্রমাণ নেই। তবুও ভারতীয় কংগ্রেসের বিখ্যাত মুসলিম নেতা, প্রখ্যাত মুফাসসির মাওলানা আবুল কালাম আজাদ সাহেব তার তাফসীরে আজাদীতে গৌতম বৌদ্ধকে নবী হওয়া সম্পর্কে সন্দেহ করেছিলেন। যেহেতু মহান আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক জাতি, জনপদ, কৌমের জন্য হেদায়তের জন্য হাদী প্রেরণ করেছিলেন। তাই গৌতম বুদ্ধ সাহেবও এমন কিছু হওয়া বিচিত্র কিছু নয়। তবে তার কথিত অনুসরণকারীদের গাজাখুরী কাজ কারবারে তার সম্পর্কে মানুষের বিরুপ ধারণা জন্মাচ্ছে।
কিছু কিছু মানুষ আছে নিজেদের ধর্মীয় অন্তসারশূণ্য বিধি বিধান পড়ে অন্য ধর্মের ব্যাপারেও বৈরী ধারণা পোষণ করে। বিশেষ করে নন রিলিজিয়াস মানুষ তাদের পৈত্রিক ধর্মের বিভ্রান্তিমূলক ঘোড়ামির কারনে ইসলাম সম্পর্কে একই ধারণা পোষণ করে। অথচ ইসলাম পূর্বের অন্যন্যা ধর্মগুলোতে স্রষ্টা প্রদত্ব বিধি বিধানগুলো বিকৃত হয়ে যাওয়ার কারণেই মানব জাতিকে চুড়ান্ত এবং সর্বশেষ হেদায়তের জন্য মহান আল্লাহর তরফ থেকে প্রেরিত হয়েছে। এখানে যার কোন বিকৃতি ঘটেনি। কোরআন এবং সুন্নাহর সমস্ত রেকর্ড বিগত দেড় হাজার বছর ধরে সম্পূর্ণ অবিকৃত রয়েছে।
কোন জিনিস বা বস্তুকে আদর্শ মানদন্ড হিসেবে গ্রহণ করার যে চারটি মৌলিক উপাদান রয়েছে তা একমাত্র ইসলাম ধর্মেই আছে। অন্য কোন প্রাচীন ধর্মে এই চারটি উপদানের কোনটিই নেই। যার কারণে পৃথিবীতে সব চেয়ে দ্রুত সম্প্রসারণশীল ধর্ম হচ্ছে ইসলাম।
আর গৌতম বুদ্ধের জীবনাচারণ সম্পর্কে যে সব লেখা হয়েছে তার কোনটিই নির্ভরযোগ্য নয়। যদি গৌতম বুদ্ধ সস্পর্কে লিখিত ধারণাগুলো সঠিকও হয় তবে তার মত একজন বৈরাগ্যবাদী সন্ন্যাসীকে মানুষের অনসরণীয় আদর্শ ব্যক্তিত্ব হিসেবে গ্রহণ করার কোন যৌক্তিকতা নেই।
ফেইসবুকসহ জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের টিজিটাল মিডিয়াগুলোতে বর্ণ চোরা যেসব নাস্তিক পরিচয় দিয়ে ইসলাম এবং ইসলামের নবী সম্পর্কে বিভিন্ন অযৌক্তিক ও পুরনো কাসুন্দির বার বার পুনরাবৃত্তি করে তারা মূলত কোন নাস্তিক নয়। এদের বেশীর ভাগই হচ্ছে ইয়াহুদীদের ব্রেইন চাইল্ড চুপা হিন্দু শয়তান। তারা নিজেদের আসল পরিচয় গোপন রাখার মধ্যে মূল রহস্য হচ্ছে নিজেদের ভ্রান্ত ধর্মীয় বিশ্বাসের ব্যাপারে চতুর্মূখী প্রশ্নবাণে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে নিজেদেরকে নাস্তিকতার খোলসে লুকিয়ে রাখার ব্যার্থ চেষ্টা করে মাত্র।
তাদের প্রতি যদি চ্যালেঞ্জ চুড়ে দেয়া হয় কোন ব্যক্তিকে একমাত্র অনুসরণীয়, অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে কবুল করার জন্য চারটি মৌলিক প্রশ্নের উত্তর খুজতে বলা হয় তবে নির্ঘাত তারা ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) ছাড়া সৃষ্টি শুরু থেকে আজ পর্যন্ত দ্বিতীয় কোন ব্যক্তিকে দেখাতে পারবে না।
টে তা বটে-এটাও না মেনে উপায় নেই।
সুন্দর পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ।
এখানে একজনের অনেকজনের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে এবং তা পালন করা বা না করার ব্যাপারে জবাবদিহীতাও আছে সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর দরবারে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন