আকাশসংস্কৃতি নারীকে শুধুই সেক্সযন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে
লিখেছেন লিখেছেন শাহ আলম বাদশা ০৫ জুলাই, ২০১৪, ০১:০৭:৪৪ দুপুর
আমার সাথে অনেকেই সহমত নাও হতে পারেন। আমিও দ্বিমতকে সম্মান করি কিন্তু আপনাদের দ্বিমতকথার সপক্ষে অবশ্যই যুক্তি ও বাস্তবতা থাকতে হবে। আমি চাই-এ আলোচনার নারীনির্যাতনের কারণ এবং নারীদের নগ্নতার কারণ উদ্ঘাটন করা।
পর্দার ব্যাপারে আমাদের ভাবনা কিংবা চিন্তা চেতনার মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে। একবার এক মেয়ে বলল, “যাদের চেহারা খারাপ, কুৎসিত তারাই পর্দা করে।” বেশ পরে একদিন রবীন্দ্রশিল্পী মিতা হকের মুখেও একই কথা শোনা গেলো। কাজেই, দু'কলম শিখলেই কিংবা আজেবাজে কথা বললে বিশেষ কিছু মিডিয়াতে স্পেস পাওয়া যায় বটে কিন্তু মানুষের মনে স্থান পাওয়া যায় না, যেমন এই মিতা হক টাইপের শিল্পীরা পাননি।
একজন ব্রিটিশ লোক এক হুজুরকে জিজ্ঞেস করলো, ‘একজন পুরুষের সাথে একজন মহিলার হাত মেলানো (হ্যান্ডশেক করা) ইসলামে নিষিদ্ধ কেনো?’ হুজুর বললেন, ‘আপনি কী রাণী এলিজাবেথের সাথে হাতমেলাতে পারবেন?’ ব্রিটিশ লোকটি বললো, ‘অবশ্যই নয়, শুধুমাত্র কিছুসংখ্যক নির্দিষ্ট লোকই তার সাথে হাতমেলানোর সুযোগ পায়।’ তখন হুজুর বললেন, ‘আমাদের কাছে আমাদের নারীরাও তেমনি রাণীর মতো সম্মানিত এবং নারীরা কোন অপরিচিত ব্যক্তির সাথে হাতমেলায় না।’
ব্রিটিশ লোকটি হুজুরকে আবার জিজ্ঞেস করলো, ‘আপনাদের নারীরা কেনো শরীর ও চুলঢেকে রাখে?’ হুজুর হাসলেন এবং দু’টি মিষ্টি হাতে তুলে নিলেন। তিনি একটি মিষ্টি খোলা রাখলেন এবং অপরটিকে ঢেকে নিলেন। তারপর তিনি দু’টি মিষ্টিকেই নোংরা মেঝেতে ফেললেন এবং ব্রিটিশ লোকটিকে প্রশ্ন করলেন, ‘আমি যদি আপনাকে এই দু’টি মিষ্টির একটি বেছে নিতে বলি আপনি কোনটি বেছে নিবেন?’
ব্রিটিশ লোকটি উত্তর দিলো, ‘অবশ্যই যেটি ঢাকা আছে সেটি।’ হুজুর বললেন, ‘ঠিক এভাবেই আমরা আমাদের নারীদের মুল্যায়ন করি ও দেখি।’
একটা হাদিসে আছে-দু’জন বেগানা নর-নারী (পরস্পর বিবাহসম্ভব-রক্তসম্পর্কীয় নয়) যখন একত্র হয়, তখন সেখানে তৃতীয় ব্যক্তি থাকে শয়তান।
এর মানে উভয়ের গোপণে বা প্রকাশ্যে একত্রে হওয়াই উভয়ের পর্দার লঙ্ঘন বলে যেকোনো মুহূর্তে ধর্ষণ বা ব্যভিচার ঘটাই ১০০% সম্ভবপর।
আর পুরুষপরিবেষ্টিত বা শাসিত পরিবেশে নারী অশালীন পোশাক বা শরীরে থাকলে সৃষ্টিগতভাবে সকর্মক এবং যৌনতায় এগ্রেসিভ পুরুষ মোমের মতোই গলে যায় বা আকর্ষিত হয়–এটা সাইন্সের কথা। তবে সৎ বা আল্লাহভীরুদের কথা আলাদা, তারা নিজেরাই পর্দা করে এবং বেপর্দা নারীকে দেখেও নিজেকে সামাল দিয়ে চলে।
পরিমল কি পাতাতুল্য শিক্ষক ছিলোনা–তাহলে হিন্দু হয়েও মুসলিম ছাত্রীতুল্য মেয়েকে কেনো ধর্ষণ করে? এমন ঘটনা নবী আসার আগের সময়েও ছিলো কিন্তু পরে ইসলামী পরিবেশ আসায় আর দেখা যায়নি
এদেশে প্রেমিক-প্রেমিকদের নোংরা ঘটনাতো ঘটছেই,বস কর্তৃক ধর্ষণ, মনিব কর্তৃক বুয়া ধর্ষণ কিংবা অবৈধ সন্তানের পিতার পরিচয়দাবীতে মামলা ইত্যাদি কি এ সমাজে ঘটছেনা, যা উপর্যুক্ত হাদীসের কথার সাথে মিলে যায় নাকি? মানে প্রেমজাতীয় বা বিনোদনজাতীয় অযথা বা অবৈধ কাজেই দু’জনের প্রকাশ্য কিংবা গোপণ মেলামেশা নিষেধ।
কিন্তু প্রকাশ্য জনসমাগম, সেটা নবীর যুগেও ছিলো, হাট-বাজার এমনকি মহিলাসাহাবারাও পুরুষদের কাধে কাধ মিলিয়ে যুদ্ধ-কাজ করেছেন, মেলামেশা করেছেন, যা এ হাদীসের আওতাভূক্ত নয়। অবশ্য এমন ধর্ষণ, নারীনির্যাতন নর-নারীর ভিন্ন ভিন্ন কর্মক্ষেত্রে সঙ্ঘটিত হওয়া সম্ভবপর নয়, তাই মেয়েমহলে নয় শুধু পুরুষমহলে অবশ্যই নারীকে সংযত হতে হবে শালীনতার ক্ষেত্রে। পুরুষের শালীনতাও এর আওতাভূক্ত, এটা ভুললে চলবেনা।
আরো একটা বড় কারণ হচ্ছে–টিভি-সিনেমা, আকাশসংস্কৃতির যৌনপরিবেশই পুরুষকে উত্তেজিত করে রাখে এবং নারীকে শুধু সেক্সযন্ত্র হিসেবেই দাঁড় করায় বলে নিরীহ নারী-শিশুও এই পুরুষপশুদের হাত থেকে বাঁচেনা। সংস্কৃতির নামে এসব মাধ্যম অসামাজিক পন্থায় নারীকে নগ্নশরীরে এবং নগ্ন পোশাকে পথে নামিয়েছে, যা কোনো সমাজে চলেই না।এটাই বাস্তবতা।
আল্লাহ নরনারীর উভয়ের পর্দার কথা বা দৃষ্টি অবনত করা বা পরস্পরের প্রতি চোখভরে না তাকানোর জন্য কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। এটা মানলে আমাদের কতোইনা উপকার হতো।
বিষয়: বিবিধ
১৩০৬ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এর মাধ্যমে তারা সমাজের মাইক্রো লেভেল হতে শুরু করে ম্যাক্রো লেভেল অবধি হিংসা, লোভ, লোলুপতা, নপুংশতা, কাম মুখিতা ইত্যাদির যেমন বিকাশ করে অন্যদিকে মানুষের মানবিকতা, মানুষের আধ্যাত্মিকতা, মানুষের বীরত্ব ও প্রতিবাদ করার সক্ষমতা ধ্বংশ করে।
নিয়ন্ত্রণকারীদের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন এতটাই ব্যাপৃত, এতটাই ব্যাপক, এতটাই ফ্রান্সাইজড যে একজন লিখক, একজন বক্তা তা গণমানুষের উপযোগী করে ফুটিয়ে উঠাতে আর পারবেনা।
মূলতঃ এর জন্য দরকার এ্যাডভান্স স্টাডিতে কোর্স চালু করা - যাতে মানুষ এর কম্প্রিহেনসিভ ব্যবহার ও কুফল সম্পর্কে ওভারঅল জানতে পারে। যদিও প্রগতিবাদীরা প্রগতির নামে তা বাস্তবে হতে কোন দিন দিবেনা।
০ এটা কোন মেয়ে বলেনি । বলেছিল গত টার্মের ডেপুটি স্পিকার ।
মিডিয়াকে দুষে লাভ নেই , কারণ নিজেদের স্বাবলম্বী করতে নারীরাই এ পথ বেছে নিয়েছে ।
মেয়েদের বিভিন্ন অনাচারে আমরা মেয়েদের শুধরানোর চেষ্টা না করে সবসময়ই নন্দ ঘোষের সন্ধানে নেমে পড়ি ।
পরকালে বিচার হবে পাপের কারণে পাপীর , পাপের নয় । কারণ তাদের কাছে জ্ঞান আসার পরও তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল।
মন্তব্য করতে লগইন করুন